বর্ষায় ধান্দা

বর্ষা (আগষ্ট ২০১১)

Muhammad Fazlul Amin Shohag
  • ১৯
  • 0
  • ১৮
ঘটনাটা ২০০৪ সালের। ঢাকার ডেমরা এলাকা। দেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই এখানে মানুষের বসবাস। তখন বিএনপি আমল চলছে। মানুষের ভিতর চরম অস্থিরতা। এম পি, মন্ত্রি, আর নেতারা লুটপাট করে খাচ্ছে দেশ। গ্যাস বিদু্যৎ আর পানির চরম সংকটে ভুগছে সাধারন মানুষ। আমাদের ৪ আসনের এমপি জনাব সালাউদ্দিন সাহেব তখন জনতার জুতা আর ইট পাটকেলের ধাওয়া খেয়ে দারুন আলোচিত সমালোচিত। দৈনিক পত্রিকায় তাকে নিয়ে নানা রকম লেখা লেখি হচ্ছে। তবু যেন তার লজ্জা হয়নি। এমপি মন্ত্রিদের চরিত্র যে বাইজির মতো পবিত্র তা তিনি প্রমান করলেন দ্বিতীয়বার। হঠাৎ একদিনের প্রবল বৃষ্টিতে ডেমরার বেশ কিছু এলাকা তলিয়ে গেল হাটু পানিতে। সকালে যখন মানুষ ঘুম থেকে উঠলো তখন দেখলো কারো কারো ঘরের ভিতর ও হাটু পানি জমেছে। মেইন রাস্তা গুলো ও একই অবস্থা। ৮৮ সালের বন্যার পরে আর কোন বন্যা এই এলাকার মানুষ দেখেনি। আর টানা এক সপ্তাহর বৃষ্টিতে ও কখনো এই এলাকায় হাটু পানি জমেনি। এলাকায় তখন একটা হৈ চৈ পরে গেল। সবাই বলছে এটা একটা সরযন্ত্র করে পানির সুইচ খুলে দিয়ে পানি ছেরে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কে করলো এই কাজ? সবার মনেই তখন এই প্রশ্ন। তখন সবাই ধারনা করলো এই কাজ একমাত্র ধান্ধাবাজ জনাব সালাউদ্দিন সাহেবই করেছে। কিন্তু সরাসরি বলার মানুষও তখন কেউ নেই। এলাকার বৃদ্ধ মানুষ গুলো বললো ৮৮ সালের বন্যার পরে এই প্রথম দেখলাম একদিনের বৃষ্টিতে ডেমরা এলাকা তলিয়ে গেল। চরম কষ্টে মানুষ দিন কাটাচ্ছে। খাদ্য মূল্য বেড়ে গেছে। অভাব শুরু হলো ঘরে ঘরে। দিন দিন পানি দূষিত হয়ে খারাপ গন্ধ ছড়িয়ে পড়লো। মানুষের বিশুদ্ধ খাবার পানি পেতে কষ্ট হচ্ছে। অনেককে দেখলাম টিনের ছালে উঠে বাথরুম শেরেছে। তখন পত্র পত্রিকায় পানি নিয়ে অনেক লেখা লেখি হচ্ছে। ১৫ - ২০ হবার পরে হঠাৎ একদিন জানতে পারলাম বিদেশ থেকে সাহায্যের জন্য সরকারকে টাকা দান করবে। যেন বন্যার প্রত্যেকটা এলাকায় ত্রাণ বিতরন করা হয়।
তার কিছুদিন পরে দেখলাম আমাদের ৪ আসনের সম্মানিত এমপি জনাব সালাউদ্দিন সাহেব এক জাক সাংবাদিক এবং কিছু পুলিশ বাহিনী নিয়ে এলাকায় ত্রাণ বিতরনে এসেছে। গরিব অসহায় মানুষ গুলো সাহায্যের জন্য লাইন ধরে রাস্তায় দাড়িয়েছে। এমপি সাহেব তাদের মাঝে কিছুক্ষন নাম মাত্র ত্রান বিতরন করলো। তার পর এলাকার গন্যমান্য জঘন্য ব্যাক্তি, যারা এমপির খাঁচ চামচা, যাদের রিলিফের কিছুই পাবার কথা নয়। তারাই দেখলাম বেশি করে ভাগা ভাগি করে চাল-ডাল নিল। আমার এই দৃশ্য দেখে খুব হাসি পেল। আবার কষ্ট লাগলো এই ভেবে, যে গরীব মানুষ গুলো সাহায্যের জন্য ঘন্টা খানিক দাড়িয়ে থেকে ও কিছুই পেল না। এমপি আর তার চাম চাদের রিলিফের চুরি দেখে ঘৃনা করা ছাড়া আর কিছুই করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। ইচ্ছাকৃত ভাবে পানি ছড়িয়ে দিয়ে হাজারো মানুষকে দূভের্াগে ফেলে এমপি যে পরিমান টাকা চুরি করেছিল তা দিয়ে সে সুখি হতে পারেনি। বরং ওয়ান এ লেভেনের সময় জেল খেটেছে। হাজারো মানুষের ঘৃনা আর আপমান পেয়েছে। তখন থেকেই আমার রাজনীতির প্রতি ঘৃনাটা বেশি জন্ম নিয়েছে। যা আজও প্রবল পরিমানে বিদ্যমান। তাই মাঝে মাঝে দেশের প্রধান মন্ত্রিকে প্রধান চোর বলতে ও আমার ভয় হয় না। এই দেশের মানুষ চরম কষ্ট নিয়ে আজও বেচেঁ আছে। আর রাজনীতিতে যে যখন সুযোগ পাচ্ছে সে তখনই নিজের গোলা ভরছে। সেটা বিএনপি ও আবার আওয়ামীলিগ ও। কেই কারো থেকে চুরিতে কম নয়। আর সাথে যদি থাকে কোন ইসু্য তাহলে মানুষর মুখ বন্ধ করতে সরকাররের সময় লাগে না। দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু স্বাধীনতা দেশের মানুষ আজও পায়নি। তাই মাঝে মাঝে ভাবি যদি দেশ স্বাধীন না হতো তাহলে হয়তো এতো চুরি, ধর্ষন, খুন দেখতে হতো না বাংলার মানুষকে। আমি বুঝে উঠতে পারি না ভাষা আন্দোলন করে কি লাভ হলো? দেশ আজ অপসাংস্কিৃতিতে বিভোর। দুই নেত্রী আজ ও গদি নিয়ে টানা হেচরা করছে। আর সাধারন মানুষ ভোটের সময় নেচে গিয়ে সাময়িক চার পাচশো কাটার লোভে ভোট দিয়ে চোর জয় যুক্ত করছে। আর টানা পাচঁ বছর দূভোর্গ করছে। গদর্ভ জনগন আজো বুঝে না তাদের আসলে লাভ হলো না ক্ষতি হলো। আজও পত্রিকার পাতা ধরলেই মন্ত্রি এমপিদের চুরি, ধর্ষনের খবর পরে প্রতিবাদ করতে পারি না। পারি শুধু বষর্ার চুরি নিয়ে সামান্য লিখতে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Muhammad Fazlul Amin Shohag এই দেশের নেতারা আজ ও চুরি করে বলে মানুষের অভাব দূর হয় না।
Muhammad Fazlul Amin Shohag মিজানুর রহমান রানা থাঙ্কস
মিজানুর রহমান রানা বাস্তবতায় মেশানো গল্প। সমাজের ঘটনাবলী থেকে নেয়া। ভালো লাগলো। শুভ কামনা থাকলো।
Akther Hossain (আকাশ) প্রতিবাদী একটি লেখা !
শামীম আরা চৌধুরী এটা তো গল্প হলো না,
Muhammad Fazlul Amin Shohag এই দেশের নেতারা আজ ও চুরি করে বলে মানুষের অভাব দূর হয় না।
Muhammad Fazlul Amin Shohag এই দেশের নেতারা আজ ও চুরি করে বলে মানুষের অভাব দূর হয় না।
Muhammad Fazlul Amin Shohag সূর্য ভাই, সারুলিয়া এলাকাতে আমি থাকি, আপনি যে এক সপ্তাহ টানা বৃষি্টর কথা বললেন, এটা আমি জানি, কিন্তু যে ঘটনার কথা আমি লিখেছি, সেটার প্রমান সহ আমার কাছে আছে। ভালো থাকবেন।

০১ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী