নীল নয়না আছমাকে সেই যে হাফ প্যান্ট পরা থেকে মনে রেখেছি; অর্ধ শতক পেরিয়ে আজ কেউ যখন বলে মধ্য গগনে সুর্য অথবা কারো কারো মতে আমার দুই পা ঢুকেছে কব্বরে; কিন্তু আমার এখনো প্রিয় নীল নয়না বিড়াল চোখি নারী সাথে যদি পটল চেড়া যুগল বন্দী ভুরুতে কাজল দেয়া কেউ হয়.... ওহ, মাইরি বলছি, নারী! আমি তোমার জন্য জীবন দিতে পারি।
আছমাকে হারিয়েছি প্রাইমারি পেরুনোর সাথে কি হলো জানিনা ওর বুকটা উচু হয়েছিল কিনা আজ মনেও পরেনা, ও আর আমাদের স্কুলে এলোনা। ব্যটা ছেলেদের এমন মুক্তি সহসা মেলেনা বলেই হয়ত আখ খেতের আইলে বাংগালি নদির পাড় বেয়ে স্কুলে যেতে যেতে আছমাকে ভুলেই বসেছিলাম।
কিন্তু হটাৎ সাত ক্লাস এ পড়ার সময় আছমাকে আমাদের পাড়ায় আবার নিয়মিত দেখে হারানো খেলার সাথিকে ফিরে পাবার আনন্দ ভাগ করতে পারিনি। কারন স্পষ্ট মনে আছে আছমার বুক তখন বেশ উচু, সাথে পেট্টাও। কেমন ফ্যাকাসে চেহারায় ম্লান ভীতু ওর চাহুনি!
এরপর একদিন জমজ দুই মেয়েকে বুকের দুধ খাওয়াতে বারান্দায় নির্বিকার অর্ধেক বুক বেড় করে বসে থাকা নাহ, আর তেমন কিছুই মনে দাগ কাটেনি। খুব মনে পরে.... এরপর অনেকদিন আছমা আমাদের পাড়াতেই ছিল, মেয়ে দুটি বড় হচ্ছিল রাজ হাসের বাচ্চার মতন।
আছমার বাবা ফকির চান আলোহীন আধার ঘরে মরে গেল, মায়ের চেহারাটা আর মনেই করতে পারলাম না শুনেছি যক্ষায় যমে নিয়েছিল তারে যখন তার বয়স মাত্র চল্লিশ পেড়িয়ে তিন।
আছমা এ বাড়ি ও বাড়ি গতর খেটেই বেঁচে ছিল, লেখাপড়া শেষ করে প্রতিষ্ঠিত আমি আমার শহুরে বাড়িতে গিন্নির সাহায্যের জন্যে যখন এক আই বুড়ি মেয়েকে কাজে দিতে আমার সামনে পরল মলীন রং জ্বলা লাল রংগের সবুজ পার শাড়িতে বয়ষ্ক আধা হাড় মাংসের নারী, নীল নয়নে তখনো না বলা জমে রাখা কিশোর বেলার কথা যা বলার সাহস হারিয়েছে সে অনেক আগেই আমার সামনে আনত নয়নে দাঁড়িয়ে আমাদের আছমা; তখন আমার মনে হলোঃ প্রেমের মর্যদা দেবার শক্তি আমাদের নাই অর্থ বিত্ত সম্মান প্রাসাদে আমরা যতই উন্নত হই মানবতার সুতিকাগার কৈশোরের প্রেম আত্মাহুতি দেবার অভিসম্পাৎ থেকে কেউ মুক্ত নই।
আছমাদের হারিয়ে যে স্বাধিনতায় মুখ উচু করি সমাজ গড়ি, হৃদয়ের গভীরের এক দীর্ঘশ্বাস তাকে ব্যথিত দুর্বল আর আনোমনা করে প্রতিক্ষণ একি অবহেলা না অক্ষমতা বুঝে ওঠা হয়ে ওঠেনি আজো...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।