এবার দাওয়া শেষ করেই তোরে আমার ঘরের বউ করে তুলে নিব। নতুন ধানের পিঠা পায়েস তোর হাতে বানায়া দিবি, আমি চোখ বন্ধ কইরা একটার পর একটা টপাটপ খামু। কি তুই পিঠা বানাইতে পারবি না ; হুম বানায়া দিমু নিজের হাতে খাওয়াইয়াও দিমু। মুচকি হেসে ফুলির কথা বলা শেষ না হতেই ধীর সুরে হাসতে থাকে মিঠু।
ফুলির বয়স অল্প। লাউডগার মতো তরতর করে বেড়ে উঠছে। কাপড় পড়ে আঁচলের ভিতর থেকে হাত বাড়িয়ে পাটায় হলুদ মরিচ বাটলে নরম তুলতুলে হলদে রঙের হাতের আঙ্গুল গুলো যেন মিঠুর বুকের লোমে বিলি কাটে। আঁচল টেনে ঘুমটা দিলে নতুন বউয়ের মতো লাগে। নজর লাগার ভয়ে ফুলির দাদী কাছে ডেকে নিয়ে বলে - ঐ সতিন তুই যে দিনদিন এত সুন্দর হইতাছছ মিঠুর মাথা তো আরো পাগল বানাইবি। বাইরে বেশী ঘুরাঘুরি করিছ না, কোন মানুষের নজর লাগব কওন যায় না । আয় তরে থুতু দিয়া দেই। হ তোমারে কইছে - আঁচলের ভিতর মুখ গুজে লজ্জায় লাল হয়ে দাদীর কানে কানে বলে এক দৌড়ে পালায় ফুলি।
বছরের শুরুতে নব যৌবনে গুরুম গুরুম ডাকছে আকাশ। সাদা মেঘ জমে জমে কালো হতে হতে জমাট বেঁধেছে কয়েক দিন ধরে। আকাশ আর ভার সইতে না পেরে যৌবন গলে আজ বৃষ্টি শুরু করেছে। তেমনি ফুলিও মাত্র নব যৌবনে পা দিয়েছে। অঙ্গে অঙ্গে রূপ ঝড়ছে। অবিরাম বর্ষনে মাটির নিচ থেকে উঠে আসে বড় বড় ব্যাঙ। ধর ফুলিয়ে শব্দ করে লাফাতে লাফাতে একটি আরেকটিকে জড়িয়ে ধরছে। মিঠু ক্ষেতে লাঙল চালায়। ছোট ছোট বাচ্চারা জোড়া ব্যাঙের গায়ে ঢিল ছুড়তে ব্যস্ত। গত বছর এমনি দিনে ফুলিও বাচ্চাদের সাথে ঢিল ছুড়ে ছিল মনের আনন্দে। আজ তার সেই মনে অন্য আনন্দ ঢেউ খেলে যায়। তাই বাচ্চাদের আজ ঢিল ছুড়তে নিষেধ করে বলে - তোরা বেঙ্গের উপর ঢিল দেস কেন আল্লায় পাপ দিব। মিঠুর বালেকত্ব কয়েক বছর আগে আসলেও ফুলির মাত্র শুরু। মাথার পিছনে দুটি বেণী করে বেণীর মাথায় দুই গজের দুটি লাল ফিতায় বড় বড় ফুল করা তার খুব প্রিয়। প্রতিদিন তার চাই - দাদী বেণীতে ফুল তুইলাদেও, ও দাদী দেওনা তারাতারি, ও দাদী।
দাদীকে তাগাদা দিয়ে বেণীতে ফুল ফুটাতেই দক্ষিণ পাশে খরের গাদা, গাছের আড়ালে চোর পুলিশ খেলে। দৌড়া দৌড়ি করে। ডান হাতে ডান পাশের বেণীর আগায় লাল ফুলটি, বৃত্তাকারে ঘুরাতে ঘুরাতে ডান দিকে নজর দিয়। সেই মানুষটিকে দেখতে না পেলে আরেক দৌড়ে মিঠুর দরজায় পা দেওয়ার আগেই কান পাতে রেডিওর শব্দে। গানের শব্দ হলে চুপি চুপি তাকিয়ে থেকে গান শোনে মুগ্ধ হয়ে। শব্দ বন্ধ থাকলে, বুঝে মিঠু ঘরে নেই। এদিক ওদিক খুঁজে চাচি চাচি বলে ডাকতে ডাকতে চলে যায় বাড়ির ভিতর। চাচি দাও আমি করি। ছোট্ট মেয়ের কথায় মিঠুর মা মিটিমিটি হেসে বলে, না মা তুমি দেখ আমি কিভাবে করি। আগে শিখালও তার পর একদিন তুমিইতো সব করবা। না চাচি আমারে দেও আমি পারব। বায়না মিটাতে হাতের কাজটি দিতে বাদ্য হয়ে বলে - আচ্ছা মা কর। চাচির হাতের কাজটি করতে থাকে শাশুড়ীর একান্ত বাধ্যগত, নব পুত্রবধুর মতো। মিঠুর মা ফুলির দিকে তাকিয়ে, বৃদ্ধ বয়সে নাতি নাতনি নিয়ে সুখের ভাবনা ভাবতে ভাবতে সংসারের চাবিটা ফুলির আঁচলে বেঁধে দিয়ে, নিঃশ্বাস ছেড়ে বৃদ্ধ বয়সের সুখ অনুভব করে।
হৈ হাট হাট, হইছ হাট হাট করতে করতে রোদ বৃষ্টিতে চলতে থাকে লাঙল। আড়চোখে তাকিয়ে খোঁজে ছোট ছেলেমেয়েদের সাথে খেলারত ফুলিকে। না পেলে তার ছোট ভাইকে জোরে জোরে ডাকে মিঠু - ঐ খালেক- খালেক রে, খালেক। এই একজগ ঠান্ডা পানি লইয়াআয়। ঐবাড়িতে এক মাত্র দাদীই জানে। তাদের ডুবে ডুবে জল খাওয়া। তাই হবু নাতিন জামাইয়ের জন্য জলের সাথে মুড়ি পিঠা জাতীয় কিছু থাকলে পাঠিয়ে দেয়। আজ ফুলির বাড়ির পাশের ক্ষেতে হালবাইছে মিঠু। তাই ঐ দিকে মা নিশ্চিন্তে বাড়ির কাজ করতে থাকে।
কয়েকদিন হালচাষে ব্যস্ত। দিনে ফুলিদের বাড়িতে যেতে পারে না মিঠু। সন্ধার পর যাওয়াটা আগের মতোই নিয়মিত। ঐ বাড়িতে গিয়ে ছোটছোট বাচ্চাদের আরামে খেলতে দেয় না । একটার পর একটা অজুহাতে তাদের খেলা ভাঙ্গে। দাদীর পানের বাটার গায়ে জ্বর উঠে। ফুলিকে একান্তে পাওয়ার ইচ্ছ। কিন্তু তার মতো চুতুরদিকে এত জ্ঞান বাড়েনি ফুলির । তবে কচি মনে ভালোবাসা দানা বেঁধেছে। মাঝে মাঝে এমনিতেই ভালোবাসায় নুয়ে পরে আবার দৌড়ে পালায়। মিঠু তা বুঝে, তাই এত বাহানা করে আরো কাছে পেতে চায়। একটা ডাব কিংবা নারকেলের দরকার হলে মিঠুর ডাক পরে - ঐ ফুলি মিঠুকে ডাইকা আনতো একটা নারকেল পারন লাগব অথবা কয়েকটা জাম্বুরা। ফুলির আবার যাওয়ার সুযোগ হয়, দেয় একটা দৌড়। মিঠুর একটা কান খোলাই থাকে, কখন ডাক পরে। আর ডাকাডাকির আশায় সে থাকে না। তার যখন ইচ্ছা যায়। যা ইচ্ছা তাই করে। কোন কাজ করতে তার কৃপনতা নাই। বাড়ির সব তার প্রসংসায় পঞ্চমুখ। পেয়ারা, আম নারকেল জাম্বুরা সব গাছের ডালপালা তার মুখস্ত। কিন্তু চাষবাসের জন্য এখন ততটা যাওয়া হয় না।
ক্ষেতের জো শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই রোয়া লাগাতে হবে। রোয়া লাগাতে দেরি হলে নামি হয়ে যাবে। তখন ফসল ভালো হবে না। মিঠু বেশ ভালো জানে। এখন সে একজন প্রকৃত কৃষক। প্রকৃতির সারা বছরের সময়কে সে বুঝে। ফসল ফলায়। কিট পতঙ্গ পোকামাকড় প্রতিকার। সার বীজ এবং বীজতলা তৈরী এসব মিঠুর এখন মুখস্ত। তার বাবার মতোই একজন সচেতন কৃষক। তাই সময় মতো হালচাষ রোয়া লাগানো নিরান দেওয়া সার দেওয়াতে, ধান গাছ গুলি তরতর করে মাগুরা গোছা দিয়ে বেড়ে উঠছে। গত বছর খড়ায় ফসল কমহলেও এবার তা পোষাবে, গোছা দেখেই বুঝা যায়। কয়েক জন কাজের লোক নিয়ে নিজেই সব করে। পাশের ক্ষেউতারা তাদের ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে মিঠুর ক্ষেতের দিকে তাকানোর পর কেমন যেন একটা হিংসা ভাব আসলেও তার পরিশ্রমকে সমিহ করে। স্নেহে তাকে উৎসাহ দিয়ে বলে বাপু - ক্ষেতের ফসলতো ভালই ফলাও এবার একটি বিয়ে করে সংসার সাজাও। তোমার মা’কে এবার একটু বিশ্রাম দেও। নতুন বৌয়ের কথা শুনে খুঁশিতে মিঠুর মন নেচে উঠে।
দেখতে দেখতেই পুরু মাঠ সবুজে সবুজে ভরে গেছে। প্রতিদিন সকালে বিকালে ক্ষেতের আইল ঘুরে ক্ষেত দেখে আসে। দক্ষিণা বাতাসে ধান গাছ গুলি হেলে দুলে দোল খেতে থাকে। খুশিতে তার বুক ভরে যায়। বুকের মধ্যে কেমন একটা সুখের চিনচিন ভাব করে দক্ষিণা হাওয়া বয়। বোগলে রাখা রেডিওতে গান বাজে ; দুই নয়নে তোমায় দেখে নেশা কাটে না দেখার নেশা কাটে না হাজার নয়ন দাওনা আমায় লক্ষ নয়ন দাওনা, এক হৃদয়ে ভালো বেসে আশা মিটেনা মনের আশা মিটেনা- ফুলির নিষ্পাপ মুখটি ভেসে উঠে। ফুলির মতো তরতর করে বেড়ে উঠা লকলকা সবুজ ধান গাছে, বাতাসের ঢেউয়ে ঢেউয়ে।
ছাগলের তিনটি বাচ্চা দুটি খায় আরেকটা চিল্লায়, তিরিং বিরিং লাফায়। বাচ্চা গুলোকে কোলে তুলে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায় ফুলি। মাঠে গেলে মিঠুদের বাড়ি সামনা সমনি হয়। ঘরের দক্ষিণ পাশে বড় আম গাছের নিছে বাঁশের একটি বেঞ্চ আছে। বেঞ্চে বসে দুপুরের সময়টা মিঠু রেডিওতে বিজ্ঞাপন তরঙ্গে প্রচারিত ছায়াছবির গান শোনে। দারুণ দারুণ গান ; বুকে আছে মন মনে আছে আশা, আশা থেকে হয় বুঝি ভালবাসা / এইদিন সেইদিন কোনদিন তোমায় ভুলব না/ কি দিয়া মন কাড়িলা ও বন্ধুরে অন্তরে পিরিতের আগুন ধরাইলা / আমি একদিন তোমায় না দেখিলে তোমার মুখের কথা না শুনিলে পরান আমার রয় না পরানে/ বড় মিষ্টি লাগে তুমি কাছে এলে/ গানগুলি যে মনের কথাই বলে। রেডিওর ভলিউম বাড়িয়ে দেয়। এই গান গুলি দুজনের মনের ভিতরের ভালোবাসাকে দ্বিগুণ থেকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। কল্পনায় ছবির নায়ক নায়িকার রূপে আবির্ভূত হয়ে মাথার উপরে দুহাতে আঁচল টেনে ধরে দৌড়ে বেড়ায় নদীর বুকে কাশবনে, বাতাসে দোলানো ফুটন্ত ফুলের বাগানে, প্রজাপতির মতো। ভ্রমর হয়ে পিছন পিছন ছুটে চলে মিঠু। একটি গান মিঠুর হৃদয় কাড়ে , প্রায়ই গায়। যদিও কেউ তারে নিষেধ করে না ; আমার উত্তর দিকে যাইতে মানা উত্তরে তার বাড়ি, কেউ জানে না বন্ধু আমি তোর লাগিয়া জীবন দিতে পারি। ছাগলের খুঁটি পা দিয়া নরম মাটিতে গাড়তে গাড়তে, মুখ বাঁকা করে ফুলি বলে ; কে নিষেধ করে। একটু পরেই তো যাইবনে দাদীর পান চুরি করতে।
প্রতি মৌসুমের মতো এবারও পশ্চিমা কৃষাণ এসেগেছে, ধান কাটার জন্য। তাদের দোচালা থাকার ঘর তৈরী। দুইতিন দিনের মধ্যেই তাদের ধান কাটা শুরু হবে। বিকালে দক্ষিণ পাশের পালানে বসে খেলছিল ফুলি। মিঠুকে আসতে দেখে একটু নড়ে চড়ে বসে। সামনে দাঁড়িয়ে মিঠু বলে - এই ফুলি তিন দিন পর দাওয়া লাগব। তুই কিন্তু সকালে নতুন ধানের খির রানবি। দুপুরে নতুন চালের গরম ভাত। তার পর চিতই পিঠা বানাবি। সাথে হাঁসের মাংস। ফুলি চুপ করে থাকে। মিঠু আবারো বলে - কি তুই রানতে পারবি না। পিঠা পায়েস বানাইতে পারবি না। তুই পিঠা বানাবি আমি চোখ বন্ধ কইরা একটার পর একটা টপাটপ খামু। কি তুই পিঠা বানাইতে পারবি না ; হুম বানায়া দিমু নিজের হাতে খাওয়াইয়াও দিমু। মুচকি হেসে ফুলির কথা বলা শেষ না হতেই ঠোঁট বাঁকা করে ধীর সুরে হাসতে থাকে মিঠু।
দাওয়া শুরু হয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় প্রতি বাড়ির উঠানে উঁচা রাস্তায় শুধু ধান আর ধান। ফুলিদের বাড়িতে ধান কাটার আমেজ ফুলিকে আকৃষ্ট করে না। ধান ভিজানো শুকানো এবং চাচির সাথে নতুন ধানের পিঠা পায়েশ তৈরীর সুখ, কচি মনের দূরন্ত ভাবনায় অনুভব করে মনের আনন্দে। তার ভালোলাগার মানুষটিকে দেখার ছলে।
আজ শুক্রবার। সাপ্তাহিক হাট বার। জুমার নামাজের পরপর হাট শুরু হয়। ধান নিতে হয় নামাজের আগে। মৌসুমের প্রথম ধান বিক্রি করতে আজ সকালে মিঠু ধান মাপতে বসে। ফুরফুরে মনে মারকাছে জানতে চায়- মা হাটে কয়মন ধান নিয়া যামু ? তার মা পাওনাদারের হিসাব, সারের বাকী ও অন্যান্ন খরচ হিসাব করে, যে কয়মন ধান লাগবে তার চাইতেও একমন ধান বেশী নিতে বলে। মা জানে ফুলির হাতে ফিতা স্নো পাউডার লিপস্টিক দিলে ছেলে তার খুঁশি হবে। নতুন ফসল ঘরে তুলছি ফুলিরে একটা কাপড় দিতেই হইব। পোলার সুখইতো তার সুখ। ঘরে মিঠুর বাপ নাই। ছেলে বড় হইছে। ক্ষেতের হালচাষ এক মাত্র ছেলেই করে। তার জন্য তো একটা বউ ঘরে আনন লাগব। ফুলিরে মিঠু খুব পছন্দ করে, দুজন দুজনরে ভালও বাসে। এই বার ফসল ভালো হইছে। ফুলিরে বউ কইরা ঘরে আনমু কত দিনের আশা। আর মাইয়াডাও আমার সব কাজ কইরা দেয়। কোন কাজের কথা বললে উড়াল দিয়া পড়ে। অরে কিছু না দিলে পোলা আমার কষ্ট পাইব। ফুলির কাছে ছোট হইব। ফুলি ছোট্ট মাইয়া তার মনওতো কত কিছু চায়। ধান মাপা দেখতে দেখতে মনে মনে কথা গুলো ভাবে মিঠুর মা। তার মেয়ে নাই তাই ফুলির দিকে একটু বেশী আদর। সে এও লক্ষ করে মিঠু আরো একমন ধান বস্তায় বেশী ভরেছে। সে জানে পোলা বড় হইছে তারও একটা খরচ আছে। দেখেও না দেখার ভান করে বলে - বাবা মিঠু, একটা লাল শাড়ী, স্নো, পাউডার, আলতা, লিপস্টিক, আয়না আর একটা চিরুনী আনবা। যাযা কইলাম তাতা কিনা তারাতারি বাড়ি ফিরবা।
বাতাসে দোলানো সবুজ বাঁশ ঝাড়ের একটি লকলকা কঞ্চি ধরে, অখ্যায়ালে মোচরাতে মোচরাতে গরুর গাড়ী ভর্তী ধান নিয়ে হাটে যাওয়ার সময় ফুলি তাকিয়ে থাকে মিঠুর দিকে। মিঠু তার চোখের দিকে তাকায়। হলুদ রঙের শাড়ী পরা ফুলিকে পরীর মতো সুন্দর লাগে। চোখে চোখে কথা হয় দু’জনে। ফুলির মনের না বলা কথা গুলো বুঝে নেয় মিঠু ; এই হোনেন আমার জন্য কইলাম চুড়ি ফিতা স্নো আনবেন। নইলে আমি আর আপনের লগে কথা কইমু না। আর হোনেন মার জন্য কিন্তু নতুন কাপড় আর পান শুপারীর কথা যেন মনে থাকে। রেডিওতে গান বাজে - এজীবনে যারে চেয়েছি আজ আমি তারে পেয়েছি তুমি আমার সেই তুমি আমার তোমারে খুঁজে পেয়েছি। মিঠুর মন নতুন বউয়ের দাবী গুলি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে বলে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে। ডান হাতে মুখে আঁচল টেনে, বাম হাতে কঞ্চি ধরে এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকে ফুলি। কড়কড় কড়কড় করে দূরের রাস্তায় মিলিয়ে যায় গরুর গাড়ী। ফুলির হৃদয় সুখে চিনচিন করে বস্তা ভরা বাজার নিয়ে স্বামীর ফিরে আসার অপেক্ষায়। ফুলি জানে সন্ধার আগে সে ফিরে আসবে না। তবু তার হৃদয় মানে না। একটু পর পর সবুজ মাঠের ধুসর রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকে কখন ফিরবে সে।
১৬ মার্চ - ২০১২
গল্প/কবিতা:
৭ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪