মাগো-দম আটকে আসছে। আর কয়েক ঘনফুট মাটি পড়লেই তোমার কাছে চলে আসব, মা। ড্রেজারের আওয়াজ আর তোমার কানে পৌঁছোয় না জানি। ঘোলা জলে শ্বাস নেবার কষ্টের বাইরে তুমি।
তোমার আর দশটি ছেলের মত মুক্ত চিন্তার ছিলাম না বলে পাড়ি দিতে পারিনি বিভূঁইয়ে। তোমার আঁচলের কাছে ঘুর ঘুর, নেওটা ছেলে বলে মিষ্টি বকুনি, তেমনি ‘আমার নাড়ির ধন’ বলে আদরের বাড়াবাড়ি, ভুলিনি মা আমি। ……. ধেয়ে আসা গ্রাসী শত হুঙ্কারে ছাড়ি নি দেশ এই মাটি জল পেলাম বুঝি তার বিনিময়ে মায়ে-ছেলে শয্যা গর্ভে ভূ-তল। ……. বালির দেয়াল আড়াল করেছে তোমাকে, এক ধাক্কায় এ পাশে পাঠিয়ে তুমি রয়ে গেলে ওপাড়ে তোমার আবাসটি আজ কাঁদাময় নয়, শক্ত মাটি, সুউচ্চ দালানের শক্ত ঘাটি। ……. চোখ ছলছল বুকে বড় চাপ বাঁচার আকুতি রেখে যাই ছাপ প্রখর দুপুরে সন্ধ্যে ঘনায় অপেক্ষা প্রহর শেষ মোহনায়। ……. আর একটি ছোট্ট মাটির তাল…. ঢেকে দেবে আমাকে জীবন্ত কবরে। ওরা এখানে গড়বে বাড়ি তাই আমরা যাচ্ছি শেষ আশ্রয়ে।
বালির ফাঁসে মিষ্টি পানির মাছ করছিল হাঁসফাঁস, মুক্তি মিলল মাত্র। এই ফেল্লাম শেষ নিঃশ্বাস -তোমার ছোট্ট পোনাটি, মাগো।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আহমাদ মুকুল
প্রিয় আরেফিন/ পরিবেশ রক্ষা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এলাকা, জলাধার সংরক্ষণ কোন বিষয়ই হাউজিং ব্যবসার প্রতিবন্ধক হতে পারছে না। প্রতিবাদ তো বটেই, তবে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে চেয়েছিলাম। মাইলের পর মাইল ড্রেজার বসিয়ে মাটি ভরাটের চিত্র নিশ্চয়ই দেখেছো? হাজার হাজার প্লট/এপার্টমেন্ট হয়, ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সাড়ে তিন হাত মাটিও জোটে না। এই মাছের পোনাটি তার বিচরণের অধিকার হারিয়েছে, তার সৌভাগ্য- কবরটি সে এই ভূখণ্ডতেই পেয়েছে।...ভোট বন্ধের কারণ আগেই বলেছি, ভাইয়া।
মোঃ শামছুল আরেফিন
আপনার কবিতাটি কি ভাইয়া আমাদের দেশে আবাসন শিল্প বাণিজ্যের নিয়ম না মানার প্রতি প্রতিকী প্রতিবাদ? আমার যদি ভুল না হয় তবে আপনি মনে হয় আবাসন শিল্প প্রতিষ্ঠানের অনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে চেয়েছেন। কবিতার ভেতরে গল্প। ছোট্ট একটি মাছের পোনা, যে মাকে ছেড়ে চলে যেতে পারেনি কোথায় সেই পুকুরে ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট হচ্ছে। তারপর সেখানে গড়বে ইট পাথরের আবাসন। আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে ভাইয়া আপনার এমন কবিতাটি। সম্পুর্ন ভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। কিন্তু ভাইয়া ভোটিং অপশন বন্ধ করে রেখেছেন কেন?
প্রজাপতি মন
তোমার আর দশটি ছেলের মত
মুক্ত চিন্তার ছিলাম না বলে
পাড়ি দিতে পারিনি বিভূঁইয়ে।
তোমার আঁচলের কাছে ঘুর ঘুর,
নেওটা ছেলে বলে মিষ্টি বকুনি, তেমনি
‘আমার নাড়ির ধন’ বলে আদরের
বাড়াবাড়ি, ভুলিনি মা আমি।
মুকুল ভাই এবারের লেখাটিও যে মন ছুঁয়ে গেল। অসাধারণ কাব্য উপস্থাপনা। আগামীতেও বিজয়ের মুকুট পড়ুন এই প্রত্যাশায় ____
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।