ডোরেমন, নোবিতা আর সুতপা’দের গল্প

আমি (নভেম্বর ২০১৩)

সুকান্ত কুমার সাহা
  • ১২
প্রতিদিনের মত, আজও, আমার চার বছর বয়সী ও একমাত্র মেয়ে, সুতপা, ঘুম থেকে উঠেই ডোরেমন কার্টুন দেখার বায়না শুরু করলো, এটা তার নিত্যদিনের বায়না। আর একবার টিভি সেট চালু হলে তা চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত। আমরা কোনভাবেই এথেকে ওর এটেনশন অন্যদিকে সরাতে পারছি না। কতরকম ভাবেই না চেষ্টা করছি, যাতে ওর এই কার্টুন দেখার আসক্তি কিছুটাও কমে, কিন্তু তার সবই নিষ্ফল হয়েছে। উল্টো নিজেরাই ঝামেলায় পড়েছি।
মাঝে প্রায় ছয় মাসের জন্য আমি ডিসের কানেকশন কেটে বাসায় টিভি দেখা বন্ধ রেখেছিলাম, যাতে এই আসক্তি থেকে তাকে দূরে রাখা যায় কিন্তু তা সফল তো হয়নিই উল্টো বিপদ হয়েছিল। ও তখন উপর তলার ফ্লাটে ওর সমবয়সী বান্ধবী ঐশী’দের বাসায় ডেরা গাড়লো। স্কুল থেকে এসেই, সেই যে সকাল বেলায় ঘর থেকে বের হয়ে যেত আর সহজে বাসায় ফিরিয়ে আনা যেত না। মেয়ে অন্যের বাসায় যেয়ে পড়ে থাকলে কার ভাল লাগে? আমাদেরও ভাল লাগলো না। যদিও ঐশীর বাবা-মা তা ভালভাবেই নিত, তবুও নিজেদের কাছে খারাপ লাগতো। তাই ওকে বাসায় রাখার জন্য ডিস কানেকশন পুনঃ সংযোগ নিলাম গতমাসে। কেবল লাইনের মালিককে এর জন্য এক হাজার টাকা বেশী দিতে হলো, কেন আমি লাইন কেটেছিলাম তার পেনাল্টি হিসেবে। আর নিজেদের কথাই বলি, টিভি ছাড়া বাসায় কতক্ষণ থাকা যায়? আমি না হয় সারাদিন বাইরে বাইরে থাকি, আসি সেই রাতে, ল্যাপটপ আছে, ইন্টারনেটে ঘোরাফেরা করি, কিন্তু ওর মা সারাদিন বাসায় থাকে, ওর তো সময় কাটে না। যদিও আমি জানি ওরও আর একটা ভারতীয় চ্যানেলের প্রতি তীব্র আসক্তি আছে যার নাম স্টার প্লাস, কুখ্যাত একটা চ্যানেল, যার শব্দ শুনলেই আমার মাথায় রক্ত চড়ে যায়! ডিস লাইন কাটায় অবশ্য সেটাও একটা হিডেন অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করেছিল।
আজ ভোর বেলায় আমার মেয়ে এই যে টিভি সেটের দখল নিলো, তা চলবে রাতে তাকে জোড় করে ঘুম পাড়ানোর আগ পর্যন্ত। সে যদি পড়তে বা লিখতে বসে, তবুও টিভি সেটে ডোরেমন চলতে হবে, পাশের রুমে গেলে বা বান্ধবী ঐশী’র সাথে খেলার সময়ও তাকে ডোরেমন, নোবিতা, সুজুকাদের কথার শব্দ শুনতে হবে। সে যত দূরে থাকবে টিভি সেটের শব্দও তত জোড়াল করতে হবে, যাতে সে সেই শব্দ ভালভাবে শুনতে পায়। এ এক শোচনীয় অবস্থা।
আমি পাশের রুমে শুয়ে আছি আর বাইরে ঝড় বৃষ্টির শব্দ শুনছি। মাঝে মাঝে মোবাইলের ঘড়িতে সময় দেখছি সেই পারফেক্ট টাইমের জন্য, যখন থেকে আমি অফিসে যাওয়ার প্রিপারেশন নেব। ঘুম জড়ানো চোখে গুটি গুটি পায়ে সুতপা আমার ঘরে চলে এসে পাশে বসতেই আমি আদর করে ওকে কাছে টেনে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, কার্টুন চলছে না মা? ও উত্তর দিলো, না। কেন? ও উত্তর দিলো না। কালকে কলা কয়টা খেয়েছো মা? ওর এটেনশন ঘুরাতে জিজ্ঞাসা করতেই ও উত্তর দিলো, বলবো না! আমি বললাম, কেন? কাল আমি তোমার জন্য কলা এনেছি, পেয়ারা এনেছি, তাল এনেছি আরো কত কি এনেছি, তারপরেও আমার উপর তোমার এত রাগ? একটা মাম দাও তো মা? আবারো তার না-বাচক উত্তর পেলাম। আমি বললাম, কেন মা, তুমি না, বাবাকে প্রতিদিন একটা করে মাম দাও, আজ দিবে না কেন? বলেই ওকে জোড় করে কাছে টেনে নিয়ে একটু আদর করতে চাইলাম। ও মাথা দ্রুত সরিয়ে নিয়ে বলল, কাল আর কি কি এনেছ তার সব তুমি বল নাই, সব বল, না হলে তোমার পেট ফাটিয়ে ফেলবো, বলেই ওর মাথা দিয়ে আমার পেটে গুঁতাতে লাগলো। আমি যে বলার সময় বলেছি, আরও কত কি এনেছি, এতে ওর সম্ভবত ধারণা হয়েছে, গতকাল ওর জন্য চকলেটও এনেছি কিন্তু ওকে না বলে তা আমি লুকিয়ে রেখেছি, তাই ওর এই রাগ রাগ ভাব। ওর গুঁতোতে আমিও ব্যথা পাওয়ার ভান করে ওকে খুশি করার চেষ্টা করলাম এবং খুশি হয়েই সে বলল, ল্যাপটপে ডোরেমন চালিয়ে দাও! তাহলে তোমাকে আমি মাম দিব। আমি এটা শোনার অপেক্ষাতেই ছিলাম। এটুকুনি একটা মেয়ে এরই মধ্যে তার বাবাকে ব্ল্যাক মেইল করা শিখে গেছে। শিখে গেছে গিভ এন্ড টেক কি ও কাকে বলে। সবই যুগের হাওয়া! আমাদের অত্যধিক আদরও এর একটা কারণ হতে পারে। আর ওকে আদর না দিয়েই বা কি করবো? ও ছাড়া আদর করার আর কেইবা আছে আমাদের?
শুধু টিভি না আমার ল্যাপটপেও অন্যান্য কার্টুন আর মুভির সাথে একটা ডোরেমন মুভিও লোড করা আছে, আর এটা দেখাই আপাতত ওর টার্গেট। অনেকটা বাধ্য হয়েই ল্যাপটপে আমাকে ডোরেমন কার্টুনটা লোড করতে হয়েছে। না হলে মাঝে মাঝে ওকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে ওর মা’র পক্ষে। তাছাড়া ওর মাকেও মাঝে মাঝে টিভি দেখার সুযোগ করে দিতে হয় এবং আমারও সময়ে সময়ে দেশ বিদেশের খররা-খবর, মুভি, ডিসকভারি, ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফী চ্যানেল দেখতে মন চায়। তখন এটা কাজে লাগে। কোন কোন সময় অবশ্য দুটোই দখলে নেয় সে।
সকালের এই সময়টাতে চ্যানেলটিতে বিভিন্ন রকমের আয়ুর্বেদিক ঔষধ বিক্রির নামে চলে এক ধান্দাবাজির আসর। অখ্যাত কোম্পানি গুলো টিভি চ্যানেলের চাঙ্ক টাইম কিনে নিয়ে দিনের পর দিন, তাদের বিদঘুটে পণ্যের জন্য সিনেমার পড়তি নায়ক-নায়িকা, অবসর নেওয়া ক্রিকেট খেলোয়াড়দের দিয়ে এমনভাবে “বিজ্ঞাপন গল্প” সাজায় যেন এটা খেলে, মালিশ করলে সব অসুখ হাওয়া হয়ে যাবে। কিছু কিছু ধান্দাবাজী দেখে তো আমি নিজেই থ বনে যাই, এরা “মা লক্ষ্মী”র নামে একধরণের সোনার লকেট বিক্রি করে, এটা কিনে ঘরে রাখলে নাকি “মা লক্ষ্মী” ঘরে স্থায়ীভাবে আসন গেড়ে বসবে। যত্তোসব! ধর্মের নামে ধান্দাবাজী। এই লকেটে কতটুকু সোনা আছে বা আদৌ আছে কিনা তা যদিও আমি জানি না। তবুও আমি বিশ্বাস করি এতে সোনা নেই, থাকলেও দাম অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে নেই, যারা এগুলো কেনে তারাও তা জানে না। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর- এই প্রবাদটির “বিশ্বাসে মিলায় বস্তু” অংশটুকুই ক্রেতাদের সন্তুষ্টি আর বিক্রেতাদের বিজ্ঞাপনের মূল অস্ত্র!
ভারতীয় যে চ্যানেলটাতে এই কার্টুনটা বর্তমানে চলে তার নাম হাঙ্গামা। আগে চলতো ডিজনি চ্যানেলে। সেটা জনগণের তীব্র দাবির মুখে সরকার বন্ধ করে দেওয়ার পর এই হাঙ্গামা চ্যানেলটি নতুন করে হাঙ্গামা শুরু করেছে। একটা টিভি চ্যানেলে প্রায় সারাদিন একই কার্টুন চলে, এটা কেমন কথা? অতিসত্বর এই “হাঙ্গামা”টার হাঙ্গামাও বন্ধ করা উচিত।
সরকার সবচেয়ে ভাল করত; যদি আমাদের সব কয়টি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে একসাথে বা পর্যায়ক্রমে টেরিস্টরিয়াল ফ্যাসিলিটি দেওয়ার মাধ্যমে সারাদেশে এন্টেনার মাধ্যমে টিভি দেখার সুযোগ করে দিত। তাহলে একসাথে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। টিভি দেখায় আমরাই হয়ে যেতাম আমাদের নিয়ন্ত্রক, আর বেচে যেত মাসে মাসে একটা খরচের টাকাও। বর্তমানে আমরা “কেবলটিভি” নামক এক মাফিয়া নেটওয়ার্কের আওতায় আছি। পুরো হোম এন্টারটেইনমেন্ট’টা এদের হাতে বন্দী। কারো কিছু করারও নেই, বলারও নেই। মাঝখানে কিছুদিন বাধ্য হয়ে বিটিভি দেখেছিলাম। ওটা দেখে যা বুঝলাম; এই বিটিভি’র সাথে জড়িত মানুষগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় তেলবাজ। এর খবর থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানগুলো দেখে বোঝার উপায় নেই, আসলে দেশে কি ঘটছে এবং সামনে কি ঘটবে? আর যুগ যুগ ধরে এরাও টিকে আছে, যখন যেমন তখন তেমন তেল মারো’র ভিত্তিতে।
পাশের রুমে টিভিতে ডোরেমন চলছে, ভেসে আসছে, নোবিতা, সুজুকা, জীয়ানদের গলা, চলছে তাদের ছেলেমানুষি কার্যকলাপ, অঙ্গভঙ্গি, চেঁচামিচি, আর নিত্য নতুন গেজেটের ভেল্কিবাজি যা বের হয় নোবিতার বিপদের সময় ডোরেমনের পেটপকেট থেকে। আর এগুলোর সবই বাচ্চাদের কাছে প্রিয়। আমিও আমার মেয়ের সাথে মাঝে মাঝে ডোরেমন দেখি আর বোঝার চেষ্টা করি কেন এই কার্টুনটা একযোগে সব ছোট ছোট পিচ্চি পাচ্চাদের এত পছন্দ। ওরা তো একে অপরকে এটা দেখার জন্য বলেনি বা আমাদের মত নেটে ফেসবুকে প্রচারও চালাইনি? তাহলে কেন ওরা এটা দেখার জন্য এত এগ্রেসিভ, ডাইহার্ড? কারণটা কি? আরও তো অনেক কার্টুন আছে, টম এন্ড জেরি আছে, ছোটা ভীম আছে কিন্তু সেগুলো তো ওদের ডোরেমনের মত এত আকর্ষণ করে না ওদের?
এখনো আমি সুযোগ পেলেই টম এন্ড জেরী দেখি, আর ছোট বেলায় তো নিজেকে ভাবতাম থান্ডার ক্যাটসের লায়োনো। প্রতি শুক্রবারে তিনটা বাজার অপেক্ষায় থাকতাম সারা সপ্তাহ ধরে। আর ওইসময় যদি বিদ্যুৎ না থাকতো তাহলে তো দুঃক্ষেই মরে যেতাম, যা তখন প্রায়ই হত। ছোটদের নিয়ে থান্ডার ক্যাটসের মত একটা দলও তৈরী করেছিলাম আমরা তখন এবং তাদের মত করেই খেলতাম দলবেঁধে, টিভিতে যা দেখতাম বাস্তবে তাই করার চেষ্টা করতাম।
আমার মতে, বর্তমানে বাচ্চারা যে কার্টুনটা টিভিতে দেখছে, তা তারা কয়েকজন মিলে খেলার ছলে প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছেনা বলেই ভার্চুয়ালের ডোরেমন, নোবিতা, সুজুকা, জীয়ানদেরকে তারা তাদের বন্ধু মনে করছে এবং নিজেদেরকে ওদের সাথে একীভূত করে ফেলছে। ভার্চুয়াল আর বাস্তবের মিশ্রণে এক ধরনের বিচিত্র আনন্দ উপভোগ করছে ওরা।
আমি লিখছি, এমন সময় হটাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল, আমি প্রমাদ গুনতে গুনতেই আমার মেয়ে এসে হাজির। বাবা কি করছো? মনে মনে বললাম, আমি তোমার স্টাইল চিনি মা, যেমন তুমি ইতিমধ্যেই চিনে ফেলেছ আমারটা। বললাম, আমি লিখছি মা। কি লিখছো? তুমি কিভাবে লেখো? পর পর প্রশ্ন করতে করতে পাশে এসে বসে কিবোর্ডের পাশে আঙ্গুল ঘষতে শুরু করল সে। ল্যাপটপ দখলে নেওয়ার আগে সে এমনই করে আর যদি না পারে তাহলে পাওয়ার সুইচটি টিপে সে ল্যাপটপ শাটডাউন করে দেবে।
এখন যে কোন একটা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ও। আমি ওকে জড়িয়ে ধরে নিয়ে কোলে তুলে নিয়ে, জিজ্ঞাসা করলাম, নোবিতা, জীয়ান, সুজুকাদের সাথে আর যেন কারা কারা আছে মা? সাথে সাথে ওর উত্তর, সুনিয়ো, ডরিনি, মম, ড্যাড আছে, তুমি ভুলে গেল বাবা? আর আছে চুয়া, পিচুটে, তুমি কিছুই মনে রাখতে পার না। আমি বললাম, হ্যাঁ মা আমি ভুলে গেছি, মনে রাখতে পারিনা। আচ্ছা, বল তো এদের মধ্যে কাকে তোমার সবচেয়ে ভাল লাগে? নোবিতা! একদম স্ট্রেইট উত্তর ওর।
আমি ভাবতেই পারিনি ও আমার এই প্রশ্নটা এত তাড়াতাড়ি ধরতে পারবে। উত্তর শুনে আমি কিছুটা হতচকিত হয়ে বললাম, তুমি একটু অপেক্ষা কর মা, আমি ডোরেমন চালিয়ে দিচ্ছি।
এবারের উত্তরটা শুনে আমি একেবারেই অভিভূত পড়লাম, ও বলল, না বাবা, আমিও লিখবো ...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
অদৃশ্য তারা লেখাটা খুব ভালো হয়েছে... 'শেষের দিকে' যে তাড়াহুড়া করেছেন এটা লেখা থেকেই বুঝতে পারছি...
মিলন বনিক না বাবা, আমিও লিখবো ... এই ধারায় যেন এগিয়ে যায় আমাদের শিশুরা...একটা বাস্তব এবং জীবন মুখী শিক্ষাকে খুব সুন্দর ভাবে উপস্তাপন করেছেন...খুব ভালো লাগলো....
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন ভাল একটা বিষয় তুলে এনেছেন। সবকিছুর উপরেই কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত। তবে আমার মনে হয় না আমাদের দেশে কোন কিছুর উপরে কোন নিয়ন্ত্রণ আছে। জাপানি শিশুরা তাদের দেশের এই কার্টুনটার কতটা অনুরক্ত? ভাল লিখেছেন । শুভেচ্ছা রইল।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি আচ্ছা, বল তো এদের মধ্যে কাকে তোমার সবচেয়ে ভাল লাগে? নোবিতা! একদম স্ট্রেইট উত্তর ওর। আমি ভাবতেই পারিনি ও আমার এই প্রশ্নটা এত তাড়াতাড়ি ধরতে পারবে। উত্তর শুনে আমি কিছুটা হতচকিত হয়ে বললাম, তুমি একটু অপেক্ষা কর মা, আমি ডোরেমন চালিয়ে দিচ্ছি। এবারের উত্তরটা শুনে আমি একেবারেই অভিভূত পড়লাম, ও বলল, না বাবা, আমিও লিখবো .......// শিশু মনের আবেগ আবেদ ছাড়িয়ে গল্পের শেষটা সত্যিই স্বার্থক হয়েছে.....
হোসেন মোশাররফ 'পুরো হোম entertainment টা এদের হাতে বন্দী '-আপনার এই বাস্তবভিত্তিক লেখাটি আমার কাছে ভাল লেগেছে দাদা.....
জাকিয়া জেসমিন যূথী ভীষণ সুন্দর একটা গল্প। আপনার গল্পের পুরুষ চরিত্রটি যেমন বাবা হিসেবে সার্থক, তেমনি একজন হাজবেন্ড হিসেবেও। আর বাচ্চার আবেগটা এত সুন্দর করে ফুঁটিয়ে তুলেছেন, শেষটায় এসে শেষ লাইনটা পড়ে পাঠক হিসেবে আমিও অভিভূত হয়ে পরেছি। খুব সুন্দর গল্পটা। নতুন লিখছেন তো। অথবা হতে পারে আপনি নিয়মিত লিখেন। তবুও একটু উপদেশ রইলো এই আপুনিটার কাছে থেকে-মাইন্ড করবেন না যেন। লেখার প্যারাগুলোতে আরেকটু গ্যাপ দেবেন। লেখার লাইনগুলো ডায়রী কথন এর মত হয়ে গেলে পড়তে অসুবিধে হয়। আরেকটা পরামর্শ- আপনাকে অন্য লেখকদের লেখার ঘরে দেখিনা। মানে কমেন্ট দিতে দেখিনি। নিজের লেখা সাবমিট করে বসে থাকলে তো হবে না। নিজের লেখাটাকেই অন্যদের কাছে পরিচিত করে তুলতে অন্য লেখক ও কবিদের লেখাগুলো পড়তে হবে, আর পড়েছেন কিনা তার প্রমাণ হিসেবে আপনার কমেন্টটা দিলে সবাই বুঝবে আপনি সেখানে গিয়েছিলেন। আর লেখাটি যেমন লাগে, তার ভিত্তিতে ভোট দেয়ার পদ্ধতি ডান পাশে দেয়া আছে-অসাধারণ/খুব ভালো/ভালো...এরকম ৫টি মানদন্ডের যেকোনটায় ক্লিক করে নিচের সবুজ রঙের 'ভোট দিন' ঘরে ক্লিক করতে যেন ভুলবেন না। ...আরো কিছু বুঝার বা জানার ইচ্ছা হলে বার্তা দেবেন কেমন? নবীন হিসেবে পথ চলতে থাকুক, এই লেখার অঙ্গনে। শুভকামনা নিরন্তর।
হ্যাঁ, এটা আসলে আমি ডায়রি হিসেবেই লিখেছি এবং পরে মনে হল, দেখিনা এটা গল্প হয়েছে কিনা? তাই এখানে পোষ্ট করলাম এবং জানতে ও বুঝতে চাইলাম,আমার লেখার ক্ষমতা আসলেই আছে কিনা? বা থাকলেও সেটা কতটুকু? আমি মনে করেছিলাম, এখানকার মডারেটরগণ কিছুটা মডারেশন করে লেখাটার ভুলত্রুটি শুধরে এটা প্রকাশ করবে অথবা পছন্দ না হলে করবে না। জানতে পারবো নিজের যোগ্যতা। তাই আমি কিছুটা অসংগতি আছে জেনেও পোস্ট দিয়েছিলাম। লেখাটার প্যারা গুলোতে Space ছিল কিন্তু পরে দেখলাম সেটা নেই! হয়ত আমাকে আরও অনেক কিছু জানতে হবে এই বিষয়ে। আমি আসলে লেখক নই। হটাৎ হটাৎ মন চাইলে লিখতে চেষ্টা করি মাত্র। আর হ্যাঁ, আমি প্রশংসার চেয়ে সমালোচনা পছন্দ করি তা যে আঙ্গিকেই হোক না কেন! আপনাকে ধন্যবাদ!
এখানে লেখা সাবমিট করলে যেভাবে দেবেন, হুবহু সেভাবেই আসবে। আমি সেজন্যে লেখার ফাইল সাবমিট করে 'গল্প বা কবিতার বর্ণনা' নামের বক্সটিতেও গল্পটি কপি পেস্ট করে, ঐ বক্স এর ভেতরে যেখানে যেখানে স্পেস দরকার সেটা দেই। তারপরে সাবমিট বক্সে ক্লিক করি। এর পরে যখন লেখাটি গৃহীত হয়, তা "লেখকের ড্যাশবোর্ডে" ক্লিক করে দেখতে পাই, 'গৃহীত' অংশে ক্লিক করে। নতুন কোন ভুল চোখে পরলে তখন ইনফো এট গল্পকবিতাডটকম এ ইমেইল করে সমস্যাটা জানাই। অথবা, এখানে 'প্রসেসসর' নামের আইডিকে বার্তা পাঠাই। তখন ঠিক করে দেয়া হয়। ...আপনি লেখক না হলেও এরকম লেখার হাত আর নিয়মিত প্রচেষ্টা এবং পাঠকের সমালোচনাকে পজিটিভভাবে নিতে পারলে 'সু-লেখক' হয়ে উঠবেন শীঘ্রই। আপনাকেও ধন্যবাদ।
”মার কাছে মাসির গল্প” - কি করার! কিছু একটা তো করতে হয় !! গল্প পড়ে এলাম সুকান্ত-দা এর কমেন্ট করতে কিন্তু শেষটায় সুকান্ত-দা’র কমেন্ট-ই করব না আপুনির প্রশংসা করব ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না ! ’গল্প-কবিতা’ পরিবারের প্রতিটি লেখা এমন নিঁখুত প্রশংসা/সমালোচনার জন্য আপুনির প্রতি সত্যিই আমি/আমরা ( সুকান্ত দা এবং দাদার মতো আরো যারা আছে ) কৃতজ্ঞ । এই যাহ্ ! ” ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো শুরু করেছি ” - দাদা, আপনার লেখা পড়ে যেহেতু কমেন্ট পর্যন্ত এসেছি সুতরাং মন্তব্যের অবশ্যই ইচ্ছা ছিল, এখন সব দোষ আপুনি’র (সে কেন এত ভাল কমেন্ট করে !)
@জুঁইফুল - ধন্যবাদ আপনাকে, মূল্যবান পরামর্শ দেওয়ার জন্য। আচ্ছা আমাকে কি একটা বিষয়ে হেল্প করবেন? বিষয়টা হল - একটা ছোট গল্প লিখতে গেলে কি কি বিষয় বিবেচনায় নিতে হয় আর কোন্টার পড়ে কোনটা আসে? মানে আমি ফর্মেটের কথা বলছি???
@আরাফাত, ধন্যবাদ আপনাকে !!!
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কথিত ছোট গল্পের সংজ্ঞা দিচ্ছি- "ছোট প্রাণ, ছোট ব্যথা-------------------------ছোট ছোট দুঃখ কথা/ -------------------------নিতান্তই সহজ সরল-----------------/ সহস্র বিস্তৃত রাশি-------------------- প্রত্যহ যেতেছে ভাসি/ -----------------তারি দু'চারটি অশ্রুজল---------------/ নাহি বর্ণনার ছটা---------ঘটনার ঘনঘটা/ -----------------নাহি তত্ব নাহি উপদেশ--------------------/ অন্তরে অতৃপ্ত রবে------------সাংগ করি মনে হবে/ -------------শেষ হইয়াও হইলো না শেষ---------------" আমি এটাই অনুসরণ করে লিখতে চেষ্টা করি।
@আরাফাত, আপনি আমাকে প্রশংসা করলেন নাকি আমি অনেক বড় কমেন্ট করি বলে বিরক্তি অথবা ব্যংগ করলেন ঠিক ধরতে পারলাম না। তবে সত্যি কথাটা এই যে, আমি জানি আমি নিজেও 'সেরা লেখক' নই। কিন্তু, পাঠক হিসেবে আমি কড়া সমালোচক। তাই কোন লেখা পড়লে সেটার কড়া সমালোচনা (সমালোচনা'র অর্থ কিন্তু নেগেটিভ না! ভালো-মন্দ দুটো বিষয়ে মতামত প্রকাশ করা'=সমালোচনা) করি। ব্যস, এতটুকুই। এটা এত 'ঘরের মোষ তাড়িয়ে বনের মোষ তাড়াই' জাতীয় ভাষায় না বললেও চলে। কে কতটা মোহনীয় মন্তব্য দিচ্ছে সেটা না দেখে, আপনি কারো লেখা পড়ে নিজের মতামতটা দিতে চেষ্টা করুন। আর, ভোট দেবেন গোপনে, সেটা 'ভোট দিলাম, এত নম্বর দিলাম' এইসব বলবেন না, কেমন??
@ Juiful. Thank you very much to comment here further and cooperate to develop my writing skill. Yes! I knew that but forgotten it. However, I'm taking a copy of it and will follow when I'll try to write a small story again though I’m not a regular writer (Diary). I would say sorry to comment here in English due to Bangla (AVRO) font problem @ my desktop. Wish you good health and enjoy happy moments with ur family!

০১ অক্টোবর - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪