অনতিক্রম্য মহাকালের অমোঘ গর্ভ হতে ঘড়ির নির্ভুল কাঁটার অনন্ত বৃত্তাকার গতিতে অবিরত পথ হেটে চলা বুড়ো সময়ের হাতছানিতে ক্যালেন্ডারের দুর্গম সঙ্খ্যাময় অসমতল জমিতে ফেলে দেয়া ব্যবহৃত চা পাতার মত কাগজে কলমে অস্তিত্তময় থেকেও জাগতিক চাহিদা থেকে অকাতরে নিঃশেষ হয়ে যাওয়া পুরনো বর্ষের উত্তরসূরি হয়ে রাত মাঝরাতের গহীনে তুমি ভূমিষ্ঠ হতে যাচ্ছ হে নববর্ষ । তোমার ঐ সুমধুর আগমনী ধ্বনিতে উত্তাল নীল সুনামির মত ফেনিল হয়ে উঠছে যত না পাওয়া প্রত্যাশার পারদ ।
হে নববর্ষ, তোমার আগুয়ান পথের দিকে দুঃখী সর্বহারার সকরুন চোখে লজ্জা নিবারনে দুর্মূল্য আত্মসন্মানের এক টুকরো বস্ত্রের পলকহীন প্রত্যাশায় আজ অসহায় চেয়ে আছে জীবন যুদ্ধে পরাজিত নিঃস্ব বিবেকবোধ, তোমার চোখে আজ উপায়হীন চেয়ে আছে ধর্ষিত মানবতা, চেতনাহীন অন্ধকার নাগরিক আধারে নতুন জীবন আলো নিয়ে তুমি আসবে বলে কাগজ কলমের সুকঠিন কারাগার থেকে বল্গাহারা মুক্তির নিরন্তর প্রত্যাশায় দিন গুনছে নতমুখ স্বাধীনতা ও পরাভুত সার্বভৌমত্ব ।
হে নববর্ষ, তুমি চির অনাহারী মুখে এক টুকরো আলোকিত প্রত্যাশার অসহায় হাসি, বারবার ভেঙ্গে যাওয়া জীর্ণ শীর্ণ বুকে তুমি নতুন দুঃসাহসে দেখা আশাবাদের লাগামহীন চারাপোনা, এক জীবনে এক মানুষের কত রকম চাওয়া পাওয়ার অনন্ত বাসনা থাকে তার জটিল কুটিল হিসাব না বুঝতে পারা সহজ সরল গ্রাম্য মেয়ের প্রানে তুমি নতুন ঘর বাধার ছোট্ট রঙিন স্বপ্ন ।
হে নববর্ষ, আমি জানি তুমি কত অসহায়, আমি জানি কত অপূর্ণ স্বপ্ন বুকে নিয়ে তুমি বছর বছর এসে ফিরে যাও, তবুও তোমার আগমনে নতুনের সুললিত প্রত্যাশায় বারবার বাধি ভেঙ্গে যাওয়া বুক, হয়তো এবার সব ভালো হবে, কিন্তু হয়না, তবুও আমরা বিশ্বাস হারাইনা, আজো হারাইনি, কোনদিন হারাব না, একদিন সব ভালো হবে, সুকঠিন বিশ্বাসে তোমায় করি বরন, তুমি এসো হে নববর্ষ, আশা নিরাশার দোলাচালে তোমাকে স্বাগতম, তোমাকে জানাই অকুন্ঠ সালাম হে নববর্ষ ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।