চৈত্র মাসের দুপুরে মা যখন ঘুমিয়ে, আমরা সবাই মেতে খেলার আয়োজনে৷ দুপুরের কাঠ ফাটা রোদ উপেক্ষা করে, ছোটা-ছুটি করতাম সারা মাঠে-ঘাটে৷ খেলা শেষে ফিরতাম বাড়ি দিনের শেষে, বই নিয়ে বসতাম, মায়ের বকুনি খেয়ে৷ কত রকম বসত মেলা, বৈশাখ মাসে, হেটেই রওয়ানা দিতাম আমরা সবাই মিলে৷ পাপর,চানাচুর,ফুরোলি আর তরমুজ খেয়ে, ফিরতাম বাড়ি দুটাকা দামের ঘুড়ি কিনে৷ মেতে থাকতাম সবাই, সেই ঘুড়ি নিয়ে, সারাদিন কেটে যেত ঘুড়ির পিছনে ঘুরে৷ বৈশাখ মাসের সেই কাল বৈশাখি ঝড়ে, আম কুড়াতে যেতাম প্রতিযোগিতা করে৷ কত কাঠাল পেঁকে থাকতো গাছে গাছে, পেড়ে খেতাম আমরা সবাই,চুপটি করে৷ শ্রাবনে অঝোরে বারি ধারা শুরু হলে, লাফ ঝাপ করতাম সারা মাঠে-ঘাটে৷ অঝোর ধারায় খাল-বিল ভরে গেলে, সারাদিন মেতে থাকতাম ভেলা নিয়ে৷ কত মাছ লাফ-ঝাপ করত খালে-বিলে, ধরতে যেতাম আমি নাফি জাল নিয়ে। পৌষ-মাঘ মাসের হাড় কাপানো শীতে, আগুন পহাতাম সবাই গোল করে বসে৷ কুয়াশায় ঢাকা সকাল বেলা,খেতে বসে, নানা রকমের পিঠা খেতাম পেট ভরে। আজ ইচেছ করে শহরের কলাহল ছেড়ে শৈশবের দিন গুলো আবার ফিরে পেতে৷ সেই শৈশব যদি আবার পেতাম ফিরে, দিনগুলো কাটাতাম মনের মতো করে৷
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।