ফাল্গুনের হিমেল বাতাসে মেয়েটার চুল উড়ছিল । ছেলেটা মাঝে মাঝেই জুনিয়রদের সাথে আড্ডা দিতে আসে লাইব্রেরীর নিচে চায়ের টং দোকানে । অসাবধানে চুলের ক্লিপটা পড়লোতো পড়লো ছেলেটার চায়ের কাপে । মেয়েটা দুহাতে চোখ-মুখ চেপে লজ্জা ঢাকছে । ছেলেটা চেয়ে আছে উড়ন্ত খোলা এলো চুলের দিকে । এই ছিল প্রথম দেখা । লাইব্রেরীর বারান্দা থেকে মেয়েটা চলে গেলো । ক্লিপ হাতে ছেলেটা ঠিক ঠিক তাকিয়ে রইলো বুকের ভেতর একটা মোচড় নিয়ে... লাইব্রেরীর সিঁড়িতে হঠাৎ আবার দেখা ।
মেয়েটা-আজীব তো !! যেতে দিচ্ছেন না কেন ??
ছেলেটা-আজীব তো !! আপনিইতো আমাকে যেতে দিচ্ছেন না ! আমি ডানে চাপলে আপনি ডানে চাপেন , বামে গেলে আপনিও বামে যান ।
মেয়েটা-আরে!! আপনিইতো এমন করছেন । আমি যেদিকে সরি সেদিকে আপনিও সরে আসেন ।
ছেলেটা-আরে!! ফুড়ুৎ করে আপনিইতো সরে আসেন আমি যেদিকে সরে যাই । আপনার মতলবটা কী ??বলেন তো ?
মেয়েটা-মানে!!! কিসের মতলব আমার ?
ছেলেটা-মানে আবার কি ? দেখুন , আমার পেছন পেছন ঘুরবেন না । প্রেম-ট্রেম করার সময় নেই আমার । সবে মাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে ভালো বেতনে চাকরীতে যোগ দিয়েছি । বাড়ির বড় ছেলে আমি । আমার অনেক দায়িত্ব । ছোট ভাইটার পড়াশোনা , বাবা-মার দেখাশোনা করতে হবে । বুঝলেন ??
মেয়েটা-ধুর!! এসব আমাকে শোনাচ্ছেন কেন ? সরুন,আমাকে যেতে দিন ।
ছেলেটা-আমিতো সরতেই চাই । আপনিইতো দিচ্ছেন না । শুনুন,ছোট বেলা থেকেই আমি ভালো স্টুডেন্ট । সবসময় পড়াশোনা করতাম । কোন মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব পর্যন্ত হয়নি আমার । এখন গার্লফ্রেন্ড-টার্লফ্রেন্ডের সাথে সময় নষ্ট করতে পারবো না । তার পেছনে টাকা পয়সা খরচ করতে পাবো নাকো!! তাছাড়া , আমাদের নিজস্ব বাড়িঘর অনেক বড় বড় , আমাদের আত্মীয় স্বজনও অনেক । তাদের খুব ইচ্ছে সুন্দর একটি মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দিবে । তাদের আনন্দই আমার আনন্দ ।
মেয়েটা-যাকে খুশী তাঁকে বিয়ে করুন!! সেই গপ্পো আমাকে বলছেন কেন ?
ছেলেটা-আপনার সাথে গপ্পো করতে আমার বয়েই গেছে! আমি অতো বেহায়া না হে ! এক সিঁড়ি পেছন ফিরে উঠে যায় মেয়েটা ।
ছেলেটা-এই যে শুনুন ! এটা আমার কার্ড , ধরুন । এতে আমার অফিস-নাম-ঠিকানা-ফোন নাম্বারও আছে । সত্যি যদি মনে করেন আপনার পথ আগলে রেখেছি । তাহলে আপনার বাবা মাকে বলবেন , আমার বাবা মাকে পাঠিয়ে দেবো নালিশ শুনতে । কেমন ?
মেয়েটার চোখের আতঙ্ক কেটে যায় । খুব ছোট্ট করে হেসে দেয় । ডানপাশে তার ঠোঁটের নিচে ছোট্ট তিলটাও হেসে দেয় ছোট করে । ছেলেটা প্রশান্তি নিয়ে চেয়ে থাকে তার চলে যাওয়ার পথের দিকে...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্
এত ছোট পরিসরেও যে এত সুন্দর গল্প লেখা যায়, তা আপনার “একটি ইভ টিজিং'র রোম্যান্টিক গল্প” পড়ে বুঝলাম । খুব ভাল লাগল । ভোট রেখে গেলাম ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।