শারিরিক মানষিক সব দিক দিয়েই বিষন্নতায় আক্রান্ত ইভানা জীবনের চরম হতাশায় জীবন নামক ভাড় বহন করে চলছিল। বয়স কত সবে ২৫ পার করেছে। বাবামায়ের প্রথম সন্তান।বাড়িতে আরো এক ভাই আছে ওর চেয়ে ১২ বতসরের ছোট। সমস্যা ঘটল এখান থেকেই। যখন বাড়িতে এই নতুন পুরুষ সন্তান এল, তখন ইভানার ঋতুস্রাব শুরু হয়েছে।ফলে তার প্রতি অনেক বাধা নিষেধ আরোপিত হয়েছে।বাড়ির বাইরে একা।যাওয়া, বড় কোন লোকদের আসেপাশে যাওয়া এমনকি বাবামায়ের ঘরেও যখন তখন ঢোকা বারন। ইভানা লেখাপড়ায় মধ্যম মানের। বাবা মা তাকে নিয়ে ডা: বানানোর স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিয়ে বরং।যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন আসন পায় সেই চিন্তায় মশগুল।ব্যবসায়ি বাবা আর স্কুল শিক্ষিকা মায়ের এই স্বপ্নেও ভেজাল হয়ে গেল। মেয়ে চান্স পেল রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ে।বাবার চিন্তা কিভাবে মেয়ে এত দুরে গিয়ে থাকবে? যদিও তাদের বাড়ি রাজশাহিতেই, কিন্তু ২ পুরুষ ধরে ঢাকায় থাকায় নাড়ির টানে বেশ মরিচিকা ধরেছে, বোঝা যায়। ভর্তি করতে যাবে এর ৫ দিন আগে তাদের এক্টু দুর।সম্পর্কের এক মামাত ভাইয়ের খোজ মিলল যে রাজশাহি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভারসিটিতে ৩য় বর্ষে পড়ে।ইভানার বাবার মনে কিছুটা প্রশান্তির ছায়া। হাজার হোক নিজেদের ছেলে, প্রায়শ ঢাকা থেকেই যাওয়া আসা করে। অন্তত মেয়েকে তার সাথে পাঠানো যাবে। ইভানা ভিতরমুখি এক মেয়ে। কষ্টগুলো বুকে চেপে রাখে। বাহির থেকে কেউ দেখলে ভাবতেই পারেনা ' ভাজা মাছ' এই মেয়ে উল্টাতে পারে, খাওয়াতো দুরের কথা। বাবা এ ছেলের সাথে তার যাওয়া আসার জন্য ঠিক করেছে সে তার পুর্ব পরিচিত। ইউনিভার্সিটির কোচিং ক্লাসের টিচার, তাদের প্রিয় আরিফ ভাই। ইভানার স্বাস্থ্যবান দেহের দিকে প্রায়শ তার নজর পরত। অনেক মেয়ের থেকে তার দিকে এই আলাদা দৃষ্টি ইভানার মনে এক আনন্দের ঝিলিক দিত। অজানা শিহরন তার মাথার চুল গুলো সহ কেমন আলোরিত করত। প্রথম ২/ ৩ বার বাবা তাকে আনা নেয়া করেছে। ইভানার এতে খুব কষ্ট হয়েছে। বাবার এই ডাবল জার্নি তাকে খুব প্রীড়া দিত। এরপর শিবির - লীগ এর মারামারিতে গোটা রাজশাহি যখন বন্ধ ঘোষিত হল, সন্ধ্যার আগেই হল ছাড়ার নির্দেশ এল, তখন তার পাশে দুতের মত এসে দাড়াল আরিফ। রাতে ট্রেনে বাসে কোন ভাবেই টিকিট পাওয়া গেল না।ওর এক বন্ধু শিয়লি উঠল দুর সম্পর্কের চাচার বাসায়, ও উঠল আরিফের বাসায়, যেখানে আরো একজন ছেলে থাকে।কিন্তু সে সেদিন বাড়ি গিয়েছে। বাবাকে জানাল সেও শিয়লির সাথে থাকছে। দুর থেকে বাবাদের মোবাইলের বলা আর শোনা কথাই বিশ্বাস করতে হয়! এক কষ্ট আনন্দের অনুভুতি নিয়েই ইভানার রাত কাটল। রাত শেষে সকালে কষ্ট আনন্দ কিছুই মনে থাকল না, বাড়ি ফেরার অনুভুতি তার দুই উরুর ব্যাথাকে ভুলিয়ে দিল। প্রেমের আবরনে দৈহিক সুখের এই চরমানন্দ পাওয়া তার কাছে বেশ ভাগ্যবতির ভাগ্যঈ মনে হতে লাগল। তার চলনেবলনে আলাদা স্বরুপ প্রকাশ পেলেও, সে কাউকেই কেয়ার করেনি। বাড়িতে একা একা একাকিত্ব, রাজশাহিতে দুইজনের উন্মত্ত জীবন ইভানার কি যে আনন্দ! আরিফ আজ পাশ করেছে। ইভানার ৩ বন্ধুকে নিয়ে প্যারাডাইস রোডে ৩ ঘন্টা আড্ডা দিয়ে রাতে হোটেলে ওদের খাইয়েছে আরিফ।আরিফের আবার আজ রাতে বাবা এসেছেন, তাই আরিফের সাথে রাতে ইভানার থাকা হল না। হলে ইভানার সারা রাত ঘুম হল না।এরমধ্যে গত ৩ রাত, শিয়লি হলে রুমে থাকে না। ওর এক মামি রাজশাহি মেডিকেল হাস্পাতালে ভর্তি, তাকে রাতে সেখানে থাকতে হয়। আরিফের সাথেই সেদিন এক রিক্সায় ওরা গিয়েছিল, পথে নামিয়ে দেবে বলে।ইভানা খুব খুশিই হয়েছিল। আরিফের প্রান চাঞ্চল্য তাকে খুব আনন্দ দিত। নির্ঘুম রাত কাটিয়ে ভোরে বারান্দায় দাড়িয়ে নিচের রাস্তায় সামান্য কিছু মসজিদে যাওয়া মানুষ দেখছিল, এমন সময় এক রিক্সা দাঁড়াল। প্রথমে নামল আরিফ, মনটা ঝিলিক দিয়ে উঠল। নিশ্চয় আরিফ ওর বাবাকে ভোরের বাসে তুলে দিয়ে তার জন্য.... ভাবনায় ছেদ পরে। আরিফের বারানো হাত ধরে রিক্সা থেকে নামছে শিয়লি। নিজের চোখে দেখা এই দৃশ্য সহ্য করতে পারেনা। এক দৌড়ে ঘরে গিয়ে বালিশে মুখ গুঁজে.... শিয়লি কিছুটা খোরাতে খোরাতে খোলা দরজা দিয়ে ঘরে ঢোকে। ধপাশ করে বিছানায় শুয়ে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পরে।সে বুঝতেও পারেনা তার গালে, গলায় বুকের অনাবৃত অংশে স্পস্ট হয়ে থাকা দুই ঠোঁটের চিহ্ন গুলো ইভানার নজরে এসেছে এবং ইতিমধ্যে গোটা পুরুষ জাতী জানোয়ারের বাচ্চা সহ ঘৃন্য পশুতে স্থায়িরুপে অবস্থান নিয়েছে, তার রুম মেট এর মনে...........
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।