একজন মুশফিক সাহেব

বৈরিতা (জুন ২০১৫)

আল- আমিন সরকার
  • 0
  • ৪১
রাত অনেক হল- ঘুম আসে না মুশফিক সাহেবের । যদিও শরীরে রোগের কমতি নেই তার । কিন্তু ঘুমের ঔষধ যে নিয়মিত খেতে হয় তা ও নয় । প্রতিবার ডায়াগনোসিসের পর আর একটা করে নতুন রোগের অস্তিত্ব ধরা পরে । তার পর ও তার মত কর্মোদ্যম মানুষকে খুঁজে পাওয়া সহজ নয় । কাজের জন্য চষে বেড়ান দেশের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে । তার ঘুম না আসার কারন হল চিন্তা, যদিও চিন্তার কারণটা ভিন্ন – যা অনেক দিন ধরে মনের কোনে লুকিয়ে রেখেছেন তিনি । শুধু অনুকুল পরিবেশের অপেক্ষায় ছিলেন এতকাল। ৭১ সালে মহান মুক্তি যুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী তাদের গ্রামের বাড়ি পুড়িয়েছিল । জলন্ত আগুনে পুড়ে ছাই হতে দেখেছেন তিনি, তাদের সাজান সংসার । তাই সেই গ্রাম তার কাছে মায়ের মতই প্রিয় । বাবা- ই তার আদর্শ । চাকরী সুত্রে ঢাকা থাকলেও মুশফিক সাহেবের মন পড়ে থাকে প্রিয় গ্রামেই । গ্রামের মানুষ ঢাকা কিংবা এলাকাতে সমস্যায় পড়লে তিনিই এগিয়ে যান সবার আগে । ফেসবুকের কল্যাণে এলাকার যুব সমাজের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে ও চলেন । ঈদ , পুজা-পার্বণ আর বাংলা নববর্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনে প্রধান ভূমিকা পালন করার মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সার্বজনীন সম্পর্ক অটুট রাখতে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন । মানুষের প্রতি ভালবাসা আর সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা শিখেছেন তিনি তার বাবার কাছ থেকেই । তার বাবা বলতেন – যেখানেই থাক না কেন, এই মাটির সাথে সম্পর্ক যেন ছিন্ন না হয় । সে জন্যই তার মাটির প্রতি এতো টান । মনে আজ চিন্তার টর্নেডো ঢেউ খেলে যাচ্ছে, ঘুম আসতে দিচ্ছে না । কারন আগামীকাল সে দেশের সেরা ইঞ্জিনিয়ারের পদ অলংকৃত করতে যাচ্ছেন । সে জানে, রাস্তা হল- উন্নয়নের পূর্ব শর্ত । রাস্তা- ঘাট হলেই তার প্রাণ প্রিয় গ্রামের আর গ্রামের মানুষের উন্নতি হবে ।

পরের দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি দেশের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার হলেন । যদিও অনেকে কাজের চাপে আর বৈরি পরিবেশে- ভাল কথা গুলো, ভাল স্বপ্ন গুলো দেখতে ভুলে যায় । নিজের নামে বেনামে সম্পদ অর্জনে লেগে যায় । সেখানে কিন্তু মুশফিক সাহেব ভিন্ন , বিদেশী দাতা গোষ্ঠীকে বুঝাতে সক্ষম হন যে, তার এলাকার উন্নয়ন- দেশের জন্য কত টুকু দরকার । বলে রাখা দরকার, তার এলাকাতে দেশের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ধান, লিচু , মাছ , পাট উৎপন্ন হয় । বর্তমানে পোল্ট্রি ও গরুর ফার্ম- এর অবদানও কম নয় । এভাবেই মুশফিক সাহেবের এতোদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হওয়ার পথে আরও এগিয়ে যায় ।


যথা সময়ে রাস্তার কাজ শুরু হয় । আবার শেষ ও হয়ে যায় ভালোভাবে । তার গ্রাম আর আজ আগের মত নেই । এখন যে কেউ চাইলে ঢাকা থেকে ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রামে যেতে পারে । স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত পণ্য ঢাকা তথা সারা দেশে সরবরাহ ও করতে পারে সহজে । মোবাইল টাওয়ার ও হয়েছে ।দেশ বরেণ্য মানুষের আগমন ঘটে এখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে । এই ভাবে এগিয়ে যেতে থাকে তার এলাকা । সাথে সাথে তার জনপ্রিয়তা ও হয় আকাশ ছুঁয়া এবং এরই সাথে তার প্রতি ঈর্ষা পরায়ণ লোকের সংখ্যা বাড়তে থাকে । এলাকার সাধারণ মানুষ কৃতজ্ঞতা জানাতে, মুশফিক সাহেবের জন্য একটা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে । অন্য দিকে ঐ ঈর্ষা-পরায়ণ মানুষ গুলো, অনুষ্ঠানটি প্রতিরোধ করার ঘোষণা দেয় । মুশফিক সাহেব নির্বাক হয়ে বসে থাকে , তার জীপ সামনের দিকে এগোতে থাকে আঁধারের বুক ভিতর দিয়ে ...।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কবিরুল ইসলাম কঙ্ক বেশ ভালো লাগলো পড়ে । ভোট রইলো । রইলো শুভেচ্ছাও ।
তাপস চট্টোপাধ্যায় ভালো লাগলো . আমার পাতায় আমন্ত্রণ .
জুন ভালোই ছিল। আধুনিকতা ছিল গল্পের বিষয়বস্তুতে। এমন হলে ভালোই হতো। শুভ কামনা ও ভালো লাগা রেখে গেলাম। আমার পাতায় নিমন্ত্রণ...
Fahmida Bari Bipu লিখতে থাকুন। আস্তে আস্তে পরণত হয়ে উঠবে লেখা। লেখা পাঠানোর আগে রিভিশন দিয়ে নিলে ভাল হয়। শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
গোবিন্দ বীন ভাল লাগল,পাতায় আমন্ত্রন রইল।

০৯ নভেম্বর - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৩৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী