ঈশ্বরের খোঁজে

পরিবার (এপ্রিল ২০১৩)

এনামুল হক টগর
আলো আর অন্ধকার পরস্পর পৃথক হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের এক দিকে আলো অপর দিকে তার ছায়া অন্ধকারে রূপ নিচ্ছে। আলো আর আঁধার যেন ঈশ্বরের গুপ্ত রহস্য ভেদ, যাকে অতিক্রম করতে পারলে ঈশ্বরের দর্শন পাওয়া যেতে পারে।

সিরাজ, শাহজাহান, তাইজন, মমিন, আব্দুল, মান্নান, ইসহাক এই সাতজন যুবক ঈশ্বরের খোঁজে রওনা হলো এবং যেতে যেতে এক নদীর কাছে গিয়ে পৌঁছালো। নদীর পাশে একটি সুন্দর ছোট বাগান দেখতে পেলো।

সবাই ক্লান্ত একটু বিশ্রামের প্রয়োজন। তাই সবাই সিদ্ধান্ত নিলো সন্ধ্যা পর্যন্ত এই বাগানে অবস্থান করবে, কিন্তু সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পরই সবাই গাড়ী ছেড়ে অন্য জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা হবে। সেই মোতাবেক যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গাড়ীতে উঠতে পারবে তারাই শুধু ঈশ্বরের সন্ধানে যেতে পারবে। নদীর পাশে সবুজ অরণ্য সুন্দর পরিবেশে বিশ্রামে যাওয়ার সময় সিরাজ সবার উদ্দেশ্যে বলল মানুষের দেহের ভেতর হিংসা ক্রোধ লোভ অস্থিরতা মাঝে মাঝেই সীমা অতিক্রম করে। হিংসা আর ক্রোধ হচ্ছে দেহের আগুন। এটা মানব অন্তরে জ্বলে পোড়ে, আর শয়তানের সংগে বন্ধুত্ব করে।

আগুন হতে হিংসা আর ক্রোধের জন্ম, যা দ্বারা শয়তানকে সৃষ্টি করা হয়েছে। শয়তান নিজেই বলে অগ্নি থেকে আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই শয়তানের স্বভাবে অগ্নি বিরাজমান।

অগ্নির স্বভাব গতিশীল এবং চাঞ্চলকর।
আর সবাই মনে রেখো আদমকে মাটি হতে সৃষ্টি করা হয়েছে তাই আদমের স্বভাব স্থির ও শান্ত। আদমের সাথে মানবের সম্পর্ক বিদ্যমান আর শয়তানের সাথে হিংসা ক্রোধ লোভ অস্থিরতার সম্পর্ক বিদ্যমান।

সিরাজের কথাগুলো শুনে সবাই বিশ্রামের জন্য বাগানের দিকে হাঁটতে থাকে। বাগানটি যেন বসন্তের ফুল ফলে ভরে গেছে। সুন্দর বিচিত্র রঙের এই মেলায় সবাই সিরাজের কথা ভুলে গেলো। কেউ ফল খাচ্ছে কেউ মধু খাচ্ছে কেউ নদীর তীর থেকে দামী পাথর সংগ্রহ করছে। জীবনের স্বপ্ন যাত্রায় সবাই যেন ঈশ্বরের কথা ভুলে গেলো। ভালো খাদ্য বিলাসী সামগ্রী সংগ্রহ করে কয়েকজন সন্ধ্যার আগে ঘুমিয়ে পড়লো। জেগে আছে সিরাজ, শাজাহান আর মমিন তারা তিনজন খুব কষ্টে সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পর গাড়িতে গিয়ে উঠলো এবং বাকী চারজনের ক্লান্ত শরীর, লোভে ঘুমিয়ে পড়ে। সিরাজ শাজাহান আর মমিন কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর পুনরায় ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা হলো।

গাড়ির ভেতর মমিন বলল বহু বছরের লোভ লালসা হিংসা আর ক্রোধ এই শরীরের ভেতর জেগে আছে। তাকে সহজেই কি পরাজিত করা সম্ভব?

শাজাহান বলে মানুষের অন্তর থেকে সহজেই ক্রোধ হিংসা লোভ আর লালসা উৎপাটন করা সম্ভব্ নয় তবে আস্তে আস্তে সাধনা দ্বারা তাকে দমন করতে হবে। জ্ঞানের চেতনা দ্বারা অন্ধকারকে মুছে ফেলতে হবে।

ধীরে ধীরে গাড়ি ছুটে যাচ্ছে সীমান্তের দিকে। সেখানে থই থই পানি আর নীল আসমান খেলা করে, সত্যের পরিমাপে মহাসত্যের অনুভব হচ্ছে। আকাশ মন্ডলী পৃথিবী তার অর্š—বর্তী সব কিছু আদি সৃষ্টি তার অস্তিত্বে প্রাণ সঞ্চার করছে । মহাস্রষ্টার মহাজ্ঞান নূরে উদ্ভাসিত । পর্যবেক্ষণ নির্দেশ শুধু জ্ঞানীর জন্য দৃশ্য আর অদৃশ্যের ধ্যান গবেষণা। যেন মহা সুক্ষ্ম বিন্দু অবিশ্বাস্যরূপে ঘনীভূত । সমুদয় ক্ষুদ্র বৃহৎ সঠিক সমতার পথে অনুসন্ধান করছে।

সিরাজ বলে সন্ধানী দৃষ্টি দ্বারা আমাদেরকে অনুসন্ধান করতে হবে।
পরিপূর্ণ জ্ঞান শুধু ঈশ্বরের সাথে মিশে নিজের অস্তিত্ব হারাতে হবে। দৃশ্য আর অদৃশ্য সম্পর্কে একমাত্র তিনিই সম্পূর্ণ অবগত বা পরিজাত।

মমিন বলে তোমার বক্ষস্থিত হৃদয়ের চোখ খোল জ্ঞানের চঞ্চল স্পন্দনে তাকে ধাক্কা দাও । বক্ষকে সংকীর্ণ মুক্ত করো তবেই তুমি ধীরে ধীরে প্রকৃত সত্য ঈশ্বরের পথ অনুভব করতে থাকবে । তোমার বক্ষের ভেতর আদি অণু গুপ্ত সকল বিষয় ঘুমিয়ে আছে। তাকে জ্ঞানের চেতনা দ্বারা পরিবেশন করো দেখবে ক্রমেই আলো ছড়াচ্ছে।

শাজাহান গভীর চিন্তা করে বলে আমরা সাতজন একই সাথে রওনা হয়েছিলাম কিন্তু ওরা চারজন পৃথিবীর লোভ লালসার স্বপ্নে ঘুমিয়ে পড়েছে। আমরা তিনজন ঈশ্বরের পথে সন্ধান করছি। যে পথের সন্ধান পেলে দৃশ্য অদৃশ্য সুষম-ঘনীভূত নূর থেকে নূর সমস্ত বিশ্বময় জগৎ দেখার সৌভাগ্য হবে !

স্রষ্টার জ্ঞান আর মহা জ্ঞানের উদ্ভাসিত জগৎ চিত্র অনুভব করবো। যেন আদি অন্ত গুপ্ত পরষ্পর এক সাথে মিশে যাচ্ছে আবার পৃথক হচ্ছে !

আজন্ম মানবাত্মা আর পরমাত্মার মিলনের অপেক্ষা করছে । শান্তিময় পুষ্পময় নিবিড় ভালোবাসা। মমিন বলে দেহের ভেতরে একটি বৃহৎ নদী আছে। সেই নদী থেকে অসংখ্য উপনদী শরীরের সমস্ত অঙ্গঁ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রবাহমান স্রোতে এক সময় ধাবিত হয়। ঐ নদীই হচ্ছে জীবনের যাবতীয় কামনা বাসনা লোভ লালসার উৎপত্তি স্থল।

শাজাহান বিস্ময়ে তাকিয়ে বলে, ঐ নদীর প্রবৃত্তির সাথে সংগ্রাম কর তার সাথে জিহাদে লিপ্ত হও। গাড়ি ছুটে যাচ্ছে সুদূরের পথে। ধীরে ধীরে পৃথিবীর বুক থেকে আলো মুছে যাচ্ছে। ছুটে আসছে অন্ধকার কঠিন রাত। সফেন সাগরের মতো ঢেউয়ে ঢেউয়ে।

অচিন অচেনা পথে নিদ্রাহীন সমুদ্রের চোখে অশ্র“ ঝরছে। অনুগহে আবির্ভাব প্রকৃতির ডালপালা ছড়াচ্ছে। শাশ্বত সত্যের সক্ষম বাণী থেকে নির্গল প্রেম ভেসে আসছে।

ঈশ্বরের খোঁজে বিরামহীন আমাদের যাত্রা। দূরন্ত পৃথিবীর দূর্বিসহ যন্ত্রণায় অনাহারীরা জেগে আছে। তার মাঝে মমিন পৃথিবীর দিকে মৃদু হেসে সিরাজকে লক্ষ্য করে বলল।

মানুষের দেহের শেকড়ে শেকড়ে প্রবৃত্তি রয়েছে। সে শিকারীর মতো দূরন্তবাজ। তাকে জ্ঞানের আলো দ্বারা বন্দী করতে হবে। যেন চোখে সে খারাপ কিছু না দেখে। শুধু জীবন ধারনের জন্য তাকে কিছু খেতে দাও। এই অল্প খাদ্য তাকে জ্ঞান আর চেতনার পথ দেখাবে ! প্রতিপালকের অনুগত হয়ে পড়বে। সে তখন আলো আর জ্ঞান ছাড়া কিছু বুঝবেনা এবং ধীরে ধীরে সে ঈশ্বরের পথের সন্ধান অনুভব করতে থাকবে।

সিরাজের চোখে এক অপ্রতিরোধ্য ছবি স্বপ্ন দেখায়। কোন অদৃশ্য শব্দ তাকে কানে কানে বলে ঈশ্বর সঙ্গ পেতে চাও? সত্যিকার আরেক জ্ঞানীদের সঙ্গ লাভ করো সত্য জ্ঞানীদের সঙ্গ ক্ষণকাল হলেও একশত বছরের সর্বোত্তম নিরাহংকার আরাধনা।

শাজাহান সিরাজের দিকে মুখ তুলে বলে শুধু কিতাবী বিদ্যা দ্বারা চরিত্র গঠন হয় না খাস উস্তাদে মিশে আমল পরিপক্ক করতে হয়। মানব দেহই স্রষ্টার প্রকৃত আসল কিতাব।

কথার মধ্য দিয়ে মমিন বলে নিজের আপন দেহে ঈশ্বরের নির্দেশ অনুসন্ধান করো তোমার বক্ষে লুকিয়ে থাকা মূল প্রেমের বীজ খুঁজে পাবে। সিরাজ গভীর মনোযোগ সহকারে বলে তখন মহা অস্তিত্বে মিশে তুমি নিজের ক্ষুদ্র অস্তিত্ব ভুলে যাবে। বৃষ্টির পানি সমুদ্রে মিশে যেমন নিজ অস্তিত্ব হারায়।

তেমনি প্রেমিক আশেক, মাশুকে মিশে নির্বাণ হয় এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বে মিশে অবিনশ্বর রূপে মহা সত্যের দিকে ধাবিত হয়।

রাত শেষের দিকে বহু দূর থেকে ক্ষীণ আলোর রেখা চোখের তারায় জ্বলছে। জীবন নদীর মধ্যে জ্ঞানের ঢেউগুলো খেলা করছে সুপ্ত প্রাণের অতল গহবরে।

তিনি আঁকড়ে ধরে রেখেছেন জীবন ও মৃত্যুকে । এক বাঁকা উত্তপ্ত ক্ষুধার্ত জগতের মধ্যে। সেখানে প্রাণ ঝরে পড়ে অর্ধ-দগ্ধ ক্ষত চিহ্ন আহত বুকে। বাতাসে নীল অস্ফুট তৃষিত বেদনা বিষাদের অতন্দ্র দিন আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। অনেক পথ যেতে যেতে আমরা সবাই ক্লান্ত, বিশ্রামের প্রয়োজন।

সারারাত জেগে সবাই পরিশ্রান্ত । সমুদ্রের এক মনোমুগ্ধকর স্থানে গিয়ে তিনজন বিশ্রামে গেলো। যার যার মতো স্বাধীন ভাবে বিশ্রামের জায়গা খুঁজতে লাগলো এবং সবাই সবাইকে বলে দিল সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পরই আমরা এখান থেকে পুনরায় রওনা দেবো। সবাই যেন সঠিক সময়ে গাড়িতে গিয়ে পৌঁছাই।

নীল সমূদ্রের পাশে বিপুল অরণ্য। ক্লান্ত তিনজন ঘুমিয়ে আছে বিক্ষেপ আবেগে। তাদের বুকের ভেতর স্বপ্ন বীজের মুকুল চেতনা বিকাশ হচ্ছে। ঈশ্বরের আলোর দূরত্ব আর আঁধারের মাঝ পথে ওরা তিনজন ঘুমিয়ে আছে। অতি বিষণœ স্বপ্ন সমুদ্র থেকে ছুটে আসছে। অসমাহিত দূর আকাশের নীল দিগন্ত দিয়ে । সামনে ভয়ংকর রাত অন্ধকার আর আলোর ব্যবচ্ছেদ। সিরাজের ঘুম ভেঙে গেলো তখন সন্ধ্যার আসন্ন আঁধার, সিরাজ দ্রুত গিয়ে গাড়িতে উঠলো।

অপর দুইজন নিঃসঙ্গ মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে এবং রাত্রির গভীরে তারা জেগে ওঠলো ততক্ষণে গাড়ি বহু দূরের পথ পার হয়ে গেছে।

সিরাজ একাই ছুটে যাচ্ছে ঈশ্বরের খোঁজে। কিন্তু ঈশ্বর কোথায় আর কত দূর তাকে যেতে হবে। সিরাজ সৃষ্টির মধ্যে পরিপূর্ণ সত্য খুঁজতে থাকে। কিন্তু সমগ্র সৃষ্টির দর্শন চক্রাকারে ঘুরছে অবুঝ অনুরক্ত প্রেমের বেদনায়। জগৎ ঘিরে তার দীপ্ত আলো ইচ্ছের জীবন ও মৃত্যুকে আলিঙ্গঁন করছে। অধরা অদৃষ্টের সীমারেখা পেরিয়ে কে ঈশ্বরের কাছে যাবে বা খুঁজে পাবে !

এবং কে তার অবারিত প্রেমের আলোয় মিশে যাবে । রাতের নক্ষত্র আঁধারে উঁকি দিচ্ছে এক অলৌকিক দূর্লভ শিল্প কর্মের খেলায়।

সিরাজ আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়ে, সৃষ্টির রহস্য ভেদ ভাবতে ভাবতে। ঘুমের ভেতর তার কানে ঐশী বাণী ভেসে আসতে থাকে। এবং সে শুনতে পায় সত্যিকার ধর্ম থাকে মানুষের হৃদয় বা অন্তকরণে। যা নিপীড়নের নিগঢ় থেকে মুক্তির চেতনা আনে। অন্তর হচ্ছে আঁধার জ্ঞানহীন বিশ্বের আলোকিত প্রাণ। যার কাছে মানুষ আজীবন আশ্রয় খোঁজে। প্রেম ভালোবাসা কল্যাণ সেবা আর পথের দিশার আকাঙ্খায়। আদিম অন্ধকার সমাজ থেকে দাস সমাজ আর শেষে সাম্য সমাজ পর্যন্ত।

কালক্রমে মানুষ হাঁটতে হাঁটতে এক সময় ভন্ড যাজক ধর্মগুরু আর অত্যাচারী শাসকের সেবায় হাতিয়ার হয়ে ওঠে। তারা জীবনকে বন্দী করে সংকীর্ণতার মধ্যে, যা থেকে মানুষ সহজে বেরোতে পারেনা।

স্বার্থবাদী ভন্ডরা ঈশ্বরের পথের কথা বলে জরাজীর্ণ আঁধারের দিকে নিয়ে যায়।
তাই তুমি নিজের মধ্যে এবং গুপ্ত জ্ঞানের অধিকার আলোকিত মানুষের কাছে গিয়ে ঈশ্বরের পথের অনুসন্ধান কর। তোমার অন্তকরণ খুলে গেলে এক সময় অলিক ঈশ্বর প্রাপ্তি আলোর পথ দেখবে।

মনে রেখো স্রোষ্টার অবয়বে মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং মানুষের মধ্যে স্রোষ্টার নির্দেশ আছে। নিজের মধ্যে সেই নির্দেশকে আলোকিত করো এবং ঈশ্বরের নির্দেশ আলোকিত মানবের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করা।

ঈশ্বরের কাছে নিজেকে যত বেশী ছোট করতে পারবে, ততবেশী ঈশ্বরের মহৎ ও মহান জ্ঞানের সন্ধান পাবে। তুমি তখন অনুভব করবে জন্ম মৃত্যুর এক চিরন্তর আবর্তন। সমস্ত বিশ্ব জুড়ে এক অসীম অনন্ত শূন্যতা তার মাঝে তুমি একা একা ধ্যানে মগ্ন।

মানবের মনে জেগে ওঠা লোভ, কামনা, বাসনা, প্রলোভন যা যুগ যুগ ধরে মানুষকে চালিত করেছে, তা ধীরে ধীরে চলে যেতে থাকবে। আর পার্থিব চেতনা জগৎ থেকে পরম প্রজ্ঞার জগতে উত্তোরণ করেন। এইভাবে জন্ম থেকে মুক্তির পথে মানুষ সকল পার্থিব জগতের দুঃখ কষ্ট হতে উদ্ধার পেতে পারে। এই পরম জ্ঞান উপলদ্ধির নামই নির্বাণ বা ঈশ্বরে মিশে যাওয়া। মানবের মধ্যে ঈশ্বরের যে নির্দেশ লুকিয়ে আছে তাকে ধ্যান ইবাদত দ্বারা জাগ্রত করো। তবেই ঈশ্বরকে উপলদ্ধি বা অনুভব করতে পারবে। হঠাৎ সিরাজের ঘুম ভেঙে গেলো। জেগে ওঠে সে দেখলো গাড়ি স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। সে গাড়ি থেকে নেমে নিজ বাড়ির পথে রওনা দিল এবং নিজের মধ্যে ঈশ্বরের পথ ভ্রমণ করতে লাগলো এবং ঈশ্বর আলোকিত মানুষের সংস্পর্শে যেতে লাগলো।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এশরার লতিফ সীমা থেকে অসীমে যাত্রার গল্প. খুব ভালো লাগলো.
সূর্য আসলে মানুষ যদি নিজেকে চিনতে পারে, নিজের দূর্বলতা চিহ্নিত করতে পারে তখন সে আলো দেখতে পায়। তার যাত্রা হয় মঙ্গলের পথে। ভিন্ন আঙ্গিকের গল্প বেশ ভালো লাগলো।
তাপসকিরণ রায় আধ্যাত্মিক চেতনার মর্ম গাঁথা--গল্প থেকে বেশী উপদেশাবালী মনে হল।তবু গল্পের সীমারেখায় টেনে নেওয়া লেখাটি মুল্যাবান বলে মনে হল আমার।ধন্যবাদ লেখককে।
মিলন বনিক আধ্যাত্মিক চেতনাসমৃদ্ধ সুন্দর গল্প....খুব ভালো লাগল...নববর্ষের শুভেচ্ছা...
মোঃ কবির হোসেন এনামুল হক টগর ভাই আপনার লেখাটি একটি আধ্যাত্বিক গল্প মনে হল. রহস্যময় তাই অনেক ভাল লাগল, পড়তে পড়তে মনে হল লেখার সাথে মিশে গেলাম এবং মুগ্ধ হলাম. ধন্যবাদ.
সুমন মানুষ যদি বুঝবেই তবে এত ভেদ এত বিপত্তি কি আর হতো? মানুষ চিরকালই এমন আর তাইতো কবি বলে গেছেন দেখিতে গিয়াছি পর্বত মালা দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু/ দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া.....। ঠিক প্রথাগত গল্পের মতো না হলেও ভাল লাগল আপনার গল্প।
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ দারুণ একটি গল্প ; একেবারে মুগ্ধ করে দিলেন আমায় টগর ভাই । শুভ কামনা ।

২১ অক্টোবর - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৯৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪