রাত্রির আঁধার ভাঙতে ভাঙতে ভোরের আযান আর সকালের কাঁচারোদ পৃথিবীর পিঠ বেয়ে ধ্বনিত ও জেগে উঠছে। কালো ও গুপ্ত ছায়াবেষ্টিত বৃত্তবানের কল্যাণ ও অকল্যাণের হাত থেকে শাšি—র নির্মাণ আর অত্যাচারের জুলুমে রক্ত ঝরছে। নতুন সূর্যের ক্লাš— আলো গোধূলির সাঝকে আহবান করছে। ¶ুধায় চেয়ে থাকা অনাহারী মলিন মুখ জগতকে ক্রন্দন করে ডাকছে নিরš—র পৃথিবীর অবশেষ কথাগুলো বুকে নিয়ে। এই পথে আমার পিতা ও পিতামহ হেঁটে ছিল তার আগেও আমার পূর্বপুর“ষ ও তাদের সজন প্রিয়জন আর পরিচিত জনরা হেঁটেছিল। শারমিন বললো বাবা আমি ও তুমিওতো আজ এই পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। তবে এই পথের শেষ কোথায় বাবা। পথের তো শেষ হয় না মা। পথের সাথে নতুন পথের পরিচয় ঘটে তারপরও অসংখ্য পথ অপরিচিত থেকে যায়। তাহলে আমাদের উত্তরসূরীরা কি এই পথ দিয়ে হাঁটবে ? হাঁটতে পারে যতদিন আমাদের উত্তরসূরীরা এই চেনা পথের পাশে বাস করবে। এই পথ না হলেতো সব পথই সব পথের বন্ধু বাবা, বুঝা যায় যে সবপথের শেকড় একই। হ্যা মা সব পথের শেকড়ই এক। যেমন এক বচন থেকে বহুবচন আবার ঘুরে ফিরে এক বচন। এক রং থেকে বহুরং আবার ঘুরে ফিরে এক রং। কেবল অতীন্দ্রিয় আধ্যাত্বিক জগতে তিনি একক সর্বশ্রেষ্ঠ। আধ্যাত্বিক জগত এক নিরাকার জগত সেখানে বহুত্বের স্থান নেই। বাবা সেই স্থানেতো শুধু পরমাতœার প্রতিফলিত সত্তাই অবস্থান করতে পারে। প্রত্য¶ লাভে পূর্ণ মানবই সেই অসীমের রং ও শক্তিতে আতœাবিভোর থাকতে পারে। মানুষ সাধনা দ্বারা আতœাকে উন্নত জ্ঞান লাভ করাতে পারলে দিব্যজ্ঞান প্রকাশ পায়। আর এই জ্ঞানই আলাহর সত্য জ্ঞান। যাহা অš—রের ভেতর প্রবিষ্ট অš—র্নিহিতি চরম সত্য উপলদ্ধিকে দর্শন করতে পারে। একমাত্র মানব অš—রের অতীন্দ্রিয় ও আধ্যাত্বিক উৎস কাজ করে । মানবের অš—চ¶ু উন্মোচিত হলে প্রতিটি অনু-পরমানুতে মহান আলাহর প্রবল জ্ঞান শক্তি অনুভব করা যায়। বাবা যার আতœা নির্মল ও নিষ্পাপ কেবল মাত্র তিনিই এই পথের দর্পণে প্রতিফলিত আলো দেখতে পায়। এই দর্পণের ভেতরই ক্রমেক্রমে সমগ্র জ্ঞান উদ্ভাসিত হতে থাকে। এই জ্ঞান শুধু আদর্শ মানবের অš—রেই স্থাপিত হয় এবং তিনিই তৃতীয় মাধ্যম হয়ে জ্ঞান প্রকাশের এলহাম প্রচার করে আর সকল সৃষ্টিকে সেবা ও কল্যাণ দিতে থাকে। রেইনবো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আর বাড়ির মাঝামাঝি পথে আমরা হেঁটে যাচ্ছি পাশে এডওয়াড কলেজ সামনে পলিটেকনিক একাডেমি মাঝখানের রা¯—া দিয়ে আমি আর আমার প্রিয়কন্যা হেঁটে যাচ্ছি। জগতের পরিতৃপ্ত আনন্দ থেকে পবিত্র আর অপবিত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। ক্লাš— ইছামতি শাসনের জুলুমে যৌবনকে হারিয়ে ফেলেছে। তাই সে মিলনের পথ খুঁজে পাচ্ছে না। কি জবাব দিবে সবুজ মাঠের জিজ্ঞাসায়। যার পানিতে ফসল জেগে উঠতো। নৈঃশব্দের আঁধার ভেঙে সবুজকে আলিঙ্গন করতো। সে এখন ¶ুধায় ¶য়ে যাচ্ছে। দূরবহুদুর পথ যেন আশাহত। শাহরিন বললো তুমি কি ছোট বেলায় এই পথ দিয়ে স্কুলে যেতে। হ্যা মা তখন আমি কিশোর সিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাশ করে আর এম একাডেমি স্কুলে ভর্তি হই আর লেখাপড়ার জন্য ব্য¯— হই। ছেলে বেলার এক ঘটনা বলি তখন আমি কিশোর আমাদের বাড়িতে চাটমোহর নতুন পাড়া থেকে ময়েজ উদ্দিন নামে একজন ডিগ্রি পরী¶ার দেওয়ার জন্য এসেছিল। তখন পাবনা জেলার মধ্যে শুধু এডওয়ার্ড কলেজেই ডিগ্রিই চুড়াš— পরী¶া হতো সেই কারণে সে পরী¶ার জন্য কিছু দিন আমাদের বাড়িতে ছিল। আমাদের সাথে তার ¯^জনের মতো সম্পর্ক গড়ে উঠলো। তার পরী¶া শেষে বাবাকে বললো আপনার এই সš—ান আমাদের বাড়িতে গিয়ে লেখাপড়া শিখুক। বাবা রাজি হয়ে গেলো। ময়েজ উদ্দিন পরী¶া শেষে আমাকে তার বাড়ি নতুন পাড়াতে নিয়ে গেলো। তখন আমি কিশোর নিজ গ্রামও ভাই বোন আর সাথীদের প্রতি আমার প্রবল মমতা ও ভালোবাসা। কয়েকদিন পর মন অস্থির হয়ে উঠলো হৃদয়ের ভেতরে যেন ব্যথার রক্ত¶রণ। বিষ্ময় স্মৃতির অতীত জীবনকে ডাকতে শুর“ করলো যেন যন্ত্রণার সংগীত থেকে মোহিত অš—র এক বিরহের নৈঃশব্দকে আলিঙ্গন করছে। পৃথিবী যেমন আপন সিংহাসনে একা একা খেলা করে আমিও তেমনি একাএকা খেলা করতে লাগলাম। শাহরিন ব্যথিত কন্ঠে বললো বাবা তুমি লেখাপড়ার জন্য গ্রামে গেলো কেন ? বলতে পারবোনা মা। আর কিছু দূর হাঁটলে বাড়ি পাওয়া যাবে। পাশেই মায়ের স্কুল। শাহরিন মায়ের জন্য কিছু¶ণ অপে¶া করলো। স্কুল ছুটি হলে আমরা তিনজন একসাথে হাটতে থাকলাম। হাঁটতে হাঁটতে মা শাহরিনকে বললো আজকে ক্লাসে কেমন লেখাপড়া হয়েছে। ভালো মা খুবই সšে—াষজনক লেখাপড়া হয়েছে। মা বললো ইচ্ছাশক্তিকে প্রবল করে তুললে তার ভেতরই জ্ঞানের পরিচয় লাভ হয়। ইচ্ছা শক্তি আদর্শ ও কল্যাণ দ্বারা প্রকাশ করলে বহুবিধ জ্ঞানের আলো প্রকাশ ঘটতে থাকে। আমি বললাম ঠিক আছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে ইচ্ছা শক্তি যেন কখনো অকল্যাণে প্রকাশ না ঘটে তাহলে সব সাধনাই বিফল হবে শাহরিন বললো ইচ্ছা শক্তি দ্বারা সৃষ্টিজগত নিয়ন্ত্রণ হয়। সৃষ্টিকর্তা ইচ্ছা শক্তিরহিত করলে গ্রহ উপগ্রহগুলো ক¶চ্যুত হয়ে যাবে এবং একটি অপরটির সাথে সংঘর্ষে চুর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে। তাই ইচ্ছা শক্তিকে আদর্শে পরিণত করতে হবে। আমরা হেটে যাচ্ছি অপরিচিত স্মৃতিগুলো আমাদের হৃদয়কে ছুঁয়ে যাচ্ছে। সৃষ্টির অধিক গৌরব আমাদেরকে আহবান করছে। রাত্রির ছায়ার আবরণে প্রখর তাপশক্তি নিয়ে সূর্য খেলা করছে এক অভিনব শিল্পের কার“কার্যে। আমি বললাম পৃথিবীতে সম্মোহন বিদ্যা দ্বারা মানুষকে মোহবিষ্ট করা যায়। এটা ধারণা শক্তিকে বিভ্রাš— করে। মা একটু বিস্ময় কন্ঠে শাহরিনকে উদ্দেশ্য করে বললো সৃষ্টিজগত হলো আলাহ বর্হিভূত সত্তা ইহা জ্ঞান দ্বারা পরিপূর্ণ। আলাহর বিরাজমান অশেষ অ¶য় ও অফুরš— প্রেম থেকে এক জ্ঞান প্রকাশ হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে সৃষ্টি জগত আপে¶িক ¯^য়ং সম্পূর্ণ নিরপে¶ সত্তা আলাহ একক ও মহাজ্ঞানি। তার মহা-পরমসত্তাকে কেন্দ্র করে ধ্বংস মৃত্যু ও সৃষ্টি মিলন ঘটছে। শাহরিন বললো ধ্বংস হলো রূপাš—র যা বারবার নতুনে পরিবর্তন ঘটায়। পূর্বমুহুর্তে একরূপ আবার পরমুহুর্তে অন্যরূপ। বা¯—ব রূপের পরিবর্তন যা থেকে নতুন নতুন নির্মাণ সৃষ্টি, উৎপত্তি ও আগমন ঘটে। আমি বললাম কল্যাণের জন্য নতুন নতুন যা সৃষ্টি তা সবই তার প্রকাশ জ্ঞান। মা একটু গম্ভিরভাবে বললো শাহরিন মাতাজি তোমাকে জ্ঞান থেকে অধিকাংশ বিষয়ের উপর শি¶া নিতে হবে। কারণ জ্ঞানই হলো প্রেম ভালোবাসা কল্যাণ আর মহৎ সেবা। জ্ঞানের ভেতরই মানব প্রেম আধ্যাত্বিক প্রেম ও ঐশী প্রেম বিরাজমান। মাহজ্ঞানই মানবাতœা ও পরমাতœার মিলন ঘটায় এবং অনুভব ও উপলদ্ধির চেতনা জাগায়। তখন সে মানব প্রেমের মূল রহস্য বুঝে যায়। আমি বললাম একই ঘরে দুই আতœা বাস করে। মনে রেখো তুমি আর তিনি যদি সাধনা দ্বারা উভয়ের মিলন ঘটাতে পারো তবেই পরম সৌন্দর্যের বৈচিত্রময় রহস্য দেখতে পাবে। তোমার অš—রে যিনি বিরাজমান ও সতত চেতনা দিচ্ছে তাকে নিজের দরজা খুলে দেখার চেষ্টা করো। সাধনা দ্বারা দেখতে পারলে বিশ্বমানব ধর্মের এক বৃহৎ সমাবেশ খুজে পাবে। যা সীমার লঘুত্বের এক ইতিহাস। আমরা তিনজন বাড়ি পৌছে গেছি শাহরিন বললো বাবা আরো কিছু বলো। আমি বললাম সময়ের সাথে হাটতে থাকো। আমি ও তোমার মাতা আর জ্ঞানিদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে। সত্যকে অনুসরণ করতে পারলে আতœবিরোধ ও বিভ্রাš— তোমার শরীর থেকে সরে দাঁড়াবে। তপস্যা ও বিজ্ঞানের চিš—া দিয়ে জ্ঞানকে অনুসরণ করো। তবেই সত্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। আমিত্বকে বিসর্জনের মাধ্যমে উৎসর্গ করো। এক সময় সত্য চিš—ার ¯^চ্ছ আলো দেখতে পাবে। মনে রেখো বিবেককে ফাঁকি দিলে জ্ঞান অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে আর বিবেককে বিশ্বাস দ্বারা আঁকড়ে ধরলে জ্ঞানই কলম ও কালি হয়ে সত্য চেতনা দেবে। তোমাকে সজাগ প্রহরীর মতো স্থিতিবান করে তুলবে আর তুমি উদয় যুগের নতুন নতুন নির্মাণ দিতে পারবে। যা ছড়িয়ে যাবে সৌরভ ও কল্যাণে। ভেতরের হিংসা ক্রোধ কর্তৃত্ব ও মোহকে অনুশোচনার লেলিহান আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দাও। যেন অত্যাচার আর অবিচারের বিষবৃ¶ দেহ থেকে ধ্বংস হয়ে যায় আর তোমার অš—রকে জাগিয়ে তোল সত্যের চেতনা ও জাগরণে তবেই জীবন, মৃত্যু, ধ্বংস ও চিরš—নকে চিনতে পারবে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাসরিন চৌধুরী
ভাল লেগেছে কিন্তু শব্দ ভেঙ্গে গেছে অনেক জায়গায়। শুভেচ্ছা জানবেন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।