শমিরন

শ্রমিক (মে ২০১৬)

এনামুল হক টগর
  • 0
  • ৩৭
আব্দুল্লাহর নতুন চাকুরি। লেখা পড়া শেষ করে চাকুরির জন্য সে বহু পথ ঘুরেছে। মিরপুর গার্মেন্টস অফিসে ছোট কর্মকর্তা হিসাবে আজ তার প্রথম যোগদান। মিরপুর এখন জনবহুল এলাকা। এখানে স্বাধীনতার সময় প্রচন্ড যুদ্ধ হয়েছিল। রাজাকারদের শক্তিশালী ঘাটি ছিল এই মিরপুর। সে সুবাদে অনেক গণকবর আছে মিরপুরের মাটিতে।

আবদুল্লাহ পাবনার ছেলে। প্রথম কর্মদিবসে তার জীবনের হতাশা কিছুটা কেটেছে। দশতলা অট্টালিকার একটি ছোট কক্ষে তার অফিস । দালানের অদূরে ছোট ছোট কয়েকটা পুকুর কচুরীপানা দিয়ে ভরা তার পাশ দিয়ে ছ্টো ছোট অসংখ্য আগাছা। কাজের ব্যস্ততায় অন্য মানুষের সাথে কথা বলার সুযোগ খুব কম।

পাবনার ছেলে হিসেবে সবার সাথে সে মিল দিয়ে চলে । পরিচিত অপরিচিত কাউকে তেমন মনে রাখে না। স্থানীও লোকজনদের সাথে তার তেমন মেলা মেশা নেই। সবসময় কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। গভীর রাত্রি কখনো কখনো সে মানুষের জীবন নিয়ে চিন্তা করে। দুই একটা গল্প লিখতে ইচ্ছে করে।
অসংখ্য অনাহারী মানুষের জীবনের কথা। হাহাকার হতাশায় ভরা নারী পুরুষের গল্প। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে চিন্তিত মনে সে ঘুমিয়ে পড়ে এবং স্বপ্নের মধ্যে সে অনুভব করে এই শহরে একদিন অভাব মুছে সুখের দিন ফিরে আসবে। অসহায় মানুষ নতুন জীবন লাভ করবে।

আবদুল্লাহর বেতন অতি সামান্য। কখনো কখনো সে পাশের হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করে। একদিন পথে একটি কিশোরী মেয়ের সাথে তার দেখা হয়। মেয়েটি কাজ খুঁজছিল। মেয়েটিকে দেখে তার আদরের ছোট বোন কনার কথা মনে পড়ে যায়।

একদিন দুপুরে সবার অজান্তে বোনটি বাড়ির পাশের পুকুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পর বিকেলে তার মৃত দেহ ভেসে ওঠে। তার আদরের ছোট বোনের সাথে কিশোরীর অনেক মিল। তার নাম শমিরন। ক্ষুধার যন্ত্রণায় শমিরনের বাবা কোথায় চলে গেছে কেউ বলতে পারেনা। মেয়েটি আবদুল্লার সব কাজ করে দিতে চায়। তার বয়স তের-চৌদ্দ। যৌবন সম্পর্কে তার তেমন ধারণা নেই।

আবদুল্লাহ তাকে বাসা দেখাতে নিয়ে যায় এবং তার কাজের বিষয় বুঝিয়ে দেয়। শমিরন দুই চোখ দিয়ে জীবনের গান শোনে। অনুতপ্ত মাটির বুকে যেন মাধুরী সকালের রোদ, হৃদয় জুড়ে এক আদর্শ ভালোবাসার হাহাকার ঘোরে-ফেরে। অনল তপ্ত জ্বালায় তার পেট ক্ষুধায় চৌচির। মরমিয়া নিগুঢ় ভালোবাসা তার জীবনকে প্রথম জাগিয়ে তুললো। অনাবাদী জমিতে যেন সম্ভাবনায় নতুন ফসল দোল খায়। সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহ কর্ম শেষ করে বাসায় ফিরে এসে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিশ্রামে গেলে পাশের দোকান থেকে ডিভিডিতে বাউলের মর্মভেদী নিগুঢ় গান তার কানে ভেসে আসে। আসন্ন আঁধার রাতের বুকে, বিদ্যুতের আলোতে ঝলমল করছে মিরপুরের রাস্তা। আব্দুল্লাহ ডাকলো শমিরন। সে দরজার পাশে এই ডাকের অপেক্ষায় ছিল এবং দরজার খুলে দিল।

ঘরে ঢোকার সাথে সাথে আব্দুল্লাহ বলল, শমিরন কেমন আছো।
Ñভালো। শমিরন সব রান্না শেষ করে রেখেছে।
আব্দুল্লাহ বহুদিন পর আজ বেশ আরাম করে খাওয়া দাওয়া করছে। খাওয়া শেষ করে শমিরনকে বলে পাশের দোকান থেকে সিগারেট আনতে। শমিরন খুব তাড়াতাড়ি দোকানে গিয়ে সিগারেট আনে।

আব্দুল্লাহ সিগারেট খায় এবং বিস্ময়ে শমিরনকে বলে, আচ্ছা শমিরন তোর মা বাবার কথা মনে পড়ে?

সে বেশ দুঃখের কথা। কিছু মনে পড়ে কিছু মনে পড়ে না। তবে মা বাবা দুইজন আমাকে খুব ভালোবাসতো। কেন যে তারা আমাকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেছে জানি না। হয়তো বা শত্র“রা মেরে ফেলতে পারে। আমি বহুদিন এই শহরে বাবা-মাকে খুঁজেছি। সারা দিন পরিশ্রম করে বাবা আমার ঘরে ফিরতো আর আমাকে মা মা বলে ডাকতো।

বেশ পরিষ্কার মনে পড়ে সেই স্নেহভরা ডাক। মনে পড়ে তার আর একটি বোন ছিল। অনেক অনেক দিন পূর্বে বিকেলের রোদে তারা মিরপুর স্কুল মাঠে গোল্লাছুট খেলতো, বৃষ্টির পানিতে ছোট ছোট মাছ ধরতো। বেদনার স্মৃতিময় কথাগুলো তার মনে পড়ে। বোনটি অজানা এক রোগে পৃথিবী থেকে বিদায় নিল। কথা গুলো বলতে বলতে বেশ রাত হয়ে গেলো।

শমিরন পাশের ছোট ঘরে ঘুমতে গেল। ঘুমের মাঝে সে স্বপ্ন দেখলো কে যেন জীবন থেকে দুটি হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। অনেক স্নেহের পৃথিবীকে জাগিয়ে তুলতে। ক্লান্ত রাত ঝরা শিশিরের অকাল বেদনা এলোমেলো ভুলে গড়ে ওঠা জীবনের শেকড় একান্ত ঠিকানা খোঁজে। ঠিক একই দিনে মাঝরাতে আব্দুল্লাহ বাসার কোনে বসে নিজের জীবনের কথা ভাবছিল।

ছোট ভাই মা বৃদ্ধ বাবার কথা, যে কথা গুলো তার জীবনকে ব্যথিত করে। যে সকল কথা ঘটনা তার মনকে সর্বদাই বেদনার বিষে ছুঁড়ে ফেলে। নিজের জীবনের কাছে ছাড়া যে কথাগুলো অন্যের কাছে উপস্থাপন করা যায় না ।

আব্দুল্লাহ মনে করা কথাগুলো এক সময় শমিরনকে বলা যেতে পারে। সে যেন তার হারিয়ে যাওয়া ছোট বোনের মতো চির পরিচিত এক কবিতা গল্প। এই ক্ষুদ্র হৃদয় পটে কিশোরী যেন এক বিশাল জগৎ চিত্রিত করেছে।
আজ আকাশে মেঘ মুক্ত বসন্তের হাওয়া বইছে মিষ্টি চাঁদের আলোয় গাছপালা শান্ত। সবুজ যেন প্রকৃতির প্রেমে মগ্ন। অপার পৃথিবীর উষ্ণ তাপ শরীরকে স্পর্শ করেছে। মাঝে মাঝে বাঁশ বাগান থেকে একটি পাখির প্রতিবাদী গান ভেসে আসছে। আ্ব্দুল্লাহ অফিসে আগামীকাল অনেক কাজ।

বৃক্ষহীন এই শহরে মানুষের বুকে তপ্ত ক্ষুধা। তাদের বিমর্ষ চোখে ক্লান্তির হতাশা। যেন শৈশবের স্মৃতি ছিঁড়ে ফেলে নিষেধের পিছু ডাক। মনে হয় মরিচিকার তৃষ্ণাভরা আঁধার। সুখের স্বপ্ন গিলে খাচ্ছে অহরহ ক্ষুধায়। আব্দুল্লাহ অফিসে যাওয়ার আগে শমিরনকে ডাকলেন এবং এক গ্লাস পানি দিতে বললেন।

শমিরন খুব তাড়াহুড়ো করে এক গ্লাস পানি এনে দিল। তৃষ্ণা পান করে সে ঘড়ির দিকে তাকলো এবং দেখলো হাতে বেশ কয়েক মিনিট সময় আছে। সেই সুযোগে সে শমিরনকে বললো একদিন তোকে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাবো, বাবা মা ভাইবোনদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো।

কথাগুলো বলতে বলতে আব্দুল্লাহ অফিসের দিকে রওনা হলো। শমিরন বাসায় সবকিছু গোজগাজ করে দুপুরের রান্নার কাজে ব্যস্ত হলো। অফিসে বেশী কাজ থাকায় আব্দুল্লাহ আজ দুপুরে খেতে আসতে পারেনি। নিঃসঙ্গ দুপুরে শমিরন জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।

তার মনের গভীরে জেগে ওঠে অফুরন্ত নদীর স্রোত আর প্রাণবান রাখালের সুরেলা বাঁশি। মিরপুর মাঠের বুকে কুসুম আলোয় সোনালী শস্যগুলো মমতায় জেগে উঠেছে।

বসন্তের স্নিগ্ধ হাওয়া আর দক্ষিণের বাতাসে শমিরনের বুকে জ্বলছে সুকঠিন নির্মাণের মতো। মাঝ রাতের কাছাকাছি সময়ে আব্দুল্লাহ বাসায় আসে এবং খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমাতে যায়। রাত্রে শমিরনের সাথে আব্দুল্লাহ তেমন কথা হয়নি। সকালে রান্না শেষে শমিরন দরজা খুলে একটি বৃক্ষের ছায়ায় দাঁড়িয়ে আছে এমন সময় আব্দুল্লাহ তাকে ডাকে শমিরন, শমিরন।

তখন বৃক্ষের ছায়া থেকে খুব দ্রুত আব্দুল্লাহর রুমে এসে সে প্রবেশ করে। হাঁপাতে হাঁপাতে বলে আপনি আমাকে ডেকেছেন। আব্দুল্লাহ বলল তুমি লেখা পড়া জানো তোমাকে আস্তে আস্তে লেখাপড়া শিখতে হবে। সুযোগ পেলে আমার কাছে পড়তে বসো আমি তোমাকে লেখাপড়া শেখাবো বলে আব্দুল্লাহ অফিসের দিকে রওনা হয়।

শমিরন জন্মের সৌরভ খোঁজে মৃত্তিকার অচিন দেহে যেমন নক্ষত্রের স্বপ্ন গুলো মানুষের বুকের ভেতর কাঁদে। ক্ল্ান্ত চোখে সে দেখে অরণ্য বীথি।


শমিরন দুপুরের রান্না কাজ শেষ করে একটা বড় বই হাতে নিয়ে তার পাতা উল্টাতে থাকে এবং মনের গভীরে আব্দুুল্লাহর কথাগুলো ভেসে ওঠে, ওকে আমি লেখাপড়া শেখাবো। দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা আসে আস্তে আস্তে রাত গভীর হতে থাকে আব্দুল্লাহ ঘরে ফিরে আসেনা।

শমিরনের চোখে তন্দ্রার ভাব আসে আবার হঠাৎ চুমকে ওঠে এই বুঝি আব্দুল্লাহ ফিরে এলো । এভাবে এক সময় তার ক্লান্ত দুটি চোখে ঘুমিয়ে পড়ে । খুব ভোর বেলা শমিরন জেগে উঠে। মৃত্তিকার বুক থেকে শস্যের সুগ্ধ ভেসে আসছে, সবুজ অরণ্যে বর্ষার থই থই জল ঢেউ তুলে খেলা করছে। আঁধার কেটে যাচ্ছে দিনের সুষমা আলোর গতিতে। সময় গড়িয়ে যায় আশার বাসনা কাঁদে জীবনের অতল গহবরে। উর্বরতার ঠিকানায় শমিরন সুখের পথ খোঁজে।

মাটির দীর্ঘ রাস্তা জুড়ে আব্দুল্লাহ পায়ের শব্দ শোনা যায়। কিন্তু আব্দুল্লাহ ফিরে আসে না সকালের সূর্য ওঠে শমিরন খোঁজ নিতে থাকে আব্দুল্লাহ, কেন সে রাতের বেলায় বাসায় ফিরে নেই। সারা দিন খোঁজা খুজির পর সন্ধায় সে জানতে পারে গতকাল বিকেল বেলায় তার গার্মেন্টেসে আগুন লেগেছিল । বেশ কয়েক জন মানুষ মারা গেছে এবং কয়েক জন গুরুত্বর আহত হয়েছে।

শমিরন ছুটে যায় গার্মেন্টের দিকে। সেখানে মৃত মানুষগুলোর মধ্যে আব্দুল্লাহর দেহ নেই। ছুটে যায় হাসপাতালে। আব্দুল্লাহ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের বেডে পড়ে আছে। বাঁচার সম্ভবনা খুব কম। অন্তিম শয্যায় আব্দুল্লাহ জীবনের গভীরে শমিরন, তার বাবা-মা, মৃত ছোট বোনের চেহারা অনুভব করতে লাগলো।

সমস্ত মানুষ জমীনের ভাষা সে অনুভব করতে লাগলো। তার স্বপ্নের ললাটে উষ্ণ-দ্বন্দ্ব আর বৈরি-দংশনে ক্ষতবিক্ষত হলো নীল পথ। বিনিদ্রতার ব্যথিত বুকে অবহেলার প্রশ্ন বিষাদ বিভেদ জ্বলে উঠল তার বুকের ভেতর। আব্দুল্লাহর শরীর অন্তিম আহত জীবনের গভীরে কেঁদে ফিরে।

শমিরন আব্দুল্লাহর দেহের কাছে গিয়ে বসে, ততক্ষণে আব্দুল্লাহ পরপারের পথে পা দিয়েছে। শমিরন কান্নায় ভেঙে পড়ে। বুক ভাঙা জীবন আবার আর একটি ঠিকানা হারালো। এই শুন্যতার বুকে শুধু ধু-ধু হাহাকার। কোন শান্ত নির্জন থেকে হারিয়ে গেলো প্রথম প্রিয়তম মুখ।

যখন জীবন জাগল জীবনের আশায়। প্রিয়তম সুরেলা বাঁশির গান উজার করে তোলে শমিরনকে । তখন মাটির ভেজা গন্ধে অবাক ফসলের মাঠ কেঁদে উঠলো। এভাবে অচীন জীবন সামনে এসে দাঁড়ায় আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। অরক্ষিত নগরের বৃক্ষরা জেগে থাকে আর নিয়তি ভেঙে ফেলে বাসনার সোনালী স্বপ্ন।

যন্ত্রণার অট্টালিকা ঘেরা এই রাজধানীর পথ, যার মগ্ন প্রেম ভালোবাসার আগুনে পুড়ে। এই জ্বালা পোড়ার মধ্যদিয়ে একটি বই হাতে শমিরন তীব্র প্রহরীর মতো হাটতে থাকে রাজধানীর কঠিন রাস্তা দিয়ে ....।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কেতকী কিছু কিছু বাক্য খুব মনে ধরেছে। কিছু মানুষ থাকেই যারা জীবনে শুরু হারায়, শমিরনের জন্যে সমবেদনা রইল। গল্পে ভোট রইল। গল্পে শমিরনের প্রতি আব্দুল্লাহর সম্বোধন "তুই" ছিল, এক স্থানে পড়লাম "তুমি" এটা হয়তো কোন কারণে হয়ে গিয়েছে অথবা আন্তরিকতার কারণে "তুমি" হয়েছে। আপনি ভালো বলতে পারবেন।
মিলন বনিক খুব ভালো লাগলো টগর ভাই...
রেজওয়ানা আলী তনিমা ভালো হয়েছে গল্প , অনেক শুভেচ্ছা আগামীর জন্য।
আহা রুবন খুব সাধারণ ঘটনা, তবে লেখনী ভাল।

২১ অক্টোবর - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৯৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪