প্রান্তিক জনপদে একদিন

শীত / ঠাণ্ডা (ডিসেম্বর ২০১৫)

হাসান ইমতি
  • ৭৩
তিনটে লেপ দিয়ে কি হবে ?
আমার প্রশ্নে একটুও অপ্রতিভ না হয়ে মৃদু হেসে কেয়ার টেকার জানালো, “স্যার, এখন না লাগলেও পরে লাগবে, এখানে রাতে অনেক শীত পড়ে” ।
রাতে অনেক শীত পড়ে, তাই বলে তিনটে লেপ, আমার জিজ্ঞাসাকে পুরোপুরি সন্তুষ্ট করতে পারে না কেয়ারটাকারের এই বিগলিত উত্তর । এলাকাটা গাইবান্ধা জেলার মধ্যে পড়েছে, বাংলা ক্যালেন্ডারের হিসাবে তখন মাঘ মাস । সময় রাত্রি ০৮ টার কিছু বেশী হবে । আমি সি এ অডিট ফার্মের পক্ষ থেকে একটি এনজিওর মাঠপর্যায়ের অডিটের কাজে । ওদের কর্পোরেটের অডিটের কাজ শেষে কিছু সহযোগী এন জি ও অন্তর্ভুক্ত ছিল আমার অডিট প্রোগ্রামে । গাইবান্ধা শহর থেকে প্রথমে তিন ঘন্টার পথে পার হয়ে আসতে হয়েছে ওদের মটর সাইকেলে । এরপর নৌকায় আরও দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার পথ । ওখান থেকে গাইবান্ধা ফিরে গিয়েছিল আমার সাথে শহর থেকে আসা মূল গাইড লোকটি । আমার গাইডের দায়িত্ব সে নদীর তীরে অপেক্ষমান সহযোগী এন জি ওর এক ফিল্ড অফিসারকে বুঝিয়ে দিয়ে আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিল । এই নতুন গাইডের কাছে আমি জানতে চাইলাম, “আপনাদের অফিস এখান থেকে কত দূর ।
উত্তরে সে জানালো, “পাচ মাইল” ।
আমি আবার জানতে চাইলাম, “কিভাবে যেতে হবে ওখানে” ?
সে নির্বিকার ভাবে বলল, “পায়ে হেটে যেতে হবে, ঘণ্টা তিনেকের পথ” ।
উত্তর শুনে আমার তো আক্কেল গুড়ুম । জিজ্ঞাসা করলাম, “এই রাস্তায় গাড়ি চলে না, অথবা মোটর সাইকেল” ?
সে যথারীতি নির্বিকারভাবে উত্তর দিলো, এদিক দিয়ে তো কোন রাস্তা নেই, যাবার পথে প্রথমে ধানজমি, তারপরে চর, যে প্রকল্প ভিজিটে যাচ্ছেন যেটাও একটি চরে, ওখানে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার লোকের বসবাস” ।

যেতে যখন হবেই আর কথা না বাড়িয়ে তার সাথে পথে নেমে পড়লাম, ঘণ্টা তিনেক সময়ে কিছু ধানজমি, কিছু বসত বাড়ী, বিল ঝিল আর চরের পথ মাড়িয়ে সন্ধ্যা নাগাদ যে এলাকায় এসে পৌছলাম তাকে মানব সভ্যতা বহির্ভূত কোন বিচ্ছিন্ন জনপদ বলে মনে হল । গোটা চর জুড়ে পাটখড়ি বা আলপাতার বেড়া আর ছনের ছাউনি দেয়া ঘর । প্রায় সব ঘরের সাথে লাগোয়া চাষের জমি, বেশির ভাগ জমিতেই শোভা পাচ্ছে শীতকালীন সবজি ।
আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, এখানকার লোকজনের জীবিকার উৎস কি ?
আমার গাইড জানালো, এখন যে জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ দেখতে পাচ্ছেন সেখানে বছরে দুইবার ধান চাষ হয় । এই ধানই এখানকার মানুষের ক্ষুধার অন্ন যোগায় । এছাড়া প্রায় সব বাড়ীর উঠোনেই সারা বছর শাক সবজি ও ফলের চাষ হয় । এছাড়া আছে গবাদি পশু, হাস মুরগী আর কবুতরের চাষ । কিছু লোক নদীতে মাছ ধরে, কিছু লোক গঞ্জের বাজারে কামলা খাটে, ওখানে আরও আছে কয়েকজন দোকানদারসহ আরও কিছু পেশার লোক ।
“বাহ, তাহলে তো দেখা যাচ্ছে এটি একটি স্বনির্ভর চর এলাকা, খেত যোগাচ্ছে ক্ষুধার অন্ন ও সবজি, গৃহপালিত পশু পাখি ও নদীর মাছ থেকে পূরণ হচ্ছে আমিষের চাহিদা, স্থানীয় উপকরণ দিয়েই তৈরি হচ্ছে বাসগৃহ । এখানে কি কোন স্কুল আছে, চিকিৎসার কি ব্যবস্থা” ?
“এখানকার ঘরদুয়ার আর মানুষের চেহারা দেখে কি আপনার তাই মনে হচ্ছে ? এই মানুষগুলো স্বেচ্ছায় মারা যেতে পারছে না বলেই ধুকে ধুকে বেঁচে আছে । এখানে কোন স্কুল নেই, চিকিৎসার জন্য যেতে হয় গঞ্জে । আমরা নামেই শুধু মানুষ বাঁচি পশুর মত” ।
“কেন, এন জি ও, গুলো কি ঋণ দিচ্ছে না” ?
“কই আর দিচ্ছে, বছর তিনেক আগে ঋণ দিতো পাঁচটি এন জি ও । এখন সেটা কমতে কমতে দুইয়ে এসে দাঁড়িয়েছে” ।
“এন জি ওর ঋণ কার্যক্রম তো সময়ের সাথে সাথে সম্প্রসারিত হয়, এখানে এই অবস্থা কেন ?
“এখানকার মানুষের তো কোন পুজি নাই, এদের যদি ঋণ দেয়া হয় তাহলে দেখা যায় যে প্রকল্পে ঋণ তুলেছে সে প্রকল্পে না লেগে টাকা পেট পূজায় চলে গেছে । পরে কোন ভাবেই আর সে টাকা উঠানো সম্ভব হয় না । এদের মারা, কাটা বা জেল ফাঁস যাই দেয়া হোক না কেন টাকা ফিরে পাওয়ার কোন উপায় থাকে না । টাকার নিরাপত্তার স্বার্থে তাই বড় বড় এন জি ও গুলো এখন এদের পরিবর্তে দোকানদার বা মহাজনদের ঋণ দিতেই বেশী আগ্রহী” ।
কিন্তু Hardcore Poor নামের ঋণ প্রকল্পে তো এইসব প্রান্তিক মানুষদের জন্যই বাইরে থেকে খুব কম সুদে তহবিল আসে, এদের পরিবর্তে সেই টাকা ব্যবসায়ীদের কিভাবে দিচ্ছে ?
“কি যে বলেন না, কে আর এদের কথা ভাবতে যায়, রিলিফের গম থেকে এন জি ওর ঋণ সবই এখন তেল ওয়লা মাথায় তেল দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় । আর কম সুদ কি বলছেন, বাংলা দেশের মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পি কে এস এফ) ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, এডিবি সহ আরও কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে নামমাত্র সুদে ঋণ পায় । সেই টাকা এরা এন জি ও গুলোকে দেয় শতকরা ০৪ থেকে ০৬ শতাংশ সুদে । এন জিও গুলো সেই টাকা দেবার আগেই ১০ শতাংশ গ্রুপ মেম্বার সেভিংস সংগ্রহ করে । তার পর এর সাথে যোগ হয় ১৫ শতাংশ সুদ । এর সাথে আরও আছে ডি এম আর, ডি এম এফ সহ আরও বেশ কিছু চার্জ । মূল টাকার সাথে সব সুদ ও চার্জ যোগ করে ৪৮ সপ্তাহ দিয়ে ভাগ করে সাপ্তাহিক কিস্তি নির্ধারণ করা হয় । এভাবে এক গ্রুপের কাছ থেকে মেম্বার সেভিংস ও সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা উঠিয়ে আরেক গ্রুপকে ঋণ দেয়া হয় বলে এই ফান্ডকে বলা হয় রিভলভিং ফান্ড । একই টাকার বিবিধ সুদ, চার্জ ও বারবার ব্যবহার হবার ফলে বাৎসরিক সুদের হার চলে যায় ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশে । প্রকারান্তরে এই এন জি ও গুলো সুদখোর মহাজনদের স্থান দখল করে নিয়েছে । আরও নির্মম এদের ঋণ আদায়ের প্রক্রিয়া । কোন ছাড নেই, টাকা না দিতে পারলে গোয়ালের গরু, ঘরের চাল, এমনকি গোলার ধান কেড়ে নিয়ে যাবে এরা । ঋণের টাকা না দিতে পেরে আত্মহত্যা করেছে এমন নজীরও আছে বেশ কিছু । দেখবেন এদের আদায়ের হার বিস্ময়কর রকমের ভালো । আমিও নিজেও তো এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছি, হচ্ছি কারণ ঋণ দেবার টাকা যেমন কোটা আছে তেমনি আদায়েরও আছে কোটা । ঋণ দিতে ও আদায় করতে না পারলে আমাদের মাঠকর্মীদের বেতন হবে না । চাচা আপন প্রান বাঁচা বলে আমাদেরও অমানুষ হয়ে যেতে হয়” ।
“এই ব্যাপারগুলো আসলেই খুব দুঃখজনক । আমিও এরকম অনেক কথা শুনেছি, কিন্তু এতো প্রান্তিক জনপদে না এলে স্বচক্ষে দেখা হত না । আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনার ভেতরেও অনেক বিতৃষ্ণা জন্ম নিয়েছে, কতদিন আছেন এই লাইনে, যদি ভালো না লাগে তাহলে কেন করছেন এই কাজ” ?
“এই লাইনে আছি সতের বছর । কাজ করি পেটের দায়ে । অভাবের সংসারে ইন্টার মিডিয়েটের পর আর লেখাপড়া করতে পারি নাই। আর কোন কাজও শিখি নাই । ব্যবসা করার মত পুঁজি নাই, এই কাজ না করে আর কোন উপায়ও নাই । আপনি অতিথি মানুষ, মনের দুঃখে অনেক কথা বলে ফেললাম । কিছু মনে কইরেন না” । আমরা এলাকায় এসে পড়েছি” ।

যে ঘরটার সামনে এসে থামলাম সেটা একটি ভাঙা দোচালা টিনের ঘর । ভেতরে ঢুকে দেখা গেলো এখানে শোবার খাট পাতা রয়েছে । একটি টিউবঅয়েল দেখিয়ে দিয়ে সে বলল, “পানি চেপে রাখা আছে, আপনি হাত মুখ ধুয়ে নিন । আমি কেয়ারটেকারকে ডেকে দিয়ে আপনার খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা কি হয়েছে দেখে আসছি” ।
আমি জানতে চাইলাম, “এটা কি আপনাদের অফিস” ? উত্তরে সে বলল, না এটা গ্রামের মাতব্বরের বাড়ী, এখানে আপনার রাতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে, আপনাকে কাল সকালে আমাদের অফিসে নিয়ে যাবো” ।
সে বিদায় নেবার পর কেয়ার টেকার এসে নিজের পরিচয় জানিয়ে সালাম দিয়ে বলল স্যারের খাবার কি এখন দেব না কি মাতব্বর সাহেবের সাথে আগে আলাপ করে নেবেন ।
শেষ পর্যন্ত খাবার ঘরেই মাতব্বর সাহেবের সাথে আলাপ হল । উনি বললেন, আমি গঞ্জ থেকে ফিরে শুনেছি আপনার আসার খবর, আগে থেকে জানা ছিল না বলে তেমন ভালো কিছু আয়োজন করতে পারি নাই । আজ রাতে কষ্ট করে দুটো ডাল ভাত খেয়ে নিন।
এই ডাল ভাত বলতে ছিল মাছের ঝোল, ভাজা মাছ, মুরগীর মাংশ ও সবজি । খাওয়ার সময়ে আরও বেশ কিছু আলাপ হল যার অনেকটাই পথে আসার সময়ে এন জি ওর মাঠকর্মীর কথার প্রতিধ্বনি । খাওয়া শেষে ঘরে ফিরতে ফিরতে রাত আটটা বেজে গেলো এবং তার পরের ঘটনা কেয়ারটেকারের তিনটি লেপ নিয়ে হাজির হওয়া যেখান থেকে এই লেখা শুরু হয়েছিল ।
“স্যারের কি আর কিছু লাগবে, আমি না সুচক উত্তর দেয়াতে “সাথের লাগোয়া বারান্দায় এন জি ওর পিয়ন মঙ্গু রইল । কোন দরকার হইলে ওরে ডাক দিয়েন” বলে কেয়ারটেকার চলে গেলো ।
অডিটের কাজের সুযোগে আমার বাংলাদেশের বহু এলাকা ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছে, ফাইভ স্টার হোটেল থেকে একেবারে সাধারণ পরিবেশে থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছে । কিন্তু এরকম পরিবেশে এই প্রথম । এই প্রান্তিক জনপদে বিদ্যুৎ নেই । টিমটিম করে একটি হারিকেন রাতের বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধ করে যাচ্ছে । ঘড়ির লুমিনাস ডায়ালে দেখলাম রাত সাড়ে নয়টা বাজে, আমাদের নাগরিক ভাবনায় রাত্রি সবে শুরু হয়েছে অথচ এখানে এখন গভীর রাত । কেয়ারটেকার লেপগুলো বিছানায় পায়ের কাছে রেখে গেছে । কাপড় বদলে শোবার কাপড় পড়ে ফেলার সাথে সাথে শীত লাগতে শুরু করলো । একটি লেপ টেনে গায়ে দিলাম । বরাবর বেশ রাত জাগার অভ্যেস আমার । কিছুতেই ঘুম আসছে না । সময় গড়িয়ে রাত দশটার কাটা অতিক্রম করতেই আবার শীত লাগতে শুরু করল । টেনে নিলাম দ্বিতীয় লেপ । এভাবে রাত বারোটা বাজার আগেই তিনটি লেপ গায়ে দিয়ে টের পেলাম বিছানার নিচ দিয়ে ঠাণ্ডা হু হু করে ঠাণ্ডা ঢুকছে । বুঝতে পারলাম উত্তর বংগে যমুনার চরে মাঘ মাসের শীত যে কি সেটা যে ওখানে না গিয়েছে সেটা তাকে বলে বোঝানো শক্ত । এভাবেই একসময় শীতের সাথে যুদ্ধ করতে করতে ঘুমের কাছে হেরে গেলাম । সকালে ঘুম ভাঙলে ঘড়িতে দেখলাম আটটা বেজে গেছে । উঠেই নাস্তার ডাক পেলাম । নাস্তা সেরে এন জি ওর অফিসে । সারাদিন কাজ সারলাম, কাজের ফাঁকে কিছুক্ষণ কথা হল এই এন জিও প্রধানের সাথে । উনি বললেন, কাজের সাথে সাথে এখানকার মানুষের অবস্থা তো নিজের চোখেই দেখে গেলেন । আপনার রিপোর্টের উপরেই নির্ভর করছে পরের বছরের ঋণে পাবার ব্যাপারটি, তাই আমাদের ভুল ত্রুটিগুলো একটু ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার অনুরোধ রইল” ।
সন্ধ্যায় কাজ শেষ করে মাতব্বরের বাড়ী ফিরে দেখি এলাহি কাণ্ড । আমাকে প্রধান অতিথি করে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । স্থানীয় গান হল, নাচ হল, বাঁশী বাজিয়ে শুনালো একজন, এরপর এলাকার গণ্যমান্য মানুষের কথা শেষ হলে এক পর্যায়ে এলো আমার প্রধান অতিথির বক্তব্যের পালা । বক্তব্যের জন্য হাত মাইক নিয়ে আমি বললাম, আপনাদের এলাকায় আশার আগে এটি আমার কাছে আর দশটি কাজের মত কেবল একটি কাজই ছিল । ভাঙাচোরা রাস্তা, পথের ক্লান্তি এসব মিলে সেটাকে একসময় বিরক্তিকর একটি ব্যাপারে পরিণত করেছিল । কিন্তু নতুন ভাবনার শুরু হল আপনাদের এলাকায় ঢোকার পর থেকে । এভাবেও সংগ্রাম করে যে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে সেটা চোখে দেখার এই সুযোগ না পেলে আমার অভিজ্ঞতার ঝুলি একদিক দিয়ে অসম্পূর্ণ থেকে যেত । আপনাদের সংগ্রামী জীবনে অনেক কিছুর হয়তো অভাব আছে, কিন্তু যে জিনিসটির কোন অভাব নেই সেটি হল আন্তরিকতা, মানুষের জন্য মানুষের ভালোবাসা” ।
প্রথম দিনের ডাল ভাতের দুঃখ ঘুচাতে আজ দেখা গেলো খাসী জবেহ করা হয়েছে । আছে বেশ কয়েক রকম পিঠে সহ আরও বেশ কিছু আয়োজন । আমি মাতব্বর সাহেবকে বললাম, এগুলো কেন করতে গেলেন, আপনাদের এই কষ্টের দান আমি কি করে নেব ?
উনি বললেন, “অতিথি ভগবান, নিজে না খেয়ে হলেও আমরা তার সেবা করতে অভস্ত্য” ।
আমি বললাম, আজ হয়তো এই গ্রামের কারো কারো ঘরে ঠিকমত রান্না হবে না, সেখানে আমি কি করে এই খাবার মুখে দেবো ?
উনি শেষ পর্যন্ত বললেন, আপনি আমাদের মেহমান, আপনার জন্যই এই আয়োজন করা হয়েছে, আপনি খাবেন না তা হতে পারে না, আপনি খান, খাবার বেশী আছে, আমরা না খেয়ে হলেও এই খাবার এই চরের দুঃখী মানুষদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেব । অগত্যা খাওয়া দাওয়ার পাট চুকিয়ে, আলাপচারিতা সেরে রাতের ঘুমের প্রস্তটি নিতে হল । এই রাতে ঘুমাতে তেমন একটা সমস্যা হল না।
সকালে একই পথে বিপরীত মুখী যাত্রা শেষে ফিরে এলাম গাইবান্ধা শহরে, তবে এই আমার সাথে ইতিপূর্বের আমার বাইরের তেমন একটা পার্থক্য না থাকলেও ভাবনা ও অভিজ্ঞতার এক নতুন মাত্রা যোগ করে দিলো এই অভিযান ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
হুমায়ূন কবির চরের মানুষে দুঃখ-দুর্দশা আর উত্তর বঙ্গের তীব্র শীতের গল্পটি অনেক সুন্দর হয়েছে। শুভেচ্ছা সহ ভোট রইল আর আমার কবিতার পাতায় আমন্ত্রন।
রোদের ছায়া অভিজ্ঞতার ডালি উজার করে বাস্তবতা কে তুলে আনার সাহসী গল্প! অনেক ভাল লাগা।
আল আমিন ইনফরমেটিভ লেখাটির জন্য ধন্যবাদ!
এম,এস,ইসলাম(শিমুল) অনেক ভালো লাগলো, আমার শুভেচ্ছা জানিবেন কবি। আমার পাতায় আপনার আমন্ত্রণ রইলো।

১৯ আগষ্ট - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৩৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪