চলো দু'জনায়

দিগন্ত (মার্চ ২০১৫)

মনতোষ চন্দ্র দাশ
  • ১৬
  • ৬৯
চলো দু'জনায় হাত রেখে হাতে
ছুটে যাই অাদিগন্ত সবুজ সোনালী ধানে ঢেউ খেলানো তেপান্তেরর মাঠে,
চৈতালি চৈত্রের হাওয়ায় নীলাভ অাকাশে উড়াই রঙ-বেরঙের বর্ণিল ঘুড়ি;
পথের ধুলায় লুটোপুটি খাওয়া শৈশবের মতো উল্লাসে মেতে
ঝিলের জলে শাপলা-শালুক তুলে বনবাঁদড়ে ঘুরে বেড়ায়।

চলো দু'জনায় হাত রেখে হাতে
কাল স্রোতের খেয়ায় দিগন্তে ভেসে বেড়ায়,
যেখানে উর্দ্ধমুখে রৌদ্র পোহায় স্থবির পর্বতমালা;
অপরাহ্নের রাঙা রোদে রঙধনু হয়ে মিলিয়ে যায় নীলিগিরির বুকে,
মেঘবালিকার মতো ছুটে যায় অাপন অালয়ে।

চলো দু'জনায় হাত রেখে হাতে
অচিনপুরের দেশে হুইসেল বাঁজিয়ে ধেয়ে চলা ট্রেনে,
গন্তব্যহীন অনন্ত পথের যাত্রী হয়ে ঝক্-ঝকা-ঝক্ শব্দে
গাছপালা-নদীনালা-ঘরবাড়ি ছাড়িয়ে
যেখানে শালিক ঝাঁকের কোলাহল থেমে অাসে
রাতের নিস্তব্দতায় নির্জন কোনো ষ্টেশনে।

চলো দু'জনায় হাত রেখে হাতে
দূর সীমান্তে কাঁটা তারের দেয়াল ডিঙ্গিয়ে
মুক্ত বিহঙ্গের মতো বসন্ত বাতাসে
উড়ে বেড়ায় অরন্য বিহারীর বুকে;
মহুয়া ফুলের মাতাল ঘ্রাণে অাচ্ছন্ন হয়ে
রূপকথার গল্প শুনে ঘুমিয়ে যায় ছায়াবৃেক্ষর কোলে।

চলো দু'জনায় হাত রেখে হাতে
যেখানে সাগরের বিশাল জলরাশি
অাছড়ে পড়ে অালতা রাঙ্গা নগ্ন বালুচরে,
গোধূলীর কপালে লালটিপ পরিয়ে
জলের বুক চিরে ভাস্কর দেয় ডুব।

চলো দু'জনায় হাত রেখে হাতে
বহুদূরে রাতের অাকাশে ঝলমলে তারার বুকে,
যেখানে চাঁদের অালোয় জোনাকির অানাগোনা
ঝিঁ-ঝিঁ পোঁকার বিরহ বৈরাগী সঙ্গীতে
বিরামহীন সুর ছাঁপিয়ে নুপুর পায়ে
পরিব্রাজক সন্ন্যাসীর মতো
জন্ম-জন্মান্তরের সাধনমার্গে হেটে চলি নিরবধিকাল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন .....জন্ম-জন্মান্তরের সাধনমার্গে হেটে চলি নিরবধিকাল...। ভাল লিখেছে। ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল।
এমএআর শায়েল খুব ভাল হইছে। শুভ কামনা রইল। আমার লেখা (আমাকে ভালবাসা পাপ!) গল্পটি পড়ার অনুরোধ রইল মন্তব্য আশা করছি।
রবিউল ই রুবেন VALO LAGLO.
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অাপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নজিব রায়হান ভালো লেগেছে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অাপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সৃজন শারফিনুল ভালোলাগা আর শুভ কামনা রেখে গেলেম দাদা।।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অাপনাকে অসংখ্য....অসংখ্য .... ধন্যবাদ।
দাদা আরো লিখুন ভোট রইলো.... শ্রদ্ধা সতত।।।
তানি হক দারুন রোমান্টিক একটি কবিতা ... ভালো লাগলো অনেক । শুভেচ্ছা জানবেন
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অাপনাকে অসংখ্য....অসংখ্য .... ধন্যবাদ।
প্রিন্স ঠাকুর ভাল লাগল। শুভকামনা নিরন্তর। আমার কবিতাটি (দিগন্তের মাঝে বিন্দু) পড়ার আমন্ত্রন রইল।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অাপনাকে অসংখ্য....অসংখ্য .... ধন্যবাদ।
গোবিন্দ বীন চলো দু'জনায় হাত রেখে হাতে যেখানে সাগরের বিশাল জলরাশি অাছড়ে পড়ে অালতা রাঙ্গা নগ্ন বালুচরে, গোধূলীর কপালে লালটিপ পরিয়ে জলের বুক চিরে ভাস্কর দেয় ডুব।ভাল লাগল,পাতায় আমন্ত্রন রইল।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অাপনাকে অসংখ্য....অসংখ্য .... ধন্যবাদ।
জলধারা মোহনা খুব জীবন্ত কবিতা.. যেন চোখ বুজলেই দেখছিলাম এইসব রূপকথা। ভালো লাগলো :)
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অাপনাকে অসংখ্য....অসংখ্য .... ধন্যবাদ।
হুতোম পেঁচা খুব ভালো লাগলো
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অাপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

০১ নভেম্বর - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ১১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪