আর ফিরে পাবোনা

দেশপ্রেম (ডিসেম্বর ২০১৩)

মাসুম বাদল
  • ১৯
  • ৮২
কেমন ছিলো –
সেইসব দিনগুলো
যখন আমরা কোকিল চিনতাম
ঘুঘুদের ডাক শুনে পুলকিত হতাম
চড়ুই-কাক-দোয়েল এসবই আমরা
আলাদা আলাদাভাবে ঠিকঠাক চিনতাম
চিল আর শকুন যতো উপরে আকাশে ওড়ে
ভাবতাম আমাদের ঘুড়িগুলোয় আরো-
ঢের সূ্তো জুড়ে দিলে হয়তোবা ছাড়িয়ে যেতো ওদেরো
দিনের প্রজাপতি ফড়িঙ আর-
রাতের জোনাকি আমাদেরকে পাগল করে রাখতো
পুঁটি মাছ দিয়ে বক আর-
জিগা’র আঁঠা দিয়ে আমরা ধরতাম ফড়িঙ
আবার-
বাঁশঝাড়ে ঝড়ে প’রে যাওয়া বাচ্চা শালিখগুলোকে
আমরা বাসায় পৌঁছে দিতাম কতো
নদীও আমাদের খুব টানতো
শাপলা-শালুক আর জাল ঠেলে মাছধরা
এগুলোকে এখন আর আমরা ধরে রাখতে পারিনি
আমরা এখন আর বিল চিনিনা
নদীগুলোও যাচ্ছে ম’রে
পাশের বাসা’র মানুষগুলোকেও -
আমরা এখন চিনতে ভুল করি; অথচ-
সারা পাড়াই আগে ছিলো নিজেদের বাড়ি-
সম্প্রীতির সেতুবন্ধ
জ্যোৎস্না এখন আর আমরা ক’জনে দেখি
তারাদেরো আর গুণিনা এখন
সন্ধ্যাতারা – ডাহুকের ডাক – বাঁশের মরা মাথায়
রাতজাগা পেঁচা কিংবা-
শুকতারা – ভোর –
গরুর গাড়ি’র ক্যাঁচর-ম্যাচর আর-
পাখিদের কিচির-মিচিরের ভোর আহা-
আমরা আর কোনোদিনই ফিরে পাবোনা...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মামুন ম. আজিজ গ্রাম্য পরিবেশ, দারুন একটা প্রাকৃতিত নষ্টালজিয়া..মন কেড়ে নেয় সবুজ দেশ।
ভালো লাগেনি ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩
অনেক অনেক শুভকামনা...
ভালো লাগেনি ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩
সুমন সুন্দর গ্রামীণ সহজ-সরল প্রাকৃতিক জীবন। ভাল লাগল কবিতা।
ভালো লাগেনি ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩
অনেক অনেক শুভকামনা...
ভালো লাগেনি ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৩
সূর্য কবিতার সাথে একটা বাস্তব ঘটনা এতো মিলে গেলো বলার লোভ সামাল দেয়া গেলো না। নন্দিনী আমার মেয়ে আর ওর মাকে নিয়ে যাচ্ছিলাম রিক্সায় হাতের ডানে অবারিত শর্ষের হলুদ আগুন, তার পাড় ঘেষে শীতলক্ষা নদী। রাস্তার ধারে হরেক গাছে শীম, লাউ, চিচিংগা, ঝিংঙে... মেয়ে নাকি তার মাকে রাতে জিজ্ঞেস করেছে শীম কী মাটির উপরে হয় না মাটির নিচে? আমরা দুজনেই মেয়েটাকে প্রকৃতি চেনাতে চেষ্টা করি। ও ভুলে যায়, ওর সাথের কেউ এগুলো জানতে চায় না, ওর আগ্রহ আর কতক্ষণ জিইয়ে থাকে... তো এই ভুলে যাওয়ার কথায় মনে পড়লো কিছু গাছ ছিল আমাদের ছোট বেলার নিত্য সঙ্গি এদের আঞ্চলিক নাম ১"মেড্ডা" ২"টিকটিলা" আর একটা গাছের নাম মনে করতে পারছিলাম না। যেটার আঠা নারকেল পাতার শলাকায় লাগিয়ে ফড়িং ধরতাম, যার ডাল বাড়ির সীমানায় পোতা হতো চিহ্নিত করার কাজে, সে ডাল থেকে সপ্তাহ খানেক বাদেই নতুন পাতা জন্মাতো... খুব করে খুজছিলাম সে গাছ। প্রায় ছ কিলোমিটার গ্রামীন রাস্তায় একটা মাত্র গাছ দেখতে পেলাম মনে পড়লো একে আমরা "কাফিলা" গাছ ডাকতাম। আমার সন্তান অথবা ওদের প্রজন্ম হয়তো কোন দিনই জানবে না ওর বা ওদের বাবা-মায়েরা এ গাছগুলোতে ঝুলে, গাছের ছাল তুলে তুলে বড় হয়েছে.... কবিতা নস্টালজিক করেছে অনেকটাই।
ভালো লাগেনি ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। অনেক অনেক শুভকামনা ...
ভালো লাগেনি ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩
আরে কবিতা কেমন হয়েছে তাইতো অক্ষরসীমার কারনে বাদ রয়ে গেছে :( । কবিতা নস্টালজিক করেছে, ভালো লেগেছে। :)
অসংখ্য ধন্যবাদ...
ভালো লাগেনি ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন ...আমরা আর কোনোদিনই ফিরে পাবোনা...। কিছুই হারায়নি, হারিয়েছে আমাদের মনটা। ভাল লিখেছেন। ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগেনি ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩
সালাম ও শুভকামনা জানবেন !
ভালো লাগেনি ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩
ইসহাক খান হারানো দিনের কথা বলা চমৎকার কবিতা। শুভেচ্ছা সতত।
ভালো লাগেনি ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩
অফুরন্ত শুভেচ্ছা জানবেন, ভাই !!!
ভালো লাগেনি ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩
মিলন বনিক হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলাটাকে অসাধারন মুগ্ধতায় তুলে এনেছেন.....জুড়ে দিয়েছেন কিছু অমূল্য স্মৃতি....
ভালো লাগেনি ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩
সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা অফুরান ...
ভালো লাগেনি ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩
মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন গ্রামের রূপ ফুটে উঠেছে কবিতায়। খুব সুন্দর দেশপ্রেমের প্রকাশ। খুব ভাল লিখেছেন।
ভালো লাগেনি ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩
অসংখ্য ধন্যবাদ !!!
ভালো লাগেনি ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩
মনতোষ চন্দ্র দাশ খুব ভালো লাগলো ,পল্লী বাংলার রূপ উঠে এসেছে কবিতায়
অনেক অনেক শুভকামনা !!!
ভালো লাগেনি ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩
কবি এবং হিমু কবিতাটি পড়ে ছেলে বেলার কথা মনে পড়ে গেল,আসলেই আমাদের প্রিয় দেশ থেকে দিন কে দিন প্রিয় স্মৃতিগুলো হারিয়ে যাচ্ছে আর হৃদয়ে সৃষ্টি হচ্ছে গভীর ক্ষত।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ !!!
কবিরুল ইসলাম কঙ্ক ছোটবেলার পাখিগুলোকে আবার মনে করিয়ে দিলেন । পল্লী বাংলার রূপ মগ্নতায় কবিতাটি সুন্দর । ভালো থাকবেন ।
অনেক অনেক শুভকামনা !!!

১৪ মে - ২০১২ গল্প/কবিতা: ১০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪