অচিন নগর

ইচ্ছা (জুলাই ২০১৩)

এনামুল হক টগর
  • 0
  • ১১
পিতা আর কন্যা রাতের খাওয়া শেষ করে বিশ্রামে যায় এবং ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় রাশেদ সাহেবের। ঝিমধরা রাত্রির গভীর অতলে জেগে ওঠে। জানালা দিয়ে সুদূর ঘনকালো দিগšে—র দিকে দৃষ্টি মেলে তাকান রাশেদ সাহেব। শরীরের আলোকিত ছায়া নি¶িপ্ত বিলীয়মান হয় উর্ধ্বমুখে। শাš—, নীল, শুভ্র-বসš— কাছাকাছি।
অবিন্যা¯— শূন্য জীবনের অক্লাš— জ্বলে উঠা, সময়ের দাবী আর অসংখ্য দারিদ্রের ছায়া বুকের ভিতর জ্বলে উঠে। আ¯ে—-আ¯ে— আঁধার জেগে ওঠে জনশূন্য রাত্রির পথে। ক্লাš— বুকের ভিতর রাত্রির নিরব বিশ্ব কাঁদে। একটি অস্পষ্ট বীজের ভিতর আলোকিত অঙ্কুরের একটি সবুজ প্রাণ হাসে অহনা।
বাবা, রাতের গভীরে অহনাকে ডেকে তোলে। অহনা ঘুম থেকে জেগে তার কাছে এসে বসে। বাবা বলেন, তোমাকে অত্রীন্দ্রিয় পথের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এই জ্ঞান তোমার ভিতর জীবনের আলো ভেদ করে সূর্য হাসবে। এই জ্ঞান সম্পর্কে আমার মুর্শিদ মহা তাপস-কূল শিরমনি বলছেন, এবং আমাকে এই জ্ঞান সম্পর্কে শি¶া দিয়েছিলেন: যা তোমার জানা প্রয়োজন।
অহনা বলে, সেই জ্ঞানের শি¶া তুমি, আমাকে দাও বাবা।
রাশেদ সাহেব বলেন, অতীন্দ্রিয় অভিজ্ঞতা হচ্ছেÑ ঈশ্বর বা বিশ্বত্মার সাথে এক হয়ে যাওয়ায় অভিজ্ঞতা। ঈশ্বর এবং তার সৃষ্টির মধ্যে যোজন-যোজন দূরত্বের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু অতীন্দ্রিয় অভিজ্ঞতাতে সৃষ্টি আর স্রষ্টার মধ্যে কোন ধরনের দূরত্ব নেই।
বাবার কথাগুলো অহনা নিরব শাš— মনে শুনতে থাকে। তিনি বলেন, নারী পুর“ষ উভয় ঈশ্বর বা মহা-বিশ্বত্মার সাথে এক হয়ে মিশে যাওয়ার অভিজ্ঞতা লাভ করেছে।
আমার ভিতরে একটি আমি আছে। সেই আমিকে সাধনা দ্বারা অলোকিত করে বৃহৎ আমির সঙ্গে একাত্মাবোধ অভিজ্ঞতায় আনা যায়। এই বৃহৎ আমিকে জ্ঞানের জগতে ঈশ্বর বা মহাবিশ্বত্মা বলে, কেউ কেউ বলে প্রকৃতি মহাবিশ্ব।
যখন সাধনা বা ধ্যান দ্বারা একীভূত ঘটে তখন মহা-সাধকরা অনুভব করেন যে, তিনি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন: তিনি ঈশ্বর বা মহাবিশ্বত্মার মধ্যে এমনভাবে অদৃশ্য বা বিলীন হয়ে যান, বা হারিয়ে যানÑ সেভাবে একফোঁটা পানি হারিয়ে সাগরে গিয়ে মিশে যায়। মহা তাপসকুল শিরমনিরা বলেন, যখন আমি, ছিলাম তখন ঈশ্বর ছিল না। যখন ঈশ্বর বা মহাবিশ্বত্মা আছে তখন আমি নেই।
প্রতিটি ফোঁটাই নূর হয়ে যায় যখন তা মহা-নূরের দিকে প্রবাহিত হয়। ঠিক আত্মাও শেষ পর্যš— ওপরে উঠে ঈশ্বর বা মহাবিশ্বত্মায় পরিণত হয়। মহাসাধক হয়ে পড়ে মহাবিশ্বত্মায়। এক রহস্যময় নূরের জ্যোতির মতো যা কিনা কোনকালেও নেভে না: জ্বলতেই থাকে অনš—কাল।
এ ধরণের অতীন্দ্রিয় অভিজ্ঞতা সবসময় আপনা থেকে আসে না। কখনো কখনো মহা সাধকগণ কে বিশোধন আর আলোক প্রাপ্তির পথ খুঁজে নিতে হয়। সহজ-সরল সত্য, জীবন এবং ধ্যান সাধনার নানা কলা কৌশলই হলো এই পথ। তারপর হঠাৎ করেই মহাসাধকরা তার ল¶ অর্জন করে ফেলেন এবং ঈশ্বরের বা মহাবিশ্বত্মার দাবিদার হয়ে যান।
পৃথিবীর বড়-বড় প্রায় সব ধর্মেই মহাসাধকের প্রবণতা ল¶ করা যায়। অতীন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার বর্ণনায় সম¯— জীবনের সীমানা জুড়ে-ই এক অসাধারণ সাদৃশ্য ল¶্য করা যায়। অতীন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার ধর্মীয় বা দার্শনিক ব্যাখ্যা দেবার প্রচেষ্টার মধ্যে মহা-সাধকদের জীবন প্রে¶াপট আপনা আপনি বেরিয়ে আসে।
ঈশ্বর যদিও প্রকৃতি এবং মানব আত্মা দুটোই সৃষ্টি করেছেন কিন্তু তিনি শুধুমাত্র মানব আত্মার মধ্যে বিদ্যমান। প্রকৃতি হলো ঈশ্বরের দর্শন। তিনি জগতের অনেক উপরে এবং দূরে বটে। মহা সাধকগণ বলতে পারেন, আমিই মহাবিশ্বাত্মা বা আমিই ঈশ্বর।
কারণ ঈশ্বর বা মহাবিশ্বাত্মা কেবল জগতে-ই বিরাজমান নন। আবার তাকে এর বাইরেও পাওয়া যাবে না। এটা একটা বিশ্ব-চৈতন্য বা মহাসামুদ্রিক অনুভূতি। জীবন উপলব্ধি করেছে শাশ্বত চিরš—নের পরিপ্রে¶িত। পুরো জগতটা যেন একটা জীবš— ব্যক্তি। জগতটা আমি, ভাবে মহাসাধক।
ব্যাপক বিশাল মহাবিশ্বকে যেন তার রহস্যময় শরীর। রাশেদ সাহেবের একসময় মনে হয়েছিল, তার ভেতরে যেন কিছু একটা বিস্ফোরিত হয়ে তার বুক ফেটে বেরিয়ে গিয়ে অন্য সবকিছু সঙ্গে মিশে মিলে এক হয়ে যাচ্ছে। ঠিক যেভাবে একটি সূর্যের আলো এক মহাবিশ্বকে আলোকিত করে।
তার জীবনে একটা অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। ক্রমেই রাত্রি গভীর হতে থাকে। অহনা আর ও বাবা রাশেদ সাহেব জেগে আছেন। পাখিরা এমন মধুর কণ্ঠে ডাকছে, যেন পৃথিবীটা সদ্য নতুন সৃষ্টি হচ্ছে। সবুজ অরণ্যের বুকে স্রষ্টা যেন আলোর রঙ দিয়ে মিশে যাচ্ছে। আত্মার ভিতর সেই আগুনের স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠছে।
রাশেদ সাহেব বলেন, এই দৃশ্যমান মহাবিশ্ব জগতের-ই অš—র্ভূক্ত রয়েছে মহাকাশের সৌরমন্ডল ও জ্যোতিমন্ডল সমূহ। এই মহাকাশের মহাজ্যোতিষ্ক মÊলে রয়েছে কোটি কোটি ছায়া পথ।
এক ছায়াপথ থেকে অপর ছায়াপথের দূরত্ব কোটি-কোটি আলোক বর্ষ। প্রতিটি ছায়া পথে কোটি-কোটি গ্রহ, উপগ্রহ, ন¶ত্র, ধূমকেতু, নিহারিকা প্রভৃতি নানা নামের নানা বস্তুর অ¯ি—ত্ব আজও অজানা রয়েছে। তা মানব জ্ঞানে অতীত। যেহেতু মানুষকে যে-জ্ঞান দান করা হয়েছে তা খুবই সীমিত, ¯^ল্প বা নগন্য।
অহনা বাবার কথার উত্তরে বলে, এই কায়া বিশিষ্ট মহা-বিশ্বজগতের অš—রালে রয়েছেÑ এক মহা-কায়াহীন মায়াজায়া জগত। এই কায়াহীন মায়াজগতকে মহা-আত্ম জগত বলা হয়। সর্ব জগত এক অজানা মায়ার ডোরে আবদ্ধ। এই কায়াহীন মায়া জগত-ই মহা আত্মজগত নামে পরিচিত।
মহা আত্মজগত থেকেই মহাবিশ্ব জগতের উদ্ভব ঘটেছে। সেই অশরীরী মহা-আত্মজগত অনš—, অসীম। সমগ্র আত্ম-জগত একই মহা পরমত্মার প্রতিফলিত জগত। সেই মহাপরমত্মা আপনাতে আপনি তরঙ্গায়িত: আপনাতে আপনি সৃষ্ট এক অজানা মহা-প্রেমের তাড়নায় হঠাৎ করে ঝংকার মেরে উঠলো। এই ঝংকারের ফলেই মহাআত্মজগত ও মহাবিশ্বজগতের আবির্ভাব ঘটল।
রাশেদ সাহেব বলেন, তা কেবল পরম সত্তাসারেই বিরাজ করছিল। তা মহা-পরমাত্মার অনš— জ্ঞান-রাজ্যে সুপ্ত ছিল উপ্ত হয়নি। ইতিপূর্বে সমূদয় অশরীরী আত্মজগত এবং মহাশরীরী বিশ্ব-জগত সেই মহা-পরম আত্মায় ঘনিভূত অবস্থায় অবিচ্ছেদ্যভাবে একীভূত ছিল। কিন্তু ঐ ঝংকারের ফলে-ই মহা পরমাত্মার আপন ইচ্ছা শক্তির আবরণ সমূহ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে মহাকাশের দূর-দূরাšে— গিয়ে ছিটকে পড়ল এবং ঘুরপাক শুর“ করলো।
সেই মহাপরমত্মার অনু-পরমাণু বিচ্ছিন্ন লোকের স্থানে-স্থানে, রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুপ্রবেশ করল। তার মহা-প্রেমের স্পন্দন সর্ব সৃষ্টিতে অনুভূত হলো। স্রষ্টা ও সৃষ্টিতে যৌথ আত্মচেতনার বিকাশ ঘটল। মহা পরমত্মার ঐসব ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন আবরণ সমূহ বিভিন্ন লোক রূপ নিল।
এমনি করে মহাবিশ্ব জগতের আবির্ভাব ঘটল। এ-সবই মহাপরম আত্মার আপন ইচ্ছা শক্তির বহিঃপ্রকাশ। ঐ মহা-ঝংকার বা মহা বিস্ফোরণের পর থেকে-ই পুনরায় মহা বিশ্বের সমূদয় অনু-পরমানু পর্যš— আপন আদি কেন্দ্রবিন্দুতে অথবা মহা পরমাত্মার প্রীতিবন্ধনে আবদ্ধ হবার অদম্য অনুরাগে ঘুরপাক খেতে-খেতে তারই দিকে ছুটে চলেছে। এই অর্থে সব-ই তার দিকে প্রত্যাবর্তক।
অহনা বলে, বাবা, এই অনন্য সৃষ্টি কৌশলের ভেতর-ই অš—র্নিহিত রয়েছে মহা প্রজ্ঞাবান স্রষ্টার নিদর্শন বা তারই স্মৃতি বিজড়িত কলাকৌশল। সমূদয় সৃষ্টি জগত সেই মহা বুদ্ধিময় সত্তার-ই পরিচালক। সমগ্র সৃষ্টি জগতব্যাপী রয়েছে সেই একই মহা প্রজ্ঞাবান সত্তার ¯^া¶র।
সর্ব সৃষ্টিতেই সেই মহ-বুদ্ধিময় সত্তা বিরাজমান। সর্ব-সৃষ্টি জগত ব্যাপী কেবল তার-ই নিদর্শন উপস্থিত। ভূলোকে-দুলোকে ধ্বনিত হচ্ছে কেবল তার-ই স্তুূতিগান।
অনাবিল হৃদয়ের আত্মনিষ্ঠ মহা তাপস-গণ সর্ব¶ণই তার সেই স্তুূতিগান শোনাতে পায়। সৃষ্টি জগতের সর্বত্র-ই সেই মহান স্রষ্টার সৃষ্টি কলা-কৌশলগুলো তারই জয়ধ্বনি করছে। হৃদয়বান সূফী-সাধক ব্যক্তিরা তা শুনতে পান। সমগ্র সৃষ্টিব্যাপী স্রষ্টা বিরাজমান। তিনিই নিখিলের রব বা প্রভু। তারই সত্তা¡য় সব সত্ত¡বান।
রাশেদ সাহেব মেয়েকে ল¶্য করে বলেন, মা, এই জড় জগত বা বস্তু জগত বলতে এক সময় কিছুই ছিল না এবং ভবিষ্যতেও তা থাকবে না। সুদূর অতীতের সমূদয় বস্তুজগত যে, অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থাতে-ই সবার প্রত্যাবর্তন ঘটবে। যেখান থেকে জড়-বস্তুর আগমন সেখানেই সবার প্রত্যাগমন ঘটবে। যেখান থেকে জড় জগতের উৎস ঘটেছে, সেখানেই সবার মিলন ঘটবে।
কেবল অ¶ত থাকবে মহা-প্রতাবশালী ও মহিমাšি^ত প্রভুর অবয়ব মন্ডল। তিনি এই মহাবিশ্বের বিশ্বাত্মা। বিশ্বাত্মার বাহ্যিক প্রকাশ বা বহ্নিপ্রকাশ নানাভাবে নানা রঙে রঞ্জিত। তিনি সর্বসৃষ্টির আদিসত্ত¡া। যে সত্ত¡া অনাদি অনš—, চিরš—র, অবিনশ্বর। তিনিই সেই পরমসত্তা মহা-পরমাত্মা।
তিনিই একমাত্র ¯^য়ম্ভু। একত্ব তার মৌলসত্ত¡া। অবিমিশ্র সত্ত¡া তিনি সত্ত¡ক্ষান। বহুত্ব তার ঐশী গুণ বা তার গুণ সত্ত¡া।
অহনা বাবার কথা নিরবে কান পেতে শোনে। বাবার কথায় তার বুকের ভিতর নিরব পৃথিবী কাঁদে একটা অস্পষ্ট বীজের ভিতর আলোকিত অঙ্কুরের অভাস। রাত গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে। রূপালী নদীর বি¶িপ্ত আঁকা-বাঁকা স্রোতের উপর নির্মল চাঁদের আলো ঝকমক করছে। ¯^প্নের এই নগর অরণ্য অনুভব জাগায়। মধ্য পথ, বহুমুখি পথ গভীর পথের।
গভীর আলিঙ্গনের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি স্তুূতি মধুর হয়ে দাঁড়ায়। এই মধুর অতীন্দ্রিয় রাতে অহনা বাবাকে বলে, গুপ্ত জ্ঞানে আমি বলতে আমার কাঁয়া নয়: বরং আমার দেহের দেহী ‘আমি’ ¯^য়ং।
আমি আমার-ই দেহ রাজ্যের দৈহিক আবরণ দ্বারা আবৃত। আমি ¯^য়ং মহাপরমাত্মার একটি অনু-আত্ম বিশেষ। আমাকে কেউ দেখতে পায় না এমনকি আমাকে আমি নিজেও দেখতে পাইনা। আমি মহান সৃষ্টার এক রহস্যভেদ। আমি নিমিষে মহাবিশ্বজগৎ ঘুরে বেড়াই। তবুও আমাকে আমি নিজে দেখি না।
কিন্তু দেখার যে, দস্তুর নেই। আত্মা যে-এক নিরাকার জ্যোতির্ময় পদার্থ। আত্মা মহা পরমাত্মার জ্যোতির্ময় ঝলক। আত্মা তার-ই আলোক প্রবাহ। তারই এক দীপ্তময় সত্তা। ধ্যান সাধনার পর মহাসাধক হয়, এক আলোকিত আত্মা। মহাপরমাত্মার এক অনু-আত্মা।
আত্মা অমর, অজড়, অবিনশ্বর, অনাদি, অনš—। সর্বোত্ব আত্মার বিচরণ, মানুষের ভিতর এক রহস্যভেদ লুকিয়ে আছে। মানুষ তাকে জানার চেষ্টা করে, চেনার চেষ্টা করে। আত্মা মহাজ্যোতির্ময় সত্ত¡ার অনুসত্ত¡া। আত্মা মহাপরমত্মার এক অনু-আত্মা। তিনি ব্যধিমুক্ত এবং চির জাগ্রত। তিনি অসীমের মাঝেই সসীম। এই সমীমের মাঝেই আসীমের অবলীলা চলছে।
বাবা অহনার কথা ধীরে-ধীরে নিরবে কান পেতে শোনেন। অহনার গতিশীল জ্ঞান আর প্রজ্ঞা তাকে মুগ্ধ করে। সš—ান জ্ঞানের অনেক উচ্চ¯—রে হাঁটতে শুর“ করেছে। পিতা হিসাবে রাশেদ সাহেবর এটা বড় গর্ব।
ক্লাš— রজনীর শুন্য জানালা ভেদ করে মধুর বাতাস আসছে। নগরের বুকে আলো জ্বলছে। ভাঙ্গা শতাব্দীর পুরনো নির্মাণগুলো দাঁড়িয়ে আছে বি¯—ীর্ণ প্রাš—র জুড়ে। স্মৃতিতে ধরে রাখা এই রাত দৃঢ়তার ইতিহাস সৃষ্টি করে। মাঝিদের গান উচ্চ¯^রে নদী ব¶ থেকে ভেসে আসে।
এমন এক সৃষ্টিময় ¶ণে রাশেদ সাহেব বলেন, মা, পানি থেকেই সর্ব-সৃষ্টির উৎপত্তি ঘটেছে। পানি প্রাণীর জীবন সত্ত¡। পানির উৎপত্তি ঘটেছে আর্শে মুয়াল­ার তলদেশে অবস্থিত এক মহামুক্ত থেকে। মুক্তার আবির্ভাব ঘটেছে ধোঁয়াটে অগ্নি থেকে। অগ্নিসৃষ্টি হয়েছে এক জ্যোতির্ময় পদার্থ থেকে।
পানি যদিও প্রাণীর জীবনসত্ত¡া, আমি কিন্তু মহা-পরমাত্মার এক অনুআত্মা। এই হলো আমার আমিত্বের ব্যাখ্যা-বিশে­ষণ। আমি এক দুর্বোধ্য ও দুর্ভেদ্য সূ¶èানুজ্ঞা। যাকে নির্দেশ করা হয়েছিল আদমের দেহের অভ্যš—রে প্রবেশের জন্য।
মানবাত্মার দেহ যে, কৌশলে সৃষ্টি আল­াহ ¯^য়ং সেই কৌশলের সদৃশ অবস্থায় অবস্থান করছেন। এই অর্থেই মানুষ স্রষ্টার প্রতিনিধি। প্রতিনিধি অথর্, প্রতিরূপ, প্রতিবিম্ব, প্রতিভূ, সদৃশ্য প্রভৃতি। প্রতিনিধি সাধারণত নিধির মতই হয়ে থাকে। নিধি অথর্, আঁধার পাত্রÑ গুপ্তধন প্রভৃতি। মানুষ এই গুপ্ত ধনের গুপ্ত প্রকাশ।
রাশেদ সাহেব আরো বলেন, মানব হৃদয় স্রষ্টার আরশ বা তারই অবস্থানস্থল। মানবের ম¯ি—স্কমন্ডল সৃষ্টিকর্তার কুর্সী সদৃশ্য। মানবের ধীরশক্তি সৃষ্টি কর্তার লউহে মাহফুজ সদৃশ্য। মানবের দৈহিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সৃষ্টিকর্তার মালাকুত শক্তি সদৃশ্য। সৃষ্টিকর্তার যাহেরী ও বাতেনী কার্যকলাপ যেভাবে চলছে, মানবের বাহ্যিক ও অভ্যš—রীণ (আধ্যাত্মিক) কার্যকলাপ তেমনিভাবে চলছে।
সৃষ্টিকর্তা যেমন যাহের ও বাতেন মানব ও তদ্র“প যাহের ও বাতেন। সৃষ্টিকর্তা যেমন এক মহা-জ্যোতির্ময় সত্ত¡া মানবত্মাও তেমন এক জ্যোতির্ময় সত্ত¡া । সৃষ্টিকর্তা যেমন দেখতে পান, শুনতে পান, মানুষও তদ্র“প দেখতে পায় শুনতে পায়।
সৃষ্টিকর্তার যেমন দয়া মায়া আছে। মানবেরও তদ্র“প দয়ামায়া আছে। সুতরাং সৃষ্টিকর্তা মানবকে তারই প্রকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। এই জন্য বলা হয় যে নিজেকে দেখতে পেয়েছে, সে-তার সৃষ্টাকেও দেখতে পেয়েছে। কেননা তার ¯^রূপ-ই স্রষ্টার ¯^রূপ। সে মালাকুত শক্তি দ্বারা মহাবিশ্বজগত পরিচালিত হচ্ছে তা মানব অঙ্গ প্রতঙ্গ সদৃশ্য শক্তি। কারণ আর্শে-মুয়াল­ায় উদিত ইচ্ছের প্রতিফলন যেভাবে ঘটছে: তদ্র“প মানব অš—রে উদিত ইচ্ছেÑ তেমন করেই প্রতিফলন ঘটছে।
অহনা বলে, বাবা সৃষ্টিলগ্নের পূর্বে দেশ-কাল বলতে কিছু ছিল না। সৃষ্টিলগ্ন থেকে একটা কাল্পনিক দেশ-কালের অ¯ি—ত্ব দেখানো হয়েছে। কাল অনাদি, অনš—, অবিভাজ্য। কাল মহাকাল।
পৃথিবী তার ক¶পথে প্রদ¶িণ করার ফলে পৃথিবী নামক গ্রহটির একাংশ সূর্যালোক পতিত হয় বলে আলোকিত ভাগকে দিবা আর তিমিরাচ্ছন্ন ভাগকে রাত্রি নামকরণ করা হয়েছে। মধ্যরাত গড়িয়ে আ¯ে—-আ¯ে— ভোরের পথে সময় বয়ে যাচ্ছে। সত্যিকার আশেক তার মাশুকের বিরহ অনলে মৃত। যে, মৃত তার থেকে কোন শব্দ নেই।
কেননা সত্যিকার প্রেমিক প্রেমময়ের বিরহ অনলে জ্বলে পুড়ে নির্বাক হয়ে গেছে এবং নিঃশব্দ তত্ত¡জ্ঞানের প্রেমে সাগরের অতল গহŸরে তলিয়ে গিয়ে নির্বাক নিশ্চুপ হয়ে পড়েছে। তাই সত্যিকার প্রেমিকের মধ্যে কোন হৈচৈ নেই। নির্জন নিশীথ রাতের প্রহরে প্রহরে মেতে উঠা পাখিদের কলতান ল¶্য করে রাশেদ সাহেব এবং অহনা।
রাশেদ সাহেব বলেন, যার হৃদয়ে প্রেমের আতিশয্যে আত্মবিহবলতা আসে না, তার জীবন নেই। সে নির্জীব। প্রেমময়ের প্রেমাসক্তি-জনিত ¯^র রব অথবা প্রেমিকের সুমধুর কণ্ঠ¯^র, পাখিদের সুমিষ্ট কলরব মহাকিতাব পাঠের সুমধুর ধ্বনি আবেদের নিবেদিত ফরিয়াদ, কাকতি মিনতি প্রেমিকজনের মনে ঐশী প্রেমের সঞ্চার করছে।
নির্জন রাতের ক্রন্দনরত আবেদের কণ্ঠ¯^র এবং পাখিদের কণ্ঠ¯^র। এই সব সুমধুর কণ্ঠ¯^র দ্বারা সৃষ্টিকর্তার প্রেমিকদের হৃদয়ে প্রেমের স্পন্দন জেগে উঠে। প্রেমিকগণ তখন প্রেমের আতিশয্যে প্রেমানন্দে আত্মবিহŸল হয়ে পড়ে। প্রেমিকদের অš—করণে প্রেমময়ের প্রতি প্রেমের অনুরাগ বা বিরহব্যথা এতই জ্বালাময়ী হয়ে ওঠে যে, প্রেমিক তখন তার বাহ্যজ্ঞান পর্যš— হারিয়ে ফেলে।
জানালা দিয়ে বাড়ির বাইরে ল্যামপোষ্টের মাথায় লাইটের আলো দেখা যাচ্ছে। অসংখ্য পতঙ্গ প্রেমের স্পন্দনে জ্বলš— অগ্নিকুন্ডে ঝাপ দিয়ে প্রাণ বিসর্জন দিচ্ছে এবং প্রেমের নিঃশব্দ রাজ্যে বাস করছে। আর কিছু¶ণের মধ্যে সূর্যের আলো পৃথিবীর বুকে ভেসে উঠবে। সম¯— আকাশ নিথর নি¯—ব্ধ নিরব।
পূবালী হাওয়ায় নগর অরণ্যের বৃ¶গুলো দুলছে। বেদনায় ছিঁড়ে পড়া টুকরো-টুকরো স্মৃতি আ¯ে—-আ¯ে— মিলে যাচ্ছে চলমান জীবনের অতলে। মাটির গভীরে প্রোথিত শেকড় ফুটš— বৃ¶রাজী নতুন সকালের দিকে চেয়ে হাসছে। কালো চোখ দৃষ্টি মিলে ছুঁয়ে দেখে অরণ্যের সবুজ।
অহনা বলে, বাবা দৈহিক শিহরণ, স্পন্দন, আলোড়ন, আত্মিক অনুরাগ ও আত্ম-বিহবলতা সৃষ্টি হওয়ার পেছনে রয়েছে প্রেমিকের জন্য সুমধুর কণ্ঠ¯^র। পাখিদের সুললিত কলরব-কলতান, প্রেম মাধুর্যে মাখা পঠিত মহা-কিতাবের ধ্বনি। প্রেমে পরিপূর্ণ সৃষ্টিজগতে সুন্দরে পরিপূর্ণ প্রাকৃতিক দৃশ্য। সৃষ্টিকর্তার প্রেমে নিমগ্ন ধ্যান-ধারণা এবং স্রষ্টার সৃষ্টি কৌশলজনিত ধারনা।
এসব দ্বারা প্রেমময়ের প্রতি প্রেমিকের মনে অনুরাগ সৃষ্টি করে থাকে। প্রেম-স্পন্দন কেবল-ই তত্ত¡ জ্ঞানি সৃষ্টিকর্তার প্রেমিকের অš—করনে-ই সৃষ্টি হয়।
ভোরের বাতাসে ফোঁটাফুল কাঁচা-পাকা ফল অরণ্যে সজীবে দুলছে। পাশের নতুন চারাগাছ বেয়ে উঠছে অদ্ভুত জীবন নিয়ে। ভোরের সবুজের দিকে চোখ মিলাচ্ছে রাশেদ সাহেব আর অহনা। যেখানে ভোর হয়, কালো-কালো পাখিরা আকাশে উড়ে। বহুদূর দিগš— হতে ধ্বনি আসে সূর্যের আলোকিত বুক থেকে।
সূর্য উঠছে, উত্তপ্ত লাল। একজন কর্মকার আগুনের ভেতর লোহা পোড়ালে লোহাটি যেমন অগ্নিতে পরিণত হয়: ঠিক সূর্যটি সেই রকম লাল রঙে পরিণত হয়েছে। রাশেদ সাহেব বলেন, লৌহকে অগ্নিতে দিলে লৌহে মধ্যে অগ্নিত্ব ¯^ভাব এসে যায়। ঠিক মানুষ যদি কাম-ক্রোধ লোভ, মোহ, মদ প্রভৃত বিনাশ সাধন করতে পারে, তবে তার মধ্যে ঐশী ¯^ভাব বা ¯^র্গীয় গুণরাজী এসে যায়।
আমিত্ব ধ্বংস হলেই সৃষ্টিকর্তার সাথে ফানা হওয়া যায়। ফানা হলো, সৃষ্টিকর্তার যাবতীয় গুণাবলী মানুষের মধ্যে বিকশিত হওয়ার পূর্ণ সুযোগ পায়, সৃষ্টিকর্তার ¯^ভাব মানুষের মধ্যে এসে যায়। যেরূপ অগ্নি¯^রূপ লৌহের মধ্যে আসে মহা-সাধকদের মধ্যে সৃষ্টিকর্তার যাবতীয় গুণাবলী, দর্শন, শ্রবণ প্রভৃতি ঐশী গুণাবলী পূর্ণভাবে বিকাশ লাভ করে।
মহাসাধক তখন সৃষ্টিকর্তার গুনের শক্তিতে চলতে থাকেন। স্রষ্টার দৃষ্টিতে দর্শন করে থাকেন। স্রষ্টার শ্রবন শক্তিতে শ্রবন করে থাকেন।
রাশেদ সাহেব অহনাকে কথাগুলো বলতে বলতে একসময় অহনা বলে, একফোঁটা পানির মধ্যে বিরাট সাগরের পরিচয় লাভ হয়। যেরূপ অগ্নির গুণপ্রাপ্ত লৌহের মধ্যে দু’টি উপাদান থাকে যথা: অগ্নিত্ব ও লৌহত্ব।
অগ্নিগুন প্রাপ্ত হয়ে এই দুই উপাদান মিলে তৃতীয় ¯—র প্রাপ্ত হয়ে থাকে। সাধারণ লৌহে নহে অগ্নি নহে। যেমন অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন মিলে পানি হয়। সেই জন্য ফানা প্রাপ্ত মহা সাধককে আমরা তৃতীয় ¯—রের মানুষ বলতে পারি। তারা এই দুই উপাদানের মিলনে তৃতীয় ¯—র প্রাপ্ত হয়। আবার তাদের মধ্যস্থিত ঐশীগুন রাশি স্রষ্টার সেফাতের অংশ নহে।
কারণ স্রষ্টার সেফাতের যাবতীয় সৃষ্টি-ব্যাপী সূর্য রশ্মির ন্যায় বিরাজমান। সৃষ্টিকর্তার সেফাতে এবং নূর সুপ্তভাবে সর্বস্থানে বিরাজমান। যে-হৃদয়ে উক্ত জ্যোতি ফানা দ্বারা বিকশিত হয়, সেই হৃদয়ে-ই সৃষ্টার প্রকাশিত সেফাতগুলো প্রতিফলিত হয়ে থাকে।
বাবা ও কন্যার কথপোকথনে আরো বলাবলি করেন যেÑ ফানা প্রাপ্ত মহা সাধকগণের হৃদয়ে শয়তানের রাজত্ব থাকে না। ঐরূপ আত্মার শয়তান বিরাজ করতে পারে না। সুতরাং যে-হৃদয়ে কুচিš—া এবং পাপ কার্য্যরে কুপ্রবৃত্তি হয় না, সেই পবিত্র আত্মা স্রষ্টার বিরাজমান স্থল হয়ে পড়ে।
রাশেদ সাহেব বলেন, অদৃশ্য বস্তুর ধ্যান-ধারণায় রতাবস্থায় সাধনা করতে-করতে মহা সাধকের হৃদয়ে এমন এক অবস্থার সৃষ্টি হয় যা, তত্ত¡জ্ঞানের নেত্র দ্বারা সৃষ্টি জগতের পরম সত্ত¡া মহান স্রষ্টার সিফাতকে প্রত্য¶ভাবেই অনুভব ও উপলব্ধি করতে স¶ম হন। এইরূপ নির্ভূল উপলব্ধির নামই আত্মোপলব্ধি জ্ঞান এবং পরম সত্ত¡ার লব্ধ জ্ঞানকেই বলা হয় ইরফান।
মহা সাধকগণ বলেন, যখন জ্ঞানের চরম-পরম সীমায় উন্নীত হয়ে থাকেন, তখনই তারা মহাজ্ঞানী স্রষ্টার প্রদত্ত জ্ঞান প্রভায় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠেন।
বাবার কথার সাথে-সাথে অহনা বলে, আপন অ¯ি—ত্বের ¶ুদ্রতম জ্ঞান-সত্ত¡া মহা অ¯ি—ত্বের জ্ঞান-সত্ত¡ায় মিশে গিয়ে দ্বিসত্তায় কোন রকম ব্যবধান দেখতে পান না। পূত-পবিত্র ব্যক্তি তখন বুঝতে পারেনÑ একমাত্র পরম সত্ত¡ার আ¯ি—ত্ববোধ ছাড়া আর দ্বিতীয় কোন অ¯ি—ত্বের অনুভূতি হৃদয়ে অনুপস্থিত। বরং বিশ্বসৃষ্টির অ¯ি—ত্বকে পর্যš— তারা তখন বিলীন দেখতে পান।
আত্মনিষ্ঠ সাধকগণ স্রষ্টা ও সৃষ্টি জগতের বিভেদ রেখা ভুলে গিয়ে, সব একাকার দেখতে পান। এর-ই নাম স্রষ্টাতে ফানা হয়ে যাওয়া। প্রেমময়ের পরম প্রজ্ঞায় উপনীত হয়ে পূত-পবিত্র ব্যক্তিগণ বলে থাকেন, “অহংব্র¶” বা আমি-ই পরম সত্য।
রাতের ক্লাšি— শেষে সকালের সূর্য ওঠে, উজ্জ্বল আলো দিগšে— ছড়িয়ে পড়ে। নগরের মানুষ কাজের সন্ধানে ছুটে যাচ্ছে অচিন নগরের দিকে. . .!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Anjan Sharif ধন্যবাদ
শাহীন মাহমুদ লিখাটি অনেক বিশ্লেষণ আছে------- লিখতে থাকুন--
মিলন বনিক "মহা আত্মজগত থেকেই মহাবিশ্ব জগতের উদ্ভব ঘটেছে। সেই অশরীরী মহা-আত্মজগত অনš—, অসীম। সমগ্র আত্ম-জগত একই মহা পরমত্মার প্রতিফলিত জগত। সেই মহাপরমত্মা আপনাতে আপনি তরঙ্গায়িত: আপনাতে আপনি সৃষ্ট এক অজানা মহা-প্রেমের তাড়নায় হঠাৎ করে ঝংকার মেরে উঠলো। এই ঝংকারের ফলেই মহাআত্মজগত ও মহাবিশ্বজগতের আবির্ভাব ঘটল।" - আপনার বক্তব্যগুলো খুবই পরিচ্ছন্ন...চিন্তা ধারার ভিন্নতা আছে..খুব ভালো লাগলো...ফন্ট জনিত সমস্যাটা ভীষণ কস্ট দিচ্ছিল...ভালো থাকবেন...
তাপসকিরণ রায় আদ্মাতিক জীবনের গুঢ় রহস্য নিয়ে লেখা আপনার গল্প---বড় গুরু গম্ভীর ব্যাপার।তবে এতে সঠিক তাত্ত্বিক ব্যাপার নিহিত আছে।সে দিক থেকে একটি মূল্যবান লেখা বলতে হবে।ধন্যবাদ।

২১ অক্টোবর - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৯৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪