ফালতু

অস্থিরতা (জানুয়ারী ২০১৬)

ছন্দদীপ বেরা


সারাদিন কিছুই ভালো লাগছে না। কী করা যায়, কী করা যায়?!...
ভাবতে ভাবতে ফোনটা বেজে উঠল। সুরেশ।
-ভাই, কেমন আছিস?
-ওই আছি আর কি। দিনগুলো যেন কিছুতেই কাটতে চাইছে না।
-কেন রে, খুব বোরিং?
-বোরিং নয়তো কি? সারাদিন কী করব কী করব খুঁজেই পাচ্ছি না। কোথাও বেড়াতে বেরোলে কেমন হয় ..
-চল না... আমারও খুব বোর লাগছে.. অনেক দিন বাইরে কোথাও যাওয়া হয়নি। কিন্তু যাবিটা কোথায়?
- তুই বাগানে আয়। তারপর দেখছি।

একটু পরে সুহাসিনী পার্কের সামনে দেখা হল।
-চল, একটু চা খাওয়া যাক। সুরেশের আবদার।
-চল, ব্যাপারটা খারাপ হবে না।
চা খাচ্ছি, এমন সময় দেখি শরণ আসছে। আমরা হেসে উঠলাম। শরণ-এর ক্যাবলা মুখখানা দেখলে যে কেউ হেসে গড়িয়ে পড়বে।
-কি রে শালারা, এখানে বসে চা খাচ্ছিস তাও আমাকে না নিয়ে।
-তোর তো ফার্স্টফুড খাওয়া উচিত মোটা হওয়ার জন্য। চা-টা তোর জন্য নয়।
-ফালতু বকবি না। নে নে আর একটা অর্ডার কর।
বাধ্য হয়ে চা-এর অর্ডার দিতেই হল।

চা খেয়ে বললাম-এ বার খাওয়া শেষ কর। একটু হাঁটি চল।
হাঁটতে হাঁটতে দেখি হনুমান মন্দিরের সামনে এসে পড়েছি।
- আরিব্বাস! মন্দিরের সামনে এসে গেছি। চল, একটু প্রসাদ খেয়ে নিই। শরণে-এরআবেদন।
-এরই মধ্যে তোর খিদে পেয়ে গেল। অবাক কান্ড।

কিছুক্ষণ পর এক ফার্স্টফুডের দোকান চোখে পড়ল।
সুরেশ বলল-এই, দেখ তোর খাবার চলে এসেছে। এবার বল এটাও খাবি....
- খেলে মন্দ হয় না কিন্তু....
-অ্যাঁ...
কিছুক্ষণ পরে বাধ্য হয়ে বললাম- আমরা তোকে নিয়ে আর পারব না। আমরা কি তোকে খাওয়ানোর ঠেকা নিয়ে বসে আছি? এইটুকু শরীরে এত খাস কী করে? এত অস্থির চিত্তে কাওকে নিয়ে আমরা চলতে পারব না। তুই বাড়ি যা।
-তোরা আমার সাথে এরকম করছিস !!...
-হ্যাঁ, করছি। কারণ তোকে অত খাওয়াতে আমরা পারব না। তোকে খাওয়াতে খাওয়াতে আমাদের পকেট খালি হয়ে যাচ্ছে।
তারপর তিনজনে আরও কিছু গুলতালিনে বোরিং কাটিয়ে বাড়ি ফিরল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আল মামুন বেশ সুন্দর। ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইলো কবির জন্য । আমার লেখা পড়ে দেখবার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি ।
ভালো লাগেনি ১৯ জানুয়ারী, ২০১৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা অনেক শুভেচ্ছা ও ভোট রইলো
ভালো লাগেনি ১২ জানুয়ারী, ২০১৬
ইমরানুল হক বেলাল সুন্দর গল্প শুভকামনা রইল!•••
ভালো লাগেনি ১০ জানুয়ারী, ২০১৬
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ পকেট একেবারে খালি হয়ে যাওয়ার ভয়ে গল্পটাই শেষ করে দিলেন ! ভাল লিখেছেন । ভোট রেখে গেলাম ।
ফয়েজ উল্লাহ রবি ভাল লেগেছে শুভেচ্ছা ও ভোট রেখে গেলাম।
দীপঙ্কর বেরা সহজ কিন্তু দারুণ।
গোবিন্দ বীন ভাল লাগল,ভোট রেখে গেলাম।পাতায় আমন্ত্রন রইল।

০২ সেপ্টেম্বর - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৩৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪