যখন দেশমাতা গেছেন সব তালিকার তলানিতে, তখন নির্লজ্জ হাসি হেসে বলেছি, “তলাবিহীন ঝুড়ি তো তলানিতেই থাকবে! উচিৎ হয়েছে!”
যখন দেশমাতার সোনালী শস্যক্ষেতে পঙ্গপাল হানা দিলে কেঁদে মরেছে দরিদ্র বুড়ো চাষী, তখন ঘৃণাভরে পাশ দিয়ে হেঁটে গেছি, ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে, পাছে গায়ে গায়ে লেগে যায়, আর দূরে গিয়ে বলেছি, “অস্পৃশ্য, অশিক্ষিত, মূর্খ, গেঁয়ো চাষার দল!”
যখন দেশমাতার সন্তানদের কীর্তি দেখে লজ্জায় মাথা হেঁট হবার কথা, তখন চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে, টেবিলে চাপড় মেরে হা হা করে হেসেছি, সবাইকে শুনিয়ে বলতে এতটুকু সংকোচ হয় নি, “এই হল বাঙালি!”
আজ এই পাপমুখে বলতে বড় সংকোচ হয়, “দেশমাতা! তোমায় ভালোবাসি”। আমার মত ভণ্ড এবং নীচ দেশপ্রেমিককে ক্ষমা কোরো, দেশমাতা! তুমি তো আর গাল দিতে জানো না, জানো না দূরে ঠেলে দিতে; তুমি পারো শুধু ক্ষমা করতে, কাছে টানতে, আর অক্ষম পাপিষ্ঠ সন্তানদের জন্য যুগের পর যুগ প্রাণভরে কাঁদতে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মাসুম বাদল
আমার মত ভণ্ড এবং নীচ দেশপ্রেমিককে
ক্ষমা কোরো, দেশমাতা!
তুমি তো আর গাল দিতে জানো না,
জানো না দূরে ঠেলে দিতে;
তুমি পারো শুধু ক্ষমা করতে, কাছে টানতে,
আর অক্ষম পাপিষ্ঠ সন্তানদের জন্য
যুগের পর যুগ প্রাণভরে কাঁদতে
রোদের ছায়া
আমরা অনেকেই কিন্তু এরকম দেশকে কটাক্ষ করি সুযোগ পেলেই কিন্তু দেশ আমাদের কতটা দিয়েছে তার হিসাব করিনা, আমরাই বা দেশকে কি দিলাম তার ধার ধারিনা । তারপর ও দেশ সবাইকে আপ করে নেয় ......কবিতার ভাবনার ভিন্নতা খুব ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা।।
হ্যাঁ, আমাদের মধ্যে সুযোগ পেলেই দেশকে নিয়ে কটু কথা বলার প্রবণতা আছে। দেশকে কী দিলাম তার হিসেব করতে বসলেই কী, ঋণ কি আর শুধবার? কবিতা ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত বোধ করছি প্রিয় পাঠক। শুভেচ্ছা জানবেন আপনিও।
ওসমান সজীব
তুমি তো আর গাল দিতে জানো না,
জানো না দূরে ঠেলে দিতে;
তুমি পারো শুধু ক্ষমা করতে, কাছে টানতে,
আর অক্ষম পাপিষ্ঠ সন্তানদের জন্য
যুগের পর যুগ প্রাণভরে কাঁদতে। দারুন কবিতা
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।