(রাত মানেই সন্ধ্যার পর অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া দিন নয়। রাত হচ্ছে আলোহীনতা। আমাদের চেতনার আলো জ্বলা বুকে এখন গভীর রাতের আধাঁর। তেমন এক রাতের গল্প... যেখানে সকালের আহ্বানকে পথরোধ করা হয়। এমন এক রাতের গল্পই বলছি যে খানে চরিত্রগুলো কাল্পনিক হলেও প্রেক্ষাপট [ ডিসেম্বর ২০১৩ -জানুয়ারি ২০১৪] কাল্পনিক নয়)
এক.
অবসরে কুয়াশা নিয়ে খেলা করছে বাগানের আম গাছ গুলো। পাতায় পাতায় হালকা কুয়াশা জমে আছে, যেন গভীর ঘুমে কাতর। শীত এখনো জেঁকে বসেনি। সকালের কাঁচা রোদ মরা ঘুমে জমে থাকা কুয়াশাকে ডেকে, ডেকে অস্থির। সাত সকালেই বাগানের সম্রাট উপস্থিত। পুরো বাগান জুড়েই চলে সম্রাটের দুরন্ত সাম্রাজ্য। গাছের ডালে পাখির বাসাও নিরাপদ নয় তার কঠোর শাসনে। সাথে ছায়ার মত লেগে থাকা সহযোগী।
আজকে সম্রাটের চলাফেরায় চাঞ্চল্য নেই, চোখে মুখে অচেনা কৌতূহল। পকেট থেকে একটা দেশলাই বের করতেই চোখ কপালে উঠল পাঁচ বছর বয়েসি সহযোগী বালক আরমানের। চোখে মুখে ভয়, কই পাইছিস? দাদা জানকে বলে দেব।
আশফাক চোখ দিয়েই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিল আরমানকে। ওর বয়স দশ তাই সব সময় ওকে সমঝে চলতে হয় আরমানের। ও বলল, কি করবি? বয়সে দ্বিগুণ হলেও এখনো আপনি করে বলতে শুরু করেনি আরমান। এজন্য প্রায়ই দাদা জানের বকা শুনতে হয়। দাদা জানের অনেক রাগ। উনার চোখের দিকে তাকাতেই ভয় লাগে। সবাই দাদা জানকে ভয় পায়, এমনকি ওদের বাবাও।
আশফাক বলল, চল আগুন জ্বালাই। বলেই শুকনো কাঠি, শুকনো পাতা, খড়কুটো জোগাড় করতে শুরু করলো। আরমানও পাতা, খড়কুটো জোগাড়ে লেগে গেল। কিছু খড়কুটো জোগাড় করে আগুন ধরানোর চেষ্টা করল। একটু ধুয়া হয়েই আগুন নিভে গেল। আরেকটা কাঠি জ্বালিয়ে আবার চেষ্টা করল। আবারও ধুয়া, দুইজনেরই চোখ ধুয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেল। চোখে পানি এসে গেল। ধুয়ার কাছ থেকে সরে আসল। চোখ কচলে তাকিয়ে দেখে, ধুয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে বাতাসে মিলিয়ে যাচ্ছে, হঠাৎ করেই ধুয়া কমে গিয়ে আগুন জ্বলে উঠল। কিছুক্ষণ মন্ত্রমুগ্ধের মত করে সেই দিকে তাকিয়ে রইল দুই জন। দেখলো আগুনটা আবার কমে আসছে। আরও খড়কুটো লাগবে। দু'জনেই ছুটলো খড়কুটোর সন্ধানে।
খড়কুটো খুঁজতে খুঁজতেই হঠাৎ পলিথিন ব্যাগটার দিকে চোখ পড়ল আশফাকের। ব্যাগের ভিতর লাল রঙের কি যেন। পলিথিনটা হাতে নিয়ে সেটা থেকে লাল টেপ প্যাঁচানো জর্দার কৌটার মত জিনিষটা হাতে নিতেই প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। আশফাকের ছোট শরীরটা ছিটকে গিয়ে পড়ল সবুজ ঘাসের গালিচায়। পাশে থাকা আরমানও ছিটকে পড়েছে। দশ বছরের নরম শরীরটা রক্তে রঞ্জিত। সবুজ গালিচায় এক রক্ত তিলক, যেন বাংলাদেশের পতাকা।
দুই.
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করিডোরে একজন মহিলাকে ঝাপটে ধরে আছে আর কয়জন মহিলা। সবাই পর্দানশীন। কিন্তু একজনের পর্দার দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। অন্যরা তার পর্দা ঠিক করে দিচ্ছে। মাঝে মাঝেই বিলাপ করে করে মূর্ছা যাওয়ার মত অবস্থা তার। "ওরে আমার সোনারে, কি কষ্ট পাচ্ছেরে!" ডুকরে কেঁদে উঠলো আশফাকের মা মরিয়ম বেগম। আরমানের অবস্থা অনেকটা ভাল হলেও আশফাকের অবস্থা আশংকাজনক।
: আল্লার নাম নেও, আল্লার নাম নেও। একজন মহিলা সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করল।
: আমি কাউরে ছাড়বো না, আমার ছেলের কিছু হলে আমি কাউরে ছাড়বো না। নাগিনীর মত ফণা তুলে, সবার দিকে চোখ ঘুরিয়ে দেখে নিয়ে বলল মরিয়ম। “আমি জানি কে আমার ছেলেরে মারছে। আমি সব জানি।” কাছেই একটা ভিজিটর চেয়ারে বসে থাকা শশুর, দেলোয়ার হোসেনের চোখ রাঙ্গানিকে পাত্তাই দিলনা মরিয়ম। এমন চোখের দিকে তাকিয়ে ভয় না পাওয়ার কারণ নেই। ভয়ংকর নিষ্ঠুর অভিব্যক্তি। ১৯৭১ সালে তার ভয়ে তটস্থ ছিল পুরো এলাকা। এলাকার মানুষের উপর এহেন নির্যাতন নয় সে করেনি। স্বাধীনতার পর সপরিবারে পালিয়ে গেলেও, আদতে বিজয় তাদেরই হয়েছে। সগৌরবে নিজের এলাকায় ফিরে এসেছে। সরকারী আনুকূল্যে ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে তুলেছে, অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে গেছে। বাংলাদেশ হওয়ার সুফল ওদের মত করে কেউ ভোগ করেনি, এখন সে ডাকসাইটে জামাত নেতা। সম্মান প্রতিপত্তি সবই তার হাতের মুঠোয়। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা প্রতিকুল হলেও তাদের দৃঢ় বিশ্বাস আবার বিজয় তাদেরই হবে, যে শিকর একবার উৎপাটিত হয়েছিল তা আবার এমন ভাবে গেড়ে বসেছে তার মূল কোথায় কোথায় গিয়েছে প্রতিপক্ষ তা কল্পনা পর্যন্ত করতে পারে না এবং নিজেদের ভুলেই প্রতিপক্ষ তাদেরকে আবার সমাসীন করবে।
করিডোরের এক পাশে পাথরের মত স্থির দাড়িয়ে আছে আশফাকের বাবা। তার দিকে তাকিয়ে দেলোয়ার হোসেন ধমকের সুরে বলল, আরাফাত এরে এখান থেকে নিয়া যাও, এক্ষুনি। আরাফাত কোন প্রতিবাদ করল না। ড্রাইভারকে ফোন করে গাড়ি প্রস্তুত রাখতে বলল। পরে সকল মহিলাকে ইঙ্গিত করতেই তারা মরিয়ম কে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে চলল। মরিয়মের স্বভাব শান্ত, কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তার এখন বিহ্বল অবস্থা। বাস্তব বুদ্ধি লোপ পেয়েছে। সে চিৎকার করতে করতে বলতে থাকল, “ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে। ওরা সবার ছেলেকে মেরে ফেলবে। আমার ছেলেটাকে বাঁচাও। আমাকে নিয়ে যেও না।” হাসপাতালে সব সময় কান্না, বিলাপ চলে, এমন পরিস্থিতি খুবই স্বাভাবিক হাসপাতালে আসা মানুষ জনের কাছে। কিন্তু মরিয়মের কান্না ভিন্ন একটা সুর নিয়ে বাতাসকে ভারি করে ফেলল।
তিন.
আরাফাত স্তব্ধ হয়ে বসে আছে। বুকের ভেতর তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। মরিয়ম আশফাকের বই, স্কুলের ব্যাগ, খেলনা গুলো বিছিয়ে মেঝেতে বসে আছে। ব্যাগটা বুকে জড়িয়ে কাঁদতে শুরু করল। নাকের কাছে নিয়ে আশফাকের গন্ধ নেয়ার চেষ্টা। আরাফাতের বুকটা হুহু করে উঠলো। রাজনীতির প্রতি তার আকর্ষণ তেমন নেই। বাবার চাপেই সে দলের রুকন। ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, বিদ্বেষ, হানাহানি তার একদম ভাল লাগেনা।
স্বগতোক্তি করার মত করেই মরিয়ম বলল, আপনারা আমার ছেলেটার মেরে ফেললেন, অন্যের ছেলে মারতে গিয়ে নিজের ছেলেকেই মেরে ফেললেন?
আরাফাত প্রতি উত্তর করতে পারল না। পরোক্ষ ভাবে ঘটনা তো তাই। শহরের এই যে দ্বন্দ্ব, সংঘাত এর পিছনে তো তাদেরই অর্থায়ন। তাদের বাগানেই চলে ককটেল, পেট্রল বোমা বানানোর কাজ। এই দ্বন্দ্বের রাজনীতিকে ঘৃণা করে আরাফাত। আবার প্রতিপক্ষের ভূমিকাকেও সহ্য করতে পারেনা। সবাই যেন একটা রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্যই ব্যস্ত।
বাসার কাজের মেয়েটা ঘরে উকি দিয়ে, আরাফাতকে দেখতে পেল, বলল চাচাজি, দাদা জান আপনাকে ডাকছেন।
আরাফাত একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিলো, শব্দ করে। তারপর ধীরেধীরে উঠে রওনা দিল বাবার ঘরের দিকে।
: আব্বা আমাকে ডাকছেন?
: হ্যাঁ। বস্।
আরাফাত কাছেই একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসল। দেলোয়ার সাহেব কঠোর চোখে ছেলে দিকে তাকিয়ে বলল, "তোমার বিবি, এসব আজে বাজে কথা বলছে কেন? শাসন করতে পার না? ধর্মযুদ্ধে এরকম মৃত্যু শহিদি মৃত্যু।"
: আব্বা এইটা তো ধর্মযুদ্ধ না, ক্ষমতার লড়াই।
: বেয়াদবের মত কথা বলিওনা। আমাদের দল একটা ইসলামি দল, আমরা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতেছি। তার জন্যই আমাদের সব কাজ কর্ম।
: আব্বা মুসলমানদের একটাই দল, ইসলাম। আলাদা করে দল করার দরকার কি? এই দেশে অধিকাংশ মানুষ মুসলিম। ইসলাম তো এখানে নতুন করে প্রতিষ্ঠা করার দরকার নাই। হয়তো ইসলাম সম্পর্কে সত্য জ্ঞানের কিছু অভাব আছে। তার জন্য ইসলাম চর্চা বাড়ানোর জন্য কাজ করতে হবে।
: নালায়েক! কথায় কথায় তর্ক করিস্। পরিবারের তরিকা মোতাবেক চল্। নয়তো ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
: আব্বা এই সব অন্যায়। আল্লাহ আমাদের হুশিয়ার করতে চায়, এ জন্যই হয়তো এমন কিছু হইল। অন্যায়কে আর প্রশ্রয় দেয়া ঠিক হবে না। ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলে আল্লাহ হয়তো মাফ করে দিবেন।
: আহাম্মক কোথাকার! কোন কিছুই কি তোর চোখে পড়ে না। চুপ করে বসে থাকলে নাস্তিকরা আমাদের ধ্বংস করো দিবে।
: আব্বা আমার মনে হচ্ছে আমরাই আমাদের ধ্বংস করে দিচ্ছি। একের পর এক ভুল করতেছি। স্বাধীনতার সময় ভুল অবস্থান নেয়া হইছে। তারপর জাতির সাথে অন্যায় করেও ক্ষমা না চাওয়ার অন্যায়.....।
: "চুপ কর বেয়াদব।" কথা শেষ করতে দিল না, হুঙ্কার দিয়ে উঠল দেলোয়ার হোসেন। রাগে শরীর কাঁপছে তার, আরাফাত একটা কাগজের টুকরা হলে হয়তো তাকে ছিঁড়ে কুচিকুচি করে ফেলতো। "স্বাধীনতা কাকে বলছিস তুই? আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম ৪৭ এ। গণ্ডগোলের বছর আমাদের পতন হয়েছে, আমরা ফের পরাধীন হয়েছি।"
: আব্বা এইটা দেশের সাথে বেঈমানি।
: নালায়েক, এক্ষুনি আমার চোখের সামনে থেকে চলে যা। কক্ষনো যেন তোকে চোখের সামনে না দেখি।
আরাফাতের চোখে মুখে ক্রোধ জেগে উঠল। চেয়ার থেকে ঝট করে উঠে তার ঘরের দিকে রওনা হয়ে গেল। মনে মনে ভাবল বহুত হয়েছে, আর নয়। এবার নিজের মত করেই সব কিছু ভাবতে হবে। এই সব নষ্টামির মধ্যে আর সে নাই।
চার.
দলের কয়েক জন রুকন সদস্যদের সাথে বসল আরাফাত। রাজনৈতিক পরিবেশ এখন খুবই খারাপ। সবখানে সন্দেহ, বিদ্বেষ। সতর্কতার সাথে মিলিত হতে হলো। সবার ধারনা ছিল, আরাফাত হয়তো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার নতুন কোন কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করবে। সবার মনের ভেতর উত্তেজনা ছিল। কিন্তু আরাফাতের কথা শুনে সবাই হতবিহবল হয়ে গেল। সবাই এক সাথে বলে উঠল, কি বলছেন আপনি?
আরাফাত দ্বের্থহীন ভাবে বলল, "হ্যাঁ আমাদের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।"
: ক্ষমা, কিসের ক্ষমা? কার কাছে ক্ষমা? একজন বিস্ময় নিয়ে জানতে চাইলো।
: আল্লার কাছে, জাতির কাছে আমাদের ভুলের জন্য ক্ষমা।
: আপনার মাথা হয়তো ঠিক নাই। আপনি বাসায় যান। রেস্ট নেন। মাথা ঠাণ্ডা করেন। একজন উপদেশ দিল। অন্যদের দিকে তাকিয়ে বলল, চলেন। সময় ভাল না, "ফালতু সময় নষ্ট করার দরকার নাই।"
: আরাফাত ভাই, আমরা কোন অন্যায় করছিনা। ইসলামের কাজ করছি। আমরা কেন জাতির কাছে ক্ষমা চাইবো। নাস্তিকরা বরং সমাজকে নষ্ট করছে। একজন, "আরাফাতকে বোঝানোর চেষ্টা করল।"
: হ্যাঁ আমরা কোন অন্যায় করি নাই। দেখেন আমরা সবাই স্বাধীনতার পর জন্মেছি, কিন্তু আমাদের পূর্বসূরিদের ভুলের বোঝা টানছি, কেন? আমরা তো নতুন করে, নতুন ভাবে শুরু করতে পারি সব কিছু। এই দেশটা তো আমাদের সবার। তা ছাড়া প্রতিপক্ষের সবাই কি নাস্তিক? হয়তো তাদের কিয়দংশ হলে হতে পারে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ইসলামের দাওয়াত মজবুত করতে পারি।
একজন উঠে দাড়িয়ে, ঝাঁঝের সাথে বলল, "চলেন আপনারা।" আরাফাতের দিকে তাকিয়ে বলল, "জালিমদের জন্য শান্তি না তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং জিহাদ।"
সবাই উঠে দাঁড়াল। আরাফাত বলল, "আপনারা সবাই ভুল করছেন। এভাবে আপনারা কোন কিছুই অর্জন করতে পারবেন না।"
সবাই চলে গেল। আরাফাত একা একা বসে ভাবল, এরা কি সবাই মোহগ্রস্ত, নাকি লোভাতুর? এরা ধর্মের কথা বললেও আসলে ধর্মের পথে তো এরা নেই। এদের দৃষ্টি ক্ষমতার দিকে, অর্থ সম্পদের দিকে। এরা আসলে লোভাতুর। তাদের লিপ্সা মিটানোর জন্য কিছু মানুষকে এরা মোহগ্রস্ত করে রেখেছে। মোহগ্রস্ত বা লোভাতুর যাই হোক না কেন এদেরকে আসলে সঠিক পথে আনা যাবেনা। কিন্তু কিছু একটা তো করতে হবে। কি করা সম্ভব তার পক্ষে?
সে ঠিক করল একটা সংবাদ সম্মেলন করে তার কাছে যে সব তথ্য আছে সে গুলো প্রকাশ করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে সে। একজন সাংবাদিকের তার পরিচিত আছে। তাকে ফোন করে দিন, ক্ষণ ঠিক করে ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করলো।
পাঁচ.
সংবাদ সম্মেলনের একদিন আগে একটা খবর প্রকাশিত হল, জামাতের রুকন গুম! খবরে প্রকাশ কে বা কারা জামাত রুকন জনাব আরাফাতকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। জামাতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে RAB এর পোশাক পরিহিত কিছু লোক মাইক্রো বাসে আরাফাতকে তুলে নিয়ে গুম করেছ। বিবৃতিতে জামাত, ইসলামি চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে, খুনি সরকারের রক্তাক্ত হাত গুড়িয়ে দেয়ার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। এবং রাজশাহী বিভাগে অর্ধ বেলা সর্বাত্মক হরতাল পালনের ঘোষণা দিয়েছে।।