একটি অনাকাঙ্খিত পদ্য

গ্রাম-বাংলা (নভেম্বর ২০১১)

ধুমকেতু
  • ৪৩
  • ১৩৪
আমি এক নিঃসঙ্গ শেরপা
দেখো, আমি আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, তার চেয়ে উঁচু আর কিছু নেই
এমনকি তোমার কল্পনাও এ রকম একটি শৃঙ্গের কথা ভাবতে পারে না।
এর চারপাশ জুড়ে আছে আমার ভালোবাসা
আমার শ্বেতশুভ্র কল্পনারাশি আর আজন্ম লালিত সহস্রমুখ উষ্ণ প্রস্রবণের কেন্দ্রভূমি
যা বাংলাদেশ সহ সমগ্র বিশ্বকে স্নেহসিক্ত ভালোবাসায় সিক্ত করে দিতে পারে।
বলো, তুমি কি পারবে তোমার বিষাক্ত হিংস্রতা দিয়ে আমাকে এক বিন্দু টলাতে?
তুমি তোমার খোলস থেকে বেরিয়ে যে হিংস্র নখর দিয়ে
পল্টনে এফোঁড় ওফোঁড় করতে চেয়েছিলে আটাশে অক্টোবর
তাতে কি আমার বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয়েছে?
না হয় নি।
বরং তুমিই আজ জগৎশুদ্ধ সকলের ঘৃণা, ধিক্কার আর অভিশাপে জর্জরিত
আজ তোমার নাম শুনে কেঁদে ওঠে অবুঝ শিশু
যুবতীরা আব্রু বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে
আর মায়েরা তাদের সন্তানকে বাঁচাতে আঁচল বিছিয়ে দেয়।
বলো, এরপরও কি তুমি নিজেকে মানুষ বলে দাবী করতে পারো?
না, তুমি মানুষ নও, তুমি পশু, বরং তারও চেয়ে অধম এবং হিংস্র
তুমি হালাকু আর চেঙ্গিস খানের প্রেতাত্মা
একাত্তুর থেকে পঁচাত্তুর, ছিয়ানব্বই থেকে দু’হাজার এক, আর
আটাশে অক্টোবর দু’হাজার ছয়-
তোমার পশুত্বের সাক্ষী হয়ে থাকবে চিরকাল।
তোমার ভয়াল মূর্তি যারা আগে কখনো দেখে নি
যারা তোমার সব বুলি সত্য বলে মেনে নিতো নিঃশংসয়ে
তোমার অবগুন্ঠনের আড়ালে থাকা হিংস্র মূর্তি আজ তাদের কাছেও স্পষ্ট।
শোন ডাইনী, তোমার গোয়েবলসীয় তত্ত্ব আজ মাঠে মারা গেছে
সত্য সে তো সত্যই
এতোদিন যারা আমাকে মিথ্যুক ভেবেছে
আজ তারা এসে কাতারবন্দী হয়ে আমাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে
দেখো হে পিশাচের রানী দেখো
তোমার পায়ের নীচের মাটি ধীরে ধীরে ফাঁক হয়ে যাচ্ছে
তোমার সুধা সদনের দেয়াল আজ গরলে পরিপূর্ণ
তোমার শয়তানী ডানা ভেঙ্গে পড়ছে ক্রমশঃ...
আর আমি ঋজু থেকে ঋজু হচ্ছি
দেখো হে নরকের কীট দেখো-
আমার টানটান দেহে আজ আরো লক্ষ কোটি টগবগে তরুণ
দেখো হে পিশাচ, হে শয়তানের সম্রাজ্ঞী দেখো
আমাকে শৃঙ্গ থেকে নামানোর কোন অস্ত্রই অবশিষ্ট নেই তোমার হাতে।
আমার দেহ থেকে যে তরুণকে ছিনিয়ে নিয়ে তুমি
নগ্ন পৈশাচিকতায় নৃত্য করে করে হত্যা করেছো
খোদার কসম, তার প্রতিটি ফোঁটা রক্তের বদলা আমি নেবোই
সাবধান থেকো হে নব্য হিন্দা
তোমার লকলকে কালী জিহ্বা আমি ছিঁড়বোই
আর
একটি অনাকাঙ্খিত পদ্যের জন্য জেগে থাকবো রাতের পর রাত।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ধুমকেতু nilanjona nil ভয়ের কিছু নেই | ঘুম পারানি গান তো সবাই গাইতে পারে না | কেউ কেউ হেড়ে গলায় চিত্কার ও করে | আর চিৎকার যদি শ্রুতিমধুর হয়, তাহলে তো কথাই নেই। ওই হেড়ে গলার গানই ভালো লাগে। কবিতাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ধুমকেতু ধন্যবাদ রোদের ছায়া || পরবর্তী সংখায় দেখা হবে |
নিলাঞ্জনা নীল বাপরে! কি ভয়াবহ কবিতা!
রোদের ছায়া ধুমকেতুর কবিতা উল্কার মত আঘাত করেছে দেশের, সমাজের তথাকথিত ব্যক্তিদের,/ কিন্তু বিসয়বস্তু থেকে দুরে সরে গেছে/
ধুমকেতু মামুন ম.আজিজ : dhonnobad
মামুন ম. আজিজ প্রতমে স্বাগতম। বিষয়বস্তুর দিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ রাখছি ভবিষ্যতে
ধুমকেতু শাহ্‌নাজ আক্তার : ধন্যবাদ, ভালো লাগলো |
মোঃ আবুল কামাল মানোত্তীর্ণ এবং প্রতিবাদী কবিতা। কবিকে ধন্যবাদ।
ধুমকেতু ডা:দাউদুল ইস্লাম ভাই, অনেক ধন্যবাদ | সুভেচ্ছা নিবেন |

২৫ অক্টোবর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪