মোহনিয়তার খুন

শৈশব (সেপ্টেম্বর ২০১৩)

দুখাই রাজ
  • 0
  • ৫৮
সুমনের এত বছরের লেখালেখির জীবনে এমন দুঃসময় আর আসে নি।

হতাশা দিন দিন বেড়েই চলেছে।ভাবনায় তার লেখার নতুনত্বহীণতা।নতুন কন প্লট খুজে পাচ্ছে না।

একাকী ক্রিসেন্ট লেকের পাড়ে বসে লেকের জলাধারের পাণে চেয়ে চেয়ে ভাবনাগুলো গুমড়ে মরছে।

বন্ধু আলমের সাথে কথায় কথায় সে খেয়াল করে দেখে,আজ পর্যন্ত তার লেখায় বহু সামাজিক অসামাজিক কথা উঠে আসলেও একটা পেশার নারীদের নিয়ে লেখা হয়ে উঠেনি।এখন তাই বা লিখবে কি করে, এ পেশা সম্পর্কে জ্ঞানের অপ্রতুলতা তাকে এগুতে দেয় না।

একাজে আলম ই তাকে সহযোগীতা করে।গুলশানের একটি বারে তাদের গমণ হয়।

বারের সংলগ্ন একটি ঘরে সুমনের প্রবেশ। নোভা সোফায় বসে। ঘরে আবছা অন্ধকার।মিটিমিটি আলোয় নোভাকে আরো মোহনীয় দেখাচ্ছিল।এই প্রথম সুমন ভিমড়ী খেলো, নোভা তাকে চকিত করে গা ঘেসে বসল।দারিদ্র্য আর লেখলেখির জীবনে গন্ডিবদ্ধ থাকায় কখনো কোন নারী ভাবনা তাকে স্পর্শ করেনি।যদিও বহু নারী স্থান পেয়েছে তার লেখায়।

আলোটা জ্বালানো কি নিষেধ?

না আপনি চাইলে জ্বালাতে পারি-নোভার হৃদয়গ্রাহী কণ্ঠস্বর থেকে বের হওয়া এই প্রথম বাক্যটি যেন কানের ভিতর মধুর সুরে গান শুনিয়ে গেল।

আলোর ঝলকানিতে, চোখ ধরে আসল নাকি নোভার মোহনীয়তায় বোঝা দুষ্কর।

জীবনে প্রথম নারীর আবেশ,যেন এতদিনের হতাশা গ্লানী মুছে দিল মুহুর্তেই নোভা।

ভোরের স্নানে মায়াময় নোভাকে আরো উজ্জ্বল লাগছে, এক চিলতে হাসি যেন সুমনের দেহ মনে ঝড় তুলে দিল।

হাতে আর কোন কাজ নাই মেয়েটিকে নিয়ে ভাবা আর বিশ্লেষন করা ছাড়া। কিছুদিনের মাঝেই তার জানা হয়ে যায় নোভার ইতিবৃত্তান্ত।

লেখক মানুষ এ কাজটা যে করতেই হয়।

এরই মাঝে মাথার ভিতর দিগদারি শুরু হয়। একি নোভার প্রতি ভালবাসা নাকি মোহ?

মাস খানেকের মাঝে লেখা এগিয়ে গেল অনেকদূর।

মেয়েটার বাড়ি যশোর জেলার ঝিকরগাছায়। পরিবারের দারিদ্রের টানাপোড়েনে তের বছর বয়সে বাবা আব্দুর রাহিম কাজের জন্য দিয়ে আসেন আলফাজ চৌধুরীর বারিধারার বাড়িতে, যিনি কিনা খুবি উচু লেভেলের ব্যবসায়ী।

বাবার কি আসে যায়, মাস শেষে গুনে গুনে টাকা পেলেই হয়। আজ এগার বছর পেরিয়ে গেল একটিবার দেখতে আসা হয় নি তার মেয়েটিকে।

মেয়ে হয়ে জন্মানোই তার আজন্ম পাপ হয়ে রইল।

যে নামটি তিনি নিজে দিয়েছিলেন 'জ্যোৎস্না' সে নামটিও সে ভুলে গেছে। মাও নাই যে নাড়ি ছেড়া ধনটার খোজ নিবে।

একটি বছর ভালই কাটে কাজের বুয়া জ্যোৎস্নার। তারপর প্রমোশন হল, ঘরে না বাইরে। সেই যে বাইরে বের হওয়া আজ অবধি ঘরে ফেরা হয়নি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক অল্প কথা কিন্তু অনেক কিছুই বুঝিয়ে দিল...কুব ভালো লাগলো দুখাই...খুব ভালো....
রোদের ছায়া (select 198766*667891 from DUAL) গল্পের আদল আরও একটু বড় হলে কাহিনি টা আরও পরিপাটি হতো মনে হচ্ছে। তবে লেখকের ভাবনা বুঝতে অসুবিধা হয়নি । ভালো লাগা রইলো।
জায়েদ রশীদ ভিন্নতর বিষয় তো বটেই, উপস্থাপনাও বাতিক্রমী। নজর কাড়ল।
জায়েদ মোঃ রশীদ ভাই, আপনার ভাল লাগা দেখে আমি আনন্দিত। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
সূর্য N/A কষ্টকর নারী জীবন, কত অবহেলায় বেখেয়ালে অন্ধকারে হারিয়ে যায় এমন জোৎস্নারা।
সুর্য ভাই, চেষ্টা করা একটু এই জ্যোৎস্নাদের সম্পর্কে সমাজের মানুষদের জানান দেয়া। জানি এটে খুব কমই হবে। অনিমেষ ভালবাসা আপনার জন্য।
সুমন ডালপালা মেলে দেয়ার আগেই বনসাই হয়ে গেল। ভিন্নতা ভাল লেগেছে।
সুমন ভাই, ইচ্ছে করেই বনসাই বানালাম। জানি এতে মূল গল্পটা প্রাঞ্জলতা হারিয়েছে। তারপর ও লিখলাম এভাবেই। ভবিষ্যতে খেয়াল থাকবে। ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপুর্ণ মন্তব্যের জন্য।
মোঃ সাইফুল্লাহ খুবই সুন্দর। আমার মা গলব্লাডারে ক্যান্সারে আক্রান্ত। আল্লাহর কাছে আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন ও আমার মায়ের শাররিক অসুস্থতার বিষটি মানবিক দিক দিয়ে বিচার করে যে যতটুকু পারেন আর্থিক সাহায্য করবেন । সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : মোঃ সায়ফুল্লাহ ,সঞ্চয়ী হিসাব নং -১০১৭৪০৪, সোনালী ব্যাংক,মাগুরা শাখা মাগুরা। যোগাযোগের ঠিকানা :০১৯১১-৬৬০৫২২।
এশরার লতিফ ভিন্নতর একটা বিষয়, বেশ ভালো লাগলো.
এশরার লতিফ ভাই, অনিমেষ ভালবাসা আর ধন্যবাদ অনিঃশেষ।

২৮ জুলাই - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“অক্টোবর ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ অক্টোবর, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী