ছায়া

ভয় (এপ্রিল ২০১৫)

Tumpa Broken Angel
  • ১১
পার্কের বেঞ্চিতে বসে আড় চোখে নিজের বক্রাকার ছায়াটির দিকে তাকিয়ে আছেন বদর সাহেব। সূর্য এখন মধ্য গণনে বুকের সব উষ্ণতা ছড়িয়ে দিচ্ছে পৃথিবীর বুকে। অনবরত ঘাম মাথার তালু থেকে গড়িয়ে পড়ে চিটচিটে করে দিচ্ছে বদর সাহেবের শার্টের কলার। কড়া রোদের এমন উজ্জ্বল দিনেও একটা ভয় চিনচিন করে নেমে যায় তার মেরুদণ্ড বেয়ে। তিনি কিছুতেই তার ছায়ার দিক থেকে চোখ সরাচ্ছেন না। বুঝতে চাইছেন এটি তার মস্তিষ্কের খেলা নাকি অতিপ্রাকৃত কিছু ঘটে চলেছে তাকে ঘিরে। প্রখর সূর্য রশ্মিগুলো এখন স্ফুলিঙ্গের মত চোখের সামনে বেগুনী লাল কালচে প্রতিবিম্ভের জন্ম দিচ্ছে। চোখ জ্বালা করছে তার। টানা এক ঘন্টা এক নাগাড়ে নিজের ছায়ার দিকে চেয়ে থেকে যখন ক্লান্ত মস্তিকের ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে দিয়ে এই মানসিক যন্ত্রণার একটা উপসংহার টানবেন বলে ঠিক করলেন তখনই ঘটল বিপত্তি। তিনি দেখতে পাচ্ছেন ছায়াটি তার আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে তার থেকে। তিনি চোখ মুদে আবার তাকালেন। এভাবে কয়েকবার চোখ মুদে তাকানোর পর নিশ্চিত হলেন সত্যি সত্যি তার ছায়াটি তার থেকে সরে যাচ্ছে। একটু একটু করে গুটি গুটি পায়ে সামনে এগোচ্ছে।

বদর সাহেব উঠে দাঁড়িয়ে তাকালেন নিজের চারপাশে। অদ্ভুত! তার কোন ছায়া নেই এই মুহূর্তে। তার ছায়াটি একটু একটু করে তাকে ছেড়ে কোথায় যেন যাচ্ছে। বদর সাহেব তার পিছু নিলেন। ছায়াটি পার্কের বিশাল বট গাছের দিকে এগিয়ে চলেছে। বট গাছের ছায়ায় ক্ষণিকের জন্য তার অস্তিত্ব বিলীন হলেও আবার প্রখোর রোদে বিশালাকায় মানুষের কালো প্রতিবিম্ভ করে এগিয়ে চলেছে। বদর সাহেবও তার পিছু পিছু হাঁটছেন। একবার ভাবলেন বটগাছের পাশে বসা প্রেমিক প্রেমিকা যুগলকে ডেকে জিজ্ঞাসা করবেন -''এই তোমরা কি আমার কোন ছায়া দেখছো?'' পরক্ষণেই এই ভাবনাকে প্রত্যাখ্যান করে দিলেন। তারা তাকে পাগল ভেবে বসতে পারে। আর বদর সাহেবের বয়স পঞ্চাশের কোঠায়। এই বয়সে এমন হ্যালুসিনেশন একটু হতেই পারে। তাই বলে অন্যকে ডেকে বিরক্ত করা অনুচিত।

বদর সাহেব ছায়াটির পিছু পিছু বেশ কিছু দূর চলে আসলেন। মধ্যদুপুর। এই সময়ে পার্ক বলা যায় মানবশুন্য। শুধু মাঝে মাঝে গাছের আড়ালে যুগল কপোত কপোতী ছাড়া আর কাউকেই তেমন চোখে পড়ছে না। কিছু দূরে চটপটি ফুচকা বিক্রেতা ছেলেটি দাঁড়িয়ে হাঁড়িতে কি যেন নাড়ছে। চটপটির ডাল বোধয়। মাটির চুলো থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দূর থেকেও চোখে পড়ছে তার। ছায়াটি গিয়ে থামল ঠিক তার পেছনে। বদর সাহেব তার উদ্দেশ্য বুঝে চিৎকার করে ছেলেটিকে সাবধান করার আগেই চোখের পলকে ঘটে গেলো অঘটন।

ছায়াটি গরম হাঁড়ি সুদ্ধ চুলোটি ছেলেটির গায়ে ফেলে দিয়েছে। ছেলেটি পোড়ার যন্ত্রণায় মাগো বলে চিৎকার জুড়ে দিয়েছে। আশে পাশ থেকে বহু লোক জোড়ো হয়েছে। বদর সাহেব এগিয়ে গেলেন সবার আগে। ছেলেটিকে উদ্ধার করে সি এন জি যোগে হাসপাতালে নিয়ে চললেন। তারপর তাকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে দিলেন। চিকিৎসার যাবতীয় খরচা পাতি দিয়ে তার ফোন নাম্বার দিয়ে আসলেন। সাথে এও বলে আসলেন কোন সমস্যা হলে যেন সাথে সাথে তাকে ফোন করে জানায়। তার চিকিৎসার সব দায়িত্ব তার। ছেলেটির কৃতজ্ঞ হয়ে চোখ ভিজিয়ে বলেছে,''আপনার মত মানুষ অয় না স্যার। ঐখানে কত লোক ছিল। সবাই খাঁড়ায় খাঁড়ায় তামাসা দেকছে। আর আপনে আমারে উদ্ধার কইরা হাসপাতালে নিয়া আসছেন। আপনার ঋণ কেমনে শোধ করুম স্যার।''
বদর সাহেব তার মাথায় সান্ত্বনার হাত রেখে জিজ্ঞাসা করলেন-''তুমি কি করে পুড়লে বলো তো?''
-স্যার মনে অইল কে যেন চুলাডা ধাক্কা দিয়া আমার উপর ফালায় দিসে। ভর দুপুর। জ্বীন পরী আইছিল মনে অয়।''

বদর সাহেব তাকে আর কিছু জিজ্ঞাসা করলেন না। সি এন জি নিয়ে বাড়ির পথ ধরলেন।

এতক্ষণে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা। সূর্য পশ্চিম আকাশে লাল আভা ছড়াচ্ছে। তিনি পেছনের সিটে গা এলিয়ে দিয়ে বসলেন। ক্লান্তিতে চোখ বুজে আসছে তার। তবু মস্তিষ্ক জুড়ে ভাবনার ঝড়। তার সাথে এ সব কি ঘটে চলেছে! বাস্তবতার সাথে এর সেতু বন্ধন কোথায়? সব কিছু গুলিয়ে আসে বদর সাহেবের।
প্রথম তার ছায়ার নড়াচড়া লক্ষ্য করেছিলেন দু সপ্তাহ আগে। মধ্য রাতে হঠাৎ তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঠিক কি কারণে ভেঙ্গেছিল তিনি বুঝতে পারেন না। শুধু মনে হয় কেউ একজন তাকে ডাকছিল।
পাশে টেবিলের উপর একটি মোমবাতি পুড়তে পুড়তে প্রায় শেষ দশায়। রাতের বেলা কারেন্ট চলে যাবার পর ওটা নিভাতে ভুলে গিয়েছিলেন। আড়মোড়া ভেঙ্গে মোম নেভাতে ওঠার সময় চোখ পড়ে যায় ঘরের দেয়ালে নিজের ছায়ার উপর। মোমের আলোতে ওটা বিশাল আকার ধারণ করেছে। কিছুক্ষণ চেয়ে থাকেন ওটার দিকে। কিছুটা একটা অস্বাভাবিক! ঠিক কি তিনি ধরতে পারেন না। তার শরীর অকারণেই ছমছম করতে থাকে। এই বুড়ো বয়সে এই সামান্য জিনিস দেখে ভয় পাচ্ছেন বলে নিজেকে ধমক লাগান। কিন্তু পরক্ষণেই ঘটল ঘটনা। ছায়াটি তার বড় বড় পা ফেলে ঘরের দেয়ালে হাঁটতে থাকে। ভয়ে হাত পা যেন অবশ হয়ে যায় বদর সাহেবের। মুখ থেকে ফেনা উঠতে থাকে। কিছুক্ষণের জন্য সংজ্ঞা হারান। কিভাবে রাত পার হয় তিনি বুঝতে পারেন না।

সকাল বেলা কাজের মেয়ে সেলিনার ডাকে ঘুম ভাঙ্গে। ''স্যার ওমন ফেনা বাইর হইতাছে ক্যান আপনার মুখ দিয়া? ও স্যার! কিছু হইছে?''
বদর সাহেবের ঐ মুহূর্তে কাজের মেয়েটিকে বড্ড আপন মনে হয়। তিনি ভড় ভড় করে রাতের ঘটনা তার সামনে উগড়ে দেন। আর এটা যে তার ভুল ছিল ঘন্টা দুয়েক পরেই বুঝতে পারেন। সেলিনা পাশের ফ্ল্যাটের কাজের মেয়েটির সাথে গল্প করছে ,''বুঝছোস জুঁই আমাগো স্যারের মাথাডা মনে অয় আওলা হইয়া গেছে। বুইড়া বিয়া করে নাই আজীবন। অহন তারে দেকবো কেডা? আমি বাপু পারুম না। কাম ছাইড়া চইলা যামু।''

এর দু দিন পর বদর সাহেব সকালে ফুল গাছে পানি দিচ্ছিলেন। সকালের কুসুম রোদে টবের উপর পড়েছিল তার ছায়া। হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করলেন ছায়াটির নড়াচড়া। বড় বড় পা ফেলে ছায়াটি হেঁটে যাচ্ছে। ছানাবড়া চোখ নিয়ে তাকিয়ে থাকেন তিনি। ছায়া আস্তে আস্তে বাড়ির ওয়াল বেয়ে উঠে গেলো ছাঁদের উপর। ওখানে সেলিনা ও পাশের ফ্ল্যাটের কাজের মেয়ে জুই কাপড় ধুয়ে মেলে দিচ্ছিল। ছায়াটি গিয়ে দাঁড়ায় সেলিনার পেছনে। সে কিছু বুঝে উঠার আগে সজোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় চার তলা থেকে নিচে। বদর সাহেব দৌড়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে সেলিনা পরপারে পাড়ি জমিয়েছে। তার দেহের দিকে তাকিয়ে আঁতকে উঠেন তিনি। গলাটা অস্বাভাবিকভাবে বেঁকে গিয়ে পেছন দিকে চলে এসেছে। মনে হচ্ছে কেউ যেন মোটকে দিয়েছে। হাত দুটো ভেঙ্গে গিয়ে অদ্ভুত কায়দায় মাথার কাছে এসে জড়োসড়ো হয়ে আছে। চোখ দুটো যেন ঠিকরে বেরিয়ে আসবে। লাশ দেখেই বুঝা যায় সে মৃত!

পুলিশ এসে কয়েক দিন তদন্ত করে এক্সিডেন্টের উপর সব দোষ চাপিয়ে দিয়ে সেলিনার কেইস ফাইল বন্ধ করে দিলেন। কিন্তু বদর সাহেব স্বস্তি পেলেন না। মনে মনে অনুশোচনায় ভুগতে লাগলেন। সেলিনার মৃত্যুর জন্য তার নিজেকে অপরাধী মনে হতে থাকে। তারপর আজকের ফুচকা আলার সাথের এই ঘটনা। এগুলো কি করে ঘটছে কিছুই বুঝে আসে না তার। দু দিন ধরে ছায়াটির নড়াচড়া চোখে পড়লেই বুকের মধ্য হৃদপিন্ডটা খামচে ধরে। ব্যাথায় ছটফট করে উঠেন। এভাবে চলতে থাকলে নির্ঘাত মারা পড়বেন। পরদিন সাইকিয়াট্রিস্টের সাথে যোগাযোগ করবেন বলে ঠিক করেন। ডাক্তার দিয়ে আগে নিশ্চিত হওয়া যাক সব কারসাজি তার মস্তিষ্কের কিনা।

সাইকিয়াট্রিস্টের চেম্বারঃ
ডাক্তারের বয়স চল্লিশের কোঠায়। ঠোটের কোণে অনবরত একটা হাসি লেগেই আছে।
-তা বদর সাহেব। আপনি তাহলে আপনার ছায়ার নড়াচড়া দেখতে পান! আপনি কত দিন ধরে এটা দেখছেন?
-এই সপ্তাহ দুয়েক।
-আপনার ধারণা আপনার ছায়া খুন করেছে! অদ্ভুত! এই মুহূর্তে আপনি তাকে কি করতে দেখছেন?
-জ্বী এই মুহূর্তে সে স্বাভাবিক আছে।
তারপর আরো কিছু প্রশ্ন করে ডাক্তার তার HIGHER PSYCHIC ফানশন টেস্ট করলেন। বদর সাহেব ডাক্তারের প্রশ্নগুলোতে বিরক্ত হলেও ধৈর্যের সাথে তার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে গেলেন। এরপর ডাক্তার জানতেন চাইলেন,''আচ্ছা বদর সাহেব আপনার ছোটবেলা কেমন কেটেছে? ছোটবেলার কোন মজার বা বেদনার স্মৃতি আছে কি যা আপনার মনে দাগ কেটেছে? ''
-আমি ছোটবেলায় ছিলাম হত দরিদ্র। এতিমখানায় মানুষ। বাবা মার পরিচয় জানি না। আমার আর কি মজার স্মৃতি থাকবে বলুন? এতিমখানার স্যার আমার নাম রেখেছিলেন বদর। এটাকে বিকৃত করে সহপাঠীরা ডাকতো ভোঁদড়। একটু বোকা ছিলাম তো তাই। এটা তখন খুব মানসিক পীড়া দিতো। কিন্তু একটু বড় হবার পর গা সয়ে গেছে।
-আর বড়বেলার কোন স্মৃতি ? আপনি বিয়ে করেন নি কেন সারা জীবন?
-ভার্সিটি লাইফে একটা মেয়েকে খুব ভালোবাসতাম। ওর নাম ছিল ওনা। সেও আমাকে খুব ভালোবাসতো। কিন্তু তার মত সুন্দরী ,স্মার্ট মেয়ে আমার মত নোংরা পোশাকের হতদরিদ্রকে ভালোবাসবে এটা আমার কাছে অকল্পনীয়ই ছিল। একদিন ওনা আমাকে বলল বিয়ের কথা। আমি ভাবলাম বড় লোক বাবার একমাত্র মেয়ের মনে উঠা হঠাৎ খেয়াল। এই আবেগ তো আর সারা জীবন থাকবে না। আমি তাকে না করে দিলাম। দু দিন পর ওনা আত্মহত্যা করে। বিশ্বাস করুন ডাক্তার সাহেব ওনা এমন কিছু করবে আমি স্বপ্নেও চিন্তা করিনি।
-বুঝতে পারছি! তারপর? ডাক্তার সাহেব আগ্রহে সামনে ঝুঁকে এলেন।
-তারপর আর মন টানল না বিয়েতে। পাশের পর ভালো চাকরী হলো, ঝকঝকে কাপড় হল, নিজের ফ্ল্যাট হল। তবুও শুন্যতা থেকে গেলো বুকের মধ্যখানে। সব হল। শুধু ওনা হারিয়ে গেলো।
ধরে আসে বদর সাহেবের কন্ঠ।
ডাক্তার চিন্তিত মনে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলেন ,''শুনুন বদর সাহেব। আপনি ছোটবেলা থেকে অবহেলায় বড় হয়েছেন। সেই স্মৃতি অনেক বড় দাগ কেটেছে আপনার মনে। ছোট থেকে ভালোবাসার কাঙ্গাল ছিলেন। ওনাকে পেয়ে সেই দুঃখ কিছুটা ভুলতে বসেছেন এর মাঝে আরেকটা বড় এক্সিডেন্ট। ওনার মৃত্যু। তারপর থেকে আপনি অনুশোচনায় ভুগেছেন। সেই অনুশোচনা আপনার অজান্তে আপনার মস্তিষ্কে ছায়ার মত দানব সৃষ্টি করেছে। আপনি স্কিজোফ্রেনিক হয়ে পড়েছেন । কিছু দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকুন। আমরা আপনাকে সাহায্য করব এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে।''

বদর সাহেব সুবোধ বালকের মত ডাক্তারের কথা মেনে নেন। ঐ দিনই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান। ওখানে কেটে যায় দুটি মাস। কড়া সিডাটিভের ডোজে কখন রাত থেকে সকাল বা সকাল রাত হয় বেশির ভাগই তিনি ধরতে পারেন না। মাঝে মাঝে শুধু ডাক্তারের কাউন্সেলিং স্মৃতিতে থেকে গেঁথে থাকে। এই দুইমাসে কোন অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেনি তার সাথে। তার মধ্যে এই বিশ্বাস জন্মনো শুরু হয় আগের ঘটা সব অস্বাভাবিক ঘটনাই তার মস্তিষ্কের সৃষ্টি ছিল।

তারপর দুমাস পর হঠাৎ একদিন মাঝ রাতে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভাঙ্গার কারণ তিনি ধরতে পারেন না। দেয়ালের দিকে চোখ পড়তেই চমকে উঠেন! তার ছায়াটি দেয়ালের উপর হেঁটে বেড়াচ্ছে। ধীরে ধীরে ছায়াটি তার রুম পার করে পাশের রুমে চলে যায়। বদর সাহেবের রুম বাহিরে থেকে লক হওয়াতে তিনি বের হতে পারেন না। পরদিন শোনেন তার পাশের রুমে ভর্তি একজন রোগী মারা গেছে।

বদর সাহেব হাসপাতাল থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে আসেন। হাসপাতালে আর থাকার কোন মানে হয় না।

এক মাস পর.........।

বদর সাহেব তার ঘরের বিছানায় শুয়ে আছেন। তার ছায়াটি ঘরের দেয়ালে কুন্ডলী পাকিয়ে আছে। ছায়াটি আজ বিষণ্ণ। বদর সাহেব মারা যাবার সাথে সাথে তার অস্তিত্বও বিলীন হয়ে যাবে সেই শোকে সে কাতর। আজ আর বদর সাহেবের ভয় করছে না। বুকের চারপাশের চিনচিনে ব্যাথাটাও নেই। শরীরটা শুধু অবশ। হাত পা নাড়ানোর মত এতটুকু শক্তি অবশিষ্ট নেই। চারপাশ থেকে পিঁপড়ের লাইন লেগেছে। ওরা বোধয় টের পেয়েছে এই ঘরে কেউ মারা যাচ্ছে। তাই সব দল বল বেঁধে এসেছে খাদ্য বুঝে নিতে। বদর সাহেবের চোখের কোণ থেকে অনবরত অশ্রু ঝোরছে। নিঃশ্বাস থেমে যাবার আগ পর্যন্ত তাকে পিঁপড়ার জ্বালাতন সহ্য করে যেতে হবে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ ) অনেক ভালো লাগলো গল্প টি . পড়লাম এক টানা . শুভ কামনা রইল ।
শামীম খান দারুণ গল্প । একটানে শেষ করলাম । ভয় সংখ্যার জন্য ভাল লেখা । শুভ কামনা আর ভোট রইল ।
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা যত্ন সহকারে পড়ার জন্য।
সুস্মিতা সরকার মৈত্র অপ্রাকৃত গল্পে ভয়ের ব্যাপারটা খুব স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে। গল্পের শুরু থেকে ধীরে ধীরে এই ভয়টা দানা বেঁধেছে পাঠকের মনেও। সেটাই সবথেকে বড় সাফল্য এই গল্পের। আরও অনেক অনেক এইরকম গল্প লিখুন... শুভেচ্ছা আর ভোট রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপ্পি পড়ে এত সুন্দর কমপ্লিমেন্টের জন্য।
শফিক রহমান এমন সব গল্প পড়তে খুব ভাল লাগে । আপনার লেখার হাত বেশ মজবুত ।
অসংখ্য ধন্যবাদ এমন অনুপ্রেরণার জন্য।
ছন্দদীপ বেরা প্রচন্ড ভয়ের । অসাধারণ হয়েছে ।
অনেক ধন্যবাদ ছোট ভাই। ভালো থেকো। কেমন।
সেলিনা ইসলাম গল্পের মধ্যে খুবই শিক্ষণীয় ম্যাসেজ আছে! শিশুদেরকে অবহেলা আর তাচ্ছিল্য মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়! আবার যতই টাকা পয়সা ধন থাকুক না কেন একসময় মৃত্যু আসবে পিঁপড়ে খেয়ে নেব এই দেহ! বাহঃ চমৎকার লাগল! গল্পের থিম ও ধারাবাহিকতা খুব ভাল লিখেছেন! তবে "লাশ দেখেই বুঝা যায় সে মৃত!" এখানে লাশ শব্দের যায়গায় দেহ/অনড় শরীর হবে। কারন মৃত-এর পর লাশ হয়। এমন ভুল গল্পের ভাবমুর্তি নষ্ট করে। তাই গল্প লিখে লেখক যদি কয়েকবার পড়েন তাহলে ছোট ছোট ভুলগুলো নিজেই ধরতে পারবেন। আরও সুন্দর সুন্দর গল্প লিখুন সেই প্রত্যাশায় অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
পাঠ এবং আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আপনার উপদেশগুলো ভালো লাগল। আমি অবশ্যই এগুলো ফলো করব। আবারো ধন্যবাদ।
নাসরিন চৌধুরী কেমন জানি শিওরে উঠিছিলাম আপনার লেখাটি পড়ে। নিঃসন্দেহে ভাল লিখেছেন। কিছু বানান ছুটে গেছে হয়ত টাইপিং মিসটেক। শুভ কামনা থাকল
পাঠ এবং আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আখতারুজ্জামান সোহাগ তরতরিয়ে পড়লাম পুরো গল্পটা। দারুণ গতি। শব্দচয়ন, বাক্য-বিন্যাস এমন যে কোথাও থামতে হয় নি। বেশ কিছু প্রশ্ন এলো মনে। তার মধ্যে এটা একটা, আসলেই কি মানুষের ছায়া হাঁটা-চলা করতে পারে। মাঝখানে গায়ের লোম কাটা দিয়ে উঠেছিল। বেশ লিখেছেন গল্পটা। শুভকামনা।
মনোযোগী পাঠ এবং আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ছায়ার কাজ কারবার এই গল্পে রহস্যে আবৃত। যেটাকে অমিমাংশিত রহস্যের মোড়কে আবৃত করে রাখা হয়েছে।
ahSan HaBiB চমত্‍কার লেখনি , ভাল লাগল ।
পাঠ এবং আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৬ মে - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪