রেলস্টেশন থেকে বলছি

শ্রমিক (মে ২০১৬)

the xrif
  • ১৯
আজ স্কুল বন্ধ। স্কুল বন্ধ হলে সারা দিন কাজ করা যায়। টাকাও একটু বেশি পাওয়া যায়।তখনই আনন্দটা সীমানা পেরিয়ে যায়,রাতে কাজ থেকে ফিরে যখন মায়ের হাতে একগুচ্ছ টাকা তোলে দিতে পারি।
.
শত কষ্টের মাঝেও মা একটুখানি হেসে বলেন, কেন এতো কষ্ট করতে গেলি? শত কিছু বললেও আমিই জানি,টাকা নামক এই অধরা বস্তুটি আমার পরিবারের জন্য কতটা প্রয়োজন।
.
আমি ইমন।
পরিবার বলতে মা,আমি আর ছোট ভাইটি। ৫নং,ভাঙ্গা রেলের ওয়াগনটি আমাদের মাথা রাখার স্থান।গতবছর বেশ ভালই ছিল শুধু দক্ষিন পাশের অংশটাই ভিজতো। কিন্তু এই বরষায় মরিচা ধরা অংশটা উঠে যাওয়ায় তিনজন একসাথে থাকা হয়ে উঠে না। একজন জেগে থেকে দুজনকে ঘুমাতে হয়।
এই রমজানে,রেল স্টেশনে যাত্রির সংখ্যা ও উপছে পড়ার মত।তাদের মালামাল বহন করে ভালই রোজগার করা যায়।প্রতিদিন একটাই চিন্তা থাকে যেন,গতকালের চেয়ে মায়ের হাতে ২০টা টাকা বেশি দিতে পারি,মায়ের হাসিটাও যেন আর একটু চওড়া হয়।
.
সেহেরীতে,ক্ষিধা নেই বলে মাকে আমার ভাগের খাবারটা খাইয়ে, যতটুকু tripti পাই। আর সেটাই মালামাল বহনে বাধা হয়ে দাড়ায়। বেলা গড়াতেই শরীরটা যেন বিদ্রোহ শুরু করে।পা গুলো অবরোধে নামে।এগুতে চায় না কিছুতেই। আবার মনে পড়ে মায়ের হাতে ২০টাকা বেশি তোলে দেয়ার কথা।
.
সন্ধ্যায় এক বড়লোক বাবুর জিনিস পত্র রেলে তোলছিলাম,ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলে,তাড়াহোড়া করছিলাম যেন আমার পাওনা পরিশোধ করে দেয়।
.
আমাকে অবাক করে দিয়ে তিনি বললেন,তাদের সাথেই ইফতার করতে। আমার মত নিকৃষ্ট প্রানীর সাথে সাহেবরা ইফতার করবেন! কেমন জানি লাগছে,তাই অস্বিকৃতি জানালে পুরো প্যকেটটায় দিয়ে বললেন,যেন বাড়ি গিয়ে খাই।
.
অনেক দিন পর ভাল খাবার!!! প্যাকেট খুলতেই জিলেপি গুলো চোখে পড়ল।মায়ের খুবই পছন্দের খাবার।
রাতে বাড়ি ফিরে মাকে দিতেই, সুন্দর একটা হাসি দিয়ে বলল,কোথায় পেলি?

হাসিটা দেখে মনে হচ্ছিল অর্ধেক স্বর্গ আমি এর মাঝেই অর্জন করে ফেলেছি।
.
.
আর টেনে পাশে বসিয়ে,যখন আদর করে দিচ্ছিল, মনে হল আমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুখী মানুষ
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Md.Basir Ullah মা‌য়ের খেদম‌তে আল্লাহ খু‌শি হন। ধন্যবাদ
ভালো লাগেনি ২২ জানুয়ারী, ২০১৮
ফেরদৌস আলম ভালো লাগলো, অনেক অনেক।
নাস‌রিন নাহার চৌধুরী মাকে সুখি করার সার্থক চেষ্টা। গল্পে ভোট রইল।
আহা রুবন অল্প কথায় ভাবটা সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। শুভেচ্ছা রইল।

০৬ জানুয়ারী - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী