নিজেকে পোষ মানিয়ে রমিজ মিয়া ভাবে “তুমি দাস। তোমাকে কিনে নেয়া হয়েছে। এই মানুষটি যতই পাষন্ড হোক না কেন- তোমার দুর্দিনে তুমি তাকেই কাছে পেয়েছো। সেই তোমাকে আশ্রয় দিয়েছে। আহারের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তুমি তার গোলাম। তার দাসত্ব বরণ করেই তুমি তার পদতলে তোমাকে সপে দিয়েছো। এই তোমার মালিক। তুমি তার হুকুমের চাকর। কোথায় টাকা পড়ে আছে তা দেখার সময় তোমার নেই, তুমি টাকাটা তাকে ওখান থেকে তোলে এনে দাও। এটা তোমার মালিকের হুকুম। ইচ্ছে না হয় চলে যাও। কিন্তু কোথায় যাবে? কি খাবে? তোমার দিকে তাকিয়ে তোমার পরিবার। তোমার ¯েœহ ভরা স্ত্রী। আরো কতজন!”
...এই কথাগুলো মনে হতেই রমিজের মাথা চক্কর খায়। সে জানে, খুব ভালো করেই জানে মনুষ্য নামের এই বহুরুপী সমাজে তাদের কোনো দাম নেই। অথচ তারা তাদের মতোই একজন মানুষ। এটাই কি তাদের জন্মের ¯^ার্থকতা?-তারা একজন মানুষ! আর কিছু নেই তাদের! মানুষ হিসেবে তো কিছু অধিকার থাকে?-তাও কেড়ে নেয় অন্য কেউ। জোড় আছে যার, অর্থ আছে যার, তারাই মালিক হয়ে বসে তাদের এই মাটির দেহের। হয়তো দাসত্ব হয়ে বেঁচে থাকার অঙ্গিকার করে নি, তবুও তারা বিক্রি হয়ে যায়। কিছু অর্থ ¯^প্নের কাছে হেরে যায়। জীবনকে বাচিয়ে রাখার তাড়নার কাছে পরাজিত হয়। আর যাই হোক মানুষ তো। পেটে ক্ষুধা আছে। যন্ত্রণা আছে। একদিন বা দু’দিন, বড়োজোড় তিনদিন কিংবা চারদিন, তারপর?
পশু হলে কথা ছিলো, এদিক ওদিক চড়ে বড়ে খেয়ে খানিক বেঁচে থাকতো। লজ্জা থাকলেও শরম পাবার আশংকা থাকতো না। পশুকে মানুষ অনুভব করে না। তাদের কষ্ট কিংবা সুখ মানুষের চোখে পড়ে না। কোনোমতো খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকে মালিকের গোয়াল ঘরে। এক মালিক থেকে অন্য মালিক কিংবা ঈদের দিনের লম্বার ছুরির নিচে তার জীবনের বিদায় ঘটে-এইতো! তবুও ভালো। কিন্তু রমিজ মিয়া গায়ে-গোতরে সম্পূর্ণ একজন মানুষ। পশুর মতো ক্ষুধা সহ্য করার ক্ষমতা তার নেই। থাকলেও পেরে উঠা হয় না। হবার কথাও নয়। ক্ষিধে লাগাটাই যে মানুষের ¯^ভাবের একটি। পেটের যেতনা হোক কিংবা পরিবারের আর দশজনের চিন্তাই হোক অবশেষ তাদেরকে দাসত্ব গ্রহণ করে নিতেই হয়। জন্মটাই যেনো হয়েছিলো দাসত্বের জন্য। কাজের বিনিময়ে খাদ্যের জন্য। নিজের সত্ত¡াকে বিলিয়ে না দিতে চাইলেও দিতে হয়। কোথায় যেনো একটা দায়বদ্ধতা কাজ করে। যার মাঝে যথার্থ অযথার্থ কিছুই বেছে দেখার সময় হয় না। তারা অন্যের গোলাম। হুকুমের তামিলদার। এতে যাচাই বাচাইয়ের কোনো সুযোগ নেই। থাকার কথাও না। দাসদের এগুলো দেখার সময় নেই।
একটা গাছের ছায়ার নিচে বসে আনমনেই ভাবছে কথাগুলো। গায়ে প্রচন্ড জ্বর। গত রাত থেকেই অনুভব হয়েছিলো। সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই তার শরীরের প্রতিটি জোড়ায় প্রচন্ডরকমের ব্যাথা হচ্ছিল। উঠার বিন্দুও শক্তি হচ্ছিল না। ইচ্ছেও হলো না উঠে যেতে। তবুও উঠে যেতে হলো মালিকের ঘৃণ্য কথায়-“একটুতে ছোতা পেয়ে যাস কিভাবে কাজে ফাঁকি দেয়া যায়। মাস শেষে টাকাটা নেয়ার সময় তো পুরোটায় নিয়ে যাস। কোনোদিন তো বলতে শুনিনি যে মালিক দুইদিন তো কাজে যাই নি-দুই দিনের টাকা কেটে রেখে দিন। ভিখারীর হাত পেয়েছিস একটা, পেতে দেস। শরমও দেয়নি তোদের! কেমন চোখ নিয়ে জন্মেছিস? পূর্ব পুরুষদের থেকে ভালোই শিক্ষা নিয়েছিস। গরীবের বাচ্চা গরীবই হয়। ফকিরের দল কোথাকার। ঢং না করে কাজে যা, নাইলে লাথ্থি মেরে....কাজ ভালো না লাগলে কে বলেছে করতে? যা বাড়ি গিয়ে বউয়ের কাপরের নিচে ঢুকে থাক। বছরে বছরে একটা করে বাচ্চা জন্ম দিবি আর ভিখারীর দল ভারী করবি, এছাড়া আর কি কাজ? যা বউয়ের আঁচলের নিচে গিয়ে আরাম কর, আমার এখানে আরামের কোনো কারখানা খুলিনি। শালারা, জন্মেই দোষ আছে তোদের”।
রমিজ মিয়ার চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। প্যাল প্যাল চোখে তাকিয়ে থাকে মালিকের কথার দিকে। কিছুই বলার অধিকার নেই তাদের। তারা দাস। ঝড় বৃষ্টি রৌদ কিছুই তাদের জন্য বাঁধা নয়, তাদের জন্মের উদ্দেশ্যই যেনো একমাত্র কাজ। আরামের সবটুকু আয়েশ যেনো ঐ অর্থমালিকদের জন্য। খেটে খাওয়া মানুষের গায়ের কষ্টের প্রতিটি ঘামের ফোটায় যেনো তাদের সুখ লুকিয়ে আছে। অসুখ কিংবা বেদনা তাদের জন্য অভিশাপ। আনন্দ বলতে তাদের জীবনে কিছু নেই। ভোর হলেই কাজে যাবে, সন্ধ্যা হলে ঘরে ফিরে আসবে। দুপুরের খাবার মিলে কাজে, রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে হয় তাড়াতাড়ি সকালে জলদি উঠবে বলে। এর মাঝে আনন্দ করার সময় কোথায়! তাদের তো আর অর্থ নেই। সামান্য মাথা ব্যাথা কিংবা দাঁতের ব্যাথার জন্য সারাবেলা শোয়ে শোয়ে ঘরে কাটাবে। নানা রংয়ের ফলের জুস তাদের জন্য তৈরি হবে। তারা খেটে খাওয়া মানুষ, কাজের বিনিময়ে তাদের খাদ্য মিলে। তাদের আবার আমোদ ফুর্তি! জন্মের সময় মায়ের পেটে এসব সুখ গাঁথা কথা রেখেই তাদের জন্ম নিতে হয়েছিলো। না হলে এমন হবে কেনো? মানুষ বলতে একটু কি তাদের সম্মান নেই? একটু ভালোবাসা-মায়া-দরদ তাদের জন্য নেই? অসুখেও কি তাদের জন্য একটু বিশ্রাম হয় না?
রমিজের চোখ বেয়ে গড়বড় পানি নেমে আসে। জল জল চোখ মুছে। বিছানা ছেড়ে উঠে। কাজে নামে। ব্যান ব্যান করতে করতে যাওয়ার সময় জমিদার মালিকের উল্টো হুংকার হলো-“আজকের দিনেই সব কাজ শেষ করতে হবে। না হলে এ মাসের বেতনের তিন ভাগের এক ভাগ কেটে রাখা হবে”। যে কাজ করতে কমপক্ষে দেড় দিন লেগে যাবার কথা, সে কাজ আজকেই শেষ করতে হবে! রমিজ মিয়ার মাথায় চক্কর খেলে। মাথা ঘুরতে থাকে। যদি সত্যি বেতন কেটে রেখে দেয়! এদের তো কথা ঠিক থাকে না। সুযোগ পেলেই বেতন মাইনাস। বেতন না দিয়ে কাজ করাতে পারলে তারা আরো খুশি। অন্য যে কোনো কাজে অর্থ অপচয় হলেও চোখে পড়ে না, গায়ে মাখে না, শ্রমিককে এক টাকা বেশি দিলে তা গায়ে লেগে থাকে। সুযোগ পেলেই সে এক টাকা দেবার খোটা চলতে থাকে। যেনো লাখ টাকা দিয়ে দিয়েছে-এমন ভাবে কথা বলে তখন।
রমিজ মিয়ার গায়ের গরম তাপ ক্রমেই বেড়ে চলছে। পিপাসার ভাবটা আজকে একটু বেশি মনে হচ্ছে। প্রখর রৌদে মাথায় ঝিম মেরে উঠে। কাজের ফাঁকে মাঠে একবার বসেও থাকে। কিন্তু রৌদের প্রখরতায় পেরে না উঠে গাছ তলায় এসে বসে। চোখে জলের ছোঁয়ার আঁচ পেলো। টলমল করছে পানি। কষ্টে? নাকি অন্য কারণ? তবে চোখের গড়িয়ে পড়া পানিতে রমিজ মিয়া আলাদা একটা সুখ খোঁজে পান। মনে অন্যরকম এক তৃপ্ততা ধরা দেয়। অজানা এক শান্তি অনুভূত হয়। “ধনীদের অর্থে সুখ আর গরিবের চোখের পানিতে”-কথাটা মনে পড়ে রমিজ মিয়ার। স্পষ্টই মনে আছে।
দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছিল। তখনো খাবার মুখে উঠেনি। রমিজ মিয়ার বয়স তখন ষোল কি আঠারো। স্কুলে যাওয়ার অনেক সখ থাকা সত্তে¡ও আর যাওয়া হলো না। ২য় ক্লাশ পর্যন্ত পড়া হয়েছিলো। একদিন রাতে খেতে বসলে রমিজ মিয়ার বাবা বললেন, “শুন বাবা, এসব লেহাপড়া আমাগো জন্যে না। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। সংসারে নুন আনতে পানতা ফুরায়। তুই যদি আমার লগে একটু কাজে যাস, কাজে আমার যেমন সহযোগিতা হবে তেমনি সংসারে বাড়তি কিছু টাকা পাওয়া যাবে। তুই ২য় ক্লাশ পর্যন্ত পড়ছিস আর লাগবে না, নাম তো লিখতে পারিস? রমিজ মিয়া শুধু মাথা নেড়ে সায় দিলো। ঐ হলো। আর লাগবে না শেখা। আমি তো তাও পরিনি। আমার কি চলছে না। চলছে। তোর দাদাও লেহা পড়া শিখেনি। চলেনি? চলে গেছে তাদের জীবন। আর শুনবি? তোর দাদার দাদাও পড়েনি। ভালোই ছিলেন। কেউ তাকে ঠকিয়েও খেতে পারেনি। টাকার হিসেব খুব ভালোই বুঝতেন। একদিন তোর দাদার মালিক তাকে দুই আনা পয়সা কম দিয়েছিলো। তখন দুই আনার অনেক দাম ছিলো, এখনকার হাজার টাহার সমান। কিন্তু তোর বড় দাদা ঠিকই ধরে পেলেছেন। তাই বলি কি কাল থেকে তোর আর স্কুলে যাওয়া লাগবে নানে। আমার লগে ক্ষেতে যাবি। আমরা গরিবের পোলা, আমাগো লাইগা লেহা পড়া না। এসব লেহা পড়া যাদের মেলা টেহা আছে, হেগো লাইগা। বুঝলে বাজান, কাল থেকে আমার লগে ক্ষেতে যাবি।” মুখে খাবার তুলতে তুলতে রমিজ মিয়া সেদিন বাবার কথার সায় দিয়েছিলো। কষ্টের দাগও অনুভব হয়েছিলো মনে। কিন্তু কি করবে, পড়াশোনাও তার কাছে ভালো লাগে না, করতেও ইচ্ছে হয় না। পড়া না পারলে স্যারের চিকন বেতের পিটোনি-আর যাই হোক স্কুলে না গেলে স্যারের ঐ বেতের পিটোনি থেকে তো বাঁচা যাবে। সেই ছোট্ট বয়স থেকে রমিজ মিয়া মানুষের ক্ষেতে কাজ করে বাবার সাথে সংসারের খাবার জোগাড় শুরু করে। বাবার সাথে তার নিয়তি বেশিদিন টিকে নি।
একদিন সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফিরছিলো প্রচন্ড ঝড় মাথায় নিয়ে। এমন সময় বিগট এক শব্দে আকাশটা ঝলক মেরে উঠে। পুরো পৃথিবী আলোকিত হয়ে উঠে। ধীরে ধীরে সব কিছু ঠিক হয়ে আসে। আকাশ পরিস্কার হয়ে উঠে। বৃষ্টি থেমে যায়। রাতে বাবার সাথে খাবারও খেলো বেশ মজা করে। এক মাস পর মা আজ মোরগ রান্না করেছে। বেশ মজা করে খেল। কত আনন্দ মজা করলো বাবা ছেলে আর মা মেয়ে। প্রতিদিনের মতো বাবাকে ডেকে তুলতে গিয়ে দেখলো সর্বনাশের খেলা। কি হলো বাবার? কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। মাকে ডেকে আনে। ডাক্তার ডেকে আনে। কিছুইতেই কিছু হলো না। কবিরাজ আনা হলো। কারো কাছেই তার কারণ ধরা পড়লো না। সবার মুখে একই কথা তার বাবা আর উঠতে পারবে না। এক পাশ প্যারালাইস্ট হয়ে গেছে। বাকী জীবন বিছানায় শুয়ে কাটাতে হবে। সর্বনাশের আকাশ সেদিন ভেঙ্গে পড়েছিলো রমিজ মিয়ার মাথার উপর। সেদিন থেকেই আজ বিশটি বছর হয়ে গেছে এই সংসারকে সে একাই টেনে নিচ্ছে। এর মধ্যে বোনকে বিয়ে দিয়েছে। নিজে বিয়ে করেছে। ঘরে এক ছেলে এক মেয়েও আছে। মেয়েটার বয়সও চার পেরিয়ে যাচ্ছে। আর ছেলেটা উঠেছে ৩য় ক্লাশে।
সেই ষোল কি আঠারো বছর বয়সের কথা। কাজ সেড়ে এসে খেতে বসেছে। দেখে মায়ের চোখে পানি। মা খাবার বেড়ে দিচ্ছে আর চোখ বেয়ে অঝোড়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। রমিজ মিয়ার কথাটা স্পষ্টই মনে আছে। বলেছিলো, মা তোমার চোখে পানি? তুমি কাঁদছো কেন? খানিক চুপ থেকে মা সেদিন বলেছিলো,“বাবা, কিছু না। মনে একটা দুঃখ চাপলো, তাই চোখ দিয়ে পানি পড়ছে”। কি দুঃখ মা? কি এমন দুঃখ তোমার মনে চেপে আছে যার জন্য তুমি আজ কাঁদছো? একটু বলবে মা? দীর্ঘ একটা শ্বাস পেলে মা সেদিন বুক ভরা কষ্টে বলেছিলো, “বাবা, ধনীদের অর্থে সুখ আর গরিবের চোখের পানিতে। তাই একটু কেঁদে মনের কষ্টকে সহজ করছি”। সেদিন মায়ের কথাটার কোনো অর্থ রমিজ মিয়া বুঝেনি। আজ বুঝতে পেরেছে। চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়া দু’ফোটা অশ্রæতে যে সুখ লুকিয়ে আছে, তা রাজ্যের সুখ থেকে অনেক শান্তির। অনেক তৃপ্তির।
রমিজ মিয়া গাছে হেলান দিয়ে বসে থাকে। চোখে অঝোড় বেগে পানি। ভাবে নানান কথা। ছেলের কথা। যত কষ্টই হোক বাবার মতো নিজের ছেলেকে এমন দাসত্ব কাজে নামাবে না। ছেলেকে লেখা-পড়া শিখাবে। শিক্ষিত বানাবে। বড় অফিসার বানাবে। অনেক অর্থের মালিক হবে তার ছেলে। তখন তার আর অন্যের ঘরে কাজ করতে হবে না। সে দাসত্ব থেকে মুক্তি পাবে। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে রমিজ মিয়ার দু’চোখ জুড়ে ঘুম পায়ড়ারা বাসা বেঁধে বসে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল তারপর সন্ধ্যা শেষে রাত নেমে আসে। রমিজ মিয়া তখনো বট গাছের গোড়ায় হেলান দিয়ে গভীর ঘুমে হারিয়ে-¯^প্নের রাজ্যে ব্যস্থ।
২৬ জুন - ২০১৩
গল্প/কবিতা:
১ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪