তারা বলে বাংলা ছাড়,চলে যা এ বাংলা ছেড়ে। এটা কি তোর দেশ? তুই শালা যাবি হিন্দুস্হানে। আমি নীরবে তাঁকিয়ে থাকি। ঐই দেখ আমার দাদীমা, সাদা শাড়ি পরে আজও ঘুরে বেড়ায়। একবার ও কি প্রশ্ন করেছ কেন তার শাড়ির রং মুছে গেল? এ তুলশী তলায় লুকায়িত আমার দাদার অস্হি, যেখানে তুমি আজ ও খুঁজে পাবে তপ্ত বুলেটের ক্ষত। আমার পিসি মা,ছলছল চোঁখে নিরবে তাকিয়ে থাকে। তাকে প্রশ্ন কর কি যন্ত্রনাময় ছিল, হাঁয়েনাদের ক্যাম্পে কাটানো তার দিনগুলো। আমি কিছুই বলি না,কিছুই বলি না ভয়ে। যদি কাল আমার মায়ের সিথির রং মুছে যায় কিংবা রাস্তার পাশে কোন ভাংগা দালানের মাঝে পরে থাকে আমার বোনের দেহখানি। যে দেহে কিছু সময় আগে হামলে পড়েছিল স্বাধীন দেশের কিছু হাঁয়েনারা। গালি দাও যা পারো মন ভরে,শুধু বলনা চলে যেতে। এ দেশ আমার,এ যে আমার জননী,জন্মভুমি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আশা
দারুণ হয়েছে কবির কবিতাটা। কবিতাটা পড়ে মনে পড়ছে- দিলিপ স্যারের কথা, মনে পড়ছে আমার বন্ধু মিতা রানীর কথা। যারা এদেশের নোংড়া রাজনৈতিক খেলা থেকে মুক্তি পেতে কোথায় যেন হারিয়ে গেল।
সূর্য
কবিতার "সংখ্যা লঘু" যেভাবে বলতে পেরেছে "এ দেশ আমার,এ যে আমার জননী,জন্মভুমি।" বাস্তবে অতটা দৃঢ়তা নিয়ে বলতে পারে না অথবা অনেকে বলতে চায় না। স্বাধীন দেশের সবচেয়ে লজ্জার সবচেয়ে গ্লানীর দিকটাই মনে হয় আমার কাছে এটা ("মালাউন এই দেশ ছেড়ে ভাগ" ধরনের কথা)। ধর্মের বিভাজন যে দেয়াল সৃষ্টি করেছে তার প্রভাব প্রলয় হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে বর্তমানে। একটা সময় এই সৃষ্ট দানব প্রতিপক্ষ খুজে পাবে না (গুটিকতক হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান হয় ধর্মান্তরিত নয় দেশ ছেড়ে যাওয়ার কারনে) তখন নিজেদের ভিতরেই লিপ্ত হবে হানাহানিতে।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।