কেমন ছিলো – সেইসব দিনগুলো যখন আমরা কোকিল চিনতাম ঘুঘুদের ডাক শুনে পুলকিত হতাম চড়ুই-কাক-দোয়েল এসবই আমরা আলাদা আলাদাভাবে ঠিকঠাক চিনতাম চিল আর শকুন যতো উপরে আকাশে ওড়ে ভাবতাম আমাদের ঘুড়িগুলোয় আরো- ঢের সূ্তো জুড়ে দিলে হয়তোবা ছাড়িয়ে যেতো ওদেরো দিনের প্রজাপতি ফড়িঙ আর- রাতের জোনাকি আমাদেরকে পাগল করে রাখতো পুঁটি মাছ দিয়ে বক আর- জিগা’র আঁঠা দিয়ে আমরা ধরতাম ফড়িঙ আবার- বাঁশঝাড়ে ঝড়ে প’রে যাওয়া বাচ্চা শালিখগুলোকে আমরা বাসায় পৌঁছে দিতাম কতো নদীও আমাদের খুব টানতো শাপলা-শালুক আর জাল ঠেলে মাছধরা এগুলোকে এখন আর আমরা ধরে রাখতে পারিনি আমরা এখন আর বিল চিনিনা নদীগুলোও যাচ্ছে ম’রে পাশের বাসা’র মানুষগুলোকেও - আমরা এখন চিনতে ভুল করি; অথচ- সারা পাড়াই আগে ছিলো নিজেদের বাড়ি- সম্প্রীতির সেতুবন্ধ জ্যোৎস্না এখন আর আমরা ক’জনে দেখি তারাদেরো আর গুণিনা এখন সন্ধ্যাতারা – ডাহুকের ডাক – বাঁশের মরা মাথায় রাতজাগা পেঁচা কিংবা- শুকতারা – ভোর – গরুর গাড়ি’র ক্যাঁচর-ম্যাচর আর- পাখিদের কিচির-মিচিরের ভোর আহা- আমরা আর কোনোদিনই ফিরে পাবোনা...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য
কবিতার সাথে একটা বাস্তব ঘটনা এতো মিলে গেলো বলার লোভ সামাল দেয়া গেলো না। নন্দিনী আমার মেয়ে আর ওর মাকে নিয়ে যাচ্ছিলাম রিক্সায় হাতের ডানে অবারিত শর্ষের হলুদ আগুন, তার পাড় ঘেষে শীতলক্ষা নদী। রাস্তার ধারে হরেক গাছে শীম, লাউ, চিচিংগা, ঝিংঙে... মেয়ে নাকি তার মাকে রাতে জিজ্ঞেস করেছে শীম কী মাটির উপরে হয় না মাটির নিচে? আমরা দুজনেই মেয়েটাকে প্রকৃতি চেনাতে চেষ্টা করি। ও ভুলে যায়, ওর সাথের কেউ এগুলো জানতে চায় না, ওর আগ্রহ আর কতক্ষণ জিইয়ে থাকে... তো এই ভুলে যাওয়ার কথায় মনে পড়লো কিছু গাছ ছিল আমাদের ছোট বেলার নিত্য সঙ্গি এদের আঞ্চলিক নাম ১"মেড্ডা" ২"টিকটিলা" আর একটা গাছের নাম মনে করতে পারছিলাম না। যেটার আঠা নারকেল পাতার শলাকায় লাগিয়ে ফড়িং ধরতাম, যার ডাল বাড়ির সীমানায় পোতা হতো চিহ্নিত করার কাজে, সে ডাল থেকে সপ্তাহ খানেক বাদেই নতুন পাতা জন্মাতো... খুব করে খুজছিলাম সে গাছ। প্রায় ছ কিলোমিটার গ্রামীন রাস্তায় একটা মাত্র গাছ দেখতে পেলাম মনে পড়লো একে আমরা "কাফিলা" গাছ ডাকতাম। আমার সন্তান অথবা ওদের প্রজন্ম হয়তো কোন দিনই জানবে না ওর বা ওদের বাবা-মায়েরা এ গাছগুলোতে ঝুলে, গাছের ছাল তুলে তুলে বড় হয়েছে.... কবিতা নস্টালজিক করেছে অনেকটাই।
কবি এবং হিমু
কবিতাটি পড়ে ছেলে বেলার কথা মনে পড়ে গেল,আসলেই আমাদের প্রিয় দেশ থেকে দিন কে দিন প্রিয় স্মৃতিগুলো হারিয়ে যাচ্ছে আর হৃদয়ে সৃষ্টি হচ্ছে গভীর ক্ষত।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।