পুনর্ভবার পারে, যেথা রো্দ-বৃষ্টি-মেঘ অহর্নিশ খেলা করে তরু-বনছায়া কুটিরের শনে, পাখিরা বেলা-অবেলায় করে ঝাঁপাঝাঁপি হেথা সপ্তরঙা ডিঙি বেয়ে ধায় অজানার পারে, নিয়ে বধূ দূর পানে কোথা চলে যায় সেথা ঘাসেদের সনে ফড়িংয়ের খেলা, শিশুরাও মাখে কাদা-মাটি-জল ভরা পূর্ণিমার মাতাল জ্যোস্নায় শরষের সোনালী ঢেউয়ে আলোর প্লাবন ঘোর অমাবস্যায় জোনাকীরা জ্বলে মিটিমিটি, নিশি পথিকের সাথে পায়ে পায়ে বিচরণ নীড় পানে জ্বালে আলোকের মায়াময় ভ্রম, এইসব সুখ স্বপন নদী তীরে দিয়ে বিসর্জন শোনা যায় হায়! তব রবী-শশীর আলোয় মাখা পুনর্ভবার পারে হবে — বিজলী বাতির আগমন।
হেথা তব লাল-নীল-বর্ণিল বিজলী আলোকে ঝলসিয়া উঠে চারিধার ডোবা-জল-মাঠ, তারি সাথে বুনো-বেত-বাঁশঝাড় দিকে দিকে আলোকের দুর্দণ্ড অভিসার, নাহি রবে গোপন চারিধার পেঁচা ডাকা আঁধারেরে দিয়ে সকরুণ বিদায়, সভ্যতার শ্রেষ্ঠ আশীর্বাদ পুনর্ভবার এই তীরে এসে সুতীব্র ডঙ্কায় হায় — উড়ায় তব বিজয় নিশান।
আর নহে কভু হবে পূর্ণিমার উৎসব এই বালুকাবেলায়, ঘোর অমাবস্যায় আঁধারেরে নিয়ে মাখি জোনাকীর কভু নাহি ফের হবে খেলা কিশোরীর সনে, কৃষ্ণপক্ষের রূপ — ধূলিময় এই তীরে আর নাহি ফেরে, জোনাকীরা তাই ঝিঁঝিঁদের সাথে নিয়ে খোঁজে ফেরে নব কোনো প্রান্তর, পৃথিবীর রূপ যেথা অবগুন্ঠনময় গ্রাম্য-বধূর সলজ্জ লাল টিপের মত আলো-ছায়ায় খেলা করা রহস্যের চির আঁধার, দিকে দিকে যেথা এখন ও হয় — আঁধারের প্রগাঢ় উৎসব।
পুনর্ভবার পারে, ভরা পূর্ণিমার আলো নেশা আর নাহি জাগায়, অশত্থের লতানো বাহু আর নয় ভীতি জাগানিয়া, রূপকথাদের পরীরা ও লোকালয় ছেড়ে কোথা হায়!পরতে পরতে আজন্ম লুকিয়ে থাকা অনাস্বাদিত সব রূপ — এই আলোকিত প্রান্তরে এখন…… বিবর্ণ, ধূসর।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শাহ্নাজ আক্তার
ভাষার অপ্রতুল ব্যবহার ,,, খুব চমত্কার হয়েছে কবিতাটি |
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
ঘোর অমাবস্যায় জোনাকীরা জ্বলে মিটিমিটি, নিশি পথিকের সাথে পায়ে পায়ে বিচরণ
নীড় পানে জ্বালে আলোকের মায়াময় ভ্রম, এইসব সুখ স্বপন নদী তীরে দিয়ে বিসর্জন
শোনা যায় হায়! তব রবী-শশীর আলোয় মাখা পুনর্ভবার পারে হবে —
বিজলী বাতির আগমন।
// ভালো লাগল কবিতা তবে আর একটু যত্নবান হলে আরো ভালো হতে পারতো ..... আগামীর অপেক্ষায় থাকলাম....ধন্যবাদ আদিল আপনাকে.......
হেলাল মুহাম্মদ
"পরতে পরতে আজন্ম লুকিয়ে থাকা অনাস্বাদিত সব রূপ —
এই আলোকিত প্রান্তরে এখন……
বিবর্ণ, ধূসর।"- -- সুন্দর কবিতা। প্রকৃতির রূপ এখানে কাব্যময়তা পেয়েছে অসাধারণভাবে।
জালাল উদ্দিন মুহম্মদ
হেথা তব লাল-নীল-বর্ণিল বিজলী আলোকে ঝলসিয়া উঠে চারিধার
ডোবা-জল-মাঠ, তারি সাথে বুনো-বেত-বাঁশঝাড়
দিকে দিকে আলোকের দুর্দণ্ড অভিসার, --------/ আসাধারণ সব পংতিমালায় বর্ণিল করে সাজানো কবিতাটি সহজেই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ভাবের বিস্তরণ ও প্রকাশের সুষমা কবিতাটিকে অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছে বলে মনে করি। এ কবিতা বিজয়মালা পরার দাবি রাখে। অন্তরতম ভালবাসা ও শুভকামনা আদিল ভাই।
তানি হক
পুনর্ভবার পারে,
ভরা পূর্ণিমার আলো নেশা আর নাহি জাগায়, অশত্থের লতানো বাহু
আর নয় ভীতি জাগানিয়া, রূপকথাদের পরীরা ও লোকালয় ছেড়ে কোথা
হায়!পরতে পরতে আজন্ম লুকিয়ে থাকা অনাস্বাদিত সব রূপ —
এই আলোকিত প্রান্তরে এখন……
বিবর্ণ, ধূসর।...অনেক সুন্দর একটি কবিতা ..ভাইয়াকে সালাম ও সুভেচ্ছা ..ধন্যবাদ
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।