ঝাপসা হয়ে আসা ব্যথাতুর দু’চোখ কেবলি সান্ত্বনা খুঁজে, শূন্য বিছানা আনমনে হাতড়ে বেড়ায় কিন্তু, খোকার অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়না; মা-মা, ডেকে জড়িয়ে ধরতে খোকা আসেনা। নব বসন্তের আগমনে আবারও চঞ্চল হয় মা; মেঠো রাস্তায় ঝাপসা দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে থাকে- কখন আসবে খোকা! রাত জেগে তৈরি করে ভাপা-পুলি কিংবা নারকেলের চিড়া; ক্লান্তি আর মলিনতা নিমিষেই উবে যায়। বাক্সে সযত্নে রাখা ছেঁড়া চিঠিটা বের করে পরম মমতার পরশ বুলায় সারা শরীরে, সীমাহীন প্রতীক্ষায় আকণ্ঠ ডুবে থাকা মাতৃসত্ত্বা একে-ওকে দেখায় খোকার শেষ চিঠিটা; কিন্তু খোকা যে ফিরে আসেনা! সন্ধ্যার কালো কোকিলটির কুহু কুহু ডাক বাতাসে মিলিয়ে ঝিঁঝিঁদের থেমে থেমে জ্বলা আলোতে সজাগ প্রতীক্ষার প্রহর গোনে মা- এই বুঝি খোকা এলো! প্রতিটি বিরহী বসন্তের মতো এ বসন্তও চলে যায় বেদনা আর বিষণ্ণতার ভারে নুয়ে পড়ে মা; তবু, মায়ের রাতজাগা চোখের ছলছল প্রতীক্ষায় একমাত্র ভাবনা- কখন ফিরবে খোকা!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।