আকাশ দৌড় দিয়েছিলো। বাতাসও দৌড় দিয়েছিলো। তখন দিন দুপুর ছিলো। প্রতিযোগিতাও বেশ জমেছিলো। তবে কোনো সুখবর নেই। শুকপাখিটা কেউ ধরতে পারেনি। ধরতে ধরতেই সে পালিয়ে গেলো। সে অধরা ছিলো। সে অধরাই রয়ে গেলো।
সাগর ডেকেছিলো। নদীও গিয়েছিলো। অতঃপর কেউ জানলো না কী হলো! নদীটা নিজেকে বিসর্জন দিলো। সাগর ছুঁতে পারলো না। অস্তিত্বের প্রশ্নে টিকে থাকতে পারলো না। দাদাভাই ডেকেছিলো। ঠিকানাও একটি দিয়েছিলো। সেখানে সারি সারি সুখ নীল সুতোয় বাঁধাও ছিলো। আবুল ধরতে পারলো না।
আদু ভাই পড়াশোনা করেছিলো। পাশ দিতে পারেনি। প্রমোশন ঠিকই পেয়েছিলো। আদু ভাইয়ের ছেলে সে খুব একটা পড়াশোনা করেনি। পাশ দিতে পেরেছিলো। আলেয়ার উপর বখাটের চোখ পড়েছিলো। কে জানি তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলো। ডাক্তার রোগী বাঁচাতে পারলো না। আলেয়া মারা গেলো। তবে সে মরে বেঁচে গেলো। সে অধরা ছিলো। এখনও অধরাই রয়ে গেলো।
গোলাপের গায়ে কাঁটা ছিলো। গন্ধটাও বেশ ছিলো। তবুও মাতালটা ফুলটা ছিঁড়ে ফেলল। ছিঁড়ে কুটিকুটি করে পথের উপর ছড়িয়ে দিলো। সেও একজনকে ভালোবেসেছিলো। মজনু হয়েছিলো। ভালোবাসা পেল না। মানকচু পেল। ভালোবাসা অধরা ছিলো। এখনও অধরাই রয়ে গেলো।
আমাকেও তো তুমি রোজই ডাকো। আমিও বোকার মতো ছুটে যাই। অতঃপর রোজই দেখি তুমি কোথাও নাই। একা আমি। এমনি বসে থাকি। দিগন্তরে কাছে ডাকি। সে আসে না। তোমার মতো। তবুও পুতুল খেলাটা ইচ্ছে করেই ভাঙি না আমি। কেবলই জানতে ইচ্ছে করে, আমি কতোটা কম দামী! অবাক চোখে কেবলই ভাবতে থাকি, প্রাণহীন আমি। তবুও আমাকে তুমি হাতে রাখো। তুমি অধরা ছিলে, অধরাই থাকো।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক
একদম নতুন ফরম্যাটে লেখা কবিতা মনে হচ্ছে....প্রানের ব্যাকুলতা আছে, তবে কোথায় যেন একটু একটু থামতে হচ্ছে...যেটা জসিম ভায়ের প্রাণ সঞ্চারী কবিতায় প্রায়ই দেখা যায়...সেখানে একটু ঘাটতি আছে....
ফাহমিদা বারী
কবিতাটির অসামান্য মূলভাবটুকু অগ্রাহ্য করার কোন কারণই থাকতে পারে না। বাক্যগুলো সাজানোর ক্ষেত্রে একটু প্রশ্ন জেগেছিল। তবে সত্যি বলতে কী, সেটা তেমন একটা প্রশ্নবিদ্ধ করে না। শুভকামনা রইল।
বিপদে ফেলে দিলেন জসীম ভাই।অনেকটা নিজেই নিজের ফাঁদে ধরা খেলাম। দেখিয়ে দিতে গিয়ে নিজেই না বিপদে পড়ে যাই। তেমনটি হলে আশাকরি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আচ্ছা কবিতাটি এভাবে লেখা যেত কি,
'আকাশ দৌড় দিয়েছিল, বাতাসও দৌড় দিয়েছিল;
তখন দিন দুপুর ছিল।
তবে কোন সুখবর নেই...
শুকপাখিটা কেউ ধরতে পারেনি।
ধরতে ধরতেই সে পালিয়ে গেল।
সে অধরা ছিল, সে অধরাই রয়ে গেল।
...............
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“আগষ্ট ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ আগষ্ট, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।