বিকেলের দিকে বাড়ীর পাশের শপিং মলে গিয়েছিলাম, টুকিটাকী কেনার জন্য। এক বন্ধুর সাথে দেখা, তাকে নিয়ে ঢুকেছি কফিশপে। বেশ কিছুদিন পর কফি শপে এলাম। কফিতে চুমুক দিচ্ছি, বন্ধুর সাথে গল্প করছি, বাসা থেকে ফোন এলো, কলার আইডিতে পিন্টুর নাম। হ্যালো বলতেই পিন্টু বললো, শোন, জামান ভাই আর মনিকা এসেছে। তোমার শপিং শেষ হয়ে গেলে চলে আসো। সম্ভব হলে একটা গ্রিলড চিকেন এনো, আমি ভাত বসাচ্ছি।
জামান ভাই এসেছে শুনেই আমি বন্ধুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে উঠে এলাম। জামান ভাই তো উইক ডে তে কখনও আসেননা। সাথে মনিকাও এসেছে, কোন সমস্যা হয়েছে কিনা কে জানে!
জামান ভাই ফেয়ারমন্ট শহরের সবচেয়ে পুরানো বাঙালী, প্রায় পঁচিশ বছর ধরে এই শহরে আছেন, এখানকার স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ফিজিক্সের অধ্যাপক, এক নামে সকলেই চিনে। তবে এখানকার বাঙালীরা উনাকে পছন্দ করেনা, সব সময় এড়িয়ে চলে। আমরা যখন প্রথম এসেছিলাম, তখন তো সবার মুখে উনার বদনাম শুনতাম। উনি ডিভোর্সী, মদ্যপ, অত্যাচারী, অহংকারী, বদমেজাজী, সব সময় স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতেন। এইজন্যই বাঙালীরা ডঃ জামানের সাথে মেলামেশা করেনা।
স্বজাতি সম্পর্কে এমন বাজে কথা শুনলে মন খারাপ হয়, বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকি, ভাল ছাড়া খারাপ শুনতে ইচ্ছে হয়না। তাছাড়া ডিভোর্সের সাথে তো শুধু বাবা-মায়ের স্বার্থই জড়িত থাকেনা, সন্তানের স্বার্থও জড়িয়ে থাকে।
এভাবে প্রায় তিন বছর পার হয়, একদিন কামাল নামের বাংলাদেশী একটি ছেলে, বাচ্চার জন্মদিনে সবাইকে নিমন্ত্রণ করেছিল, ডঃ জামানকেও। সেখানেই জামান ভাইয়ের সাথে পরিচয়। আমার সাথে প্রথম পরিচয় হলেও পিন্টুর সাথে উনার ছাত্রজীবনের সম্পর্ক। দু’জনেই ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করেছেন। জামান ভাই অবশ্য পিন্টুর থেকে পাঁচ/ছয় বছরের সিনিয়র ছিলেন, তারপরেও কী করে যেন পিন্টুকে প্রথম দেখাতেই চিনে ফেলেছেন। প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর পরে দেখা, দুজনেই যেন এক মুহুর্তে তাদের যৌবনে ফিরে গেছেন। সেই থেকে জামান ভাইয়ের সাথে আমাদের ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। আমাকে উনি নাম ধরে ডাকেন না, ‘ছোট বইন’ ডাকেন।
শপিং মল থেকে গ্রিলড চিকেন নিয়ে বাড়ী ফিরলাম। গাড়ীটা পার্ক করে গ্যারাজের ভেতরের দরজা দিয়ে সোজা কিচেনে ঢুকে গেছি। হাত থেকে জিনিসপত্র নামিয়েই লিভিং রুমের দিকে গেলাম। জামান ভাই আর পিন্টু পাশাপাশি সোফায় বসেছে, মনিকা একটু দূরে বসে তাদের কথা শুনছে। জামান ভাইকে হ্যালো দিলাম, মনিকাকে হ্যালো বলে আবার কিচেনে ফিরে এলাম।
স্ন্যাক্স তৈরী করছিলাম, ওদের কথাবার্তার টুকরো টুকরো কানে আসছিল। কী বিষয় নিয়ে গল্প চলছিল সেটা বুঝতে না পারলেও সিরীয়াস কিছু নিয়ে কথা হচ্ছিল, তা বুঝতে পারছিলাম। চমকে গেলাম মনিকার কান্না মেশানো গলায় ‘আব্বু আব্বু’ শুনে। কান্না শুনে ভয় পেয়ে যাই! জামান ভাই কী তাহলে এত বছর পর আবার বিয়ে করতে চাইছে নাকি কে জানে!।
জামান ভাইয়ের দুই মেয়ে, এক ছেলে। স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হয়ে গেছে পনের বছর আগে। তখন তিন ছেলেমেয়েই নাবালক। বড় মেয়ে সারাহ’র বয়স ছিল ষোল, ছেলে রিজওয়ান বারো এবং ছোট মনিকা আট। ডিভোর্সের পরে ইমতিয়াজ মায়ের সাথে চলে যায়, সারাহ বাবা এবং মায়ের কাছে আসা-যাওয়া করে, ছোট্ট মনিকা বাবার সাথে থেকে যায়।
মনিকার বর্তমান বয়স ২৩, ফেয়ারমন্ট ইউনিভার্সিটিতে কেমিস্ট্রিতে মাস্টার্স করছে, এখনও বাবার সাথেই আছে। সারাহ’র বিয়ে হলো দুই বছর আগে, বরের সাথে অন্য স্টেটে থাকে, ছেলে রিজওয়ান মায়ের সাথেই আছে। আব্বুর সাথে টেলিফোনে কথা হয়, টাকা পয়সার প্রয়োজন হলে আব্বুকে জানায়, আব্বু চেক পাঠিয়ে দেয়।
মনিকার কান্না বেড়ে চলেছে, হেঁচকী মত শোনা যাচ্ছে। সিঙ্গারা ভাঁজছিলাম, লাল হয়ে যাবে ভয়ে লিভিং রুমের দিকে যেতেও পারছিলামনা। চুলার চাবি অফ করে চলে গেলাম লিভিং রুমের দিকে। দরজা থেকেই দেখা গেল, মনিকা অঝোরে কাঁদছে, জামান ভাই মলিনমুখে মাথা নীচু করে বসে আছেন। পিন্টুকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘অ্যাই কী হয়েছে”।
পিন্টু বললো, ‘জামান ভাইয়ের কোমরের দিকে অনেক বড় একটা টিউমার আগেই ছিল, সেটাই এখন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে। প্রচন্ড ব্যথা, জ্বর, মনিকা চাইছে আব্বুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে, জামান ভাই যাবে না”।
মনিকার পিঠে হাত রেখে জিজ্ঞেস করলাম,
“মনিকা, আম্মু কী হয়েছে? কাঁদছো কেন সোনা? এত বড় মেয়ে এভাবে কাঁদলে আব্বু তো ভয় পাবে।
-আব্বু অনেক সীক! আমি স্কেয়ারড! আব্বুকে বলো, আমার সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে।
-কী ব্যাপার বড় ভাই, আপনি ডাক্তারের কাছে যেতে চাইছেন না কেন?
-বইন, ইচ্ছা করেই ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিনা। খারাপ কিছু শুনতে চাইনা। দুইটা ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেছে, আরেকবার হলেই শেষ। আম্মুটা একা হয়ে যাবে।
-বড় ভাই, এইজন্যই তো ডাক্তারের কাছে যাবেন।
-আন্টি! ট্রাস্ট মি, সারারাত আব্বু ঘুমাতে পারেনা, অনেক ব্যথা। সকালে টিউমার যতবড় ছিল, ইভনিং এ সেটা অনেক বড় হয়ে গেছে। কালার চেঞ্জ হয়ে গেছে, ফেটে যাবে। আব্বুকে ডক্টরের কাছে যাওয়ার জন্য অনেক রিকোয়েস্ট করছি। বাট হী ইজ স্টাবার্ণ, যাবেনা বলছে। আন্টি, আব্বুকে বলো, আজকেই ডাক্তারের কাছে যেতে।
-বড় ভাই, আমরা কী একটু দেখতে পারি টিউমারটা্র চেহারা? হঠাৎ ফেটে গেলেতো মেয়েটা বিপদে পড়ে যাবে!
-আম্মাজান, তুমি আমাকে ট্র্যাপে ফেলেছো। এইজন্যই তুমি আংকেলের বাড়ীতে এসেছো! আম্মা, আমার কিছু হয় নাই, খামাখা চিন্তা করছো।
-বড় ভাই, আপনার আম্মাজান খামাখা চিন্তা করে এতদূর আসেনি। টিউমারটা দেখাতে অসুবিধা আছে?
জামান ভাই গায়ের শার্ট একটু উঁচুতে তুলে টিউমারটা দেখালো, কোমরের একটু উঁচুতে, মেরুদন্ডের উপরেই ‘কদবেল’ সাইজের একটি টিউমার ফেটে বেরিয়ে আসতে চাইছে। আশপাশের অনেকটা জায়গা ঘন কালো হয়ে আছে।
মনিকাকে বললাম,
-মনিকা, কান্না থামাও, বাথরুমে গিয়ে চোখমুখ ধুয়ে আসো, আজ রাতেই আব্বুকে হসপিটালের ইমার্জেন্সীতে যেতে হবে।
-বড় ভাই, আপনি কথা শুনছেননা কেন?
-এই দুনিয়ায় এই মেয়েটা ছাড়া আমার আর কেউ নাই। এইখানের বাঙ্গালীরা আমারে ‘ইবলিশ’ মনে করে, আমার সাথে মিশেনা, আমিও একলা একলা থাকি। এত বছর পরে আমার ছোট ভাইটারে পামু, স্বপ্নেও চিন্তা করি নাই! আজ তোমরা আছো, অনেক নিশ্চিন্ত আমি। মেয়েটা অযথাই ভয় পায়। আমার আম্মাজান, আমার ছোট বাচ্চা, আমাকে মরতে দিবেনা—বলে উনি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলেন।
আমরা যখন প্রথম জামান ভাইয়ের বাড়ীতে গেলাম, চারদিক এলোমেলো, অগোছালো। বাড়ীতে স্ত্রীলোকের ছায়া পড়েনি অনেকদিন, কী বিতিকিচ্ছিরী চেহারা সারা বাড়ীতে। শুধু বাড়ীর রান্নাঘরটা সচল অবস্থায় আছে। প্রথম দিনেই টের পেলাম, জামান ভাই খুব ভাল রাঁধুনী। পোলাও, মাংস, বিরিয়ানী থেকে শুরু করে হেন জিনিস নেই যে উনি রাঁধতে পারেননা! ডিভোর্স হওয়ার আগে, স্বামী-স্ত্রীতে অশান্তি লেগেই থাকতো, স্ত্রী রাগ করে প্রায়ই কয়েক মাসের জন্য উধাও হয়ে যেত। তিন ছেলেমেয়ে থাকতো বাবার কাছে। তখনই জামান ভাই রান্না করতে শিখেছেন। স্ত্রী ফিরে এলেও জামান ভাইই রান্না করতেন, ছোট্ট মনিকা কাছাকাছি থেকে এটা ওটা এগিয়ে দিত।
তখনও উনাদের ডিভোর্স হয়নি, জামান ভাই সকালে ইউনিভার্সিটিতে গেছেন, ক্লাস শেষে নিজের রুমে এসে বসেছেন, হঠাৎ বুকে তীব্র যন্ত্রনা টের পান, কিছুক্ষণ পরেই তা কমে যায়, দ্বিতীয়বারের ব্যথা আর সহ্য করতে পারলেন না, ভেবেছেন মারা যাচ্ছেন। হাতের কাছে থাকা ফোন থেকে মনিকাকে কল দিয়ে বললেন,
“আম্মাজান, ৯১১ কল দেন, আমি মারা যাচ্ছি”।
সাত বছরের মনিকা ৯১১ কল করে পুলিশকে তার আব্বুর কথা জানিয়ে আম্মু, সারাহ এবং ইমতিয়াজকে অনেক অনুরোধ করে ওকে সাথে করে ইউনাইটেড হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। আম্মুর তো যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা, আপু এবং ভাইয়াও কাজের ব্যস্ততা দেখায়।
জামান ভাইয়ের ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ডাক্তাররা উনাকে অবজার্ভেশানে রেখে টেস্ট রিপোর্টের অপেক্ষায় ছিলেন। বেডে শুয়ে জানালা দিয়ে উনি বাইরেটা দেখছেন। বিশাল কম্পাউন্ড জনমানবশূণ্য, বিকেলের দিকে ভিজিটরদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে। নিজেকে একা মনে হচ্ছিল, এই পৃথিবীতে তাকে দেখতে আসার মত কেউ নেই। ছোট বয়সে মা’কে হারিয়েছেন, আব্বা দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন, সৎমা সৎ ছেলেকে পছন্দ করতোনা। এক বোন ছিল, সেই আপাও ছোটভাইকে দুই চক্ষে দেখতে পারতোনা। শুধু আব্বা উনাকে বুকে আগলে রেখেছিলেন।
মাত্র বাইশ বছর বয়সে নিজের পছন্দে বিয়ে করেছিলেন। আমেরিকা চলে আসেন, স্ত্রীর সাথে অশান্তি চলতো, তিন ছেলেমেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে অশান্তিগুলোকে পাশ কাটাতে চেয়েছেন। শেষ পর্যন্ত পারেননি, এর মধ্যে উনার আব্বাও মারা যান, কেউ থাকলোনা পাশে। আজ উনি মরতে বসেছেন এমন ভেবেই কাঁদছিলেন। ঝাপসা চোখেই দেখতে পেলেন, মাঠ দিয়ে একটা বাচ্চা মেয়ে দৌড়ে আসছে। এই দুপুরে একা বাচ্চা মেয়ে কোথা থেকে আসছে! মেয়েটার বাবা-মা কোথায়!
উনার চমক ভাঙ্গলো করিডোর থেকে ভেসে আসা, ‘আব্বু, আব্বু’ চীৎকারে! হাসপাতাল বিল্ডিং কেঁপে উঠেছে একটি বাচ্চার ‘আব্বু আব্বু’ চীৎকারে। এর কাছে, তার কাছে জিজ্ঞেস করে রুম নাম্বার জেনে মনিকা সোজা চলে এসেছে আব্বুর কাছে। আব্বুর বুকে ব্যথা, তাই আব্বুর বুকের উপর ঝাঁপ না দিয়ে পায়ের উপর মাথা রেখে মনিকা কাঁদছিল,
“আব্বু, তুমি মরে যেও না, আমি একা হয়ে যাব। আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবোনা। আব্বু, আই লাভ ইউ আব্বু, আই লাভ ইউ ভেরি মাচ”।
ডাক্তাররা এসে জানায়, ঘন্টাখানেকের মধ্যেই উনাকে বড় হাসপাতালে নেয়া হবে। হার্টে বাইপাস সার্জারী করতে হতে পারে। বাড়িতে খবর দিতে বললো। উনারতো খবর দেয়ার মত কেউ নেই। মনিকার দিকে তাকালে মনিকা বলল, “আব্বু, আমি তোমার সাথে হসপিটালে যাব, তোমাকে ধরে রাখবো, মরে যেতে দেবোনা”।
মনিকা তার আব্বুর সাথে বাকী পাঁচ দিন হাসপাতালেই থেকেছে। সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে আসতেই ডিভোর্সের ব্যাপারটি ফাইনাল হয়ে যায়। মনিকার আম্মু মেয়েকে নিতে চেয়েছিল, জামান ভাইও মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত ছিলেন যে উনার মনে হয়েছিল, মনিকা তার মায়ের কাছে ভাল থাকবে। কিন্তু মনিকা বলেছিল,
“আমি আব্বুর সাথে থাকবো। সবাই চলে গেলে আব্বু আর বাঁচবেনা”।
মনিকা মাঝে মাঝে মায়ের কাছে বেড়াতে যায়। কয়েকদিন থেকে চলে আসে, বাবাকে আগলে রাখে।
জামান ভাইয়ের নামে অনেক খারাপ কথা শুনি, বিশ্বাস করিনা। পরিবেশ হালকা করার জন্য বললাম,
“মনিকা, তুমি কী জানো, এখানে বাঙালীরা তোমার আব্বুকে লাইক করেনা।
“জানি, ওরা জানেনা আব্বু কত ভাল, আমার আব্বু হচ্ছে দ্য বেনিয়ান ট্রি।”
বললাম, বেনিয়ান ট্রি’র বাংলা জানো?
মনিকা হেসে দেয়!
বললাম, বট গাছ। আচ্ছা, আব্বুকে আরেকটা বিয়ে করালে কেমন হয়?”
-রাইট! খুব ভাল হয়। নাহলে আমি যখন দূরে চলে যাব, তখন আব্বুকে কে দেখবে?
জামান ভাই হেসে বললেন, আমি সৎমায়ের চেহারা দেখেছি, অনেক কষ্ট পেয়েছে আমার বাবা, একটা মাত্র ছেলেকে সংসারে অশান্তির ভয়ে কাছে টানতে পারতেননা। আমাদের যখন ডিভোর্স হয় আমি তখন ৪৫, তারও অনেক আগে থেকে আমরা একই ছাদের নীচে আলাদা থাকতাম। চাইলে এই দেশে কতকিছু করা যেত, তাহলে আর আম্মাজানরে পাইতামনা। আমি ভুলতে পারিনা, মাঠ দিয়ে দৌড়ে আসছে একটা ছোট্ট মেয়ে, ‘আব্বু, আব্বু’ করতে করতে! এর চেয়ে সুখের দৃশ্য আর হয়না। আমি কাল সকালেই যাব হসপিটালে, আম্মা, আর কাঁদবেননা! বইন, আমি কথা দিলাম, কাল সকালে সোজা চলে যাব হসপিটালে।