বৈশাখী প্রেম দগ্ধ দহনে,
কালবোশেখী ঘোর, দানা বাঁধে মনে।
দ্বন্দ্ব কি কোনো উঁকি দেয় মনে?

মাঝেমাঝে সখী কোন উচাটনে,
বৈশাখী প্রেমে তাপমান বাড়ে!

দ্বিধাগ্রস্ত মন চিনতে পারে কি নিজ সত্তা!
এইতো আছি বেশ ...হাট করে খোলা দরোজা
অচেনা বকুলের চেনা ঘ্রাণে বাতাস

কালবৈশাখী তুই কতই না পাষন্ড
সবকিছু করে গেলি লন্ডভন্ড
ক্ষেতের ফসল , ঘরবাড়ি আর গাছগাছালি
ভেঙ্গে দিলি ঘর ছিল যত জোড়াতালি

হৃদ সিন্ধুতে উত্তাল তরংগ, মম প্রাণো মমতাজ!
তব লাগি বিশাল রাজ্যে এত সাজ।

মন আমার উড়তে চাই
দূরন্ত ঐ মেঘের ভেলাই,
খুশিতে মন ধুলছে দোলাই
উঠবো মেতে দুঃখ ভোলাই।

জীবন চাঁদিই বোঝে চাঁদ ততো অনিবার্য নয়
তবু আমি আকাশের দিকে বাড়িয়ে দিলাম
আমার শীর্ণ দু হাত

আমার ভাতের থালা কেড়ে নিয়ে গেল মহাজন
আর প্রতিবেশী জীবন এসে দিয়ে গেল
ছোলামুড়ি দীপঙ্কর জ্ঞান

নতুন বছরে নতুন দিনে আসিল আবার ফিরে
বরণ করে নেই আমরা সবায় মিলে,
সকাল বেলায় খাই মোরা পান্তা ইলিশ ভাত
নাগর দোলায় দুলি মোরা মেলায় বার বার।