রক্ত সম্পর্ক

পরিবার (এপ্রিল ২০১৩)

Muhammad Fazlul Amin Shohag
  • 0
  • ৫৯
আজ আর কোন কিছু হারানোর ভয় আমার ঘুম ভাঙ্গায় না। কোন কিছু পাওয়ার নেশায় নতুন ভোর হয় না। সব থেকে ও যেন আজ কিছুই নেই আমার। আমার পথ চলা, কথা বলা, হাসি, কান্না, কষ্ট সব একলা ঘরে। স্বপ্ন তো সবারই থাকে, আমার ও ছিল একটি পরিবারের স্বপ্ন, যে পরিবারে বাবা-মা-ভাই-বোন সবাই একসাথে থেকে একজন অন্যজনের কথা শুনবে, পাশে থাকবে। আমার সেই সব স্বপ্ন এখন মরীচিকা। কেউ নেই আমার পাশে। আমি জানি না বাবা-মা, ভাই-বোনের ভালবাসা, স্নেহ, আর আদর কি জিনিস? আমি শুধু জানি অবহেলা, অপমান, ঘৃণা, লজ্জা আর কষ্টই পাওয়া যায় আমার পরিবার থেকে। আমার চার বোন তিন ভাইয়ের মধ্যে আমিই সবার ছোট। মানুষ বলে পরিবারের সবার ছোট ছেলেকে নাকি সবাই খুব আদর করে। আর আমার নামটা ও সে ভাবেই রেখেছিল বাবা-মা। সোহাগ। অথচ আদরের গল্পটা বাস্তবতায় আসেনি কোনদিন আমার চোখের সামনে। যখন কোন বন্ধুদের বাবা-মা, ভাই-বোন কে দেখি, যখন তাদের ভালবাসা আর মমতা দেখি, তখন আমার খুব হিংসা আর কষ্ট হয়। চোখের কোনে জল আসে। আমি তখন নির্বাক হয়ে অনুভব করি পরিবার কাকে বলে। যখন বাবা-মা দিবস আসে, বা ভাই বোন পরিবার নিয়ে কেউ কিছু চানতে চায় বা লিখতে বলে তখন আমি উদাস হয়ে ভাবি কি বলবো আর কি বা লিখবো? সব সত্যি তো প্রকাশ করা যায় না, সব কষ্ট ও কাউকে বলা যায় না। বলে ও কোন লাভ নেই, রক্ত দিয়ে পরিবারের সম্পর্ক বিচার করা যায় না। বাস্তবতা শিখিয়েছে শুধু টাকার সম্পর্ক। প্রতিদিনই খবরের কাগজে পড়ি, টেলিভিশনে দেখি, বাপের হাতে ছেলে খুন, ছেলের হাতে বাপ খুন। ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব, পৃথিবী আজ টাকার কাছে বন্ধ। আজ প্রায় ১৭ মাস ধরে গল্প কবিতায় কোন লেখা দেয়নি। আর যখনই ভাবলাম কিছু লিখবো- তখন বিষয় পেলাম “পরিবার”। আমি বাস্তবতা ছাড়া কিছু লিখতে পারি না। তাই এটাকে গল্প না বলে আত্ম কথা বলাই ভালো। যে পরিবারের সম্পর্ক টাকায় বিচার করা হয়, সে পরিবার থেকে আমি আজ অনেক দূরে, আমার একলা ঘরে। এই জন্য আমার কোন কষ্ট নেই। হারানোর বেদনা নেই। পাওয়ার মতো সুখ নেই। জানি না কোন অপরাধে ছিন্ন হয় পরিবারের সম্পর্ক? যখন বাপের কোটি টাকা, বাড়ি, গাড়ি, থাকার পরে ও সন্তান হয় অবহেলিত, শূন্য জীবনের পথিক। তখন সেই বাবা_মা গর্ব করে তাদের সম্পদের জন্য। আমি ভেবে পাই না কোথায় যাবে সম্পদ, আর কোথায় যাবে রক্ত সম্পর্ক। ছোট বেলা থেকেই বাবা-মার প্রতি যে ঘৃণার জন্ম হয়েছে তা আজ ও বেড়েই চলছে দিন দিন। জানি এই লেখা পড়ে অনেকেই আমাকেই দোষী ভাববে, কারণ আমার বাবা মার মতো আর তাদের বাবা মা নয়। কিন্তু আমি কি করবো? আমি যা শিখেছি, যা পেয়েছি তাই তো করবো। তবু ও আমি দোয়া করি আমার বাবা-মা ভাই বোন সবাই তাদের সম্পদ নিয়ে সুখে থাকুক। শান্তিতে থাকুক। রক্তের সম্পর্ক তাদের শিহরিত না করুক।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক সত্যিই কষ্টের...তবে যেহেতু আত্মকাহিনী বলেছেন..সেহেতু এই অবস্তায় নিজেকে প্রতিষ্টিত করাটাই হবে উত্তম কাজ...শুভ কামনা থাকলো....
তাপসকিরণ রায় গল্পটি ছোট প্রবন্ধ হয়ে গেছে।কোন ঘটনাকে খুলে লিখলে ব্যাপারটা স্পষ্ট হতো--আকর্ষণীয় হতো।আগামীর শুভেচ্ছা রইলো।
এফ, আই , জুয়েল # অনেক সুন্দ গল্প ।।
সুমন রক্ত সম্পর্ক ছাড়াও পরিবার গড়ে উঠতে পারে। তবে দেয়া নেয়া ছাড়া কোন সম্পর্ক ইউনিভার্সে নাই।
Muhammad Fazlul Amin Shohag জীবনের এতো ভুল কি করে শুধরাবো। জানি না। কে আপন কে পর রক্ত আজ খুজে আপনজন
Muhammad Fazlul Amin Shohag আপনারা যদি শুধু দেথে যান, পড়ে যান মন্তব্য না করেন তাহলে তো ভালো লাগে ণা।
Muhammad Fazlul Amin Shohag আজ আর কোন কিছু হারানোর ভয় আমার ঘুম ভাঙ্গায় না। কোন কিছু পাওয়ার নেশায় নতুন ভোর হয় না। সব থেকে ও যেন আজ কিছুই নেই আমার। আমার পথ চলা, কথা বলা, হাসি, কান্না, কষ্ট সব একলা ঘরে।
মোঃ কবির হোসেন বাঁধন আহমেদ ভাই আপনার গল্পটি আমার কাছে মোটামুটি ভাল লেগেছে. ধন্যবাদ.
এশরার লতিফ আত্মজীবনীমূলক লেখা। পরিবারকেন্দ্রিক। তবে পুরোপুরি গল্প হয়ে উঠেছে কিনা সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। লেখকের ব্যক্তিগত কাহিনী মনকে স্পর্শ করল।

০১ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪