মানুষ দেখার ইচ্ছে

শিক্ষা / শিক্ষক (নভেম্বর ২০১৫)

মোজাম্মেল কবির
  • ১২

বুড়ো বয়সে সিদ্ধান্তটা নেয়া কি ঠিক হল...? এই নিয়ে একটু সংশয় আছে। দুনিয়াটা কেমন করে পাল্টে গেলো! কি দিন ছিলো আর কি দিন আসলো! জহির উদ্দিন বুঝতে পারে না সে কি এই পৃথিবীর জন্য অচল মানুষ? নাকি পৃথিবীটাই বখে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে পৃথিবীটা। আধুনিক হলো নাকি বন্য হয়ে গেলো হিসাব মিলাতে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়।পৃথিবীতে আগেও যুদ্ধ ছিলো তখন মানুষ রক্ত আর মৃতদেহ দেখতো না। শুধু জয় পরাজয়ের খবর জানতো। এখন যুদ্ধে অঙ্গহীন রক্তাক্ত জ্যান্ত ও মৃত মানুষের লাইভ প্রচার দেখতে হয়। পৃথিবীর মানুষের নার্ভ এখন অনেক শক্ত! শুধু জহির উদ্দিন এতোটা শক্ত হতে পারেনি।

ছেলেটা সপ্তাহে অন্তত তিন চার বার আমেরিকা থেকে ফোন করে। নিয়মিত টাকা পয়সা পাঠায়। মা বাবার সাথে অনেকক্ষণ ধরে কথা বলে -নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছ? ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করো? মেয়েটাও কানাডা থেকে এভাবেই খোঁজ খবর নেয়।
ছেলের বউ তার গ্রামের বাবার বাড়ি থেকে একটা ছেলে দিয়ে গেছে শ্বশুর শাশুড়িকে নিয়মিত দেখভাল করার জন্য। মাসুদ নামের ছেলেটা আজ প্রায় আট বছর আছে এই পরিবারে। পরিবারের সদস্য হয়ে গেছে। তারা স্বামী স্ত্রী নিজের ছেলের মতোই দেখে। স্কুলে ভর্তি করিয়েছে। লেখাপড়া করছে। এখন সে ক্লাস এইটে পড়ে। গত ঈদে আমেরিকা থেকে তার জন্য একটা স্মার্টফোন পাঠিয়েছে আসিফ। বাবা যেহেতু মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে চায় না তাই তার হাতে ফোন দিয়েছে। বাবা যখন সকাল বিকাল বাইরে যায় তখন মাসুদ যেনো সাথে থাকে। কারণ ল্যান্ড ফোনে কল দিয়ে সব সময় বাবাকে পাওয়া যায় না। জহির উদ্দিন মাসুদকে সাথে নিতে চায় না। মাসুদের জন্য ব্যপারটা বেশ আনন্দের।

ছেলেকে বলেছিলো জহির উদ্দিন -বাবা এই বাচ্চা ছেলেটার হাতে ফোনটোন দেয়ার কি দরকার? ছেলে উত্তরে বলে -বাবা পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে, এইসব পশ্চাৎমুখী চিন্তা বাদ দাও। তারপর আর এই নিয়ে ছেলেকে কিছু বলে না।

আজকাল সারাক্ষণ ঘরের এক কোনে বসে এই ফোনের দিকে দুই চোখ আটকে বসে থাকে। আঙ্গুলে গুঁতোগুঁতি করে। একটা কাজের জন্য তিন চারবার ডেকে সাড়া মিলেনা। পৃথিবীটা বুঝি এভাবেই চলবে... এই ভেবে জহির উদ্দিন বিষয়টা গুরুত্ব দিতে চায় না। কিন্তু গত পরশু দিনের একটা ঘটনা নিয়ে তার খুব কাছের বন্ধু অজয় মজুমদারের সাথে পরামর্শ করে। মাসুদের কাছে বেশ কিছু ছেলে আসে। তিনবার কলিং বেল চাপলে সে বেরিয়ে যায় বাসার বাইরে। প্রতিদিন বিকালে বাসার গেটে ছেলেদের হট্টগোল শোনা যায়। সেদিন বাগানে কাজ করছিলো জহির উদ্দিন। দেয়ালের ওপাশ থেকে সব স্পষ্ট ভেসে আসে তার কানে। এতোটা অশালীন শব্দ আর ভাষা তার বাহাত্তুর বছর বয়সে ব্যবহার করেনি!
অজয় বাবু খুব বিচক্ষণ মানুষ। জহিরের খুব ভালো বন্ধু। সব কিছু শুনে বলে -বাদ দেও এই সব। গোল্লায় যাক, তোমার তো নিজের কেউ না। দুই মাস পর তোমার ছেলে দেশে আসছে তাকে সব বলে যার ছেলে তার হাতে ফিরিয়ে দিবে! রোজার মাসে পাশের মহল্লায় কি ঘটেছে মনে নেই? আদরের ধর্মপুত্রের নেশার টাকার যোগান দিতে অস্বীকার করায় বুড়ো স্বামী স্ত্রী দুজনকে জবাই করে মেরে ফেললো!


সিদ্ধান্তটা নিয়ে তাকে আরো একটু ভাবতে হবে। বয়স তো বাহাত্তর পার হলো। এই বয়সে কাজটা যৌক্তিক হবে কি না তা ভেবে দেখা দরকার আছে।
ঘুম ভেঙে প্রথম যে চিন্তাটা মাথায় আসে তা সারা দিন খুব ভাবায়। আজ খুব ভোরে ঘুম ভেঙে জহির উদ্দিনের মাথায় আজব এক চিন্তা আসছে। তার মনে হচ্ছে বউ তাকে মোটেই আদর করে না।সারাটা জীবন একাই ভালোবেসে গেছে বউকে। বউ তাকে মোটেই ভালোবাসেনি। এতো কষ্টের হিসাব করা পয়সা। তা থেকে সুগন্ধি সাবান, মুখের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য বাজারের সেরা ক্রিম, ঈদ এলে সাধ্যের মধ্যে দামী শাড়ি কি না করেছে বউটার জন্য! লাভটা কি হলো? বিনিময়ে যদি বউ এর কাছ থেকে সারা জীবনে জোরপূর্বক একটা আদরের চুমু পেতো তবেই জীবনটা স্বার্থক হতো। এই দায়িত্বটা আজীবন তাকেই পালন করতে হয়েছে। আহারে জীবন! ভালোবাসার ঠিকা নিয়ে জন্ম নিলাম!
জহির উদ্দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে। প্রতিদিন উঠে। পাশে বউ শুয়ে থাকে। বুড়ো নাক ঘড়ঘড় করে ডাকে। তার জেগে থাকা আর ঘুমিয়ে থাকার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই সেই একই ভাবলেশহীন।
জহির উদ্দিন ছোট কালে দেখেছে তার মা তার বাবার গা টিপে দিচ্ছে মাথার চুল গুলো টেনে দিচ্ছে। তার বাবা আরামে প্রশান্তিতে দুই চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে যাচ্ছে। তার বউ আটচল্লিশ বছর সংসার জীবনে একদিনও গাটা টিপে দেয়নি।
জহির উদ্দিনের মনে অনেক কষ্ট।পরিবার নিয়ে কষ্ট সমাজ রাষ্ট্র আর মানুষ নিয়ে কষ্ট... সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম কাজ হচ্ছে খালি পেটে এক গ্লাস পানি দিয়ে দুঃখ কষ্ট গিলে খেয়ে ফেলা। এই সব প্রকাশ করা যাবে না। মনের কষ্ট প্রকাশ করলে সমস্যা আছে। মনের কষ্ট মুখে আনলে অশান্তি আরো বেড়ে যায়। তারচে হজম করা সুবিধাজনক। এভাবে দিনে তিন চারবার মনের কষ্ট গিলে খায় জহির উদ্দিন। কখনো চায়ের সাথে কখনো আবার সিগারেটের সাথে।
কঠিন চিন্তাটা আপাতত মাথায় নেই। ঘুরেফিরে মাঝে মাঝে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে শুধু। এখন তার শৈশবের দোস্ত অজয় মজুমদারের প্রশ্ন গুলো মাথায় ঘুরছে। আজ তাকে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে। হাটতে গেলে পার্কে দেখা হবে। মনে মনে উত্তর ঠিক করছে সে।


শরতের সকালটা বেশ মনোরম। ঘুমকাতুরে অলস ধরনের মানুষ গুলোও গা ঝাড়া দিয়ে ঘর থেকে বের হয়। আজকাল ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। তার ধারণা এই মানুষ গুলো বাধ্য হয়ে বিছানা ছাড়ে।ডাক্তার যদি বলতো আর হাটার দরকার নেই যথেষ্ট হয়েছে। তবে এই সুযোগ কেউ ছাড়তো না। সুন্দরী নববিবাহিতা স্ত্রী লোক থেকে শুরু করে তার বয়সী বৃদ্ধা সবাই প্রয়োজনে হাটতে আসে। জহির উদ্দিনের এই রোগ নেই।
মোবাইল টাওয়ার আর মোবাইল ফোন ব্যাবহারে নাকি সামনে আরো নতুন নতুন রোগ আসছে । জহির উদ্দিন মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে না। এটা তার নিজের জন্য অপ্রয়োজনীয় একটা যন্ত্র বলে মনে হয়। বাসায় ল্যান্ড ফোন আছে। কারো খুব বেশী দরকার হলে সেখানে কল দিবে।

পার্কের উত্তর পাশটায় নদীর তীরে মানুষের আনাগোনা একটু বেশী। সে মানুষ দেখতে পছন্দ করে। মানুষের জীবনের স্বার্থকতা সে কতো বেশী রকমের মানুষ দেখতে পারলো।মানুষ দেখার মতো আনন্দের আর কিছু নাই। লাল সবুজ নীল সাদা কালো মনের মানুষ... অলস ধূর্ত চতুর স্বার্থপর মুখোশধারী ছদ্মবেশী নির্লজ্জ নির্মোহ পরোপকারী ভাবলেশহীন... আরো কতো ধরন! তবে সবাই মানুষ দেখে মজা পায় না। সবার এতো সময় নাই। জহির উদ্দিনের মানুষ দেখা এখনো শেষ হয়নি।

বুড়ো বট গাছের নীচে লোহার ফ্রেমে কাঠের পুরনো বেঞ্চে অপেক্ষায় আছে অজয়। একই স্কুল থেকে বছর চারেক আগে এক মাসের ব্যাবধানে তারা অবসর নিয়েছে।
জহির উদ্দিন অজয় এর পাশে বসে নদীর দিকে তাকিয়ে বসে আছে। কেউ কোন কথা বলছে না। সামনের পায়ে হাটা পথে দুই তিন জনের দল হেটে যেতে যেতে কথা বলছে। কেউ গম্ভীর কেউ কথা বলতে বলতে হেসে ফেটে পড়ছে। তারা দুজনে মানুষের হেটে যাওয়া দেখছে কথা বলা শুনছে।
দুই নারী হেটে যেতে যেতে কথা বলছে।বয়স ত্রিশ বত্রিশ হবে। প্রথম নারী বলে-কুত্তার বাচ্চার মোবাইল পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখে। পাসওয়ার্ড চুরি করে ফেসবুক ভাইবার হটসঅ্যাপ চেক করলাম। তিনটা কুমারী মেয়ের সাথে তার সম্পর্ক!
-তুই শালা বসে বসে আঙ্গুল না চুষে শুরু কর। তোর সাবেক মজনু তো এখনো বিয়ে করেনি...
জহির আর অজয় ভাবলেশহীন তাকিয়ে আছে নদীর দিকে।

তার পর এগিয়ে আসছে তিনজন মধ্যবয়সী নারী । তাদের দুজনের মুখে হাসির চমক। একজন বলছে -ভাবী জানেন আমার মেয়েটা মেডিক্যালে চান্স পাইবো স্বপ্নেও কল্পণা করিনাই। আগের রাইতে দেড় লাখ টেকায় প্রশ্ন কিইন্যা দিছি।
-যাই বলেন আপনে ধরা খাইছেন। এই প্রশ্ন একশ টেকায় পাওয়া গেছে। আমার ছেলে একশ টেকায় কিনছে। পাশের মহিলাটি মুখ গম্ভীর করে পিছনে হেটে যাচ্ছে। তৃতীয় মহিলার বেদনা ভরা মুখ দুই বন্ধুর চোখ ফাঁকি দিতে পারেনি।
এবার তাদের বয়সী দুজন বৃদ্ধের আগমন দেখে দুজনেই ভালো কিছু শুনতে আশাবাদী। আগ্রহ নিয়ে কান পেতে বসে আছে। ক্রমেই কাছে আসছে দুজন। শব্দ গুলো আরো স্পষ্ট হচ্ছে।
-পেনশনের টাকা তুলে ভেবেছিলাম একটা বাড়ি বানাবো। ছেলের চাকরীর ঘুষ দিতে হলো সতেরো লাখ টাকা। প্রথম বৃদ্ধ বলছে।
-তোমার তো যাই হোক একটা কাজে লেগেছে টাকাটা। আমার ছেলেটার নেশা আর চিকিৎসার পিছনে সব ঢালতে হলো। মানুষ করতে পারলাম না। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে পাশের বৃদ্ধটি বলে।


-অজয়?
-হুম।
-নদীটার বয়স কতো জানো?
-না, তুমি জানো?
-না, তবে এটা জানি নদীটা তোমার আর আমার মতোই বুড়া। মানুষ বলে মরা নদী, আসলে এর মরন নাই। তোমার আমার মরন আছে ওর নাই। নদীটা মরার ভান করে ঘুমিয়ে আছে। ঘুম ভাঙলে রক্ষা নাই। এই শহর বসতবাড়ি সব ভাসিয়ে নিবে, সব। একটা ভূমিকম্পে নদীটা ঘুমিয়েছে আরেকটা ভূমিকম্পে তার ঘুম ভাঙবে...
-তুমি কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর দাওনি। অজয় বলে।
জহিরের মনে আছে সব। তবুও জানতে চায় -কোন প্রশ্নটার কথা বলছো?
-ঐ যে জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা।
-আমার জীবনের শেষ ইচ্ছা পূরণ হবে না দোস্ত। এই ইচ্ছা পূরণ হয়না।
-আচ্ছা তুমি কি এই সোনার বাংলাকে ভালোবাসো? এইখানে জন্ম নিয়ে তোমার জীবন সত্যিই ধন্য?
-বিপদে ফেললে দোস্ত। কোন উত্তর দিয়া কি মুসকিলে পড়ি বুঝতে পাড়ছি না।
-সত্যি কথা বলো।
-সত্যি বললে দোস্ত তুমি যেই কারণে প্রশ্নটা করেছ, যেই উত্তর তোমার আমারও তাই। আমরা সবাই মিথ্যাবাদী। আমরা সবাই বলি আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।আসলে আমরা কেউ সোনার বাংলাকে ভালোবাসি না। কেউ কেউ বাসে তারা ভিক্ষুক অসহায় বাংলাকে দেয়ার মতো তাদের হাতে কিছু নাই। অজয় বলে।

-আমার জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা শুনবা? শোন। তোমার মনে আছে ছোট কালে বড়রা জানতে চাইতো বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও?
-হ্যা মনে আছে।
-তুমি কি উত্তর দিতে?
-মনে নাই।অজয় বলে।
-আমার মনে আছে। আমি কোন উত্তর দিতে পারতাম না। সারা জীবন শুধু চিন্তা করেছি। নিজের কাছে জানতে চাইছি বড় হয়ে আসলে আমি কি হতে চাই। জীবন পার হলো। শেষ বয়সে এসে একটা উত্তর পাওয়া গেলো। শুনবে কি সেইটা? অজয় আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে রইলো।
জহির বলে যাচ্ছে -আমি আবার শিশু হয়ে পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হতে চাই। উৎকৃষ্ট মানুষের সমাজে যেখানে শুধুই মানুষ থাকবে। শুধুই মানুষ। হোক তা অসভ্য জীব জন্তুর মাঝে গহীন বনে।

একজন মাঝ বয়সী যুবক তাদের দিকে এগিয়ে আসছে। আরও কাছে এসে -স্যার আসসালামুয়ালাইকুম, স্যার আদাব। দুজনের পা ছুঁয়ে আবার সালাম করছে। চিনতে পেরেছেন স্যার? দুজনের দিকেই তাকিয়ে প্রশ্ন করে।
-তুই মিনহাজ না? অজয় বলে।
-জি স্যার, আমি এইটটি নাইনের মিনহাজ।
-হ্যা মনে পড়ছে। তো তুই এখন কোথায় আছিস? জহির বলে।
-আমি স্যার দুবাইতে এ্যামিরেটস্ টেলিকমুনিকেশন কর্পোরেশনে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করছি।
-তোকে দেখে মনটা ভরে গেলো বাবা। আজকের দিনটা মনে হয় খুব ভালো যাবে। জহির আবেগাপ্লুত হয়ে হাত ধরে টেনে মিনহাজকে পাশে বসায়।

জহির উদ্দিন তার মনের গোপন ইচ্ছা থেকে পিছিয়ে এসেছে। সে আর আত্মহত্যার কথা ভাবছে না। মানুষ দেখা তার শেষ হয়নি এখনো। মানুষ দেখা জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতার পূর্ণতা না আসা পর্যন্ত সে বাঁচতে চায়। শত শত টন কাঁকড় বালি পাথর থেকে যেমন সামান্য কয়েক গ্রাম সোনা পাওয়া যায় তেমনই লাখ লাখ মানুষের ভিড়ে কিছু মানুষ খুঁজে বের করতে হয়। জহির উদ্দিনের কাছে মানুষই পৃথিবী মানুষই সময়। গোটা জীবনে মাত্র কিছু কিছু সময় শুধু সোনা বাকীটা কাঁকড় বালি পাথর ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এশরার লতিফ বিচারকের ভোটে কিন্তু আপনি দ্বিতীয়, তাই আপনাকেও অভিনন্দন।
এফ, আই , জুয়েল অনেক সুন্দর একটি গল্প ।।
অনেক ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন ।..লাখ লাখ মানুষের ভিড়ে কিছু মানুষ...। হয়তো। অথবা হয়তো কোটিকোটি মানুষের ভিড়ে লাখলাখ ভাল মানুষ আছে, চিনে নিতে পারিনা। ভাল লিখেছেন। শুভেচ্ছা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।
সেলিনা ইসলাম মিনহাজের মত ভাল ছাত্ররা দেশ ছেড়ে বিদেশে তাদের মেধা কাজে লাগায়। আর অশিক্ষিতরা থেকে যায় দেশের মাটিতে! দুই একজন যারা মাটির টানে থেকে যায় তারা ঐ অশিক্ষিতদের হাতে জিম্মি হয়ে জীবন যাপন করে! বিদেশে যাওয়া ছাত্ররা শিক্ষাটা দেশ থেকে নিলেও,দেশে আর ফিরে আসে না। এই শিক্ষিত মানুষগুলো দেশে ফিরে দেশের জন্য ভাল কিছু করতে চাইলেও সেভাবে সুযোগ পায় না। আবার কেউ কেউ সুযোগ পেলেও দেশের পরিস্থিতিতে নিজেকে খাপখাওয়াতে পারে না! তারা দেশ ছেড়ে চলে গিয়ে মূর্খদের সুযোগ করে দিয়েছে! এই অমূল্য মেধা পাচারের কারণেই দেশ আজ হুমকির মুখে। গল্পে মোবাইলের অপব্যবহারের পাশাপাশি প্রশ্ন ফাঁসের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গল্পে তুলে আনা হয়েছে!এসব কিছুর জন্য অনেকটাই দায়ী অভিবাবকগন। যারা সন্তানের মঙ্গল চান তারা কখনোই সন্তানের হাতে টাকা দিয়ে কিনে প্রশ্ন তুলে দিবে না।যদি কোন অভিবাবকই ব্যপারটাতে আগ্রহ না দেখায় তাহলে যারা এই অন্যায় কাজে জড়িত তারাও আর কাজটি করতে উৎসাহ পাবে না।একটা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য তাদের শিক্ষার মান অনুন্নত করা এবং মেধাকে পাচার করাই যথেষ্ট।গল্পের থিম অসাধারণ লাগল। তবে গল্পের উপাস্থাপনা এবং ধারাবাহিকতা আরও একটু পালিশ দরকার ছিল।আপনি অনেক ভাল লেখান ভাই শুভকামনা নিরন্তর।
অনেক ধন্যবাদ আপা সুচিন্তিত মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন সব সময়।
রেজওয়ানা আলী তনিমা আপনার লেখনি সুন্দর , একটি সাধারন চিত্রও বাস্তবসম্মত হয়ে উঠে এসেছে , শুভেচ্ছা ও ভোট থাকলো
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।
এশরার লতিফ সুন্দর লিখেছেন।একটা সমাজ যেখানে প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে অথচ বিজ্ঞান এগুচ্ছে না, অর্জন হচ্ছে কিন্ত এর পেছনে শ্রম দেয়া হচ্ছে না। তারপরও দেশটির উন্নয়ন হচ্ছে কিছু ভালো, পরিশ্রমী এবং মেধাবী মানুষের জন্য। বালি, কাঁকড় পাথরের ভেতর এরা অল্প হলেও ঝলমল করে।
আমাদের সমাজে প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সমাজের আমরা যারা আছি সেই গতিতে ভিতরে বাইরে পিছিয়ে থাকছি... অনেক ধন্যবাদ এশরার লতিফ ভাই। আপনার লেখার সাথে প্রতিযোগিতা করা অনেক অনেক কঠিন কাজ... আপনার মতো অনেক ভালো লেখককে এই সাইটে ইদানিং দেখছি না। আপনাকে আশা করছি বছরের পর বছর। আমাদেরকে হতাশ করে আপনি থেমে যাবেন না কিন্তু।
Salma Siddika খুব ভালো লিখেছেন। ভালো শিক্ষক ভালো মানুষ তৈরীতে এগিয়ে আসুক, ভালো মানুষের এখন দারুন অভাব। জহির উদ্দিন আত্মহত্যার কথা কেন ভাবছিলো সেটা ঠিক বুঝতে পারিনি। শুভকামনা রইলো।
অনেক ধন্যবাদ। জহির উদ্দিন নিজেকে এই সমাজের একজন অবাঞ্চিত মানুষ ভাবছিলো। পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে খুব বেশী হতাশা কাজ করছিলো। তাই আত্মহত্যার কথা ভাবছিলো। তাকে মূল্যায়ন করার মতো মানুষ এখনো শেষ হয়ে যায়নি এই বিষয়টা আবিস্কার হওয়ার পর সে এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে।
আগামী সংখ্যায় আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
Fahmida Bari Bipu প্রত্যেকের কাছে প্রত্যাশা এক পর্যায়ের থাকে না। লেখাটি গতানুগতিক মনে হয়েছে। খুব চেনা কাহিনী। কী একটা অভাব যেন বোধ করলাম।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আশা করি গল্পটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্তই পড়েছেন... প্রত্যাশার বিষয়টি আসলে ঠিক বুঝতে পারলাম না... এক সময়ের অসঙ্গতি ও ব্যতিক্রমের সাথে সমাজ যখন একাকার হয়ে যায় তখনই বিষয়টি গতানুগতিক মনে হয়। সেই সমাজেও জহির উদ্দিন আর অজয়ের মতো কিছু ব্যতিক্রম চিন্তার সেকেলে (!) মানুষ থেকে যায়। আর অভাব বোধ সম্পর্কে অবগত করলে উপকৃত হতাম। ভালো থাকুন।
লেখাটাকে গতানুগতিক মনে হয়েছে, আর বিষয় তো গতানুগতিক হতে পারে না তাই না? আপনি যে কোন বিষয় নিয়েই লিখতে পারেন। তা সমাজের অসংগতি হতে পারে অথবা অন্য কিছু। নিত্য ঘটে যাওয়া বিষয়কেই দক্ষতার সাথে তুলে আনার ব্যাপারে বলছি। আর বেশি কিছু অবগত করতে চাচ্ছি না। এটুকুই যথেষ্ট। :)
হুমায়ূন কবির অনেক দিন আপনার লিখা পড়া হয়নি। খুব ভালোলাগল, শুভেচ্ছা আর ভালবাসা রইল।
অনেক ধন্যবাদ হুমায়ূন ভাই। ভালো থাকুন আপনি।
ফয়সল সৈয়দ বরাবরের মতোন পাঠমুগ্ধ। দারূণভাবে সমাজের অবক্ষয়গুলো তোলে এনেছেন গল্পে। জহির উদ্দীনের মতোন আমি মানূষ দেখার, চেনার প্রতীক্ষায় থাকি, প্রহর গুনি। কত বি্চিএ মানূষ আছে পৃথিবীতে। শুভ কামনা রইল। রেখে গেলাম ভোট ও।
অনেক ধন্যবাদ ফয়সল ভাই। সত্যিই পৃথিবীটা বিচিত্র ও রহস্যময় মানুষে ভরা। সবাই মুখ লুকিয়ে নিজেকে মানুষ হিসেবেই তুলে ধরতে চায়। বাস্তবে জানিনা আসলে কতোটা মানুষ আমি...

২৫ মে - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৪৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪