পথে যেতে যেতে কত কিছু--- ধুলোর স্তূপ, অবাঞ্ছিত নুড়ি পাথর দিগন্ত বিস্তৃত আকাশ, দু একটি গাঙ চিল পাশের ডোবায় কিলবিল করা অগুনতি জোঁক, সাঁঝের মায়া আমি চেতনে-অচেতনে হেঁটে চলেছি পথের পর পথ, ভাঙা চোরা, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর মত দিশেহারা ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির বিলাপ, মহাসাগরের বিক্ষিপ্ত ঢেউয়ের প্রলাপ সুতীব্র ইচ্ছের কলি গুলির না ফুটতেই ঝরে পড়া খড়ের গাঁদার নিচের পিষ্ট ঘাসের মত ভ্যাবচ্যাকা একটি একটি সামান্য মৃত্যু, অপমৃত্যুর মিছিলে দিকভ্রান্ত ইচ্ছেরা অসহায় পথিকের মত তাকিয়ে আছে উদাস বেলা মাঝে মাঝে কাকতাড়ুয়ার প্রেতাত্মা ঘাড়ের উপর গরম নিঃশ্বাস ফেলে ভয়ে আমি কুঁকড়ে যাই ভিতরে জমে থাকা দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিভূত কামনার লেলিহান শিখা ধপ করে নিবে যায়, চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে নিষ্পাপ স্ফুলিঙ্গ অতঃপর আমি না থাকার মত করে অধঃমুখে পড়ে থাকি ভিতরের সুপ্ত বাসনা গুলোকে সেন্ট হেলেনায় নির্বাসনে পাঠাই আর মনে মনে বলি যদি কখনও ফিরে আসো; তবে বারুদ হয়ে এসো অধিকার প্রতিষ্ঠার বজ্র মুষ্টি নিয়ে এসো রুশো, লেলিন, ক্ষুদিরাম, তিতুমীর হয়ে এসো না হয় লা ওয়ারিশ কুকুরের মত আস্তাকুরে জায়গা খুঁজে নিও আমি ধ্বংস স্তূপের ভিতর দাঁড়িয়ে থাকব !!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম
এই কবিতার দর্শণের গভীরতা মাপা আমার জন্য সত্যিই দু:স্বাধ্য হয়ে পড়ল । কয়েকবার পাঠ করলাম । সত্যিই অবাক হলাম । জীবনের পথ চলার হিসেব -নিকেশ, চিন্তা-ভাবনা, দৃষ্টিভংগি, মানুষ হিসেবে আমাদের স্বার্থকতা -----কি বলব, নানা রকম ভাবনা মিশ্রিত অপূর্ব দশর্ণতত্ব রয়েছে আপনার এ লেখনিতে । খুব ভাল লেগেছে ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।