কোন রকমে টপকানো গেছে দশটা শ্রেণী ওটুকুই সনদ, তাতে কি। সংসার আছে না, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী না হয় হলাম। প্লটটাতো আমারই, স্যারদের ফাই-ফরমায়েশ খাটি আর একটা করে তলা বাড়ে, এখন চার’এ আছি। তাদের কী যোগ্যতা আছে এজগতে বৈভবের মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় টপকে শুধুই ক্লান্ত হয় যারা, মাটির সবটুকু রস শুষে নিয়ে শুধুই পাতাবাহার হয়ে কী লাভ ? ফুল ছাড়া, ফল ছাড়া পরিপূর্ণতা কই পিপড়েদের মত আমার সঞ্চয়, ব্যাঙ’র মত উপভোগ করি শীতনিদ্রায় কে পায় আর আমায়? মাসোহারা-টাসোহরা কোন ব্যাপার না, নিরাপত্তায় যে আছে সে আর আমি মাসতুতো ভাই। প্রথম শ্রেণীর ভাবনাতেও ‘দুনিয়াটাই আসলে সব’ গোয়েবলস গিলে খেয়েছে সব নৈতিকতা নগদ যা পাও, হাত পেতে নাও… এই পার্থিব সুত্রে মথিত হতে হতে দেশাত্ববোধ এখন জ্ঞাতিতাত্ত্বিক যাদুঘরে ঝুলে থাকা আদিম কঙ্কাল। অগ্রাহায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ে খরা ঠেকাতে বিদ্যালয়ে-মহাবিদ্যালয়ে আমরাতো এখন উদযাপন করি ‘জি পি এ ফাইভ উৎসব’। তাই উৎকোচ ফোয়ারায় পরিশ্রুত হওয়ার আকাঙ্খারা সহ সোডিয়াম বাতির মত হলুদ জ্বরে আক্রান্ত এখন পুরো জনপদ। পরলৌকিক ভাবনা পৌরাণিক পরিখায় কৃষ্ণপক্ষের চাদরে ঢেকে যাওয়া এক চিলতে জোৎস্না শুধু, ষোল কোটি যাত্রীর শকট জলন্ত ‘রোম’ হলেও ক্ষতি নেই চালকাসন অনেক আগেই ডুবে গেছে মুর্ছনায়, সম্রাট নিরো’র সুরে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।