বাস্তবতার অবাস্তব স্বপ্ন

ক্ষোভ (জানুয়ারী ২০১৪)

JN Hridoy
  • ৬৩
তারিখঃ লাল শুক্রবার-১৯০০০৭১খ্রিঃ
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক (রাজনীতি)
দেশমাতৃকা গণতন্ত্র বিদ্যালয়,
বাংলাদেশ ।

বিষয়ঃ অননুমোদিত অস্ত্র দ্বারা নির্যাতন বন্ধের আবেদন ।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা আপনার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ । আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমাদের এই বিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা বিদ্যালয়টির সূচনা লগ্ন থেকেই বিভিন্ন দলে বিভক্ত ছিল । বর্তমানেতাদের এই দলাদলি চরম রূপ ধারণ করেছে । ফলসরূপ তারা তাদের এই দলাদলি মনোভাব আমাদের মধ্যেও আনার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা চালাচ্ছে । এমনকি তারা ‘’ক্ষোভ’’ নামক ভয়ঙ্কর অস্ত্র ব্যবহার করছে যা এই বিদ্যালয়টির অনেক শিক্ষার্থীর প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটিয়েছে । এখানে উল্লেখ্য যে এ শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই অত্যন্ত গরীব বিধায় তাদের মৃত্যুর মাধ্যমে তাদের সাথে সাথে তাদের পরিবারেরও মৃত্যু ঘটে, অর্থাৎ বাকিজীবনটা জীবন্মৃত অবস্থাতেই তারা কাঁটিয়ে দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে , তাঁদের মৃত্যুর দায়ভার আমাদের এই মহান শিক্ষকেরা তাঁদের বিপরীত দলের উপরে চাপিয়ে দেয় । এভাবেই তারা প্রতিনিয়ত আমাদের এই প্রাণপ্রিয় বিদ্যালয়টি থেকে তাদের দলকেই বড় করে দেখছে এবং তাদের নিজস্ব দলীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য- তারা ‘’ক্ষোভ’’ নামক এই মরণাস্ত্র নিয়ে গবেষণার জন্য আমাদের মত নিরীহ শিক্ষার্থীদের গিনিপিকের মতই ব্যবহার করছে । কিন্তু তারা কি ভুলে গেছে যে- আমরা গিনিপিক নই,বরং তাদের মতই রক্ত-মাংসে গড়া মানুষ ? তারা কি এও ভুলে গেছে আমাদের পূর্বপুরুষেরাই এই বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করে গেছে , তাঁরা তখন এই ‘’ক্ষোভ’’ নামক অস্ত্রের সাথে ‘’দেশপ্রেম’’ নামক যে অস্ত্রের সমন্বয় ঘটিয়েছিল তা ইতিহাসে বিরল এবং এর ফলে শত্রুপক্ষের নীলনকশা ছিন্ন করে মাত্র নয় মাসেই আমাদের পূর্বপুরুষেরাএই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিল ? তাদের কতই না স্বপ্নই ছিল এই বিদ্যালয়টি নিয়ে, কিন্তু হায় ! বর্তমানে যাদের উপর এই বিদ্যালয়টি রক্ষা ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার দায়িত্বের ভার তারাই নিজেদের দলকে শক্তিশালী করতে প্রতিনিয়ত আমাদের এই বিদ্যালয়টিকে তিলেতিলে ধ্বংস করছে । তাঁরা কি এই সহজ কথাটিও বোঝেনা যে- বিদ্যালয়টিই যদি না থাকে তাহলে তাদের এই দল শক্তিশালী করে লাভটা কি হবে ? তাঁরা বুঝুক আর নাই বুঝুক আমরা আমাদের বিদ্যালয়কে ঠিকই রক্ষা করব, আর এ জন্য যদি আমাদের পূর্বপুরুষদের দেখানো পথও অবলম্বন করতে হয় তবে তাই করব । আমাদের রক্তে এমন এক উজ্জীবনী শক্তি আছে যার ফলে আমরা কাউকে তার নিজ কর্মগুণে মাথায় তুলে রাখি আবার কর্মদোষে ছুড়ে ফেলতেও কুণ্ঠিত বোধ করি না ।

অতএব, জনাবের নিকট আবেদন , উক্ত অবস্থা বিবেচনা করে তা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমরা মনে করি । আর তা না হলে আমাদের অন্তরে সুপ্ত বিদ্রোহ ও ঘুমন্ত দেশপ্রেম যে – যেকোনো সময়ে জাগ্রত হয়ে যেতে পারে তা বলাই বাহুল্য । আর এর ফল কি হতে পারে তা আপনার থেকে কেইবা ভাল বুঝবে বলুন ?

বিনীত নিবেদক
আপনার একান্ত অনুগত শিক্ষার্থীবৃন্দ
দেশমাতৃকা গণতন্ত্র বিদ্যালয়,
বাংলাদেশ।.............................................................................................................................................
............শুভ্র; এই শুভ্র ;উঠ আর কতক্ষন ঘুমুবি । দুপুর গড়িয়ে যে সন্ধ্যে হল । আরে বিড়বিড় করে কি তখন থেকে এসব
বলছিস ?
-আরে না মা , ও কিছুনা সুকুমার রায়ের আবোল-তাবোল বইটা পড়তে পড়তে ঘুমিয়েছিলামতো তাই একটা স্বপ্ন দেখলাম ।
-তা কি স্বপ্ন দেখলি ?
-না তেমন কিছুনা- স্বপ্নে একটা দরখাস্ত লিখলাম ।
-তা সুকুমার রায়ের আবোল-তাবোল বইয়ের মতইদরখাস্ত লিখেছিস মনে হয় ?
-আমি কিছু বললাম না শুধু একটু হাসলাম, মা-ও আমাকে দেখে হাসছে । কিন্তু আমি মনে মনে যে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললাম তা মা-ও জানতে পারল না ।

বিঃদ্রঃ উক্ত গল্পটি জন্ম নিয়াছে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থাকিয়া, তাই বাস্তবের সঙ্গে ইহার কোনরূপ মিল থাকিলে ইহার পরিণতির ব্যপারে আমি নহে বরং যাহারা এই বাস্তব অবস্থার সৃষ্টি করিয়াছে তাহারাই দায়ী থাকিবেন । আর গল্পটি পাঠ করিয়া আমাকে যদি কেউ উন্মাদ মনে করিয়া থাকেন , তাচ্ছিল্য বা প্রশংসা করিয়া থাকেন বা যাই করিয়া থাকেননাকেন তাহাতে আমি কিছুই মনে করিব না , উক্ত গল্প রচনার পশ্চাতে আমার একটাই উদ্দেশ্য আছিল যে- সবার অন্তরের মধ্যের ঘুমন্ত-সুপ্ত দেশপ্রেম ও অন্যায়ের প্রতি ক্ষোভ জাগ্রত করা, আর এই জাগ্রতবোধ যদি একজনের মধ্যেও তৈরি হইয়া থাকে তাহলে ইহাকেই আমার সাফল্য বলিয়া গ্রহণ করিব আর তাও যদি না হইয়া থাকে তাহলে কল্পনায় নিজের সাফল্যগাঁথা পাঠ করিয়া সুখী হইব , তাও বা কম কি বলুন; আজকাল কজনই বা কল্পনাশক্তিকে আপন করিয়া নিতে পারে ।(এখানে যেই কথামালা লিপিবদ্ধ করিয়াছি তাহার জন্য ক্ষমা চাহিতেছি , কেননা ইহাতে কিঞ্চিত নহে বরং ব্যপক গুরুচণ্ডালী দোষ রহিয়াছে বলে আমার ধারণা , তাহার কারণ এই অধম, সাধু ভাষা জানেনা , কিন্তু শখ হইয়াছে সাধু ভাষাতে লিখিবার তাই আর কি করিবার, হাজার হোক শখ বলিয়াও তো একটা ব্যপার রহিয়াছে ! )
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মহিউদ্দীন সান্‌তু অন্যরকম লেখার ধরন, খুব ভালো, এগিয়ে চলো। শুভকামনা।
ভালো লাগেনি ২০ জানুয়ারী, ২০১৪
সুমন শখের তোলা নাকি আশি টাকায় বিক্রী হইত। এই স্থানেতো গুরুচন্ডালী মাত্র, তাহাতে কিছুই আসিয়া যাইবে না। ভাল লাগিল
ভালো লাগেনি ১৬ জানুয়ারী, ২০১৪
এফ, আই , জুয়েল # খুব ভালো একটি থীম । এদেশ মাতৃকার বাস্তব অবস্থার চম?কার বর্ননা । লেখার গতি বেশ সাবলীল । সবমিলিয়ে অনেক সুন্দর । একটি ভিন্ন ধারা----ভিন্ন স্বাদ ।।
ভালো লাগেনি ১৪ জানুয়ারী, ২০১৪
মিলন বনিক প্রিয় নাঈম, তোমার পাদটিকা পড়িয়া ইহায় বলিব যে এই বিদ্যালয়টি হইল আমাদের দেশ...এবং তুমি আবোল তাবোল করিয়া হইলেও ইহার একটি সার্থক রুপ দিতে পারিয়াছ....তোমাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা....
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০১৪
ঐশিকা বসু নতুন ভাবে লেখা গল্প। খুব ভাল।
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০১৪
সকাল রয় ইহাকে কি গল্প বলা যায়!
ভালো লাগেনি ১২ জানুয়ারী, ২০১৪
আলমগীর সরকার লিটন বেশ চিঠির ভাষা চমৎকার একটা ক্ষোভ প্রকাশ -- অভিনন্দন--
ভালো লাগেনি ৪ জানুয়ারী, ২০১৪
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ৪ জানুয়ারী, ২০১৪

২২ সেপ্টেম্বর - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪