আমার আপন আঁধার

অন্ধকার (জুন ২০১৩)

সুপণ শাহরিয়ার
  • 0
“সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে বুবু’র নিষ্প্রাণ শরীর। পায়ের পাতা দু’টো ঝুলানো শূণ্যে, বেড থেকে ঠিক চার আঙুল উপরে। তাঁর শরীরে আকাশী রঙের একটা ড্রেস, ড্রেসটা মৃদু বাতাসে উড়ছে, মৃদু মৃদুই উড়ছে। নাকের বাঁ’ ছিদ্র থেকে বেরিয়ে নিচের দিকে নেমে এসেছে একটা চিকোণ রক্তের ধারা, আপাতত জমাট বেঁধে খয়েরী বর্ণ ধারণ করেছে সে রক্তধারা। ...”


পার্সোনাল কম্প্যুটারের কীবোর্ডে খট্ খট্ শব্দ তুলে এগিয়ে চলেছে আমার হাত- অপূর্ণ পান্ডুলিপির জমিন পূর্ণ করতে সকর্মক হাতে এগিয়ে চলেছেন পাঠকনন্দিত তরুণ কথাশিল্পী শ্রেয়ণ ইন্তেখাব।








সঙ্গে সঙ্গে বুবু দাঁড়িয়ে পড়লো।
দাঁড়িয়ে গেলাম আমিও, এবং ঝট্ করে ফিরে তাকালাম পিছে- রাস্তার পাশে আম গাছের ছায়ায় বসে তাস খেলছে আমার বয়সের কয়েকটা যুবক। দেখে ধারণা হয় তাস খেলাতেই তাদের সমস্ত মনোযোগ, অন্য কোনো দিকে তাদের কোনো রকম আগ্রহ নেই। অথচ একটু ক্ষণ আগে তাদের মধ্য থেকেই লম্বা করে একটা শিষ বাজানোর আওয়াজ ভেসে এসেছে আমাদের কানে।
এটা কেবল আজকের ঘটনা না, এটা প্রতিদিনের ঘটনা। কলেজ শেষে আমি আর বুবু যখন প্রতিদিন বাসায় ফিরি, যুবকগুলো আম গাছটার ছায়ায় বসে প্রতিদিনই তাস খেলে। তাদেরকে অতিক্রম করে আসার পরপরই আমাদের কানে শিষ বাজাবার একটা কিংবা একাধিক আওয়াজ ভেসে আসে। বুবু কখনো পিছু ফেরে না, কিন্তু আমি যদি কদাচিৎ ফিরে তাকাই, দেখি যুবকগুলো তাস খেলায়ই মগ্ন। তারপর মাথা ঘুরিয়ে নেয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। কিন্তু মাথা ঘুরিয়ে নিতে নিতেই আবার শুনতে পাই আওয়াজটা। তারপর পিছু ফিরে আর তাকাতে ইচ্ছে করে না, তাকানো হয়ও না- পা উঠোই বাসার উদ্দেশ্যে। এবং পা উঠোবার সাথে সাথেই শুনতে পাই বুবু’কে লক্ষ্য করে তারা নোংরা নোংরা কী সব কথা বলছে। শুনতেও ঘেন্না লাগে।
আজও, মাথা ঘুরিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করবো, অম্নি শুনতে পেলাম বুবু’কে উদ্দেশ করে নোংরা কথাগুলো বলতে শুরু করেছে যুবকগুলো। তীব্র ক্রোধে শরীরের শিরা-উপশিরাগুলো ফুলে উঠলো আমার। এমন ক্রোধ আমি আগেও অনুভব করেছি, কিন্তু পুনরায় পিছু ফিরি নি কোনোদিন। আজই প্রথম, পুনরায় পিছু ফিরে দাঁড়ালাম আমি- শুয়োরের বাচ্চাগুলোকে কিছু বলা দরকার।
‘শ্রেয়ণ!’
বুবু’র ডাক শুনে আমি জিজ্ঞাসু চোখ করে তাকালাম বুবু’র দিকে। বুবু বললো, ‘চল শ্রেয়ণ।’
‘কোথায়?’
‘বাসায় চল।’
‘কিন্তু শুয়োরের বাচ্চাগুলোকে কিছু বলা দরকার।’
‘একজন মানুষ হয়ে পশুদেরকে তুই কী বলবি?’
বুবু’কে দেবার মতো কোনো জবাব আমি খুঁজে পেলাম না আপাতত- একদম চুপ করে গেলাম আমি। এবং সেভাবেই স্থির হয়ে রইলাম কিছুক্ষণ। পরপরই বুবু খুব করে চেপে ধরলো আমার ডান হাতটা, এবং প্রায় প্রার্থনা করে বললো, ‘চল ভাই।’




বুবু’র কথা শুনেই চমকে উঠলাম আমি।
আজ গায়ে খুব জ্বর, তাই কলেজ যাই নি আমি, সকাল থেকেই শুয়ে আছি বিছানায়। কিন্তু বুবু যখন ভার্সিটি থেকে ফিরেই কথাটা শোনালো, ভয়ে চমকে উঠলাম সাথে সাথে, সমস্ত শরীরটা আমার আপনা থেকেই কেঁপে উঠলো একবার। প্রায় চিৎকার দিয়ে উঠে বসলাম পরক্ষণেই। বললাম, ‘কী বলছিস বুবু!’
স্বাভাবিক কন্ঠেই বুবু বললো, ‘হ্যাঁ শ্রেয়ণ।’
আমি বললাম, ‘কাজটা তুই ঠিক করিস নি বুবু।’
বুবু দৃঢ় কন্ঠে এবার বললো, ‘কাজটা আমি অবশ্যই ঠিক করেছি। এবং কাজটাকে যদি শতকরা হিসেবে মাপা হয়, তাহলে আমি বলবো- আমি একশত ভাগ সঠিক একটা কাজ করেছি।’
কথাটা বলে বুবু চলে গেলো ঘর থেকে। আমিও কিছু বললাম না আর, চুপচাপ বসে রইলাম। হঠাৎ করেই অনুধাবন করলাম আমার ভেতরকার ভয়টা ক্রমেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। শিরদাড়াটা ক্রমশ হীম হয়ে যাচ্ছে।

কলেজফেরার পথে প্রতিদিন উত্যাক্ত করতে থাকা যুবকগুলোর কোনো একজনের গালে চড় কষে এসেছে বুবু আজ- যে যুবকগুলোর একজনের দ্বারা গত বছর অ্যাসিডে ঝলসে গিয়েছিলো আমাদেরই কলেজের একটি মেয়ের সুন্দর মুখ।

*****
ঘড়িতে সাড়ে আটটা বাজে- সকাল সাড়ে আটটা।
ঘরে ঢুকে ডান হাতটা আমার কপালে স্পর্শ করে বুবু বললো, ‘কী রে শ্রেয়ণ, এখন কেমন বোধ করছিস?’
বুবু’র কথার জবাব দেবার আগেই রান্নাঘর থেকে মা’র কন্ঠ শোনা গেলো। উচ্চস্বরে মা ডাক দিলেন বুবু’কে- ‘শ্রেয়া।’
মা’র কন্ঠ মেপে কন্ঠ উঁচু করলো বুবুও। বললো, ‘কী, মা?’
‘বলছিলাম যে শ্রেয়ণের কিছু ওষুধ আনতে হবে।’
‘প্রেসক্রিপশন কোথায় মা? আমি ফেরার পথেই ...।’
সমাপ্তিহীন কথাতেই থামিয়ে দিলাম বুবু’কে, একরকম ভয় পাওয়া কন্ঠে আমি বললাম, ‘বুবু, তুই ভার্সিটি যাচ্ছিস আজ? তাও এই একা একা?’
বুবু আমার ভয় পাওয়াকে গুরুত্ব দিলো না একটুও- একদম স্বাভাবিক কন্ঠে বললো, ‘হ্যাঁ, যাচ্ছি।’
বুবু কি তবে ভুলে গেছে কালকের কথা, গতকাল যে সে একটা বখাটের গালে চড় বসিয়ে এসেছে- সে কথা, এজন্যে তার বিপদ হতে পারে- সে কথা। কেমন এক ভয়ার্ত চোখ করে আমি বুবু’র দিকে তাকালাম। আস্তে করে বললাম, ‘বুবু।’
‘যা বলবি- বল।’
‘আজ তোকে যেতে হবে না।’
‘যেতে হবে না? মানে?’
‘মানে, বলছিলাম যে, ওরা তোকে একা পেয়ে যদি ...।’
কথা শেষ না করেই থেমে গেলাম আমি। সঙ্গে সঙ্গে এক টুকরো হাসি ছড়িয়ে পড়লো বুবু’র সারা মুখে। মিচমিচ করে হাসতে হাসতে সে বললো, ‘ও, এই কথা? শোন, কাউকে বলিস নে যেনো, কলঙ্কের কথা- এখনো বিয়ে হলো না, সংসার-টংসার কিছু করলাম না, মাঝখান থেকে চার-পাঁচটা ছেলের মা হয়ে গেলাম। তাও আবার বুড়ো বুড়ো ছেলের মা। কী লজ্জার কথা!’
‘মানে কী?’
‘মানে হলো- কাল একটাকে এমন থাপ্পড় কষেছি, যে এখন থেকে আর ডিস্টার্ব তো করবেই না, বরং দেখা হলেই সালাম করবে, ‘মা’, ‘মা’ বলে ডাকবে। তুই দেখে নিস।’
আমি অবাক হলাম, একটু বেশি ভয়ও পেলাম- বখাটে যুবকগুলোর উৎপাতে সদা সন্ত্রস্ত যে বুবু, সে আজ হঠাৎ এমন সাহসী হয়ে উঠলো কীভাবে?
‘দেখলি- জিজ্ঞেস করলাম প্রেসক্রিপশনটা কোথায়, বললো না। মা’টা যে কী! এখন আমাকে আবার রান্নাঘরে যেতে হবে ওটা শুনতে।’ বলেই বুবু ঘুরে দাঁড়ালো। কিন্তু পরক্ষণেই আবার এদিক ফিরলো, এবং সরে এলো আমার কাছে। দৃঢ় কন্ঠে বললো, ‘শোন, বাঁদরকে লাই দিলে মাথায় ওঠে, লাথি দিলে ধারে-কাছেও ঘেসে না।’
কথাটা বলেই মাথার ভিতর হাত ঢুকিয়ে চুলগুলো আমার এলোমেলো করে দিয়ে বেরিয়ে গেলো বুবু।


*****
একটু ক্ষণ আগে পর্যন্তও ভয়টা ছিলো- বুবু’কে হয়তো ধরে নিয়ে গেছে বখাটে যুবকগুলো, এবং এতোক্ষণে ওরা হয়তো সম্মানের সবকিছু শেষ করে ফেলেছে বুবু’র। কিন্তু পুরো একটা দিন পর বুবু যখন ফিরে এলো এইমাত্র, বুবু’কে দেখে মনেই হলো না তেমনটা- বুবু’র সেই স্বাভাবিক পরিচ্ছন্ন চেহারা, শরীরে সেই অক্ষত পোষাক-আষাক, হাতে পরিপাটি বইপত্র।
উঠোনের মাঝামাঝি আসতেই বুবু’র সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম আমি। বললাম, ‘কাল কোথায় ছিলি বুবু?’
কিছু বললো না বুবু, চোখ দু’টো ম্লান করে আমার দিকে তাকালো শুধু।
মা দৌঁড়ে দৌঁড়ে এসে বুবু’কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন। কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘কোথায় ছিলি মা? তোর খালা, মামা, ফুপু- সবার বাসায় খোঁজ নিয়েছি- কোথাও তুই নেই। কোনো বান্ধবীর বাসায় ছিলি বুঝি?’
বুবু প্রথমেই ম্লান করা সেই দু’টো চোখ ঘুরিয়ে নিলো মা’র দিকে, জবাব দিলো না কোনো। আমি বললাম, ‘হ্যাঁ বুবু, শুধু আত্মীয় বাড়িতেই না, আমার জানা-শোনা তোর সব ফ্রেন্ডের বাসাতেও খোঁজ নিয়েছি। শুধু বীভা আপুদের বাসায় খোঁজ নেয়া হয় নি- বাসাও চিনি নে, ফোন নম্বরও জানা নেই। ওখানেই ছিলি বুঝি?’
এবারও কিছু বললো না, আগেকার চোখেই বুবু তাকালো আমার দিকে, আবার। পরক্ষণেই আমি গভীরভাবে তাকালাম বুবু’র চোখে, এবং চমকে উঠলাম সঙ্গে সঙ্গেই- বুবু’র চোখ দু’টো অস্বভাবিক নিস্প্রভ, মৃতের মতো প্রায়। ধাম করে কেঁপে উঠলো আমার সমস্ত শরীর- বুবু কি তবে বখাটে যুবকগুলোর হাতে আটকা পড়ে ছিলো কাল? এবং ...?




গলা থেকে ওড়নার ফাঁসটা খুলে ফেললাম দ্রুত, সাথে সাথে আমার কাঁধের উপর ঢলে পড়লো বুবু’র মৃত শরীর। প্রথমে বিছানার উপর বুবু’কে শুইয়ে দিলাম আস্তে করে। ওড়নাটা বুকের উপর বিছিয়ে দিতে গিয়ে থেমে গেলাম আমি- বুবু’র বুকের মাঝে কী একটা কাগজ গোঁজা, কাগজটার ক্ষাণিকটা অংশ বেরিয়ে আছে বাইরে। ওড়নাটা বুকের উপর বিছিয়ে দিয়ে কাগজটা উঠিয়ে নিলাম আমি আস্তে করে। ভাঁজ খুলে মেলে ধরলাম চোখের সামনে।
মা,
সেদিন আমি কোথাও যাই নি- না কোনো ফ্রেন্ডের বাসায়, না কোনো আত্মীয়ের বাসায়। তোমাকে বলেছিলাম না- কয়েকটা ছেলে প্রায়ই আমাকে উত্যাক্ত করে, আমাকে দেখলেই শিষ দেয়, আজেবাজে কথা বলে? ঐ জানোয়ারগুলো আমাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলো। একটা ঘরের ভেতর আমাকে আটকে রেখেছিলো সারাদিন। তারপর আমার উপর যা ঘটেছিলো তার বর্ণনা আমি দিতে পারবো না, আমার ঘেন্না লাগছে। ...

চিঠিটার প্রথম প্যারা শেষ হবার পর আমার আর পড়তে ইচ্ছে করলো না। ভাঁজ করে পকেটে ঢুকিয়ে রাখলাম।

*****
পোস্টমর্টেম শেষে ফিরে এসেছে বুবু’র লাশ।
বুবু’র গলা জড়িয়ে ধরে মা চিৎকার করে কাঁদছেন, আর প্রলাপ বকছেন। চারপাশে অনেক লোকের ভিড়। কাঁদছে আরো অনেকেও। বড়ো খালা এসেছেন, কাঁদছেন। ফুপু এসেছেন, কাঁদছেন। অনেক স্বজন এসেছে, মন খারাপ সবার।

মা কাঁদছেন।
প্রথমে কাঁদতে চেয়েছিলাম আমিও, বুবু’কে জড়িয়ে ধরে প্রচন্ড কাঁদতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে, আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না, আমার ভেতরটাতে যেনো কিছু একটা ঘটে গেলো- প্রিয় বুবু’কে হারিয়েছি, কষ্টে ভেঙে যাচ্ছিলো বুক, এখন সে কষ্টটা নেই, নিভে গেছে একদম; কাঁদছিলেন মা, কাঁদছিলো আরো অনেকে, সেসব কান্না ভেসে আসছিলো কানে, এখন শুনতে পাচ্ছি নে কিচ্ছু; কান্না আসছিলো আমারও, কেবল জল এসে গিয়েছিলো চোখে, কিন্তু সে জল গড়িয়ে পড়বার আগেই নিঃশেষ হয়ে এলো সব বেদনার অনুভূতি। মস্তিষ্কের নিওরনগুলো মেতে উঠলো নেশায়- বুবু’র এ ঘটনাটা নিয়ে একটা গল্প হতে পারে, হ্যাঁ, পাঠকের পছন্দনীয় একটা গল্প। গল্প, হ্যাঁ গল্প।
আমি ক্রমেই আমার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলতে থাকলাম। কোনো এক অদৃশ্য শক্তি আমাকে চুম্বকের মতো টানছে আমার রুমের দিকে। বুবু’র কাফন বাকি, বুবু’র জানাযা বাকি, দাফন বাকি- ভুলে গেলাম আপাতত সব। স-ব। এবং ঝট্ করে ঘুরে দাঁড়ালাম আমি- আমার চোখের সামনে আমার রুম, রুমের জানালার পাশেই আমার চেয়ার-টেবিল, টেবিলের উপর একটা ১৭ ইঞ্চি মনিটর, একটা কীবোর্ড, একটা মাউস, ...।
আমি বোধহয় এখন লিখতে বসবো- কে বলবে, একজন জনপ্রিয় লেখক হিসেবে এটার চেয়েও অধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আমার আর আছে কি-না।




“সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে বুবু’র নিষ্প্রাণ শরীর। পায়ের পাতা দু’টো ঝুলানো শূণ্যে, বেড থেকে ঠিক চার আঙুল উপরে। ...”
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সামিহা নওরিন মুমু সমাজের একটা বাস্তব চিত্র এঁকেছেন ভাই। ধন্যবাদ।
মিলন বনিক সুন্দর গল্প...জীবন্ত এবং নিরেট নিষ্টুর বাস্তবতা গল্পে ফুটে উটেছে....খুব ভালো লাগলো...শুভ কামনা....
রোদের ছায়া আমার প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেড এর একটা বই এর নামে আপনার গল্পের নাম দেখে খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তে এলাম । ভালই লাগলো ।
তাপসকিরণ রায় লেখাটি পড়ে ভাল লাগল--কাহিনী সত্যি দুঃখ জনক।তবে গল্পের বুনন বেশ ভাল বলতে হবে।
এশরার লতিফ গল্পের উত্তম পুরুষ একজন লেখক। লেখকদের অনেক সময়ই ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হয়। তবে শ্রেয়নের অভিব্যক্তি অনেকটা স্বার্থপরতার মত মনে হলো। অথবা এটা হয়তো ওর জন্য একটা তাৎক্ষণিক আশ্রয়। ভালো লাগলো গল্পটি।

২১ মে - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪