একটা উন্মনা দিন এসেছিল, থমথমে, বজ্রাহত ঘর ছাড়ার দিন, অথবা ¯^প্ন পুরণে বেয়ারা ঘোড়ায় ছুটে চলার দিন। তারপর... তারপর নদী জল ছুঁয়ে, এলোমেলো বন, ধুসর প্রাš—র...
তারপর কত রক্তপিয়াসী বেয়নেট তেড়ে এলো... হাতের মুঠোয় প্রাণ, দুচোখে আহত পাখির ডানাভাঙ্গা শোক লঙ্কাপুরীর অচেনা দৈত্যের ক্লিশে হুঙ্কার অনায়াস সপে দিয়েছি প্রতিটি বুলেটে, প্রতিটি গ্রেনেডে বুকের উপর আছরে পড়েছে হামিদ, ছাত্তার, করিমুলাহ ছায়েদ কাক্.া.. দৃষ্টি সরেনি।
লোনা জল শুকিয়ে হয়েছে বার“দ, জ্বলেছে ক্যাম্প একে একে খসে পরেছে চাঁদ-তারা। স্থির অবিচল... ¯^প্ন জুড়ে স্নেহময়ী মায়ের মলিণ মুখ কতদিন তোমায় দেখি নাগো মা... রক্তের প্রতি ফোটায় বয়ে যায় পুটোনিয়াম ফিউশন চোখের কর্ণিয়ায় ঝড়ে স্ফুলিঙ্গ একেকটা বেয়নেটধারী হয়ে যায় বুনো শুয়োর আমার ভাবনাজুড়ে বেড়ে ওঠে একটা শিশু প্রাণপনে তাড়াই শুয়রের ঝাক লুটিয়ে পড়ে থাকে পায়ের কাছে। দিন সপ্তাহ্ মাস দুমাস, শিশু বড় হয়, আকার ধরে বড় কষ্ট গো মা; মা হয়ে ওঠা, কত রক্ত ঝড়ে যায়... তোর মাতৃত্বের কসম, ও বড় হবে ওর মানচিত্র হবে ওর হাতেও থাকবে পতাকা...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জোনাকি
একেকটা বেয়নেটধারী হয়ে যায় বুনো শুয়োর
আমার ভাবনাজুড়ে বেড়ে ওঠে একটা শিশু
প্রাণপনে তাড়াই শুয়রের ঝাক
লুটিয়ে পড়ে থাকে পায়ের কাছে। ---------- খুব ভাল লিখেছেন সুমন ভাই ।
তাপসকিরণ রায়
আপনার মন্তব্যটি চোখে পড়ল--একটা আহত ভাব ফুতে উঠতে দেখলাম.তাই আমি আবার মিলিয়ে নিতে গেলাম আমার মন্তব্য--কতটা ঠিকঠাক লিখেছি বলে.ভালো ভাবে পড়ে দেখলাম--না খুব ভালো লিখেছেন,ভাই ! আগের মন্তব্যটি আমি কবিতাটি তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলার জন্যে হয়ে গিয়ে থাকবে হয়তো.আমার মন্তব্যের ওপর আপনার নিজ্স্ব জোরালো মনোভাবনাটা দেখে আবার মন্তব্য না দিয়ে পারলাম না.এই ভুল স্বীকার না করে পারছি না.একটি ভালো কবিতাকে খারাপ বলা--আমার ইচ্ছাকৃত নয়--এমনটি আমি কখনো চাই না.এ জন্যে আমি দুঃখিত,ভাই!
দাদা ক্ষমা করবেন, আসলে খাতার লেখা পড়ার সময় আমি যে ভাবে যে চিন্তায় পড়ব সে লেখাটা সেভাবেই ফুটে উঠবে। আমি আহত হইনি, হইনি ক্ষ্যাপাটেও আসলেই কবিতাটা যে রূপরেখায় যে বক্তব্যে প্রকাশ করতে চেয়েছি তার সর্বোচ্চ (আমার জ্ঞানের পরিধিই আমার সর্বোচ্চ সীমা হা হা হা) ব্যবহারই করেছি। তাই কবিতা পড়ে আপনার যেমন লাগল তেমনই বলবেন এটাই স্বাভাবিক। হয়ত আরো ভালো করা যেত কিন্তু আমার দ্বারা তা আর হয়ে উঠল কই। আমি আলোচনা সমালোচনা সব সময়ই স্বাগত জানাই। আর এতেই আমার জানার বোঝার পরিধি নিশ্চয়ই বাড়বে। আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
না,আমি বিনা কারণে লেখার লোক নই,ভুল আমার দিক থেকে হয়েছিল এই কারণে যে সে
দিন ধারাবাহিক ভাবে আমি বেশ কিছু কবিতা পড়ে তার মন্তব্য করছিলাম.একই ধাঁচের
মন্তব্যগুলির মাঝে আপনারটাও এসে যাওয়াতে ভুলে এটি হয়েছে.তাই আমি আরো তিন
বার আপনার কবিতাটি পড়ে বর্তমান মন্তব্য দিয়েছি.অনেক শুভেচ্ছা থাকলো আগামী দিনের জন্যে.
তাপসকিরণ রায় দাদা হয়ত আপনার কথাই ঠিক। আসলে আমিতো মুক্তিযোদ্ধা না তাই একজন যোদ্ধার ম্রিয়মান কোমলতা অথবা প্রতিশোধের, প্রতিরোধের গর্জন ঠিক বুঝে উঠতে পারি নি। আর এ কবিতায় আমার সর্বোচ্চ ক্ষমতাই ব্যবহার করেছি, তাই দূর্বলতার অক্ষমতা মেনে নিলাম দাদা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সেলিনা ইসলাম
এককথায় অসাধারণ একটা কবিতা ।তবে ফনেটিক কারনে কিছু শব্দের অক্ষর আসেনি আর কয়েকটা বানান ভুল ঝড়ে=ঝরে,ঝাক=ঝাঁক আছরে=আছড়ে । আগামীতে আরো ভাল লিখুন সেই শুভকামনা
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম
" তোর মাতৃত্বের কসম, ও বড় হবে
ওর মানচিত্র হবে ওর হাতেও থাকবে পতাকা.." আজ যখন দেখতে পাই এরকম অনেক কসম পদতলে দলিত করে উপহাস করছে নিজের সাথে , পরিবারের সাথে, সমাজের সাথে, রাষ্ট্রের সাথে - তখন মনে হয় এভাবে বেচে থাকাটাই বুঝি নিরর্থক । ধন্যবাদ কবিকে ।
একজন মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধকালীন সময়ের দৃঢ়তা আর শপথের কথা ওটুকু। হ্যা আজ সার্থের জন্য অনেকেই অতীত ভুলেছে। ঐ মুক্তিযোদ্ধদের সাথে, তাদের স্বপ্নের সাথে এখন উপহাসই হচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম ভাই।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।