১ ভোর রাতে রেলওয়ে পুলিশ এসে লাশটা নিয়ে যায়। রেলে কাটা লাশের দুইটা টুকরা বাঁশের চাটাই দিয়ে বাঁধে। লাশটা নিয়ে যখন অফিসের সামনে রাখে তখন হুইসেল দিয়ে হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনটি নেত্রকোনা কোর্ট স্টেশনে এসে দাড়ায়। রাত দুইটার লোকাল ট্রেনে কাটা পড়ে মানুষটা। স্টেশনের এতো কাছে এইভাবে মানুষ কাটা পড়তে দেখা যায় না সচরাচর। ভোরের এই হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনেই এলাকা ছেড়ে মোহনগঞ্জে চলে যাওয়ার কথা ছিলো বাঁশিওয়ালার। চারপাশে মানুষের ক্ষণস্থায়ী আফসোসের আহ্... শব্দ ভেসে আসছে। তার বাঁশির সুরে মুগ্ধ ছিলো আশপাশের মানুষ গুলো। ২ অথিতপুর বাজারে সপ্তাহে একদিন হাট বসে। গরু ছাগল ভেড়া ধান চাল পিঁয়াজ রসুনের সওদা হয়। মজনু মিয়া চটের উপর বসে বাঁশি বিক্রি করে। দূর্গাপুর থেকে বাঁশির বাঁশ কিনে আনে। সপ্তাহ ভরে বাড়িতে বসে নিজ হাতে বাঁশি বানায়। সপ্তাহ শেষে একদিন এই হাটে বাঁশি বিক্রি করে। বাঁশি আর কয়জন কিনে? এই একই মানুষ একই মুখ প্রতি হাটে দেখা যায় ঘুরে ফিরে। কিনে হয়তো দুই চারজন কিন্তু মজনু মিয়ার বাঁশির সুরে অন্তত শখানেক লোক ঘিরে ধরে তাকে। বিনা পয়সায় বাঁশি শুনে গান শুনে। বাঁশি মজনুর নেশা। তার বাঁশি শুনে কে পয়সা দিলো কে না দিলো সেই হিসাব সে করে না। বাঁশি শুনে মানুষ আনন্দ পেলেই তার শান্তি। কিন্তু তার মন এইখানে স্থির থাকে না বেশী দিন। সাতদিন কোন মতে গ্রামে পার করে তো চোদ্দ দিন কাটায় নেত্রকোনা শহরের কোর্ট স্টেশনে। তার বাঁশির সুর ময়নার কান পর্যন্ত পৌঁছে এইটা সে জানে। ময়নার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে এটা তার জানা নেই। বিয়ের তিন বছর পার হলেও সন্তানাদি হয়নি। অনেক ডাক্তার কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিয়ে কিছুতেই কিছু হয়নি। ময়নার স্বামী আজিজ মাস্টার রোগের কারণ কিছুদিন আগে অনুসন্ধান করতে পারে। বাড়ির মান সম্মানের কথা চিন্তা করে পরিবারের সবার সাথে গোপন করে। ৩ ময়না বার বার এসে কোনো আশার কথা শুনতে পারছে না মজনুর মুখে। মাটির ঘরের ছনের চালা বারান্দায় বসে লোহা পুড়ে আপন মনে বাঁশির ফুটা বানাচ্ছে মজনু। বাবরি চুলের দুই গোছা ঝুলে আছে কপালের দুই পাশে। গুনগুন করে গাইছে- এক নয়নে হয়না কান্দন দুই নয়নে কান্দে... এক মনে মন বান্ধে না তো দুই জনা মন বান্দে রে... একটি ফুলে হয় না তোরা এক মানুষে লয় না জোড়া... সূর্য কভু লয় না গ্রহণ অমাবস্যার চান্দেরে... এক জীবনে হয় না মিলন এক বিরহে যায় না জীবন... -মজনু ভাই... ময়নার কন্ঠ শুনে গান থেমে যায়। ডান হাতে চুল গুলো মাথার উপরে তুলে ডান দিকে তাকায়। আবার নিজের কাজে মন লাগায়। -একখান কতা কইতে আইছিলাম। ময়না বলে। -কি কইবি কইয়া ফালা। -আমার বিয়ার সম্বন্ধ আনছে বাবায়। পোলা প্রাইমারী ইস্কুলের মাস্টর... -খুব ভালা খবর। রাজী হইয়া যা। তুই সুখী হইবিরে ময়না আমি তোরে দোয়া কইরা দিলাম। -তুমি আমার লগে মস্করা করতাছো? -আরে মস্করা করতাম কে? আমি তর বিয়ার সুমে বাঁশি বাজাইয়াম। আনন্দ ফুর্তি করবাম। -চলো আমরা ভাইগ্গা যাই। সুনামগঞ্জে যাইগা। হুনছি ঐহানে অনেক কাম কাজ আছে। দুইজনে মিইল্লা সংসার চালাইতে পারবাম। -ময়নারে, মন হইলো উড়াল পাখি। মন পালাইতে জানে না। মন পাখির মতো উড়ে পাহাড় পর্বত নদী নালা বন্দরে... -তোমার ভাবের কতা হুনার সময় নাই মজনু ভাই। যা কইবা পরিস্কার কইরা কও। -মনের কতা মুখে বলা যায় নারে ময়না। মন যা চিন্তা করে তার নিরানব্বই ভাগ কতাই মনের মধ্যে জইম্মা থাহে। মুহে তার এক ভাগ কতা কইতে পারে। অন্তরের কতা যে বুঝতে না পারে তারে মুখে কইয়া লাভ অয় নারে ময়না... -তুমি খালি কতা প্যাঁচাও... থাহ তুমি তুমার কতার প্যাঁচ লইয়া। ময়না কাঁদতে কাঁদতে আচলে চোখ মুছে বাড়ির পথ ধরে। এই প্রথম মজনুর বুকে একটা মোচর লাগে। লোহার গরম রড মাটিতে ফেলে ডান হাতটা তুলে ডাক দিবে বলে... -ময়নারে হুইন্না যা একটা কতা...। এই একটা কথা মজিদের মনে বাজে মুখে আসে না। একটা কথা মন থেকে মুখে এসে আটকে গেলো। শৈশব থেকে দেখা ময়নার মুখে আজ হঠাত করে জ্বলসে উঠে আগুন। মজনুর বুকের গোপন দরজা জানালায় ঝড়ো হাওয়ার দাপট। ছোটকালে মজনু যখন বাঁশিতে সুর তোলার চেষ্টা করে সুর উঠে না। মেজাজ খারাপ হতো। তাকে দিয়ে বুঝি হবে না। ময়না তখন তার কাছে বাঁশি বাজানো শিখতে চাইতো। মজনু ধমক দিয়ে দূরে সরিয়ে দিতো -এইখান থেইক্কা যা ছেড়ি। যা আমার চোক্ষের সামনে থেইক্কা। এইডা পোলা মাইনষের কাম। ময়না কাঁদতে কাঁদতে চলে যায়। আবার পিছন ফিরে মজনু ডাক দেয় -এই ছেড়ি এদিকে আয় হুইন্না যা। ছেড়ি মানুষ বাঁশি বাজায় না। বাশি হুনে। আমি আগে শিইক্ষা লই পরে তরে বাজায়া হুনায়ামনে। সেই থেকে ময়না শুধু বাঁশি শুনে। মাঝে মাঝে হাসি তামসা হয়। কিন্তু মজনুর জানা নাই প্রেম কারে কয়। মজনুর তো মনে পড়ে না ময়নারে কোনদিন প্রেমের কথা কইছে। ঘর বান্ধনের স্বপ্ন দেখাইছে। তাইলে আইজকা বুকে মোচড় লাগলো ক্যান? ময়নার বিয়ার রাইতে মজনু খালের পাড়ে বসে সারা রাত গান গায় বাঁশি বাঁজায়। সেই দিন থেকেই তার ভরাট বুকটা শূন্য হয়ে যায়। বন্ধুরে কই পাবো সখী গো সখী আমারে বলোনা... বন্ধু বিনে পাগল মনে বুঝাইলে বুঝে না... সাধে সাধে ঠেকছি ফাঁদে গো সখি দিলাম ষোল আনা আমার প্রাণপাখি উড়ে যেতে চায় আর ধৈর্য মানে না... কি আগুন জ্বালাইলো বন্ধে গো সখি নিভাইলে নেভেনা... জল ঢালিলে দ্বিগুণ জলে উপায় কি বলোনা... পাগল আব্দুল করিম বলে গো সখি অন্তরের বেদনা সোনার বরণ রূপের কিরণ না দেখলে বাঁচি না বন্ধুরে কই পাবো সখিগো সখি আমারে বলোনা... বন্ধু বিনে পাগল মনে বুঝাইলে বুঝে না...
৪ বাঁশিওয়ালা সেদিন সন্ধায় এই এলাকা ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। অন্য কোন হাটে কিংবা ঘাটে আবার নতুন করে ঘর বাঁধতে হবে। একা একজন মানুষের আবার ঘর কি... রেল স্টেশনের কাছেই রেল লাইনের পাশে কিংবা কোন বড় গাছের তলায় মাথার উপর দুটি চাটাই এর ছাউনি পেতে তার নিচে শুয়ে থাকা। সেদিন রাতে গলার কাছে চাকু ধরে আজিজুলের ছোট ভাই এসে হুমকি দিয়ে গেছে -এই কুত্তার বাচ্চা আর যদি এই ইস্টিশনের আশেপাশে বাঁশি বাজাইতে হুনি তাইলে কইলাম একটা পুছ মাইরা গলাডা কাইটটা হালায়াম...! মনে থাকবো? মজনু মিয়ার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। মুখ দিয়ে কথা বের হয় না। এর আগেও মুখে এক দুইবার নিষেধ করে গেছে। পাত্তা দেয় নি। এবার খুনের হুমকি! এই ছেলে এর আগেও নাকি একটা খুন করেছে। মামলা কোর্টে আছে। মজনু সিদ্ধান্ত নিলো কাল ভোরের ট্রেনে মোহনগঞ্জ চলে যাবে। সেখানে তার অনেক ভক্ত আছে, সবাই তাকে বাশিওয়ালা মজনু ডাকে। এই ভয় তার অনেক আগে থেকেই ছিলো যে কোন সময় তার কপালে দুর্গতি আসতে পারে। নেত্রকোনা কোর্ট রেল স্টেশনের চা-পানের দোকানদার দুলাল না জানুক আজিজুল মাষ্টারের বউ এর নাম ময়না। সে নিজে তো জানে ময়নার সাথে এতো বছরের সম্পর্ক ছিলো মজনুর। এক তরফা সম্পর্ক। মজনু মনে মনে চাইতো না ময়নাকে। মজনু মিয়া মনে মনে ভাবে -যখন তুই চাইতি আমারে আমি বুঝলাম না। যখন তুই চইলা গেলি আমার মন বুঝে না... মন কি আজব জিনিস বানায়া দিলো খোদায়! মনের কি আর সাধ্য আছে বিচার করে পাপ পুণ্য? চিনে আসল নকল? আজীবন উল্টা বুঝলি মন.. ৫ দুলাল চায়ের কাপে চামচে টুং টাং শব্দ করে রেলেকাটা আরেকটি মানুষের কথা ভাবছে। রেলে মানুষ কাটা পড়া আজব কোন ঘটনা নয়। প্রায়ই ঘটে। এই মানুষটা তো এইভাবে আত্মহত্যা করার কথা না! লোকটা কিছুক্ষণ আগে চা খেতে খেতে বললো -দুলাল তুঙ্গর এইহানে আর বাঁশি বাজান যাইতো না। আইজকা ভোরেই যাইতাছিগা। তবে তুমার চা'র স্বাদ কিন্তু আমি ভুলতাম না। তুমার চা'র টানে আওন লাগবো। গান গাইতে তো ক্ষতি নাই কি কও? -ক্ষতির কি অইলো মজনু মিয়া? দুলাল বলে। -বুঝবা না মিয়া... সবই কপালের ফের। যাই দুইডা গান গাই ট্রেইন আইতে অনেক দেরী। এই কথা বলে হাতের পুটলাটা দুলালের টেবিলের পাশে রেখে বড় কড়ই গাছের নিচে বসে গান ধরে। তুমি বিনে আকুল পরাণ থাকতে চায় না ঘরেরে... আমি এই মিনতি করিরে সোনাবন্ধু ভুইলো না আমারেরে... সাগরে ভাসাইয়া কুলমান তোমারে সঁপিয়া দিলাম আমার দেহ মন প্রাণ... এক সময় চায়ের কাপের টুং টাং শব্দের আড়ালে মজনু মিয়ার গানের সুর হারিয়ে যায়। মজনু মিয়ার কাপড়ের পুটলাটা এখনো দুলালের টেবিলের পাশে পড়ে আছে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সেলিনা ইসলাম
চমৎকার গল্পে। গল্প পড়তে পড়তে সবকিছু ছবির মত ভেসে উঠছিল। স্পষ্ট দেখতে পেলাম রেলস্টেসন,চায়ের দোকান, বাঁশি বাজান...সবকিছুই। যেন রেলস্টেশনের বাস্তব পরিবেশটা খুব সুন্দরভাবে লেখক তুলে ধরেছেন। গল্প পড়ে ঠিক বনানীর রেললাইনে বসা ভ্রাম্যমাণ বাজারে ঘটে যাওয়া ঘটনা মনে পড়ে গেলো। যেখানে দেখা যায় অসীম অবহেলা! যেখানে মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই,নেই প্রশাসনিক কোন বাধাবিঘ্ন। বেশ ভালো লাগল গল্প। শুভকামনা রইল।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
ওহ! এত সাধের গল্প রেখে কিভাবে চোখ বুলিয়ে থাকতে পারি ... দারুন বলিলে ও কম হবে, ১ কথাই অসাদারন গল্প। যেমন ভাব চরিত্র, তেমন সংলাপ, তেমন গান পরান জুরায় গেলো। শেষের দিকে আর ১টু নাড়া- ছাড়া করলে আরও দারুন হত। ভোট দিলাম। শুভকামনা ও আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইলো।
জসিম উদ্দিন আহমেদ
গল্পের প্রথম অনুচ্ছেদে যে চমক ছিল, পরবর্তীতে তা হারিয়ে গেছে। আপনার গল্পের ক্ষেত্রে এটা বেমানান... যাইহোক... শুভ কামনা রইল। আর আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইল। কারণ আপনাদের কাছ থেকে গঠনমূলক পরামর্শ আশা করি। যারা এখানে প্রতিষ্ঠিত, আমি মনে করি নতুনদের গল্প পড়ে পরামর্শদান তাদের একটি দায়বদ্ধতা।
কাজী জাহাঙ্গীর
মোজাম্মেল ভাই যেভোবে গানের লিরিকগু লিখে গেছেন,ভাবছি আধ্যাত্ববাদের চর্চা করছেন নাকি। আসলেই মজনু মিয়ার ত কোন অাক্ষেপ ছিলনা , হঠাৎ করে এমন ঘটনা মেনে নেয়া ত যায়না ভাই, আপা যেটা বলেছেন সেটা না হয় ভাবেই রাখলাম, তার পরেও কথা থাকে, যে খবরগুলা মানুষে পায় না বা রাখে না সেটা যখন ছানাবড়া চোখের সামনে চলে আসে মনে ত একটু ঝাঁকুনি লাগবেই। সেটাই লেগেছে আমারও। অনেক শুভকামনা, ভোট আর আমার পাতাায় আমন্ত্রণ।
অনেক ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য। মজনু মিয়ার আক্ষেপ প্রকাশ তার জীবনাচরণে ছিলো। আর গল্পে মজনু মিয়ার খুন হওয়ার ইঙ্গিত আছে। ভালো থাকুন। আপনার পাতায় আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ। যাবো সময় করে।
মোজাম্মেল কবির
আপনার কথা সত্যি ফাহমিদা আপা। আমি গল্পটি লিখেছি ভাবের জগতে বিচরণ করে। আমি প্রায়শই হারিয়ে যাই... তবে সেই জগতে স্থির থাকতে পারি না, বার বার বাস্তবে ফিরে আসতে হয় বলেই আপনার মন্তব্য পুরোপুরি সঠিক। আপনার মন্তব্যের ভাষা বুঝার সক্ষমতা না থাকলে আমার লেখার অধিকার থাকা উচিত না। বরং পরিপূর্ণ একটি মন্তব্য পেয়ে ধন্য হলাম।
Fahmida Bari Bipu
মোজাম্মেল ভাই, এবারে আপনার গল্পটা পড়ে শুরু করলাম। আমি মোটামোটি নিশ্চিত আপনি পুরোপুরি ভাবের দুনিয়ায় বিচরণ করছেন এখন। আর সেই ভাবের দুনিয়া আপনার লেখাকে এখন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। আপনি যা লিখতে চাইছেন তা অন্য মাত্রায় প্রকাশিত হচ্ছে। জানি না আমি ঠিক বললাম কী না, অথবা বুঝিয়ে বলতে পারলাম কী না। আশাকরি আপনি বুঝতে পারবেন। আপনার গল্পের থিমটি আমাকে দারুন আকৃষ্ট করলো, কিন্তু পড়তে পড়তে একসময় মনে হচ্ছিলো যেন সেই থিম থেকে হারিয়ে যাচ্ছি। এই অতিরিক্ত ভাবের অনুপ্রবেশে এটা ঘটেছে বোধ করি।। ভাই আপনি নিশ্চয়ই আমার কথাকে ভুল বুঝবেন না। সমালোচনা লেখকের মংগলের জন্য, তাকে ব্যথিত করার জন্য নয়। গল্পের মূলভাব টুকু অসাধারন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।