ঘাসফড়িং

ইচ্ছা (জুলাই ২০১৩)

হলুদ খাম
  • ১১
  • ১৮
গল্পটির নাম বেওয়ারিশ দেবার ইচ্ছে থাকলেও দেয়া হলনা ।যদিও অকার্যকর বিধির বিধান =অভিধান নাকি এক বেওয়ারিশ সন্তান ?পৃথিবী তাকে যত আঘাত অপবাদ দিচ্ছে দিক আমার দৃষ্টিতে সে একজন মানুষ ।তার ইচ্ছে পুরন হোক বা নাহোক তার ইচ্ছের কথা আপনাদের সাথে সেয়ার করলে ক্ষতি কি ?

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার পড়েও ।এ্কটি সংসদ বাংলা অবিধান বগলে চেপে গালগল্প করে বাড়তি আয়ের চেষ্টা করে অভিধান বাবু । জীবিকা নির্বাহের একটি ব্যতিক্রমী পথ কখনো কাউকে অবাক করেনি । করার কথাও নয় কারন পৃথিবীতে কত ফুল ফোটে আবার ঝড়ে পড়ে সে হিসেব রাখার মানসিকতা এই ব্যাস্ত শহরের মানুষদের নেই । কোটি কোটি স্বপ্নরা ডানাকাটা কবুতরের মত আকাশে উড়ার সাদ্ধ রাখেনা ,প্রান বাঁচাতে জমিনে ছুটোছুটি করে শেষপর্যন্ত হতে হয় সর্প , কুকুর , বেড়াল , লোভী মাকড়সা বা সৃষ্টিকর্তার আহার ।সৃষ্টিকর্তা কবুতরের হাড় রক্ত মাংস খেয়ে , পাখনাগুলো কুটির শিল্পের কাজে লাগিয়ে , বজ্য গুলো জমির উর্বরতার সার বানিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বলে যত ধান গম , সর্ষে খায়িয়ে কবুতর বড় করেছি , বেশি মাংস না হয়ে যাবে কোথায় ? সৃষ্টিকর্তার সামান্য সেবার প্রতিদানে একটি কবুতরের জিবনের বলিদান সমাজের চোখে খুবই তুচ্ছ ।কিছু দিন পড়ে কেউ মনে রাখেনা সেই কবুতরের কথা ।
এমন একটি কবুতর অভিধানবাবু যার আসল নাম নাইবা বললাম ।সমাজের চোখে প্রতিবন্ধী অভিধানবাবু , প্রতিনিয়ত পৃথিবীর মানুষ গুলো অভিধান বাবুকে নিয়ে তামাসা করছে । জন্ম ঋন শোধ করতে করতে ঘুনে ধরা বাঁশের মত দুর্বল হয়েগেছে অভিধান বাবুর দেহনামের বৃক্ষটি ।তার জীবনের শেষ ইচ্ছে পরিবারের সকলের মুখে চিরদিনের মত হাসি ফোটানো । সে বিশ্বাস করে তাকে মৃত্যু বরন করতে হবে একদিন ।সে ভালো করে জানে তার মৃত্যু হলে তার পরিবার তাকে অভিশাপ দেবে তার জন্য কারো আঁখি জল ঝড়াবেনা ।তার পরিবারের সুখ শুধু টাকায় । তার পরিবারের কাছে প্রেম ভালবাসা , মায়া মততা মূল্যহীন । সব কিছুর মাপ কাঠি টাকা তাই পরিবারের হাতে একসাথে দশ লক্ষ টাকা তুলে দেয়া অভিধানবাবুর জীবনের শেষ ইচ্ছে ।
অভিধান বাবু তার এই স্বপ্ন পুড়নের সকল পথ হারিয়ে একটি চোখ ও কিডনি বিক্রির সিধান্ত নিয়েছে । ।সকাল ৫ টাকা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত টাকা আয়ের চেষ্টা করেও জীবন নাটকের পরাজিত নায়ক অভিধান বাবু । তার পরিবারের সদস্যদের ধারনা তার কাছে হিমালয়ের থেকে উঁচু পরিমানের টাকা আছে । বউ এর নিষেধ এর জন্য সে পরিবারে বেশি টাকা দেয়না তার সকল টাকা তার বউকে দিয়ে দিচ্ছে । তাই অকারন তার বউ এর সাথে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়ে সৎ মা ও নিজবাবা । শতচেষ্টা করেও এই শান্তিপ্রিয় মানুষটি তার পরিবারের সদস্যদের বোঝাতে পারেনি সে সীমিত আয়ের একজন শ্রমিক মাত্র ।এক সাথে অনেক টাকা জোগাড় করা দুঃস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয় । এত টাকা ব্যাংক লোণ পাওয়ার কোন পথ খোলা নেই । অবসেষে ঘাসফড়িং এর মত সোজা হিসেব করেছে সে চোখ ও কিডনি বিক্রির – পাঁচ লক্ষ তার সৎ মা ও বাবাকে দিয়ে অপবাদ ও ভুল বোঝাবোঝি থেকে মুক্তি নেবে । আর বাকি পাঁচ লক্ষ টাকা বউ ও মেয়ের জন্য ব্যাংকে জমা রাখবে । তাদেরও এক মুঠো ভাতের জন্য ক্ষুধার্ত কাকের মত কা কা কা কা আর্তনাদ করতে হবেনা ।
পৃথিবীতে ঝোপঝাড়ের অভাবে ঘাসফড়িং বিলুপ্তির পথে সেখানে ঘাসফড়িং এর স্বপ্নের মত সপ্নদেখে সুখের অসুখে মড়তে চায় অভিধান বাবু ।কিন্তু ,তাকে বোঝাবে কে কে... কে........কে......? পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষের জন্ম হয় অপবাদ নিয়ে মৃত্যু বরনের জন্য । সে তাদেরই একজন ! জিবনের অর্জিত আয়ের অধিকাংশ দিয়েও শুনতে হয় তুমি আমাকে কিছু দাওনি । সৎ মা বাবাকে ৭/৮ লক্ষ টাকা দিয়েও শুনতে হয় তুমি কিছু দাওনি । প্রতিনিয়ত ঋন এর উপর ঋন লজ্জার ,অপমানকে হাতছানি দিয়ে ডাকে প্রতিনিয়ত তা জেনেও অভিধান বাবু স্বাভাবিক জীবন জাপনের চেষ্টা করে ।সুখের অসুখে মড়ে যেতে চায় সে ।
অভিধান বাবু তার সুখের দিন গুলোর কথা ভুলতে পারেনা ।তার সৎ মা সারিকা বেগম ছিল তার মেজ খালা সেও অভিধানকে খুব ভালবাসত । প্রায় ২১ বছর আগে তার খালার বিয়ে হয় কুড়িগ্রামের আজম নামের ব্রাক এর এক কর্মচারী । দুই বছরের মাথায় তাদের একটি ফুটফুটে ছেলে হয় যার নাম ছিল তন্ময় । তন্ময় যখন এক দেড় বছরের ছেলে তখন তন্ময়ের অনেক বড় অসুখ হয়ে যায় । তন্ময়কে বাঁচানোর জন্য আপ্রান চেষ্টা করে নিঃস্ব হয়েও সাত আট লক্ষ টাকা হাজারে একশ করে সুদের উপর নিয়েও সারিকা বেগম বাঁচাতে পারেনি । অভিধান বাবুর মা ও তার ছোট খালা বোনের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য কিছুটা ঋণ গ্রস্ত হয়ে পড়ে ।আত্মীয় সজন রাও সাহায্য করেছিল ।এই ঋণ কোন রকমে শোধ করা সম্ভব হচ্ছেনা দেখে তন্ময়ের বাবা তন্ময়ের মা সারিকা বেগমকে ছেয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় ।সারিকা বেগম ঋণ পরিশোধ করার জন্য বিভিন্ন সমিতির লোণ নিতে থাকে কিন্তু কিছুতেই কিছু করতে পারেনা ।পারমাণবিক বোমার মত ঋনের সাথে ঋনের ধাক্কায় ঋণ বাড়তে থাকে । বাধ্য হয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় ঢাকা শহরে ।গার্মেন্সে চাকুরী করে টিকে থাকার লড়ায় করে মাত্র ।অভিধান বাবুর মায়ের ঋণ গুলোর জন্য তার বাবা-মায়ের মধ্যে শুরু হয় বিবাদ । সে লেখাপড়ায় মন বসাতে পারেনা । টুকটাক আয়ের চেষ্টা করে যা পায় তার মায়ের হাতে তুলে দিতে থাকে । শেষ পর্যন্ত মা কে হারায় অভিধান ।অভিধানের মুখের দিয়ে তাকিয়ে অভিধানের সৎ মায়ে রুপান্তরিত হয় অভিধানের খালা সারিকা বেগম ।অনেক দিন আগের সাত আট লক্ষ টাকা বেড়ে অনেক টাকায় পরিনত হয়ে যায় । সেই ঋণ পরিশোধের দায়ভার নেই অভিধানের বাবা । সে তার সরকারী চাকুরীর টাকা দিয়ে কুলাতে পারেনা ।সেই কয়েক লক্ষ টাকা বাচ্চা পাড়তে পাড়ে প্রায় তিরিশ লক্ষে দাড়িয়ে যায় । অভিধান বড় হয় সেও ঋণ পিতা ও সৎ মায়ের ঋণ শোধের চেষ্টা করে কিন্তু তার স্বল্প আয়ের বিষয়টি কাউকে বিশ্বাস করাতে পারেনা । তার সৎ মা বদলে যায় অভিধানকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ফন্দি আঁটতে থাকে । অভিধান মাঝে মাঝে অনুরাগ করে মাঝে মাঝে উভয় সংকটে পড়ে যায় । দিবনা দিবনা করেও দিতে দিতে ঋণ গ্রস্ত হয়ে পড়ে । সে কথা অভিধানের বউ ছাড়া কেউ বিশ্বাস করেনা ।আভিধান বুঝতে পাড়ে তার কোন দুর্ঘটনা হলে তার সৎ মা ও বাবা তার বউ ও মেয়েকে থাকতে দেবেনা ।তাই অনেক কষ্টের মাঝে রেলের মাটিতে দুটি ঘর বানিয়ে দিয়েছে ।যদিও যে কোন সময় রেল কর্তিপক্ষ সে ঘর ভেঙে ফেলতে পাড়ে । জীবনের সব অর্জিত অর্থ সৎ মা ও বাবাকে দিয়েছে অভিধান বউ ও মেয়েকে রেলের মাটিতে ঘর বানিয়ে দেয়াটা যেন অনেক বড় অপরাধ করেছে সে ।কেউ একবার ভেবে দেখেনা পরিবারের উপর কতটুকু আস্তা হারালে একটি মানুষ রেলের মাটির বস্তিতে ঘর বাঁধতে পাড়ে ? বর্তমানে তাদের ঋণ প্রায় পাঁচ লক্ষে এসে দাঁড়িয়েছে ।একসাথে যদি এই টাকা পরিশোধ করা যেত তাহলে অভিধানের জীবনে শান্তি ফিরে আসত । এই টাকা ধিরে ধিরে পরিশোধ করতে করতে প্রায় দশ লক্ষ দিতে হবে । দুই মাস আগেই বাড়িতে ষাট হাজার টাকা কলিকদের থেকে ধার করে দিয়েছে এখনো তারা তিরিশ হাজার টাকা পাবে যা শোধ করতে দুই মাস লাগবে । কিন্তু পরিবার থেকে চাপ আসচ্ছে কিছু টাকা দাও । অভিধানের বউ কে গালাগালি করছে সব টাকা তোমার কাছে আছে টাকা দাও ।অভিধানের যে অতিরিত্ত টাকা জমা নেই তাই আল্লাহ জানে , কিন্তু সেতো আদালতে সাক্ষি দেবেনা ।
প্রতিমাসে ১৩ থেকে ১৮ হাজার টাকার মধ্যে আয় করে অভিধান বাবু প্রতিমাসে একিরকম আয় হয়না ।এই টাকা থেকে নিজের বউ ও মেয়ের জন্য কিছু খরচ , মানুষের লাথি জুতা খেয়ে পেট ভরেনা , ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে খওয়াটা বেশ কঠিন তাই এই আয় থেকে ঢাকা শহরের অলিগলিতে থাকা ও খাওয়ার খরচ কেমন হয় তা কারো অজানা নয় ।যাবতীয় খরচ বাদ দিলে বাঁচে কত টাকা ? নিজের বউ ও মেয়ের মুখে ছায়পাশ দিয়ে , নিজে খুব সাধারণ জীবন জাপন করে ছয় বছর ধরে প্রতি মাসে গড়ে ১১/১২ হাজার টাকা করে সৎ মা ও বাবাকে দিয়েও মন ভরাতে পারেনি ।কখনো পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছে তার পরিবার ভেবেছে তা তার একমাসের ইনকাম ।বাকি দুই তিন মাস সব টাকা বউ কে দিয়ে দিচ্ছে ।পরিবারের ঋনের চাপে পিষ্ট হয়েও অপবাদের মালিকা গলে পড়েও নিলজ্জের মত জন্ম ও ভরন পোষণের ঋন শোধ করার চেষ্টা করে অভিধান সেই কবুতরের মতই ।সে তিলে তিলে মরা নদীর মত মড়ে যাচ্ছে পরিবারের সেবায় । সে বুস্তে পাড়ছে প্যারালাইসিস বা ক্যান্সার এর মত কোন রোগ তাকে আহবান করছে । কয়টি টাকা বাঁচানোর জন্য ওষুধ খাচ্ছেনা ।অনেক সময় দশ পনের টাকা বাঁচানোর জন্য রিক্সা বা লোকাল বাসে না চড়ে পায়ে হেঁটে হেঁটে চলাচল করতে গিয়ে তিরিশ টাকার স্যান্ডেল ক্ষয় করে ফেলে । অভিধান আজ প্যাঁচে হেরে যাওয়া ঘুড়ির মত নিয়ন্ত্রণহীন উড়ছে ।কেউ অনুভব করেনি কখনো অভিধানের গোপন ব্যাথা । করবেনা কারন অভিধান যে একটি পোষা কবুতর । এটা ই বাস্তবতা ।
যোগ বিয়োগের খেলায় হারমেনেও অভিধান হারমানতে চায়না । অভিধান চাই প্রেম ভালবাসায় পূর্ণ করতে এই পৃথিবীকে । আর তাই কাওরান বাজার , সদর ঘাট , মহাখালী , ফ্রাম গেইট এসব এলাকায় যেখানে খবরের কাগজ চাকুরীর বিজ্ঞাপন দেয়া থাকে সেই সব জায়গায় তার সাদাকালো বিজ্ঞাপন এর পোষ্টার লাগাতে থাকে । তার বিজ্ঞাপন নিম্নরূপ –

-হাত বাড়িয়ে দিন –
আমি কাজল কিন্তু ঋনের বোঝা আমাকে কালিতে রূপান্তর করছে ।ঋন আমাকে গ্রাস করছে! জীবনের বন্ধুর পথে হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত এক সল্প আয়ের মানুষ আমি ।আমি পরিবারের দায়ভার শোধ করতে করতে ক্লান্ত এক মৃত প্রায় বিষ বৃক্ষ । অবিশ্বাসের ছায়া আমার চারপাশ ঘিরে ।এই অন্ধকার দুরভিত করে আলোর প্রদীপ জ্বালানো আমার শেষ ইচ্ছে ।আমার স্বপ্ন পুড়নের দুটি পথ খোলা আছে মাত্র প্রথম পথ আপনাদের সাহায্য দ্বিতীয় পথ চক্ষু ও কিডনি বিক্রি ।
প্রথম পথ -
আমার পরিবারের ঋন এর বোঝা শোধ করতে এবং পারিপার্শ্বিক সকলের চাহিদা পুরন করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন ।সরকারী বা বিরোধী দলীয় নেত্রী অথবা কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা কোন উদার ব্যাক্তি যদি এই টাকা দিয়ে আমাকে সহায়তা করেন । আমি কথা দিচ্ছি আমি ব্যাংকে আপনার নামে একটি ১০ লক্ষ টাকার ডিপোজিট করে মাসে মাসে টাকা প্রদান করে দিয়ে পাঁচ বছরে শোধ করে দিবো ।
অথবা আমাকে দশ লক্ষ টাকা লোণ দিতে পারেন প্রতিমাসে ১৩/১৪ হাজার টাকা করে দিয়ে শোধ করে দিবো ।
আমি বাংলাদেশের নাগরিক এর চেয়ে বড় কোন জামানত আমার কাছে নেই ।আমি আমার পরিবারকে ঋন মুক্ত করতে চাই আমাকে সহজগিতার হাত বাড়িয়ে দিন ।

দ্বিতীয় পথ – আমার পরিবারের ঋন এর বোঝা শোধ করতে এবং চাহিদা পুরন করার জন্য দশ লক্ষ টাকা প্রয়োজন ।মাত্র দশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে একটি চক্ষু ও একটি কিডনি বিক্রয় করা হবে ।
(প্রতিনিয়ত আমিও ঋন এর জালে আবদ্ধ হয়ে পড়ছি ।সৎ মায়ের পেটের কি সমস্যা হয়েছে তার অপারেশন করতে হবে ।পূর্বের ঋন শোধ হবার পূর্বে আবার ঋনের সংকেত । ঋনএর ইন্দ্রজাল থেকে মুক্তি পাবার কোন পথ খোলা দেখছিনা ।মাঝে মাঝে গলায় দড়ি দিয়ে বা বিষ খেয়ে মড়ে যেতে ইচ্ছে করছে , কিন্তু মড়ে যাবার চেয়ে একটি চক্ষু ও একটি কিডনি বিক্রি করে যদি সকলের চাহিদা পুরন করতে পারি সেটা ভালোহবে এমনটা ভাবছি । আমি আপনাদের কাছে ভিক্ষে চায়না ধার চায়ছি । আমার পরিবার কখনো আমাকে বঝেনি বুঝবেনা তবু আমি তাদের মুখে হাসি ফোঁটাতে চাই । আমার এই শেষ ইচ্ছে পুড়নের জন্য এগিয়ে আসুন প্লিস ।একসাথে টাকা পেলে সকলের চাহিদা পুরন করে আয় থেকে দায় শোধ করতে পারব । যদি কোন দুর্ঘটনায় মৃতু বরন না করি । )
বিনীত – অভিধান বাবু ।
আমার সাথে যোগাযোগ ইমেল – ovidhanbabu@yahoo.com

অনেকে ভুয়া বিজ্ঞাপন ভেবে পানের পিক ছুঁড়বে , কেউ কেউ বিজ্ঞাপনে নাকের সর্দি মুছবে , টিস্যুর বিকল্প হিসেবে বেছে নিবে ।কিছু মানুষ আছে সত্যতা যাচায় না করে গাল মন্দ করবে ।বাংলাদেশের মিডিয়া গুলো সম্পর্কে আমার জটটুকু ধারনা টাকা পেলে তারা ভাওতা ভিত্তিহীন বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পাড়ে ।কিন্তু বিনে পয়সায় তো দুরের কথা সামান্য টাকায় অভিধানের চক্ষু কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন বা তার ইচ্ছে পুড়নের জন্য একটি প্রতিবেদন প্রচার করতে পারবেনা ।
আমি জানি অভিধানের ইচ্ছে পুরুন হবে না ? কিন্তু স্বপ্ন দেখতে ক্ষতি কি ঘাসফড়িং ও তো প্রাকিতিক ভারসাম্য রক্ষায় অবদান রাখে শিশুদের খেলার সঙ্গী হয় কিন্তু সমাজের ধানক্ষেতের ক্ষতিকর কিট বলেই পরিচিত ।কিটনাশকের প্রভাবে ঘাসফড়িং পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত প্রায় । অভিধান ও হারিয়ে যাবে ভুল বোঝাবোঝি ও মানাভিমানের কালো স্রোতে । কেউ কখনো বুঝবেনা তার আবেগ ও ভালবাসার গভীরতা । শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়ার বা প্রভাবশালী ব্যক্তির গাড়িতে বোমা মাড়তে পারলেই বা দু চারটি খুন ,মাদকপাচার ইত্যাদি জঘন্য কাজ করে অনেক অনেক টাকা অবিধান সহজে পেতে পারে ? তবু সে তা করবেনা তার ইচ্ছেগুলোতে ধুলোর স্তূপে একদিন তলিয়ে যাবে ওভিধানের সৎ মা ও বাবা ভাব্বেই -সে অনেক টাকা তার বউ ও মেয়ের জন্য রেখে গেছে - তার বউ ও মেয়ে ভাববে সে অনেক টাকা তার সৎ মা ও বাবাকে দিয়ে গেছে । স্বল্প আয়ের নিষ্ঠুর কুঠারের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত ঘাসফড়িঙ অভিধানের কষ্ট ও তার সপ্নিল ইচ্ছের অপমৃত্যুর কথা কেউ জানবেনা ।এটায় বাস্তবতা ! তাকে কেউ ঋন ও দেবেনা ! কেন দেবে ?সে বাংলাদেশী হয়েছে তো কি হয়েছে ।সে তো একজন জন্মসূত্রে বেওয়ারিশ !কেন সে ভুল পথে টাকা আয়ের ইচ্ছে পোষণ করছেনা । পৃথিবীতে অনেক ওয়ারিশ সন্তানরা ভুল পথে চলছে , দেশ দ্রোহিতা করে টাকার পর্বত গড়ছে ।লোভে পিতার মাতার রক্ত নিয়ে খেলা করছে ,পিতা-মাতার হাতে ভিক্ষার ঝুলি ধরিয়ে দিয়ে বিলাসী জীবন জাপন করছে। অতছ অভিধান বেওয়ারিশ হয়েও মানবতাকে লালন করছে কেন ? কেন সে বুঝতে চেষ্টা করছেনা ঘাসফড়িঙদের ইচ্ছে গুলো কখনো পুরন হবার নয় ।বেঁচে থাকার জন্য ধানের শিষ খেকো কীট এর অপবাদ নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মড়তে হয় তাদের ।অভিধানের বুক ভরা ভালবাসায় মহাসমুদ্র তার লবনাক্ততা হারাতে পাড়ে ,পাহাড় তার কান্না বন্ধ করে দিতে পাড়ে ,ফুলেরা সুবার হারাতে পাড়ে,হয়তবা আবেগে তার বাম কাঁধে বসে থাকা ফেরেশতা পাপের খাতা ছিঁড়ে ফেলতে পাড়ে । কিন্তু তার নিষ্ঠুর পিতা ও সৎ মা কোনোদিন তার ভালবাসা-মায়া –মততার মূল্য দিতে পারবেনা।তার স্ত্রীও অকারন অর্থগ্রাসী সন্দেহের স্বীকার হয়ে থাকবে ।যদি মহান আল্লাহতালা নিজে অভিধানের পক্ষে সাক্ষীদেয় তবু তারা বিশ্বাস করবেনা কারন অভাবে স্বভাব নষ্ট ।আর এই স্বভাব ভালো করার ওষুধ হচ্ছে টাকা অনেক অনেক টাকা । আর এই টাকায় নিষ্ঠুর পিতা ও সৎ মা এর হাতে তুলে দেয়া অভিধানের শেষ ইচ্ছে । জানিনা তার ইচ্ছে পুরন হবেকি না !
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক অসাধারণ সুন্দর গল্প...মুগ্ধ হয়েছি.....
শাহীন মাহমুদ গল্পটি ভীষণ ভাল লেগেছে
এফ, আই , জুয়েল # গল্পটা একটু বড় হলেও এর ভাবের গভীরতা এবং সরল গতিময়তা বেশ ভাল হইচে ।।
ঘাস ফুল গল্প ভাল লেগেছে।
Muhammad Fazlul Amin Shohag সেই পুরনো আবেগ বার বার ফিরে আসে। অনেক বড় গল্প লিখেছেন। ভালো লাগলো।
অদিতি ভট্টাচার্য্য অনেক বড় গল্প, অনেক সময় নিয়ে পড়লাম। ভালো লাগল।
সময় নষ্টের জন্য দুঃখিত ! ধন্যবাদ মূল্যবান সময় অপচয় করে পড়ার জন্য ।
রোদের ছায়া অভিধান বাবুর শেষ ইছা পূরণ হবে কিনা সেটা কিন্তু লেখকই ভালো জানবেন । তবে ইচ্ছা পূরণ হলে পাঠক হিসাবে ভালো লাগতো । অনেক বড় গল্প , তাই খুব নিবিষ্ট মনে দিয়ে পড়তে পারলাম না হয়তো মাঝে মাঝেই ব্যঘাত ঘটেছে । ভালো লাগলো বেশ ।।
ধন্যবাদ রোদের ছায়া ।আসলে আমি চোখ বোলানোর পাঠক চাইনা - মন বোলানোর পাঠক চাই্ ।আশা করি সময় পেলে মন দিয়ে প্রতিটি লাইন পড়বেন ।কাঁচা হাতের লেখা পড়তে একটু কষ্ট হতে পাড়ে ।
মামুন ম. আজিজ ভিন্ন ধারা, বাস্তবতার কুঠার আঘাত........লেখায় সাহিত্য রস কম পেলাম যদিও। ....আচ্ছা ....আগে স্বাগতম জানাই যদি পুরাতন কেউ নতনু বোতলে না হন তো.......................সে যাক....বলেন তো.....`বসেষে ঘাসফড়িং এর মত সোজা হিসেব করেছে সে চোখ ও কিডনি বিক্রির -' .......................ঘাসফড়িংয়র মত হিসাব মানে কি?
ঘাসফড়িং এখানে রূপক ভাবে অসহায় দের মানসিক প্রশান্তির শক্তি হিসেবে ব্যবহার করেছি ।
যেমন পৃথিবীতে আমরা অন্যায় অবিচার অপরাধীদের অপরাধ মেনে নিচ্ছি হাসি মুখে ফড়িং এর মত । একটি ফড়িং এর লেজে সুতো বাঁধা ডানাভাঙার মত অপরাধ গুলো আমরা করে একটি পাখনা কেটে ছেড়ে দিলে ফড়িং বেঁচে থাকার চেষ্টা শেষ চেষ্টা করে পিঁপড়ের বা পাখির আহার হয় – তেমন অভিধানের মত একজন নিরুপায় মানুষ ঋণ মুক্ত হবার জন্য অবান্তর সপ্নদেখা ও পথ বেছে নেয়ার কথা বলা হয়েছে । ফড়িং এর সাথে অভিধানের মত মানুষগুলোর অনেক মিল রয়েছে সব কিছু খুঁজে পাবেন – গল্পটি মনযোগ সহকারে পড়লে । রস একটু কমই দিয়েছি , বেশি মিষ্টি বা তেতোর মাঝামাঝি রাখার চেষ্টা করেছি । আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর প্রশ্ন করার জন্যে ও পড়ার জন্যে ।
ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত ভাল লাগা জানাই :)

২০ জুন - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪