(১)
খেলা খেলা ছোট্ট বেলা কত কিযে করতাম
বন বাদারে ঘুরে ঘুরে
সোনা পোকা ধরতাম।
দোয়েল শালিক বুলবুলি আর টিয়া ঘুঘুর ছা
পেরে এনে ভাত খাওয়াতাম
বকা দিতেন মা।
ফড়িং ফড়িং হরেক রঙের প্রজাপতি তাড়াতাম
কাঠির মাথায় আঠা বেধে
সঙ্কিত হাত বাড়াতাম।
ধরতে পেরে রাজ ফড়িংটা সুতা বেধে উড়াতাম
উড়ার গতি কমতি হলে
মুন্ডুটাকে মুড়াতাম।
(২)
কাঁচা কুল কাঁচা আম আধা পাকা কালো জাম
খেঁজুর কাদি লাল রং যদি
তর সইতো না পাকার।
কেটে এনে ঘরে ঝুলিয়ে দিতাম ছিটা লবন গুলিয়ে
ঈদের রাত্রি জাগার স্বাদে
আস্বাদ জেগে থাকার।
শৈশবের সেই রঙ্গিন মন এখন ভরেছে সাদায়
আজ বয়সের কঠিন ভারে
মনটা ভীষণ কাঁদায়।
advertisement
উড়ার গতি কমতি হলে
মুন্ডুটাকে মুড়াতাম। - ------------- দুরন্ত শৈশবের সুন্দর কবিতা । খুব ভাল লিখেছেন কবি ।
খেঁজুর কাদি লাল রং যদি
তর সইতো না পাকার। - অসাধারণ...একেবারে বাস্তব চিত্র...খুব ভালো লাগলো...
আজ বয়সের কঠিন ভারে
মনটা ভীষণ কাঁদায়। ------- শৈশব স্মৃতিভরা কবিতা। মুগ্ধহলাম আপু।
কাঠির মাথায় আঠা বেধে
সঙ্কিত হাত বাড়াতাম। -___ সুন্দর শৈশবের স্মৃতির কবিতা।