আসমা

বন্ধু (জুলাই ২০১১)

sakil
  • ৯৫
  • 0
  • ৮১
( ১)
এই আসমা । দাঁড়া বলছি
না দাঁড়াব না । আমাকে ছুঁয়ে দেখ ।
আরে হাঁপিয়ে গেছি আর পারছি না।
কেন বাজি লেগেছিলে তখন?
দুষ্টামি করেছিলাম।
না তা হবে না বাপু । কথায় কথায় বলবে মেয়েরা কি এটা পারে, সেটা পারে। তাহলে স্বীকার কর আমরা সব পারি । তবেই না থামব ।
আচ্ছা বাবা ঠিক আছে । মানলাম আমাদের আসমা সব পারে।
শুধু আসমা সব পারে বললেই হবে না, বলতে হবে মেয়েরা সব পারে।
হ্যাঁ বাবা তাও মানছি ।
এতক্ষণে আসমা দৌড় বন্ধ করে থামল । শরীফ এসে হাঁপাতে হাঁপাতে পাশে দাড়াল । ওরে বাপরে তুই পারিস ও বটে। আসমা আর শরীফ একই গ্রামে থাকে । দুজনের বয়স একেবারে কাছাকাছি । যাকে বলে দুজনই সমবয়সী । আসমার বাবা গ্রামের স্কুলের একজন মাস্টার। সারাদিন তিনি স্কুলের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন।মেয়েকে তিনি রক্ষণশীল না করে তার মনের মত চলতে দিয়েছেন । মাস্টার সাহেবের স্ত্রী মারা গেছে বছর তিন হল । মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে মাস্টার সাহেব আর বিয়ে থা করেননি । নিজের মা ছাড়া কেউ মেয়েকে ঠিক দেখে রাখে না । দূরসম্পর্কের এক বোন আছে মাস্টার সাহেবের তিনি তাকে এনে রেখেছেন মেয়ে আসমা কে দেখাশুনা করার জন্য। আসমাদের বাড়ির পাশেই শরীফদের বাড়ী । শরীফের বাবা মৌলভী মানুষ । সাদা সিদে ভাবে চলেন । মাস্টার সাহেবের সাথে তার দারুন মিল । প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলায় দুজনে বসে অনেক আলচনা করেন । ইদানিং তাদের আলচনায় প্রাধান্য পায় দেশের কথা দেশের ভবিষ্যতের কথা । ১৯৪৭ সালে যখন পাকিস্তান আর ভারত আলাদা হয় তখন মাস্টার সাহেব টগবগে তরুন । সেদিন তিনি ভেবেছিলেন যাক এবার বুঝি বাঁচা গেল । পাকিস্তানিরা আমাদের ভাই আমাদের জাতি তারা নিশ্চয় আমাদের সবকিছু ভালভাবে দেখবে । হায় কিন্তু দেশ ভাগের পর দেখা গেল এর উল্টো চিত্র । পাকিস্তানিরা আমাদেরকে তাদের গোলাম ভাবতে শুরু করল । যে আশার বাণী নিয়ে সেদিন জিন্নাহ সাহেব গান্ধী থেকে বাংলাদেশ কে আলাদা করেছিলেন সে আশা পুরন হয়নি মোটেও । পাকিস্তানিরা প্রথম আঘাত হানে আমাদের ভাষার উপর । এভাবে চলতে চলতে ৫২এর ভাষা আন্দোলন হল , এখনো নানা ঝামেলা চলছে যার শেষ পরিনতি কি হবে তা তাদের জানা নেই। মাঝখানে কত বছর কত নির্যাতন বয়ে গেল নিরীহ বাঙ্গালিদের উপর দিয়ে । এসব ভাবলে মাস্টার এবং মৌলভী দুজনেরি মন খারাফ হয়ে যায়। ভাবেন এই হায়ানাদের হাত থেকে আমাদের সন্তানদের কে রক্ষা করবে ।
প্রতিদিনের মত দুই বন্ধু মিলে দাওয়ায় বসে গল্প করছিলেন । এমন সময় হাঁপাতে হাঁপাতে আসমা এবং শরীফ বাড়ীতে প্রবেশ করল । আসমাকে দেখে মৌলভী সাহেব বলে উঠলেন-
মা কোথায় গিয়েছিলে ?
এমনি একটু বাইরে ঘুরতে গিয়েছি চাচা ।
ঠিক আছে মা ভেতরে যাও
আচ্ছা চাচা ।
আর শোন মা তুমি এখন বড় হচ্ছ , যখন তখন বাইরে যেও না । লোকে খারাফ ভাববে ।
আসমার ইচ্ছে হচ্ছিল একগাদা কথা শুনিয়ে দেয় চাচাকে , কিন্তু বাবা বসে থাকায় কিছু বলতে পারল না । তাই চুপচাপ ঘরে চলে গেল ।
(২)
আসমা শরীফ কে ছাড়া কিছুই চিন্তা করতে পারে না । সারাদিন মুখে মুখে খালি শরীফের কথা । আসমা নিজেও ভাবে এ তার কি হল । দূর তার কথা আমি ভাবব কেন ? আবার ফিক করে হেসে ফেলল আপন মনে । আজ শরীফকে দারুন শিক্ষা দিয়েছে । বলে কিনা মেয়েরা সবকিছু করতে পারে না । আসমা খাটে বসে বসে এসব কথা ভাবছে আর মনে মনে হাসছে । বিকালের পর থেকে আসমার সব কিছু লক্ষ্য করছেন তার ফুফু । এবার তিনি আসমার কাছে এসে বসলেন ।
-কি ভাবছ আসমা
-না । কিছু না ফুফু।
-আরে মা আমি জানি তুই কি ভাবছিস?একসময় তোর মত আমার ও বয়স ছিল মা ।
-আচ্ছা ফুফু একটা কথা বলি , তোমার কি কোন বন্ধু ছিল । যাকে তুমি অনেক ভালবাসতে।
-আরে না । আমাদের সময় ঘর থেকে বাহির হওয়া অনেক কঠিন কাজ ছিল।
-আচ্ছা ফুফু ফুফা কেমন লোক ছিল। তাকে তোমার মনে পড়ে না ?
-কেন পড়বে না। মনে পড়ে কিন্তু আমি তা মনে করে কস্ট পেতে চাই না ।
-দুঃখিত ফুফু , তোমার মন খারাপ করে দিলাম ।
-না ঠিক আছে । আচ্ছা এবার বলত তুই কার কথা ভাবছিস।
-এক বন্ধুর কথা ফুফু।
-কে সে বন্ধু ? শরীফ!
-নাম বলব কেন ? এটা আমার মন জানে ।
-ঠিক আছে । তবে সাবধান । দেশের পরিস্থতিতি ভাল না ।
-তাতে কি হয়েছে।দেশের পরিস্থিতিতি তে কি আসে যায় ।
-চুপকর পোড়ামুখী। কয়দিন পর তোর বিয়ে হবে সেই তুই অন্য মানুষ নিয়ে ভাবিস ।
-আমার বয়েই গেছে অন্য কাউকে বিয়ে করতে।
কই গেলি তোরা সবাই মৌলভী সাহেবকে একটু পান দিয়ে যা।বলে হাঁক দিলেন মাস্টার সাহেব। মাস্টার সাহেবের হাঁক শুনে আসমার ফুফু বলে উঠলেন –
তুই তোর বন্ধুর কথা ভাব বসে বসে আমি পান দিয়ে আসি।
(৩)
চারদিকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে । পাড়ার দোকানে মাঠে গঞ্জে গাঁয়ে কিসের যেন গুনগুন শুনা যায় । কিন্তু কেউ কিছু বলে না। এসব দেখে শরীফের মোটেও ভাল লাগে না। নিজের দেশে যেন পরবাসি মনে হয় নিজেকে। সেদিন স্কুলের স্যারেরা পাকিস্তানিদের নিয়ে অনেক বলাবলি করেছিল। তারা আমাদের ন্যায্য অধিকার দিচ্ছে না । আমাদের উপর অমানুষিক জুলুম এবং অত্যাচার করছে। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের কে রুখে দাড়াতে হবে ,বিশেষ করে ছাত্র সমাজ কে সোচ্চার হতে হবোট ৫২ ভাষা আন্দলনের মত। শরীফ ভেবে পায়না একই দেশ হয়ে কেন এত বৈষম্য ।আমরা ও মানুষ আমাদের উপর কেন ওরা এত অত্যাচার করবে আর আমরা কেন মুখবুজে সহ্য করব। আমাদেরকে জেগে উঠতে হবে। শেখ মুজিব ৭ই মার্চ ভাশন দিবেন । সেদিন অনেক কিছু ফয়সালা হয়ে যাবে । শেখ মজিবের ভাষণ শুনতে যাবার তার অনেক ইচ্ছে কিন্তু তার বাবা তাকে যেতে দিবেন না ।
ইদানিং আসমার জন্য কেমন লাগে । তার সাথে একদিন দেখা না হলে মনে হয় কত যুগ দেখা হয়নি । আসমা বয়সের তুলনায় এখনো ছোটদের মত আচরন করে । শরীফ এটা ও জানে আসমা তার সাথে ছাড়া অন্য কার সাথে তেমন একটা মিশে না । গতপরশুর ঘটনা মনে হলে শরীফের নিজের শরীর শির শির করে উঠে। ছোট ছোট ছেলেপুলেরা পুকুরের পাড় থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে খেলছিল। সে পাড়ে বসে বসে মজা করছিল। এমন সময় আসমা সেখানে আসে। এসে ছেলেদের বলে আমিও তোদের সাথে খেলব । ছেলেরা কিছুতেই রাজি হচ্ছে না । কিন্তু আসমার জেদ সে লাফাবে । শেষে এসে শরীফ কে ধরল । শরীফ যত বুজায় আসমা ততই জেদ ধরে। সবাই মিলে অনেকক্ষণ ধরে লাফালাফি করছিল । হটাত সুমন নামের ছেলেটা চিৎকার দিয়ে উঠল – রক্ত রক্ত বলে।
শরীফ এগিয়ে এসে দেখে যেখানে আসমা লাফিয়ে পড়েছে তারচার পাশে রক্তের লালচে রেখা পানিতে ভেসে উঠছে । আসমা পাড়ে উঠে বলছে শরীফ আমার পেট ব্যাথা করছে । শরীফ লক্ষ্য করল আসমার পাজামার নিচ দিয়ে রক্তের স্রোত বয়ে যাচ্ছে । শরীফ ব্যাপারটা বুজতে পারল । তাই আসমাকে বলল যাও বাড়ী যাও। সেদিন শরীফ বুজল আসমা বড় হয়ে গেছে । তার সাথে আগের মত ঘুরাফেরা এখন মুস্কিল হয়ে যাবে । হয়েছিল তাই । সেদিন আসমা বাড়ী যাবার পর থেকে আজ চারদিন আসমার কোন দেখা নাই। শিল্পী সেদিন বলেছিল আসমার ফুফু আসমাকে বাড়ীর বাইরে বেরুতে দেয়না। সারাদিন চোখে চোখে রাখে যাতে কর বাইরে যেতে না পারে ।এছাড়া আসমা নাকি ইদানিং শাড়ী পড়ছে । কামিজ পড়া তার ফুফু বন্ধ করে দিয়েছে ।
দূর এসব কি ভাবছে ? এখন দেশের কথা ভাবা উচিত। দেশ বাঁচলে সব হবে । ভাবছে কি করে ঢাকা যাবে। মনির ভাইকে বলেছে একটা ব্যাবস্থা করে দিতে তিনি বলেছেন একটা ব্যাবস্থা করে দিবেন ।তবে তাকে সবসময় তাদের সাথে থাকতে হবে । এই কথা তার বাবাকে বলা যাবে না কোনমতেই। শরীফ তাতেই রাজী।
ঢাকা যাওয়ার আগে আসমার সাথে তার দেখা হয়া উচিত ।না দেরী করা ঠিক না । মনির ভাই কখন ডাক দিয়ে বসেন তার কোন ঠিক নাই ।
অনেক ভেবে চিন্তে একটি চিঠি লেখতে বসল শরীফ।
প্রিয় বন্ধু
সালাম ও শুভেচ্ছা নিও । তোমার সাথে দেখা করার অনেক চেষ্টা করে ও পারিনি। আর তোমাকে দেখার ব্যাকুলতা আমাকে পাগল প্রায় করে ফেলেছে।দেশের অবস্থা তেমন ভাল নয়।আর সে কারনে তোমাকে এবং দেশ দুটি নিয়ে ভাবছি। তুমি এতদিন কিশোরী থাকলে ও এখন যুবতী হয়ে গেছ তা বুজতে পেরেছ নিশ্চয়। আমার সাথে তোমার হয়ত কিছু দিন দেখা নাও হতে পারে। আমি এক্তি বিশেষ কাজে ঢাকা যাচ্ছি । ফিরে আসা পর্যন্ত ভাল থেক সে কামনায়।
ইতি
বন্ধু
পাশের বাড়ির শিল্পীর কাছে চিঠি দিয়ে বলল চুপিসারে আসমাকে দিতে।সেদিন রাতে মনিরের ডাক এল । ঢাকা যাবার জন্য রাতে বেরুতে হবে । রাতে খাবার খেতে বসে মাকে অত্যন্ত নিচু স্বরে ঢাকা যাবার কথা বলল। মা প্রথমে রাজী হয়নি । কিন্তু ছেলের জেদের কাছে মা হার মানল ।বাবা কে না বলে সে রাতে মনির ভাইয়ের সাথে ঢাকা চলে গেল শরীফ।
(৪)
রায়ের বাজারের একটি হোটেলে মনির ভাইয়ের সাথে রাত কাটাল শরীফ। রাতে তার মোটে ও ঘুম আসেনি মহান নেতা শেখ মুজিব কে দেখার ব্যাকুলতায়। শরীফ এর আগে কোন দিন শেখ মুজিব কে সরাসরি দেখেনি ।তার বাবা এবং মাস্টার চাচার কাছে তার অনেক নাম শুনেছেন। নির্বাচনে জেতার পর ও পাকিস্তানিরা সংসদে বসতে দিচ্ছে না শেখ মুজিব কে । সেই শেখ মুজিব আজ ভাষণ দেবেন সারা দেশের মানুষ এই ভাষণের দিকে তাকিয়ে আছে । মুজিব সাহেব কি বলেন । শুধু যে তারাই এসেছে তা নয় । এখানে এসে দেখল তাদের মত আর ও অনেকে দেশের প্রত্ত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসে জড় হয়েছে ঢাকা শহরের এখানে সেখানে। হাল্কা নাশতা সেরে মনির ভাইয়ের সাথে বেরিয়ে পড়ল শরীফ । রাস্তা দিয়ে রেসকোর্স ময়দানের দিকে যেতে থাকল । শরীফ ভেবেছিল মানুষ জন এখন ঘুমিয়ে আছে । কিন্তু রাস্তায় নেমে দেখল উল্টো চিত্র । চারদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ । সবার একটাই উদ্দেশ্য আর একটাই গন্তব্য আর সেটা হল রেসকোর্সের ময়দান । আজ মনে ঢাকা শহরে অন্য কোন কাজ নাই । আজ সবার একটাই কাজ শেখ সাহেব কি বলে তা শুনা । আস্তে আস্তে মনির ভাইয়ের সাথে হাজার জনতার মাঝেদিয়ে পথ চলছিল শরীফ । মনে এক উল্লাস এক আনন্দ যেন পাগলপারা করে দিচ্ছে । যৌবনের রক্ত যেন নেচে উঠছে ।
রেসকোর্সের ময়দানে এসে শরীফ যা দেখল তা সে কল্পনা করেনি।এত মানুষ । মানুষের ঢল নেমেছে যেন রেসকোর্সের ময়দানে । হাজার হাজার নয় লাখ লাখ মানুষ । এত মানুষ একসাথে কখন দেখেনি শরীফ। তার মনে হয় এখানে যারা আজ এসেছে তারা ও বোধ হয় এতমানুষ একসাথে দেখেনি এর আগে। না এবার আর কেউ রুখতে পারবে না বাঙ্গালিদেরকে । মনে মনে শরীফের আনন্দের জোয়ার বইতে লাগল । চারদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ । সবার মুখে মুখে শ্লোগান –তোমার নেতা আমার নেতা শেখমুজিব, শেখ মুজিব,/ পদ্মা মেঘ্না যমুনা তোমার আমার ঠিকানা । তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব ।
সবাই একত্রিত হয়ে নানা স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে ফেলেছে রেসকোর্সের ময়দান । শরিফ ভাবছে এটাত রেকর্ড হয়ে যাবে বিশ্বে । একজনসভায় এর আগে কখন এত মানুষ হয়েছে কিনা তা জানা নাই শরীফের , যদি না হয়ে থাকে তাহলে এটা রেকর্ড হয়েই থাকবে পৃথিবীর বুকে। সবার প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিকালের দিকে শেখ মুজিব সাহেব মঞ্চে এলেন । সাথে সাথে ময়দানের মানুষ গুল যেন প্রান ফিরে ফেল । শেখ মুজিব পরোক্ষ ভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিলেন । তার উপর অনেক চাপ ছিল তাই সরাসরি ঘোষণা দেননি । শেখ মুজিবের কথাগুলো হৃদয়ে যেন গেঁথে গেল শরীফের .
মনির ভাইয়ের সাথে বাসায় ফিরে এল শরীফ। মনির ভাই বললেন শেখ সাহেবকে কেমন দেখলি । জবাবে শরীফ বলল – বাংলাদেশে এমন মানুশ আর হবে কিনা আমার সন্দেহ আছে । কেনরে শরীফ – যার ডাকে এতমানুষ হয় সে কি সাধারন । মনির ভাই আমি আমার ফুফুর বাসায় কিছু দিন থাকি তারপর গ্রামে যাব। মনির ভাই প্রথমে রাজী না হলে ও পরে বলল ঠিক আছে তবে বেশীদিন থাকিস না । আমি গ্রামে গিয়ে তোর বাবাকে বলে দিব। সেই থেকে যাওয়া শরীফের জন্য কাল হয়ে গেল। দেখতে দেখতে দিনগুলো কাটছিল। এমনি করে ২৫শে মার্চ এসে গেল । সেই রাতে পাকিস্তানীরা নিরীহ ঢাকা বাসীর উপর অতর্কিতে হামলা চালাল । অনেক লোক মারা গেল । শরিফের মন তখন পাকিস্তানীদের উপর বিষিয়ে উঠল । শরীফ ভাবতে লাগল তারা কেমন মানুষ ,কেমন মুসলিম তা শরীফ বুঝতে পারে না। এবার পাকুয়াদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। বাঁচা মরার প্রশ্ন এখন আর নাই । এখন মুজিবের কথা মত যার যা কিছু আছে তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে শত্রু সেনার বিরুদ্ধে। সেই রাতে ফুফাতো ভাই রাসেল কে বলল ভাই আমি যুদ্ধে যাব। জবাবে রাসেল ভাই বলল আরে তুই তো ছোট মানুষ , কি যুদ্ধ করবি ?শরীফ বলল তুমি যাই বলনা কেন আমি ঠিকই যুদ্ধে যাব। এই দেশকে পাক-হায়নার হাত থেকে রক্ষা করব।শরীফের মনে মুজিব সাহেবের সকল কথাগুলো বার বার প্রতিধ্বনি হতে লাগল । এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম ।১২ই এপ্রিল রাত ১২টায় রাসেল ভাইয়ের সাথে ভারতের বর্ডারে চলে যায় শরীফ। সে থেকে বাকী সময় একের পর এক অপারেশনে সময় পার হয়ে গেল। প্রথম প্রথম মায়ের কথা আর বন্ধু আসমার কথা মনে হত । কিন্তু শেষ দিকে পাকিস্তানিদের ঘায়েল করার নানা প্লেন দিন কেটে যেত। শরীফের মত লাখ লাখ যোদ্ধার অবিচল বিশ্বাসের জয় হল অবশেষে । ১৬ ডিসেম্বর সেই কাঙ্ক্ষিত বিজয় এল। কমান্ডারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্য ছুটল শরীফ।

(5)
কয়েকটি মাছি ভন ভন করে উড়ে বেড়াচ্ছে , কখন ও কখন ও গালের পাশের কাটা ক্ষত থেকে জমাট বাঁধা রক্তের উপর মাঝে মাঝে বসছে আবার উড়ে উড়ে যাচ্ছে । কিছুক্ষণ পর আবার এসে বসছে ক্ষত জায়গাটায়। নগ্ন বুকের ক্ষত চিহ্ন গুলো মোটা মোটা কাল হয়ে ফুলে গেছে ।একসময় লজ্জায় ঢেকে রাখা বুক আজ উলঙ্গ , লজ্জা ঢাকার কোন চেস্টা নাই। কিভাবে লজ্জা ঢাকবে তার শরীরে কোন শক্তিই অবশিষ্ট নাই। উঠে একটু বসবে তার শক্তি টুকু পর্যন্ত নাই। নিজের প্রতি খুব ঘেন্না হচ্ছে, কয়েকবার আত্নহত্যা করবে বলে ঠিকরেছিল কিন্তু হায়না গুল তার শরীরের কাপড় খুলে উলঙ্গ ফেলে রেখেছে । স্কুল ঘরের এই কক্ষে তাদের চারজনকে রাখা হয়েছিল দুজন মারা গেছে পশুদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে। একজনকে গত সপ্তাহে নিয়ে গেছে এক পশু । এ কিসের শাস্তি আল্লাহপাক তাকে দিয়েছে তা তার জানা নাই । কত সপ্ন তার মনে ছিল , কত আশা ছিল তার মনে । আজ মনে হয় মরন কখন আসবে তবেই না মুক্তি। এই মুখ আর কাউকে দেখাবে না সে । কিভাবে দেখাবে ? পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাকে প্রতি দিন কুড়েকুড়ে খেয়েছে । তার মাংসল শরীর নিয়ে তারা পাগলা কুকুরের মত খেলেছে তাদের ইচ্ছেমত। আজ কোথায় আছে তার প্রানের বন্ধু শরীফ। শেষ দেখা শরিফের সাথে তার হয়েছিল অনেকদিন আগে । শরীফ কে কতভালবাসত তা বোধহয় শরীফ ও জানত না।কতই না সুখের ছিল সে দিন গুলো । আজ কি হয়ে গেল তার জীবনে।
স্কুল ঘরের পাকিস্তানীদের ক্যাম্পে অর্ধমৃত আসমা ভাবছিল কথগুলো । স্কুলঘরের কোণার দিকের কক্ষে তাকে রাখা হয়েছে।যুদ্ধ শুরু হওয়ার চার পাঁচ মাস পরে তাদের এলাকায় পাকবাহিনী ক্যাম্প করে। তার স্কুল মাস্টার বাবা বাধা দেওয়ায় তাকে বেনেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে মেরেছে পাকহানাদার বাহিনী।সেদিন বাবার মুত্যতে শোকে বিহবল হয়েগিয়েছিল আসমা ।তারপর প্রতিটি দিন কাটত অনেক ভয়ে । তাদের গ্রামের রমিজ মিয়া রাজাকারের দলে যোগ দেন। গ্রামের মেয়ে মানুষদের হায়ানাদের তুলে দিতে দ্বিধা করত না রমিজ মিয়া। শরীফের বাবাকে একদিন খুব শাসাল রমিজ মিয়া । বলেছে তার ছেলে শরীফ কোথায় গেছে । মৌলভী সাহেব বলেছিলেন –আমি জানি না । তাতেই রমিজ মিয়া রেগে মেগে আগুন । শরিফদের বাড়ী গিয়ে সেদিন দেখেছিলে আসমা ।তারকিছুদিন পর তার কপালে কাল নেমে এল । বাবাকে হারিয়ে আসমা সবসময় মনমরা হয়ে থাকত । একদিন এক মুক্তিযোদ্ধা রাতের বেলায় তাদের বাড়ীতে আশ্রয় নিল পাকবাহিনীর তাড়া খেয়ে ।সে রাতে রমিজ মিয়া পাকবাহিনীর কমান্ডার কে নিয়ে আসমাদের বাড়ীতে হানা দিয়ে সে মুক্তিযোদ্ধা কে ধরে নিয়ে যায়। সাথে নিয়ে যায় অসহায় আসমাকে। আসমার ফুফু অনেক কেঁদেছে বার বার রমিজ মিয়ার পায়ে জড়িয়ে ধরেছে কিন্তু রমিজ মিয়া তার ফুফুর কথা শুনেনি। একরকম টেনে হিঁচড়ে তার বাবার স্কুলে তাকে নিয়ে আসে রমিজ মিয়া । আসমা কে দেখে পাকিস্তানী কমান্ডার মহা খুশি । রমিজ মিয়াকে অনেক ধন্যবাদ দিল সে । তারপর ?উহঃ নাঃ আর মনে করতে চায়না আসমা। এরপর থেকে প্রতিদিন তার শরীরের উপর একের পর এক ... ......নাহ আর মনে করতে পারছে না আসমা । যে স্কুলে একসময় মুক্তবিহঙ্গের মত ছুটে বেড়াত সে স্কুলের চারদেয়ালে মুত্যর সাথে পাঞ্জা লড়ছে জিবনের সব হারিয়ে।
আজ কয়েকদিন হায়ানাদের কোন দেখা নেই। এর আগে কে জানি একটুকরো রুটি এবং সামান্য তরকারী দিয়ে যেত. কিন্তু আজ কয়েকদিন কোন খাবার নাই । মাটির কলসিটার পানি ও শেষ । দরজাটা বাইরে থেকে বন্ধ । এসময় কিসের যেন চিৎকার শুনা যাচ্ছে । তাহলে কি পাকহানারা হেরে গেছে। কে জিতল কে হারল তাতে আসমার কি আসে যায়। মরন ছাড়া তার আর কোন গতি নাই। বাইরে মানুষের পায়ের শব্দ শুনা যাচ্ছে । লোকেদের চীৎকার আর চেঁচামেচি শুনা যাচ্ছে । এসময় আবার জ্ঞান হারাল আসমা ।
(6)
হাসপাতালে যমের হাত থেকে রক্ষা ফেল আসমা ।প্রতিদিন প্রতিরাত একাগ্রচিত্তে সেবা করেছে শরীফ। যুদ্ধ শেষে বিজয় মিছিলের সাথে নয় মাস পর গ্রামে প্রবেশ করে সবার আগে ছুটে গিয়েছিল আসমাদের বাড়ীতে। আসমাদের বাড়ীটা কেমন জানি ফাঁকা অনেকদিন ধরে অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে । ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে দেখল আসমার ফুফু বিছানায় পড়ে ভীষণ জ্বরে কাতরাচ্ছে , কঙ্কালসার দেহ নিয়ে। আস্মার ফুফুর কাছে যা শুনল তাতে যেন মাথায় বাজ পড়ল। মাস্টার চাচাকে পাকবাহিনি মেরে ফেলেছে , আসমাকে স্কুলের ক্যাম্পে নিয়ে গেছে রমিজ আলি ।
স্কুলের সব কামরা খালি , মেঝেতে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। পাকহায়নার অত্যাচারের চিহ্ন স্কুল ঘরের প্রতিটি দেয়ালে। স্কুল ঘরের দেয়াল গুল এতদিন যেন মুখবুঝে সহ্য করেছে। স্কুলের ঠিক মাঝখানে অনেকগুলো পাক সেনা কে পেছন দিকে হাতমোড়া দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। পাকিস্তানীদের নির্যাতনের সাক্ষী এই স্কুলের দেয়াল মাঠ যেন অনেক দিন পর স্বস্তি ফেল। আজ স্বাধীন বাংলাদেশে পাক সেনাদের কি হবে তা জানা নেই ।স্কুলের কোনার দিকের রুমের দরজা বাইরে থেকে লাগানো । স্কুলের প্রতিটি রুম তন্ন তন্ন করে খুঁজেছে কিন্তু আসমার কোন দেখা নাই । তাহলে কি আসমা বেঁছে নাই। আনমনে বদ্ধ রুমের দরজা খুলল শরীফ। রুমের এক কনায় আসমার অসাড় উলঙ্গ দেহ খানি পড়ে আছে , দেখতে ফেল শরীফ। লজ্জায় চোখ বন্ধ করল শরীফ। এরা কি মানুষ না জানোয়ার । ছিঃ ছিঃ একটা নিরীহ মেয়ের উপর কিরকম অত্যাচার করেছে। তাড়াতাড়ি নিজের গায়ের ময়লা চাদরটা খুলে আসমাকে জড়াল। একেবারে কাঁধে নিয়ে রওনা হল হাসপাতালের দিকে।
ধীরে ধীরে আসমা সুস্থ হতে লাগল । কিন্তু সমস্যা দেখা দিল আসমার মানসিকতায়। সে এ জীবন রাখতে চায়না । সে বার বার বলে আমার বেছে থেকে কি লাভ। যে কলঙ্ক পাকিস্তানী কুত্তারা আমার ললাটে একে দিয়েছে তা তো আর কোন দিন মুছে ফেলা যাবে না। বেচে থকে আপমানের চেয়ে মুত্যো অনেক ভাল । শরীফ আসমাকে অভয় দেয় কেউ তোমাকে কিছু বলবে না ।তুমি আগে ঠিক হয়ে নাও। চার মাসের দীর্ঘ চিকিৎসা সেবার পর আসমা সুস্থ হয়ে উঠলো । কিন্তু আসমা বাড়ী ফিরে যেতে নারাজ । শরীফ এবার আসমাকে বলল । আসমা আমি তোমাকে বিয়ে করে বাড়ী নিয়ে যাব।
-না তা হয় না শরীফ।
- কেন হয় না ?
- তুমি আমার প্রতি করুনা করছ। আমি কারো করুনার পাত্রী হতে চাই না।
-না আসমা এখানে কোন করুনা নাই , তুমি আমার বন্ধু তাই তোমাকে যোগ্য সন্মান দিতে চাই।
-তুমি মেনে নিলে তোমার সমাজ কি আমাকে মেনে নেবে।
-কেন মেনে নেবে না , তুমি যেটাকে কলঙ্ক ভাবছ তাই গর্ভের । শুধু কি তুমি আসমা এমন ঘটনার স্বীকার । আর ও দুই লাখ নারী এই নরপিশাচদের কারনে তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছে। আমাদের সকলের উচিত সবাইকে সমাজের উঁচু আসনে প্রতিষ্ঠিত করা।আমরা যেমন যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীনে ভুমিকা রেখেছি , তোমরা তেমনি দেশ স্বাধীনে অনেক বড় ভুমিকা রেখেছ।এই দেশ আমার বন্ধু এই দেশের জনগন আমার বন্ধু, এই দেশের মাটি আমার বন্ধু ,এই দেশের সব কিছু আমার অতি আপন । আর সবচেয়ে বেশী আপন কে জান?
-কে?
-তুমি।
-ঠিক আছে আমি তোমার শর্তে রাজী । কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে ?
- কি সেটা বল। তোমাকে পেতে যে কোন শর্ত মানতে রাজী আছি আমি।
-আমরা বিয়ে করলে আমাদের গ্রামে আর ফিরে যাব না । কারন সেখানে সবাই আঙ্গুল উচিয়ে বলবে এই সেই আসমা যে ৪ মাস পাকিস্তানী ক্যাম্পে ছিল।আমি জানি তখন আমার চেয়ে তোমার খারাফ লাগবে। তাই আমাকে বিয়ে করতে হলে তোমাকে এমন জায়গায় যেতে হবে যেখানে আমাদের কে কেউ চিনে না জানে না ।
-তুমি বললে আমি তাই করব। আর শোন কখন ও নিজেকে ছোট ভাববে না। আমি তোমাকে করুনা করে বিয়ে করছি না , ভালবেসে বিয়ে করছি। একথা খেয়াল রেখ।আর শুন সব সময় এমন মন্মরা হয়ে থেক না ।
-ঠিক আছে। আমি চেস্টা করব সবসময় হাসি খুশি থাকতে । জানি না পারব কিনা ।
২৬ডিসেম্বর ১৯৭১ খুব ভোরে আসমা আর শরীফ সরকারী হাসপাতাল থেকে চুপিসারে অজানা গন্ত্যবের উদ্দেশ্য পাড়ি জমায়। যেখানে তারা সুখের সংসার করবে । কেউ তাদের চিনবে না, জানবে না।বন্ধু আসমাকে নিয়ে তাই শরীফ চলে গেল তার নতুন আবাসের উদ্দেশ্য...............।।
বিঃদ্রঃ আমার মরহুম দাদা মৌলভী সাহেব ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসে পার্যানলাইজড হয়ে একটি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ছিলেন। সেই সময়ে দাদা ভাইয়ের দেখাশুনার জন্য আমাকে সেই ৬মাস হাসপাতালে থাকতে হয়। সেখানকার সকল ডাক্তার এবং অন্য সকলের সাথে আমার একটা ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই হাসপাতালে কর্মরত একজন ডাক্তার আমাকে তার যুদ্ধ পরবর্তী সময়ের ডাক্তারি করার অভিজ্ঞটা বলতেন । কথা প্রসঙ্গে একদিন আসমা এবং শরীফের কাহীনি আমাকে বলেন তিনি। এই গল্পটি সেই ডাক্তারের কাহীনির একটা অংশ। আমি চেস্টা করেছি উনার বর্ণনা গুলো ঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে। কিছু ক্ষেত্রে লেখক কে কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়। আমি ও তা করেছি।তবে কাহীনি থেকে না সরে বাস্তবতাকে তুলে ধরার চেস্টা করেছি। এতে আমি কতটুকু সফল তার বিচার পাঠক এবং আমার বন্ধুদের উপর ছেড়ে দিলাম।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
sakil গল্পটি বড় ছিল অজুহাতে অনেকে পড়েননি বলে কারো প্রতি রাগ বা অভিমান কোনটাই করিনি . অনেক কাছের বন্ধুরা ও কেন জানি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তাও বুঝে উঠতে পারি নি . তাই বলে হল ছাড়িনি . আমি ছিলাম আছি এবং থাকব . ৪০ থেকে ৪২ জন পাঠক এবং লেখক অনেক কষ্ট করে আমার গল্পটি পড়েছেন তাদের জন্য রইলো অকৃত্তিম ভালবাসা .
sakil @ সুবল আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গল্পটি পড়ায় । সৌরভ শুভ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যারা গল্পটি পড়ে আপনাদের মতামত প্রদান করেছেন সবার জন্য রইল অনেক ভালবাসা আর অনেক শুভেচ্ছা।
sakil onek dhonnobad @ Sumon golpiti poray .
sumon miah অনেক অনেক ভাল লাগলো গল্পটা পড়ে ।এভাবেই লিখতে থাকুন ,শুভ কামনা লেখার প্রতি।
sakil @ Israt আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ . গল্পটি পরে আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো .
sakil @ মেরিনা নাসরিন সীমা আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ . গল্পটি পরে আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য
Israt ভালো লাগলো
ম্যারিনা নাসরিন সীমা বাস্তবতার ভিত্তিতে লেখা চমৎকার গল্প । খুব খুব ভাল লাগলো ।
sakil অনেক ধন্যবাদ @ বাবলু হাওলাদার . আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো .
বাবলু হাওলাদার আপনার গল্পটি অসাধারণ লাগলো, আমি অভিভূত হয়ে গেলাম

১৯ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৫০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪