কলেজের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রবেশ করতেই সমস্ত শরীরে উত্তেজনার এক ভিন্ন অনুভূতি উপলব্ধি করলাম। শৈশব ও কৈশোরের বিধি-নিষেধগুলো থেকে যেন অলিখিত মুক্তি মিলল। আমার সামনে তখন স্বাধীন পৃথিবী। কার মুখে যেন একবার শুনেছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য নয়, জীবনকে উপভোগের জন্যও। আমি তখন আমার স্বাধীনতা উপভোগের প্রত্যাশায়। কিন্তু কে জানত, এই প্রত্যাশা অচিরেই হতাশায় পরিণত হবে। চোখের রঙীন চশমা খুলতেই নজরে আসবে বাইরের ধূসর পৃথিবী, স্বাধীনতা যেখানে স্বেচ্ছাচারিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এখানে তোতলামির ভঙ্গিতে সংকর ভাষায় কথা বলার চল, আন্ডারওয়্যারের ব্র্যান্ড দেখিয়ে প্যান্ট পরার রীতি। জ্ঞানের ভান্ডার `ডি' গ্রেডে থাকুক, ফ্যাশনে সবার `এ' গ্রেড চাই। সম্পর্ক এখানে স্বার্থের নিক্তিতে মাপা। `মুন্নী বদনাম' কিংবা `শীলা কি জাওয়ানি' জাতীয় চটুল সংগীতে অর্ধনগ্ন আইটেম গার্লদের উদ্দাম নৃত্য এখানে বিনোদনের মাধ্যম। তারুণ্যের ছুঁতোয় অনৈতিক কাজও এখানে স্বাভাবিক বলে গণ্য করা হয়। অথচ আমি কি এমন পৃথিবী চেয়েছিলাম? আমি তো চেয়েছিলাম ভাষার শুদ্ধতায় মনের সকল অনুভূতি নির্দ্ধিধায় প্রকাশের স্বাধীনতা, পোশাকের পরিবর্তে প্রতিভা দিয়ে বিশ্বজয়ের স্বাধীনতা, মেধার জোরে জ্ঞানের সকল শাখায় বিচরণের স্বাধীনতা, সম্পর্কের উষ্ণতায় জীবনকে উপভোগের স্বাধীনতা, সুস্থ বিনোদনের চর্চা করে মনের সংকীর্ণতা দূরীকরণের স্বাধীনতা, তারুণ্যের শক্তিকে সমাজের কল্যাণে কাজে লাগানোর স্বাধীনতা, আর এ-সবের মাধ্যমে আত্নতুষ্টি অর্জনের স্বাধীনতা। আমি কি তা পেয়েছি? আমার ভাবনাগুলো এখানে `ব্যাকডেটেড' হিসেবে গণ্য, আমি এদের পরিহাসের পাত্র। তবে ব্যক্তি স্বাধীনতার অপব্যবহার করে নিজেকে এদের মতো `আপডেট' করার ইচ্ছে আমার নেই। আমার সে স্বাধীনতার প্রয়োজন নেই...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ভূঁইয়া মোহাম্মদ ইফতেখার
শামছুল আরেফিন ভাই, অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি মূলত যে চিন্তা থেকে লেখাটি লিখেছিলাম, আপনি তা অক্ষরে অক্ষরে ধরে ফেলেছেন। শুভকামনা রইল...
মোঃ শামছুল আরেফিন
বন্ধু আপনি ভুল বলে গেলেন কিন্তু,আপ্নার ভাবনাগুলো মোটেও ব্যাকডেটেড' হিসেবে গণ্য নয়,সঠিক সময়ে সঠিক কথাটি অতি সুন্দর করে বলে দিয়েছেন আপ্নি।সাধিনতার নগ্ন চিত্রটি খুব সুন্দির করে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন।আপ্নাকে অনেক ধন্যবাদ এইরকম একটি লেখা উপহার দেয়ার জন্ন।আশা করি ভবিষ্যতে আর সুন্দর লেখা আপনার কাছ থেকে উপহার পাব।অনেক অনেক শুভ কামনা থাক্ল।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।