বাড়ি থেকে সিকি মাইল দূরে জমিদারদের পোড়ো বাড়ি, তারই পাশে বটদীঘি- প্রকান্ড বটগাছ; তার কোল ঘেঁষে আরও একটি পুকুর, অদূরে নাপিত বাড়ি। ছনের নয়, গোলপাতার নয়- টিনেরও নয়- প্রাসাদতুল্য অট্টালিকা সেটি! এগুলো দেখতে দেখতেই স্কুলের পথ ফুড়াতো আমার। আবার সেই পথটায় বাড়ি ফিরতে বকুল গাছের নীচে কিছুটা আড্ডা- কিছুটা ফুল কুড়ানোর উৎসব। এ সবই আমার শৈশবের গল্প ...
আমাদের বাড়ির সামনে দিগন্ত ছোঁয়া ধান ক্ষেত মেঠো পথ আঁকাবাঁকা, সে পথে বৃষ্টিতে ভিজে ডাক নিয়ে আসতো ত্রিশূল হাতে রানার মহব্বত। আমাদের বাড়ির পোস্ট অফিসে বসে মহব্বতের কাছে ওর গল্প শুনেছি দু:খের-বেদনার, আমার শৈশব মহব্বতকে খুঁজে ফেরে এখনও!
বাড়ির পাশেই ছোট্ট নদী-খাল, ঘাটে বাধা থাকতো জব্বার মাঝির পানসি নৌকা, আমাদেরর ডিঙি ছিল ছোট একটি। চাঁদনী রাতে বাবার সাথে জাল ফেলে মাছ ধরার উৎসবে মেতেছি কত দিন! সে সব এখন চোখের জলে ভেসে যায় মসজিদের পাশে বাবার জীর্ণ কবর দেখে দেখে!
আমার শৈশব এখন ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে বেতস বনে নিকানো উঠানে, বটের ছায়ায় পাখির ডানায় সোনালী রোদের ঝিলিকে; ঝাউবনে জোনাকি পোকার উৎসবে। কাজে-অকাজে, দ্রোহ আর ভালোবাসার জমিনে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য
স্মৃতিগুলো এখনো তড়তাজা, জীবন্ত। এখনো প্রতি বর্ষায় ছোট একটা কোষা (নৌকা) কিনি, নদীর ঘোলা জলে ছিপ ফেলি.... শৈশবের সে সুখ কিন্তু ছোয়া হয়ে ওঠে না। আসলে সময় অনেক কিছুই বদলে দেয়। ভালো লেগেছে স্মৃতির পাতা উলটে দেখার কবিতা।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।