শূন্যতায় সুখ

শুন্যতা (অক্টোবর ২০১৩)

ইসহাক খান
  • ৩২
এই যে ভদ্রলোক!
মামুনের চমক ভাঙে।
জি, আপনাকেই বলছি। কি, বাইরে রঙিন দুনিয়া? জানালা দিয়ে এত কী দেখছেন?
কথাটা বলেছেন খলিল স্যার। চশমার ওপর দিয়ে অত্যন্ত হাস্যকর ভঙ্গীতে তাকিয়ে। তিনি যখন কাউকে “এনকাউন্টার” করেন, তখন তাকে আপনি করে বলেন।

ক্লাসে হাসির রোল। মামুন লজ্জা পায়, নিজেও একটা কাষ্ঠহাসি হেসে ব্যাপারটা চাপা দেয়ার চেষ্টা করে।
কিন্তু হাসিটা মুছে যায়, যখন সে দেখে শীলাও সবার সাথে হাসিতে যোগ দিয়েছে। মামুনের একটু রাগ হয়ে যায়। সবাই হাসছে তাতে তো দোষ নেই, সবাই বন্ধু। বন্ধুকে বেগতিকে পড়তে দেখলে, স্যারের সামনে বিব্রত হতে দেখলে, মায় কলার খোসায় আছাড় খেতে দেখলেও সব বন্ধুই প্রাণ খুলে হেসে নেয়। তাই বলে শীলা কেন হাসবে? শীলা তো ঠিক “বন্ধু” নয়, অন্য কিছু।
খলিল স্যার এবার বলেন, আপনার তো একেবারেই মনোযোগ নেই দেখছি। আসুন, সামনের বেঞ্চে আসুন। এই মেয়েরা, ওকে জায়গা দাও।
সামনের বেঞ্চে চারজন মেয়ে বসে আছে।

মেয়েরা খিলখিল করে হাসল। পাশ থেকে জামিল ওর পিঠে আদর করে হাত বুলিয়ে দেয়। যা, মন দিয়ে ক্লাস কর গে। খবরদার, কারো দিকে নজর দিস না।
মামুন খাতা হাতে মাথা নিচু করে সসংকোচে মেয়েদের বেঞ্চে গিয়ে বসে। এই সংকোচটা আসল নয়। সত্যি বলতে, সে খুব খুশি হয়েছে। মাঝে মাঝে শাপে বর হয়। এখন সে শীলার একেবারে পাশে এসে বসতে পারছে।
বসেই সে একবার ওর দিকে তাকিয়ে মধুরতম হাসিটা উপহার দিলো। শীলা জবাবে মুচকি হাসল, কিছু বলল না।
ততক্ষণে খলিল স্যার ফিরে গেছেন বোর্ডে। শুরু করেছেন নতুন একটা সমীকরণের প্রতিপাদন।
মামুন প্রাণপণে লেকচার তুলে যাচ্ছে, একটা অক্ষরও বাদ দিচ্ছে না। পাশেই বসে আছে শীলা, সে নিশ্চয়ই অমনোযোগী মামুনকে কখনোই পছন্দ করবে না।

ক্যাম্পাসে সারাদিন একটা বিষয় নিয়ে তোলপাড় হল। সজীব নামের একটা ছেলে ওর এক সহপাঠিনীকে অডিটোরিয়ামের সামনে প্রপোজ করেছে। তা-ও আবার একগাদা ছেলেমেয়ের উপস্থিতিতে। মেয়েটা তো লজ্জায় কাঠ। ছেলেটা একেবারে হাঁটু গেড়ে বসে একটা গোলাপ ফুল বাড়িয়ে দিয়ে বলেছে, আই লাভ ইউ।
এই পরিস্থিতিতে কোন মেয়ে “না” বলতে পারে? তা-ও আবার যখন এতগুলো কৌতূহলী চোখ ড্যাবড্যাব করে চেয়ে আছে। কাজেই সে সলজ্জ ভঙ্গীতে গোলাপটা নিলো। সাথে সাথে বিকট চিৎকারে ফেটে পড়লো পুরো ক্যাম্পাস। হর্ষধ্বনি। এমনিতেও এখানে ভিড় থাকে, কিন্তু আজ যেন মজা দেখতে সবাই এখানে উপচে পড়েছে।

ওরা কয়েক বন্ধু মিলে গল্প করছে। শীলা, মামুন, অর্ণব, ফরিদ, সোহেল, টুম্পা, জামিল।
আজকাল এটা একেবারে কমন দৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। সবাই ফিল্ম-টিল্ম দেখে ... ...
ঠিক কথা। আরে, কাউকে তো ভাল লাগতেই পারে। তাই বলে সবার সামনে নাটক করতে হবে?
আমার কিন্তু ন্যাকামো দেখলে গা জ্বলে যায়।
অর্ণব তার থিওরি ফেঁদে বসে, আসলে ছোকরার একটা দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্য ছিল। এক, মেয়েটাকে এক কথায় বুকড করে নিলো, এখন আর মেয়েটা অন্য কারো সাথে লটকে পড়তে পারবে না। দুই, কোন ঝামেলা হলে মেয়েটাকে মনে করিয়ে দিতে পারবে, একদিন সে এই মেয়েটার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে গোলাপ ফুল দিয়ে প্রপোজ করেছিল। তিন, ব্যাপারটার এতগুলো সাক্ষী রাখতে পারলো, একেবারে নিখরচায়। চার, বুড়ো বয়সে ওরা এটা নিয়ে হাসাহাসি করতে পারবে। হয়তো ছেলেমেয়েদের কাছে গপ্পোও করবে।
সবাই উচ্চস্বরে হেসে উঠলো।
মামুন হাসিতে যোগ দিতে পারলো না। শীলা খানিকক্ষণ খুব করে হেসে নিয়ে মামুনের কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলল, কী ব্যাপার? তোর আবার কী হল? ঐ মেয়েটার সাথে তোর আবার কিছু ছিল না তো?
বলেই আবার হেসে গড়িয়ে পড়লো।
মামুন হাসল বটে, তবে হাসিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল না। সবার আনন্দে সে কেন যোগ দিতে পারছে না?
কাউকে সে বলতে পারছে না, শীলার মুখে “তুই” শব্দটা একেবারেই বেমানান লাগে তার। অডিটোরিয়ামের সামনে যখন ঘটনাটা ঘটছিল, তখন মেয়েটার জায়গায় সে শীলাকে কল্পনা করেছিল। আর ছেলেটার জায়গায় ... ...

তার খুব ইচ্ছে করে, শীলার কাছে যেতে। শীলার সাথে দুটো কথা বলতে। ওর মুখের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকতে। কিন্তু শীলা কিচ্ছু বুঝতে পারছে না। অভিনয় করছে না তো? একটা ছেলের মনের কথা পড়তে পারে না, সে আবার কেমন মেয়ে?
মামুন ভাবার চেষ্টা করে, শীলা হয়তো সবই বোঝে, কিন্তু বলতে পারে না। যা বলার, তাকেই বলতে হবে। কিন্তু দূরত্বটা কী করে কাটিয়ে উঠবে ভেবে পাচ্ছে না। সে শীলাকে ছুঁয়ে দেখতে পারে না, ওর সঙ্গে বেশীক্ষণ কথা বলতে পারে না। শীলা যেন খুব কাছে থেকেও একটা দেয়াল তুলে রেখেছে নিজের চারিদিকে। ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে না, কেউ যদি সন্দেহ করে বসে? শীলা নিজেও যদি ব্যাপারটা ভালোভাবে না নেয়?
খুব ইচ্ছে করে ওর সাথে আচমকিতে একটা ধাক্কা খেয়ে ওর হাত থেকে পড়ে যাওয়া জিনিসগুলো তুলে দিতে। কিন্তু এটা তো আর বাংলা সিনেমা নয়! প্রেমে পড়লে ছেলেরা কল্পনার দৌড়ে বড্ড বাড়াবাড়ি করে।

আজও ক্যাম্পাসে একটু পর পর গর্জন শোনা যাচ্ছে। এইমাত্র গ্র্যাজুয়েট হল যারা, তারাই আনন্দ-উচ্ছ্বাসে সেলিব্রেট করছে। মামুন, শীলা, অর্ণব, টুম্পা, জামিল – সবাই। আজ থেকে আর ওরা ছাত্র-ছাত্রী নয়, অ্যালামনাই।
অনেকক্ষণ হৈ হৈ করে সবাই যে যার মতো জিরিয়ে নিচ্ছে, তখুনি হঠাৎ মামুন নিজের ভেতর একটা আশ্চর্য সাহস পেয়ে গেল। শীলাকে বলল, এই শোন্‌, তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে।
শীলা একটু অবাক হয়। বল্‌।
এখানে না। একটু আড়ালে চল্‌।
শীলার অবাক ভাবটা বেড়ে গেল, কিন্তু সে রাজী হয়। একটু দূরে এসে দাঁড়ায় ওরা, যেখান থেকে সবাইকেই দেখা যাচ্ছে, কিন্তু ওদের বাক্যালাপ কারো কানে পৌঁছবে না।
শীলা, আমি তোমাকে ... ... মানে তোকে একটা কথা বলতে চাই।
আরে, কথা বলবি বলেই তো নিয়ে এলি। বল্‌ না, এত ঢং করছিস কেন?
না, মানে, কথাটা অত সহজ নয়।
কি, আমার প্রেমে পড়েছিস? আমাকে না পেলে বাঁচবি না?
বুকটা ধড়াস করে উঠলো মামুনের। একেবারে তার মনের কথা এত অবলীলায় বলে ফেললো শীলা?
কিন্তু ওর দিকে ভাল করে তাকাতেই রসিকতার ভাবটা চোখে পড়ে মামুনের। শীলা মজা করে কথাটা বলেছে।
দু’জনই একসাথে হেসে ফেলে। মামুন খুব দ্রুত সামলে নেয়ার চেষ্টা করে। বলে, হা হা, কী যে বলিস। তোর মতো একটা নাক থ্যাবড়া মেয়ের প্রেমে পড়বো আমি?
শীলা নিজের নাকে হাত বোলায়। আমার নাক থ্যাবড়া? মারবো এক চড়। একটু থেমে বলে, কী বলবি তাই বল্‌ না?
মামুন ইতস্তত করে। অনুভব করে, সমস্ত সাহস চলে গেছে। একটা বিচিত্র শীতল ভাব সমস্ত শরীরে। না, কিছু বলবো না। এমনিই।
পারিসও তোরা। এত সময় নষ্ট করার মানে হয়? চল্‌, আরও কত মজা বাকি আছে। শীলা আর কোনদিকে তাকায় না, সবার সাথে যোগ দিতে ছুটে যায়।
মামুন একটুক্ষণ বিমূঢ়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকে। সামান্য কিছুক্ষণ আগেই সে জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্তটির কাছাকাছি চলে গিয়েছিল।

মামুন এবং শীলা সারাদিন বন্ধুদের সাথে মজা করে কাটালো। এতদিনের স্মৃতিজড়ানো ক্যাম্পাস, আজই এখানে শেষ দিন। তাই দিনটিকে কেউ শেষ হতে দিতে চাইছিল না।
এতগুলো প্রাণোচ্ছল তরুণ-তরুণীর মধ্যে খুব হাসিখুশি একটা মুখোশ পরে একটা সদ্য শূন্য হয়ে যাওয়া হৃদয়ও আনন্দের ভান করছিল।


***
ছাদে দাঁড়িয়ে ফেসবুকিং করছিল মামুন, এবং চোখে পড়লো শীলাকে নিয়ে একটা পোস্ট। জামিল লিখেছে। ছেলেটা সবসময়, সবকিছু নিয়ে মজা করতে পারে। মামুনকেও ট্যাগ করেছে।

“... ... আমাদের প্রাণপ্রিয় দোস্ত শীলা কাউকে জানাতে চাইছিল না, সে লজ্জাবতী লতা সেজেছে। কাজেই আমাকেই ঢোলটা পেটাতে হচ্ছে। বন্ধুরা সবাই শোন।
আগামী পনেরোই সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার বাদ মাগরিব হাসিবুল আলম নামের এক ধনীর দুলালের সাথে আমাদের বন্ধু লায়লা আফরিন শীলার শাদী মোবারক অনুষ্ঠিত হইবেক। উক্ত অনুষ্ঠানে আপনারা বাচ্চা-কাচ্চাসহ আমন্ত্রিত।
বিশেষ দ্রষ্টব্য, আমার জন্য কয়েকটি অতিরিক্ত রোষ্ট বরাদ্দ না রাখিলে শীলার উক্ত বিবাহ আমি পণ্ড করিব। ... ...”

অনেকের লাইক পড়েছে পোস্টে। সবাই ভার্সিটির বন্ধু, যারা একসাথে পড়েছে। সবাই যাতে দেখতে পায় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। একের পর এক কমেন্ট পড়েছে। এখনো পড়ছে। সবাই কনগ্রাচুলেট করছে।
তবে শেষের দিকের একটা কমেন্টে ওর চোখ আটকে যায়। শোভন নামের এক বন্ধু লিখেছে, সুখী হ দোস্ত।
সুখী? শীলা অন্য কাউকে নিয়ে খুব দ্রুতই সুখী হতে চলেছে?

মামুন জানে না, কখন সে নিজের অজান্তেই লাইক বাটন চেপেছে। ওর পা কাঁপছে, দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে, ভেতরটা একেবারেই ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। চোখ দুটো ভীষণ জ্বালা করছে, কিন্তু কান্না আসছে না। আজব ব্যাপার, কান্নার কী হল? এত খুশির খবর, শীলার নৌকা এদ্দিনে নোঙর করতে বসেছে।
সে রাতটি কী করে কাটল, মামুন আজও ভালমতো মনে করতে পারে না। কী করে ছাদ থেকে নেমে এসেছিল, তার মা তাকে কেন জিজ্ঞেস করেছিলেন যে তার মুখটা এত ফ্যাকাসে লাগছে কেন। সবকিছু যেন ঘোলাটে, ধূসর।


কয়েকদিন পর মামুনকে ব্যস্তসমস্ত হয়ে গোছগাছ করতে দেখা যায়। সে ভীষণ খুশি। ইউনিভার্সিটি অফ ভ্যান্ডারবিল্টে সে একটা রিসার্চ করার অনুমতি পেয়েছে। সমস্ত খরচা ভার্সিটির। কাকতালীয় হয়তো, শীলার বিয়ের ঠিক আগের দিন ওর ফ্লাইট। বিয়েতে যেতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করল মামুন।
সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মায়ের কপালে চুমু খেয়ে সে যখন ইমিগ্রেশনে ঢুকে গেল, তাকে সত্যিই একজন সুখী মানুষ বলে মনে হচ্ছিল। একজন মানুষ এক দুঃখে বেশীদিন কাঁদতে পারে না, শূন্য হৃদয় নিয়ে অনির্দিষ্টকাল বসে থাকতে পারে না, এবং নিয়তি যখন মুখ তুলে চায়, তখন চলে যাওয়া কাউকে মনে রাখে না।
হোক না চলে যাওয়া মানুষটির জন্য সে একদিন তন্ময় হয়েছে, ইচ্ছেমত স্বপ্ন এঁকেছে, বোকার মতো আচরণ করেছে, এখানে-সেখানে তার ছবি ভেসে উঠতে দেখেছে, না বলা কথা বলতে চেয়েছে এবং বুক ভাসিয়ে কাঁদতে চেয়েছে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
দিদারুল ইসলাম অসম্ভব সুন্দর --- ''একজন মানুষ এক দুঃখে বেশীদিন কাঁদতে পারে না, শূন্য হৃদয় নিয়ে অনির্দিষ্টকাল বসে থাকতে পারে না, এবং নিয়তি যখন মুখ তুলে চায়, তখন চলে যাওয়া কাউকে মনে রাখে না। ''
আমার একটা প্রিয় জায়গা মার্ক করেছেন। ধন্যবাদ পাঠক।
রোদের ছায়া রোম্যান্টিকটা ও বাস্তবতার মিশ্রনে সুখপাঠ্য গল্প । অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মাস প্রায় শেষ হতে চলল আপনার গল্পে পাঠক নেই ।আপনি নিজেও কিন্তু সেভাবে সময় দিচ্ছেন না আমাদের ।
গল্পটি সুখপাঠ্য হয়েছে জেনে আনন্দিত বোধ করছি। হ্যাঁ, গল্পে পাঠক তেমন নেই। সম্ভবত গল্পের সীমাবদ্ধতা, হয়তো গল্পটি পাঠকের কাছে খুব একটা গ্রহণযোগ্য হয় নি। ব্যস্ততার কারণে গল্পকবিতায় খুব একটা সক্রিয়ভাবে থাকা হয় না। তবে সময় করতে পারলে এদিকটাতে মনোযোগ দেবো। ধন্যবাদ পাঠক।
জাকিয়া জেসমিন যূথী অনেক সুন্দর একটা রোম্যান্টিক গল্প। বন্ধুত্বের মধ্যের সরল ঠাট্টাগুলো খুব সুন্দর ফুঁটিয়ে তুলেছেন। আর শেষের দিকের চমকটাও আলাদা নতুনত্ব দিয়েছে গল্পটাকে।
ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক। গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে পুলকিত বোধ করছি।

২৯ জুন - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪