পুড়ছে ঘর পুড়ছে বাড়ী পুড়ছে খরের গাদা ফসলের মুরগা স্তুপমারা খেসারীর পালা পুড়ছে সবি লেলিহান শিখায়। গরুছাগল, গোয়াল ঘর ছাগলের বাচ্চা থেকে মুরগীর ছানা কুকুর বিড়ালের ছানা থেকে আদম সনতান দাউ দাউ করে জ্বলছে সব।
দূর থেকে ভেসে আসছে ফেলানীর চিৎকার আবুল কাসেমের বুক ভেদ করেছে তিনটি বুলেট। ও গাঁয়ের মতলব মুন্সির দাঁড়ি পুড়ে ছাই সংগী তার সোনার দেহ হাত পা পুড়ে খাঁক।
যেখানে যারে পায় মারছে পাখির মতো দেখলেই গুলি মনে সদা ভয় যেন এলো মুক্তির দল।
আম্বিয়া বেগমের আর্তর্চিৎকারে সবকিছু সতব্ধ নিথর পাথর সম পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া তার ছেলের দেহ কলাপাতা মুড়ে বসে আছে বৃদ্ধমাতা একমাত্র ছেলের লাশ। চারিদিকে বিভৎস লাশের মিছিল যেন সবগুলি লাশ এখনি উঠে পড়বে নাঙ্গাপায়ে সোচ্চার হবে এই দুঃশাসনের।
ওগাঁয়ে পোড়া বাড়ীর দাওয়ায় বসে মাথা নাড়ে ফজর আলী কাল হতে কি পুরবে পেটে? ঘরবাড়ীর সাথে যদি নিজেও যেত চলে। দূর্বিসহ বর্তমান কখন যে হবে অতীত এইভাবনায় ঠাঁয় বসে।
স্বাধীনতার এই ত্যাগ কখন কে করিয়াছে আগে চলি্লশ বছর পরে আবার বুঝছে স্বাধীনতার স্বাদ কারে বলে? কাঁটাতারের বেড়াজাল লুটেপুটে খায সব বেণিয়ার দল শ্লোগান সর্বস্ব পংঙতিমালা জয়বাংলা আর জিন্দাবাদ। চাটার দল চাটছে সুযোগ বুঝে মানুষগুলো আটকা এখন স্বাধীনতার জালে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
দূর থেকে ভেসে আসছে
ফেলানীর চিৎকার
আবুল কাসেমের বুক ভেদ করেছে
তিনটি বুলেট।
ও গাঁয়ের মতলব মুন্সির
দাঁড়ি পুড়ে ছাই
সংগী তার সোনার দেহ
হাত পা পুড়ে খাঁক। ........// ভাল লাগলো কবিতার বক্তব্যে কিছু নালিশের গন্ধ পাওয়া যায়......তবে স্বাধীনতার জালে আটকানোর কথাটা আসছে কেন ? স্বাধীনতা তো স্বয়ংক্রিয় ভাবে মুক্তাবস্থারই প্রতিশব্দ তাই না ?.
ভাবনা
দূর থেকে ভেসে আসছে
ফেলানীর চিৎকার
আবুল কাসেমের বুক ভেদ করেছে
তিনটি বুলেট। -------- চিত্রটি বাস্তব ; কিন্তু অসহায় চেয়ে থাকা ছাড়া আমরা কি করতে পারি ভাইজান ?
সালেহ মাহমুদ
লুটেপুটে খায সব বেণিয়ার দল //
শ্লোগান সর্বস্ব পংঙতিমালা //
জয়বাংলা আর জিন্দাবাদ। //
চাটার দল চাটছে সুযোগ বুঝে //
মানুষগুলো আটকা এখন স্বাধীনতার জালে। //............. চমৎকার এবং সাহসী উচ্চারণ। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
তাপসকিরণ রায়
কবিতায় মুক্তির চিত্র পূর্ণ রূপে ধরার চেষ্টাকে সাবাসী দিতেই হবে.দীর্ঘ কবিতায় কোথাও কোথাও সুন্দর ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে বটে,তবে অনেক জাগায় কবিতা ছন্দ চ্যুত হয়েছে--ভাব কোথাও কোথাও কেটে কেটে গেছে বলে আমার মনে হয়েছে.
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।