ফেসবুকেই প্রেম।এর আগেও প্রেম করেছি কিন্তু এবারেরটা এক্সেপশনাল । অনেকদিন হল প্রেমের...প্রায় এক বছর।ইচ্ছে করেই দেখা করিনি...চলছে চলুক!কিন্তু উত্তেজনা আর সইছিলো না............দেখা করার ।
প্রেমিকা আমার অনলাইনে।হাই,হ্যালো কিছু না বলেই তাকে ইনবক্স করলাম। “কাল ভ্যালেন্টাইনস ডে তে আমরা দেখা করছি” “কিহ্!”সঙ্গে সঙ্গে রিপ্লাই দিলো ও। “হুম।কাল আমরা দেখা করছি” “তুমি আমাকে দেখতে পারবা তো?” “কেন পারব না?আমার চোখে কি ছানি পড়েছে নাকি?!” “তা বলি নাই।আচ্ছা,ঠিক আছে...আমাকে চিনবে কিভাবে?” “আমার অনুভূতি-ই তোমাকে চেনাবে । আর আমার ডান হাতে থাকবে একটা সিগারেট আর বাম হাতে থাকবে একটা টগবগে গোলাপ ফুল যেটা আমি তোমাকে দিবো”
বন্ধুদের নিয়ে এসেছি।বন্ধু সোহাগ বললঃ- “মামা,মেয়ে যদি বাঙলা সিনেমার নায়িকাগর মত হয়?!” “যাহ্ বেটা...আল্লাহ না করুক!”
আমি আমার জায়গামতো বাম হাতে গোলাপ আর ডান হাতে সিগারেট নিয়ে দাড়িয়ে আছি।মাঝে মাঝে সিগারেটে টান দিচ্ছি। এমন সময় দক্ষিণা না কোন কোণা থেকে অনুভুতিযুক্ত বাতাস বইতে লাগলো।সিগারেটের ধোঁয়া নিমিষেই ফিনিশ হতেই আমার সামনে হাজির...সেই তথাকথিত বাঙলা সিনেমার নায়িকা! যাকে আমি ভালোবাসি। গোলাপ থেকে একটি পাপড়ি ঝড়ে পড়ল।
মেয়েটি গতকাল মেসেজে বলেছিল রিকশায় করে আমাকে নিয়ে আজ পুরো শহর ঘুড়বে।এই বিমর্ষ অবস্থায় তার আবদারটা রাখতে হলো। “মামা,যাবেন?” “হ,যামু” “তাহলে দাড়িয়ে আছো কেন?,চলে যাও!!”
মেয়েটি কথা বলছে খুব কম । আমার বর্তমান মানসিক অবস্থা মনে হয় সে বুঝেছে । অতঃপর সে নিজেই রিকশা ঠিক করল।
দুজনেই বসে আছি ।কারো মুখে সাড়া-শব্দ নেই,শুধু আছে ঝাঁকির শব্দ।ঝাঁকির কারণে অস্বাভাবিক হারে দুলছে...রিকশার সামনে লাগানো “টাটা” হাত।
“মামা,বেচে আছেন?!”বললাম রিকশাওয়ালাকে। “আসি,কোনোমতে!”এই শোনে মেয়েটি হেঁসে দিলো।আজিব তো!আমি একটু অবাক হলাম।কথা না খুজে পেয়ে উৎভট প্রশ্ন করলামঃ- “তোমার ওজন কত?!” “ঊননব্বই কেজি!”গর্বের সঙ্গে বলল মেয়েটি! আমি আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে আমার ও তার ওজন যোগ করছি।যোগফল ১৫৮ কেজি।“মামা,আমাদের নামিয়ে দিন,আপনার খুব কষ্ট হচ্ছে। “আসলেই!”বলল মেয়েটি।
রিকশা থেকে নেমে নদীর ধারে হাঁটছি।দূর আকাশে মেঘ দেখা যাচ্ছে।মনে হয় বৃষ্টি পড়বে।আমি মাটির দিকে তাকিয়ে ভাবছি মেয়েটি অন্য মেয়েদের মতো না। মেয়েটির মধ্যে ভিন্নতা আছে ।তাছাড়া আমি তো তাকে সত্যিকারেই ভালোবেসেছি। আমি আমার হাতে থাকা এক পাপড়ি ক্ষয়প্রাপ্ত গোলাপ ফুলটি তার হাতে দিলাম আর বাম হাতটা দিলাম কাঁধের উপর আর বললাম“আজকের আবহাওয়াটা খুব সুন্দর না?” হাত দেয়ার পর এই প্রথম অদ্ভুত ব্যাথা পেলাম;যা আগের কোন মেয়েরবেলায় ঘটে নেই। আর আজব ব্যাপার ব্যাথা পেলাম আমি কেঁদে দিলো ও !জিজ্ঞেস করলামঃ “কাঁদছ কেন?” মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে বলল “কিভাবে যেন ভিজে যায় চোখ জলে, যে জলের জন্য কখনো চাপ দিতে হয় না কলে।” আমিও ব্যাথায় ব্যাথিত হলাম। অনুভূতিই আমাকে শেষমেশ মেয়েটিকে চিনেয়েছে ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।