এই রিকশা যাবে?
কই যাইবেন?
মতিঝিল
চলেন তয় ৭০ট্যাকা দিতে হইবো
এতটুকুই তো পথ ৭০টাকা কেন?
স্যার আমার ৭০টা টাকা খুব দরকার।
অরুপ অবাক হয়ে বললো,
৭০ টাকা কেন!!!???
স্যার যদি চলেন তয় যাইতে যাইতে কমু
আচ্ছা চলো....
রিকশা ওয়ালা রিকশা চালায় আর বলে,
স্যার আজ আমার বিবাহ বার্ষিকী বউ এর জন্য এক খান শাড়িও কিনতে পারিনাই কম দামে এক জোড়া দুল কিনসি আর অখন যাওনের সময় এক প্যাকেট বিরিয়ানি আর একটা গোলাপ নিয়া যামু। বউ আমার সারাদিন কষ্ট করে....
অরুপ রিকশা ওয়ালার কথা শুনে নিজের কথা ভাবছে এক রিকশা ওয়ালা এতো যদি তার বউ এর কথা ভাবে তবে আমি কেন অনুফার কথা ভাবি না??
আমিও তো মাঝে মাঝে ফুল নিয়ে যেতে পারি
আচ্ছা ফুল নিলে কি অনুফা খুশি হবে নাকি ওভার রিয়েক্ট করবে?
ভাইজান কতা কন না যে?
অরুপ চমকে উঠলো বললো, হু বলো....আচ্ছা তোমাদের ঝগড়া হয় না?
আমাগো ঝগড়া মারামারি দুইডাই হয় তয় আমাগো মোহাব্বত বেশি কত্ত জামাই বউ রাইতের পর রাইত কথা কয় না আর আমরা রাইত হইলে দুইজন দুইজন রে ধইরা ঘুম যাই কোনোদিন বউ আগে মাফ চায় তো কোনদিন আমি...
অরুপ আবারো হারিয়ে যায়....
ভাবতে থাকে আমার দোষ হলেও অনুফা সরি বলে মিচুয়াল করতে চায় কিন্তু আমি ই দেই না....
ভাই লন আইয়া পড়সি..
এই নাও টাকা
১০০টাকা লাগতো না
আরে রাখো আজ বিবাহ বার্ষিকী বলে দিলাম।
অরুপ তার ডুব্লিকেট চাবি দিয়ে ঘরে ঢুকে দেখিলো অনুফা খাবার নিয়ে অপেক্ষা করতে করতে ঘুম.....
অনুফা খাবার টেবিলে মাথা হেলিয়ে শিশুর মতো শুয়ে আছে। অরুপের খানিকটা মায়া লাগলো। মেয়েটা না খেয়ে আছে। অরুপ খুব সাবধানে হাতমুখ ধুঁয়ে ঘরে নিজের মেয়ের কাছে একটু বসলো।
মেয়েটার বয়স প্রায় ২বছর। মেয়ে হবার পর অরুপ যেনো অনুফার দিকে কখনো তাকিয়ে দেখেনি....
অনুফা রোজ নাকে অফিস করে ঘর সংসার সামলে কিভাবে পারে....????
আসলে রিকসাওয়ালা সাথে দেখা না হলে হয়তো মৃত অনুভূতি গুলি জেগে উঠতো না...
অরুপ মেয়েকে আদর করে অনুফার সামনেত চেয়ারে বসতেই অনুফা ধরমর করে উঠে দাঁড়িয়ে গেলো....
বললো,
তুমি কখন এলে?
অনেকক্ষণ
আসো খেতে বসো...নাকি খেয়ে এসেছো?
তুমি খাবে না? চলো একসাথে খাই।
অনুফা একটু অবাক হয়ে তাকিয়ে খেতে বসলো।
খাবার টেবিলে আজ অরুপের খুব ইচ্ছে করছে গল্প করতে কিন্তু অরুপের নিজের দোষেই আজ আর তাদের মাঝে হাসি ঠাট্টা গল্প হয়না। অনুফা গল্প করতে যখনি চাইতো তখনই অরুপ বলতো বক বক করো না তো...
অনুফা খাবার শেষ করে উঠে গেলো।
সব গুছিয়ে অনুফা ঘুমুতে এলো এর মধ্যে ওদের মাঝে কোন কথাই হচ্ছে না।
অরুপ ঘরে এসে বললো,
অনুফা আমাকে একটু চা করে দেবে?
অনুফা খাটে শুয়ে পড়েছিল কোন কথা না বলে রান্নাঘরে দিকে যাবে ওমনি অরুপ হাত টা টেন ধরলো,
অনুফা দু কাপ বানাও প্লিজ আমরা একসাথে বারান্দায় বসে খাবো।
অনুফা কিছু না বলে হাত ছাড়িয়ে রান্নাঘরে চলে গেলো।
অনুফা চা বানাতে বানাতে ভাবছে মতলব টা কি???
কোথাও ঢাকার বাহিরে যাবে নাকি, নাকি আমার সাথে আর সংসার করবে না কথা টা সরাসরি বলতে পারছে না...
অনুফা চা নিয়ে বারান্দায় বসলো সাথে বিস্কিটের ডিব্বা।
অনুফা খেয়াল করছে অরুপ চা নিয়ে বসে আছে সাধারণত সে গরম চা খায় কিন্তু সে খাচ্ছে না...
অনুফা...
হুম
তোমার এখন আমার সাথে গল্প করতে ইচ্ছে করে না?
অনুফা চুপ করে আছে...
কি হলো করেনা?
কি বলবে সরাসরি বলে দাও তোমার কি কিছু দরকার?
আমি কি একবারও বলেছি কিছু দরকার?
তাহলে এতো রস করে তো তুমি কথা কখনো ই বলো না
এই জন্যই বলিনা তুমি আসলে কথা বলার যোগ্য ই না
অনুফা বারান্দা থেকে চলে এলো
মেয়ের পাশে শুয়ে আছে।
অরুপ মনে মনে ভাবছে এই মুহুর্তে সে যা করেছে আসলেই ঠিক হয়নি এই মুহুর্তের জন্য আজকের এই দিনের জন্য সে একা দায়ী.....
অরুপ কিছুক্ষণ বারান্দায় বসে থেকে ঘরে গেলো....
দেখলো অনুফা ঘুম। অরুপ ভাবছে অনুফা কি সত্যি ই ঘুম?? হুম ঘুম ই তো! সারাদিন অফিসে খাটাখাটুনি তারপর মায়ের বাসা থেকে টুকুনি কে বাসায় নিয়ে আসে এরপর বাচ্চা রাখে আবার রান্না করে। কত কষ্ট ই না করে!
অনুফা মাঝে মাঝে ঝগড়া করতে করতে বলে
"তোমার মতো সুখী মানুষ কি দ্বিতীয় জন আছে? অফিস শেষ করেই বন্ধুদের সাথে আড্ডা ঘরের কোন জিনিসটা প্রতি তোমার নজর! "
অনুফা সত্যি ভুল কিছু বলে না....
আমি ই তো কখনো ওকে নিয়ে ঘুরতে যাইনি, বিয়ের আগে যাও মুভি দেখতাম বিয়ের পরে.... না না ঠিক বিয়ের পরে না গত ২/৩ বছরে একসাথে মুভি তো দেখা দূরের কথা আমরা একটা বিজ্ঞাপন ও দেখিনি...
আমি ওর দিকে কতদিন ভালো করে তাকাইনি....
অথচ আগে ওর কত্ত আবদার থাকতো, প্রতি শুক্রবার এলে ঘুরতে নিয়ে যাও আইসক্রিম খাও, মাঝরাতে বৃষ্টি তে ভেজার বায়না যখন তখন সাজুগুজু করা!!
পাগলামি করতে করতে শেষ পাগলি আমার!
আর আমি খুব রেগে যেতাম...
সব থেকে রাগ দেখাতাম ওর লেখা কবিতা গুলো শুনলে। আসলে আমি ওকে রাগ দেখিয়ে আমার অনু পাগলি কে কবে যে দূরে সরিয়ে দিয়েছি আমি নিজেও জানি না.....
অনুফা র হঠাৎ চোখ খুলে গেলো
ধরমর করে উঠে বসতে বসতে বললো,
কি হয়েছে তোমার আমার দিকে ওভাবে তাকিয়ে আছো কেন?
বলেই অনুফা হাতের দিকে তাকালো মনে মনে ভাবছে আমাকে মেরে টেরে ফেলবে নাকি আবার!! মেরে ফেললে আমার মেয়েটার কি হবে???
অনুফা আবারো বললো,
কি হয়েছে অরুপ তুমি কি দেখছো?
তোমাকে?
আমাকে! (অবাক হয়ে)
হুম তোমাকে। কেন তোমাকে দেখতে মানা আছে নাকি???
নিজের বউকে দেখবো তাতে বাধা টা কই?
অনুফা চুপ করে আছে আর ভাবছে আজ ওর কি হয়েছে?
অরুপ বাতি নিভিয়ে দিয়ে বললো অনু তুমি অনেক দিন আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাও না আজ কি আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবে???
অন্ধকারে অনুফা কাঁদছে....
অরুপ অনুফার কপালে একটা চুমু খেয়ে জড়িয়ে ধরলো...
অনুফা র বুঝতে বাকি নেই হয়তো এটাই তার জীবনের শেষ রাত।
আজ তো শুক্রবার নিশ্চিত আজ অনুফা কোন স্পেশাল কোন নাশতা বানাবে....
অরুপ ঘুম থেকে উঠেই রান্নাঘরের দিকে উঁকি দিল।
অনুফা কি করো? আজ কি নাশতা?
তুমি টেবিলে বসো আমি নাশতা দিচ্ছি।
ঠিক আগে যাখন অরুপ অনুফাকে জিজ্ঞের করতো এভাবে অনুফা বলতো হাসি হাসি মুখ করে আজ ঘোরার ডিমের সাথে আতপ চালের পরোটা শুনেই অরুপের মেজাজ টা খুব খারাপ হয়ে যেতো। অরুপ আসলে অনুফার দুষ্টুমি গুলো স্বাভাবিক ভাবে কখনো ই নিতে পারতো না..
অনুফা স্বাভাবিক ভাবে নাশতা টেবিলে রেখে সামনে থেকে চলে গেলো।
অরুপ অবাক হয়ে উৎসাহ নিয়ে বললো "আলুর পরোটা "
আহা কত্তদিন পর!
তুমি খেয়েছো? কি হলো চুপ কেন?
না।
আসো একসাথে খাই
তুমি শুরু করো আমি চা নিয়ে এসে খাচ্ছি
অনুফা চা বানাতে বানাতে ভাবছে অরুপ অনেক দিন অনেক দিন পর এভাবে ভালো করে কথা বলছে....
কত শুক্রবার আমি অপেক্ষা করেছি একসাথে সময় কাটাবো কিন্তু এতো বদ মেজাজ....
তার খারাপ কোন কিছুতেই বাধা দিলে গায়ে হাত তোলা...
আমি তো সব সহ্য করি টুকুন এর জন্য। ডিভোর্স দিলে মেয়েটা ব্রোকেন ফ্যামিলি তে বড় হবে। আজ আবার হঠাৎ করে কি হলো এতো ভালো ব্যবহার! আমি তো আর আজকাল ওর কোন আজে বাধা দেই না, ঝগড়াঝাটি ও করিনা। শেষ কবে ঝগড়া করেছি মনেও নাই....
তবে তার কি হলো আজ হঠাৎ করেই এতো ভালো ব্যবহার!!!
কি হলো অনু আমি বসে আছি নাশতা করবো একসাথে এতো সময় লাগে চা আনতে??
অনুফা চা এনে বসলো
কি হলো অরুপ তুমি নাশতা খাওনি?
বললাম তো একসাথে খাবো। আচ্ছা সকাল থেকে টুকুন কে দেখছি না যে কোথায় মেয়েটা?
বাবা এসে নিয়ে গিয়েছে দুপুরে খাইয়ে দিয়ে যাবে।
সন্ধ্যায় আমরা যেহে নিয়ে আসবো।
অনুফা অবাক হয়ে বললো "আমরা!! "
হুম আমরা তুমি দুপুরে আজ রান্না করো না আমরা বাইরে খাবো তারপর একসাথে মুভি দেখে টুকুন কে নিয়ে বাসায় আসবো।
অনুফা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো আমি কোথাও বের হবো না আমার শরীর টা ভালো নেই....
কি হয়েছে?
বলছি তো বাড়িতেই থাকবো।
অনুফা দুপুরে রান্না করার আগেই অরুপ নাশতা করে বের হয়ে গেলো। বাহির থেকে খাবার এবং গোলাপ নিয়ে আসে।
অনুফা কে গোলাপ ফুল দিয়ে বলে,
অনু তোমাকে খুব ভালোবাসি।
অনু কিছুই বলো না।
খাবার গুলো সাজিয়ে অনু খেতে বসলো।
অনু তোমার আজকাল আমার সাথে ঘুরতে বা কথা বলতে ভালো লাগে না?
আমার শরীর টা ভালো নেই।
অনু মনে মনে ভয়ে শিটিয়ে যাচ্ছে। অনু বুঝতে পারছে যে সে ধীরে ধীরে সত্যি ই মৃত্যুর দিকে এগুচ্ছে।
অরুপ বলছে আমি খেয়ে টুকুন কে নিয়ে আসি। বন্ধের দিন ওকে না দেখতে ভালো লাগে না।
থাক আজ টুকুন কে আনতে হবে না। অনুফা খুব অস্থির হয়ে বললো।
কেন?
থাক পরে কাল অফিসের পর আমি নিয়ে আসবো।
অরুপ খুশি হয়ে গেলো ভাবছে অনু বুঝি এখন ওর একার সংগ চাইছে....…
অরুপ মোবাইলে গেমস খেলতে খেলতে ভাবছে আমি এতো ক্ষন অপেক্ষা করছি অনু বিছানায় কেন আসছে না??? দিনের বেলা দেখে কি লজ্জা পাচ্ছে। সামান্য শুয়ে শুয়ে গল্প করবে তাই আসছে না???
আচ্ছা অনেক্ক্ষণ হলো প্রায় সন্ধ্যা অনু বেডরুমে আসছে না।
কি হলো মেয়েটার? অনু কি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লো??
অরুপ চিৎকার করে ডাকতে লাগলো,
অনু অনু!!!
কোন সারা নেই......
অরুপ দৌড়ে পাশের ঘরে এসে দেখে ঘুটঘুটে অন্ধকার। বাতিটা জালাতেই দেখে অনুফা শরীর টা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে....
অনুফা এই অনুফা মেঝেতে শুয়ে আছো কেন? কি হলো কথা বলছো না কেন?
অরুপ কাছে গিয়ে অনুফার শরীর আলতো করে ধরতেই এলিয়ে পড়লো। অরুপ প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলো।
অনুফার হাতে একটা কাগজ...
অরুপ কাগজ টা হাতে নিল...
প্রিয় অরুপ (আমার টুকুন এর বাবা)
বড্ড বেশি ভালোবাসি বলেই আজ আমি তোমাকে এবং তোমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমি ৭বছরের বিবাহিত জীবনে বেশ ভালো করে বুঝতে পেরেছি তুমি আজ এখন আর ভালোবাসো না।
আমি আরো কর্নফার্ম বুঝতে পেরেছি যখন থেকে তুমি আমার অল্প রাগেই তুমি বেশি রেগে গিয়ে আমার গায়ে হাত তুলতে....
তোমার হাতের শেষ বেধড়ক মার যখন খেয়েছি সেদিন টুকুন খুব ভয় পেয়েছিলো...
অমি চাইনা আমাদের ঝামেলা গুলো আমার মেয়ে দেখে বড় হোক আবার এটাও চাই না যে তোমার হাতে খুন হই আর তুমি জেলে যাও তাতে তো মেয়েটা তোমাকে ঘৃণা করবে।
তাই আমি নিজেই চলে যাচ্ছি। আমার বালিশের নিচে আর একটা চিঠি আছে সেখানে লেখা আছে আমার মৃত্যুর জন্য যেন কিছুতেই তোমাকে দায়ী করা না হয়।
তুমি ভেবো না তোমার কিচ্ছু হবে না।
আমার মৃত্যুর পর তুমি এই চিঠি টা পুড়িয়ে ফেলে দিও।
জানো আজ আমার খুব শান্তি। তোমাকে মুক্তি করে দিলাম....
টুকুন কে ভালো রেখো আর তুমিও ভালো থেকো।
আমি তোমাদের সত্যি বড্ড বেশি ভালোবাসি যদিওবা এই ভালবাসার কোন মূল্য আর নেই।
অনুফা।
অরুপ অতি দ্রুত অনুফা কে কোলে নিয়ে নিচে নেমে ঝড়ের বেগে ঢাকা মেডিকেলের দিকে রওনা হলো...
......
অনুফা র মা অনুফার বাবা অরুপ সবাই মেডিকেলের বারান্দায় বসে আছে।
আমার অনুফার কিছু হলে আমি কাউকে ছাড়বো না...
চিৎকার করে অনুফার মা কাঁদছে আর বলছে...
অরুপের নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে। নিজের উপর ভীষণ ঘৃণা হচ্ছে।
অনুফা র চিকিৎসা চলছে....
ভেতর থেকে ডাক্তার এসে বললো she is out of danger now.
অরুপ মনে মনে বলছে অনু তুমি একবার ফিরে এসো দেখো আমি সত্যি ই নিজেকে সংশোধন করে নিবো।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।