ভিখারিনী মা

মা (মে ২০১১)

Oshamajik
  • ২২
  • 0
  • ৫৪
উড়ছে ধুলো রাশি রাশি ঈশান কনে মেঘ,
পড়ছে নুয়ে গাছ পালারা বায়ুর ভীষণ বেগ।
পাকা ধানের সোনালী শীষ পড়ছে ভুয়ে লুটে,
মীকাইল বুঝি ধরার উপর আছে ভীষণ চটে।
মান ভাঙ্গাতে শ্রমিক, মজুর, গায়ের চাষি যত,
কেউবা পড়ছেন দোয়া দরুদ কেউবা সেজদা রত।
কেউবা মানছে মোমবাতি-মোরগ, পীর-মুর্শিদের ঘরে,
হিঁদুরা মানছে দুধ-কলা, ঝড় দেবতার তরে।

এক ভিখারিনী ফিরছে বাড়ী গায়ের-পথ বেয়ে,
বয়সের ভাঁড়ে শীর্ণ দেহ পড়েছে তাহার নুয়ে।
তিন পায়েতে যথাসম্ভব ছুটছে ভীষণ জোড়ে
ঝড়ের সাথে বৃষ্টি এলো গেলেন তিনি হেরে।
বৃষ্টিতে ভিজে অসুখ হলে দেখার কেহ নাই,
পথের ধারের ভাঙ্গা-কুঁড়েঘরে আশ্রয় নিলেন তাই।

বিজলী মেয়েরা চমক খেলিছে চারিদিক আন্ধার,
শণ শণ শণ বহিছে বায়ু বিরাম নাহিকো তার।
ভিখারিনী মা'র মুখটি মলিন ছেলের শঙ্কা-দুঃখে,
ছেলেরে মোর ভাল রাখিও বলিছেন সদা মুখে।
কৌতূহলে জিজ্ঞাসিলাম ছেলে তোমার আছে কোথা?
সোনা খোকা মোর গঞ্জে থাকে, চাকরি করে সেথা।

ছেলে যদি তব চাকরি করে ভিক্ষা কেন কর?
ভিক্ষা ছাড়া কি করিব ছেলে যে হয়েছে বড়।
পরের বারিতে দিনমান খেটে মানুষ করেছি তারে,
বিয়ে করে শ্বাসুরিপেল দরকের কি আর মা'রে।
ওরে পেটে রেখে বাপ মরিল গাড়ির তলে পরে,
বিয়ে করে শ্বসুর পেল, বাপ করে নিল তারে।

ক'দিন বাদে আমারে ভুলিল শাশুড়ি হল মা,
কত কষ্টে মানুষ করিলাম একবার ভাবিল না।
বয়স হয়েছে , বুড়ো হয়েছি, করিতে পারিনা কাজ,
পেটের জ্বালায় এবড়ী ওবাড়ী ভিক্ষা করি আজ।
আকাশ বাতাস বিদীর্ণ করি বাজ পরিল কোথা,
ছেলের শঙ্কায় মায়ের বুকে জাগিয়া উঠিল ব্যথা।

আবার শুনিলাম বলিছে বৃদ্ধা ভাল রাখিও তারে,
লাখ কোটি শুক্রিয়া খোদা তব শাহি দরবারে।
যে ছেলে তোমার খবর রাখে না, দেখেনা তোমায় চেয়ে,
তার তরে কেন এত ভালবাসা জীবন, মন, প্রাণ দিয়ে।
ওছেলের মাথায় গজব পরুক কিংবা কাটুক সাপে,
মরে গিয়ে জ্বলুক পুড়ুক নরক অগ্নি তাপে।

বালাই !বালাই! কী বলিস তুই,আমি যে অভাগী মা,
মায়ের মুখে আশীর্বাদ শুধু অভিশাপ কভু না।
খকা চিরকাল থাকুক সুখে বউ ছেলেপুলে নিয়ে,
বাকি কটা দিন কোন রকমে যাবে থিক মর বয়ে।
গগনখানি নীল হয়ে এলো ঝর-মেঘ গেল থেমে,
প্রশান্ত মনে ভিখারিনী মা গেয়ো-পথে গেল নেমে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জাকির অসাধারণ.
শাহ্‌নাজ আক্তার অসাধারণ,,, দারুন ... চমত্কার ......
রওশন জাহান খুব খুব ভালো লাগলো.
খন্দকার নাহিদ হোসেন মনে হল যেন পল্লী কবির লেখা কোন কবিতা পড়ছি। ফজলুল ভাইকে ধন্যবাদ। আর কবি গল্পটা কবিতা করে বলতে পারছে যেটা কিনা অনেকেই পারেনা। কবির জন্য অনেক দোয়া রইলো। ও ৫-ই দিলাম।
মামুন ম. আজিজ বাস্তবতার করুন চিত্র। অসাধরন। অভাবনীয়। তাল কিছূ লাইন এ মাত্রা বেশী হওয়ায় কেটে যেত চাইলেও ধরে রাখা গেচে। সেটা কবির অন্তর্গত বৈশিষ্টে। আমি মুগ্ধ।
এস, এম, ফজলুল হাসান আমার দৃষ্টিতে মা সংখ্যার সেরা গল্প-কবিতা গুলি হলো (১) প্রথম : # সাত মা # লেখক : মামুন ম.আজিজ , (২) দ্বিতীয় : # ভিখারিনী মা # কবি : Oshamajik , (৩) তৃতীয় : # আমার ভালোবাসার ফুল মায়ের হাতে দেব # কবি : মোহাম্মদ অয়েজুল হক জীবন , (৪) চতুর্থ : # মা # কবি : Khondaker Nahid Hossain , (৫) পঞ্চম : # ২০০০০০০০৯৭ সালের মা # লেখক : মাহাতাব রশীদ (অতুল) , আমার দৃষ্টিতে বিজয়ীদের বলছি , " আপনারা গল্প-কবিতা থেকে বিজয়ী হবেন কিনা তা জানি না তবে , আমার অন্তর থেকে রইলো আপনাদের জন্য বিজয়ী শুভেচ্ছা , ধন্যবাদ সকলকে " ,,
সূর্য কবিতায় একটা গল্প সাজানোর ক্ষমতা তোমার আছে। বাক্য সৃষ্টিও ভাল। কিছু যায়গায় বাক্য সমমাত্রার নাহওয়ায় ছন্দে সমস্যা হয়েছে এদিকটা দেখে ঠিক করলে কবিতাটি অসাধারণ হতে বাধ্য। খুব ভাল লেগেছে আমার কাছে................ শুভকামনা থাকলো.... ও হ্যা অনেকগুলো বানান ভুল ছিল।
এফ, আই , জুয়েল বাস্তবতাকে ইঙ্গিত করে দারুন একটা কবিতা ।
শিশির সিক্ত পল্লব বন্ধু তোমার এত সুন্দর কবিতাটি মিস করেছি পড়তে........অসাধারণ বন্ধু

০২ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪